Tag: সিটি মেয়র

  • সিটি মেয়রকে স্মারকলিপি দিল বিএলএফ নেতৃবৃন্দ

    সিটি মেয়রকে স্মারকলিপি দিল বিএলএফ নেতৃবৃন্দ

    আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক মেয়র দপ্তরে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বরাবরে বিভিন্ন দাবীদাওয়া সম্বলিত বিষয় নিয়ে একখানা স্মারকলিপি প্রদান করেন।

    এতে তারা উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল (বিবিএমএইচ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ৫ এপ্রিল তারিখে হাসপাতালের ২০ জন কর্মচারীকে চাকুরীচ্যুত করেন। পরবর্তীতে ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজি.নং-২৪১৫) নেতৃবৃন্দ তাদের চাকুরীচ্যুতদের পূ:নবহাল করার লক্ষ্যে দেন দরবার করাতে কর্তৃপক্ষ ইউনিয়য়নের সভাপতি,সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ আরো চারজনকে চাকুরীচ্যুতির নোটিশ প্রদান করেন- যা অমানবিক এবং বাংলাদেশ শ্রমিক আইনের পরিপন্থী।

    তাই এই বিষয়ে তারা মেয়রের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও চাকুরী ফিরে পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি মেয়রকে অবহিত করেন।

    মেয়র তাদের সমস্যার কথা শুনে শ্রবন পূর্বক এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।

    এসময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিবিএমএইচ এর সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়ন এর সভাপতি মানিক মিয়া, সোলেমান, মো. নাছির উদ্দীন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চমেক-এ ডিস ইনফেকশন অটো চেম্বার হস্তান্তর করলেন সিটি মেয়র

    চমেক-এ ডিস ইনফেকশন অটো চেম্বার হস্তান্তর করলেন সিটি মেয়র

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা.আফতাবুল ইসলামের নিকট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন একটি ডিস ইনফেকশন স্প্রে অটো চেম্বার হস্তান্তর করেছেন।

    আজ রবিবার (১০ মে) অপরাহ্নে চমেক হাসপাতালের করোনা রোগীদের সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই পড়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় জীবাণুমুক্ত করণের লক্ষ্যে এই চেম্বার হস্তান্তর করা হয়।

    এই চেম্বারটি বিদ্যুৎ চালিত। একটি সেন্সরের মাধ্যমে এটি কাজ করবে। চেম্বারে প্রবেশের ৪ সেকেন্ডের মধ্যই ক্লোরিন মিশ্রিত দ্রবণের স্প্রে কাজ সম্পন্ন হবে। স্প্রে কাজ সম্পন্ন করে পিপিই পরিহিত ব্যক্তি জীবানুমুক্ত হয়ে প্রবেশ ও বাহির হবেন।

    এটি হস্তান্তর কালে মেয়র বলেন, এই মহামারী চলাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে, বিশেষ করে সংক্রমিত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় এই সেনিটাইজিং পদ্ধত্বি অত্যন্ত কার্য্যকর।

    চেম্বার হস্তান্তরকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারি পরিচালক ফ্লু কর্ণার অবজারভেশন ইউনিট প্রধান ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, চুয়েটের প্রধান কারিকারক আবু আদনান চৌধুরী, মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    এই সময় মেয়র আরো বলেন, করোনা যুদ্ধে এযাবতকালে ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত আন্তরিকতা, দক্ষতা ও সাহসের সাথে নগরবাসীকে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

    রোগীদের সেবা প্রদানে প্রথম ও প্রধান আস্থাস্থল হচ্ছে ডাক্তার। তাই তাঁদের সুরক্ষাই সব্রাগ্রে। চিকিৎসাকেন্দ্রে কিভাবে আরো বেশি নিরাপত্তা দেয়া যায় সেব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। যখনই নতুন কিছুর সন্ধান পাচ্ছি আমরা সাথে সাথে তা গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবায় যুক্ত করছি।

    তিনি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা যুদ্ধে নির্ভয়ে সেবা প্রদান করে যাওয়ার আহবান জানান।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দূর্যোগ দূর্বীপাকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে ছিল মহানগর আওয়ামীলীগ

    দূর্যোগ দূর্বীপাকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে ছিল মহানগর আওয়ামীলীগ

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ৪৩ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে ইউনিট পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ভোগ্যপন্য উপহার সামগ্রী প্রদানের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ও ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে ১ শত ৫০ জন করে কর্মী সমর্থকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    এই কার্যক্রম মাসব্যাপী চলমান থাকবে।

    আজ প্রদত্ত ভোগ্যপন্য উপহসার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাউল, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা, আলু, পিয়াজ ও লবন।

    এইসব উপহার সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এড.ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল্ মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন সম্পাদক এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী সাইমুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল হাসান ভুলু, রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ইপিজেড থানা আওয়ামীলীগের চৌধুরী হারুনুর রশিদ, এ.এস.এম ইসলাম, ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সুলতান নাসির উদ্দীন, সফিউল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, হাজী জয়নাল আবেদীন, জয়নাল আবেদীন আজাদ, কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ভোগ্য পন্য উপহার সামগ্রী তৃনমূল কর্মীদের হাতে তুলে দিয়ে ট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেন, এযাবত কাল বাংলাদেশে যত দূর্যোগ-দূর্বিপাক হয়েছে প্রত্যেক সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে দঁড়িয়েছে এবং সাহস যুগিয়েছে। এবারাও তার ব্যতিক্রম নয়। একজন কর্মীও যাতে অনাহারে না থাকে সেই পদক্ষেপ নিয়েই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

    তিনি আরো বলেন, মানব জাতির ইতিহাসে অনেক বড় বড় মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কথা জানি, বিশ্বযুদ্ধের কথা জানি, কিন্তু সমগ্র বিশ্ব একসাথে করোনা ভাইরাসের কারণে এমন করে অর্থনীতি,রাজনীতি, ব্যবসায় বাণিজ্য সহ সব দিক দিয়ে সম্ভবত এতবড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় নি।

    মেয়র বলেন, করোনার সংক্রমনের ফলে থমকে গেছে বিশ্বের অর্থনীতি। আগামী দিনে বিশ্বের দেশে দেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারী হিসাবে ঘোষণা করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে যখন চিনের উহান প্রদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন আমরা কেউ ভাবতে পারিনি, আমাদের মত দেশে এর বিস্তৃতি ঘটবে।

    মেয়র বলেন, করোনার ভয়াল থাবা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিচ্ছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উদাসীনতার পরিণাম। এই ধরনের পরিস্থিতিতে দেশের অনেক শিল্পপতি, সামাজিক ব্যক্তিত্ব এগিয়ে এসেছেন।যা একটি ভালো দিক। জাতির সংকটময় মুহূর্তে এগুলো দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন এবং অকাতরে দান করছেন। বিশ্বের সবচাইতে উন্নত দেশগুলো যেখানে এ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের মত দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে শংকিত হতেই হয়। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণই উত্তম। সেক্ষেত্রে বতর্মানে সারা বিশ্বে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কৃত হয় নি, সেহেতু এটির প্রসারণের হার কমিয়ে রাখাই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। তবে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানুষ ধীরে ধীরে অনুধাবন করতে পারছে।

    তিনি বলেন, প্রতিদিনকার খবরে বিদেশে মৃত্যুর মিছিল দেখে শিহরিত হই। কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বহদ্দারহাট কাচাঁবাজার পরিদর্শন করলেন চসিক মেয়র

    বহদ্দারহাট কাচাঁবাজার পরিদর্শন করলেন চসিক মেয়র

    আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত নগরীর বহদ্দারহাট কাচাঁবাজার পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে কাচাবাজারের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন।

    তিনি বলেন বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার একটি সুপরিচিত বাজার এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতাসাধারণ ছুটে আসে এ বাজারে। তারই প্রেক্ষিতে বাজারটিকে বহুতল ভবন বিশিষ্ট আধুনিক কিচেন মার্কেটে রুপান্তরের উদ্যোগ গ্রহন করে চসিক। এ লক্ষে কাঁচাবাজারের ভবন নির্মাণ ও বাজারের রাস্তা, ফুটপাত ড্রেনের উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে চসিক। বর্তমানে বাজারটিকে বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক কিচেন মার্কেটে রূপান্তরসহ রাস্তাঘাট, ড্রেন ও ফুটপাতের কাজ চলমান রয়েছে।

    সিটি মেয়র বাজারের বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনকালে ভাসমান ব্যবসায়ীরা রাস্তা ও ফুটপাত ব্যবহারের অনুমতি প্রার্থণা করেন। এ ব্যাপারে সিটি মেয়র চলমান রাস্তা, ফুটপাত ও ড্রেনের কাজ যথাসময়ে শেষ করার জন্য ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, চলমান কাজ শেষ হলে ভাসমান ব্যবসায়ীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। এ প্রসঙ্গে ভাসমান ব্যবসায়ীদের বাজার শেষে তাদের নিজ দায়িত্বে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার তাগাদা দেন মেয়র। তিনি এ বিষয়ে বাজার কমিটিকে কঠোর নজরদারী করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

    মেয়র বাজার পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত নির্মাণাধীন দু’টি ভবনের নির্মাণ কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। শিঘ্রই এ দু’টি ভবনের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    এরপর সিটি মেয়র বহদ্দারহাট কাচাঁবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব সার্কেল-২ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং রাজস্ব আদায় সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে খোজখবর নেন।

    তিনি রাজস্ব আদায়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরো বেশি যত্নবান হওয়ার তাগিদ দেন।

    জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপকালে সিটি মেয়র বলেন, নগরীতে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অতীতের সড়ক, নালা নর্দমাসহ সব কিছুই আগের অবস্থায় আছে। অন্যদিকে নালা-নর্দমাগুলোতে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে ভরাট ও বেদখল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীর নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তাই গৃহস্থলী ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে নগরীবাসীকে সিটি কর্পোরেশনের সেবকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মেয়র।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাসেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, ভূসম্পদ কর্মকর্তা মো.এখলাস উদ্দিন আহমদ, কর কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, উপ কর কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, উপ সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, যুবলীগ নেতা ওয়াহিদু আলম শিমুল, বহদ্দারহাট বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ঈসা, সাধারণ সম্পাদক তছকির আহমেদ, বদিউল আলম, হাজী জানে আলম,ফয়সাল বাপ্পী,মোজাম্মেল হক ও ব্যবসায়ীসহ বিপুল সংখ্যক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • সিটি মেয়রের সাথে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    সিটি মেয়রের সাথে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতভ।

    আজ রোববার বিকেলে টাইগারপাস নগর ভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে এসে পৌঁছলে সিটি মেয়র তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার প্রদান করেন।

    সিটি মেয়র বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্কের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন যে অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছে,তা বাঙালী জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর সচল করতে মাইন অপসারণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাইন উদ্ধারের মতো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করতে যান রেডকিন। অবশেষে মাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান বীর ইউরিস রেডকিন। এই ইউরিস রেডকিনকে চিরস্মরণিয় রাখার নিমিত্তে লালদীঘিতে রেডকিন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে সিটি মেয়র রাষ্টদূতকে অবহিত করেন।

    বৈঠকে চসিকের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিশদ বিবরণ তুলে ধরে সিটি মেয়র বলেন নদী, সাগর, পাহাড় পর্বত ও সমতল বেষ্ঠিত এই চট্টগ্রাম। এই শহরকে দৃষ্টিনন্দন,নিরাপদ,সবুজ ও পরিচ্ছন্ন করতে সিটি মেয়র তাঁর উদ্যোগের কথা রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

    রাশিয়ার রাষ্টদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতভ চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করে বলেন,সাগর নদী ও পাহাড় পর্বত বেষ্টিত এই শহর যেকোনো অতিথিকে মুগ্ধ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই শহরটি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী। এর জন্য তিনি সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের ভুয়াশি প্রশংসা করেন।

    সৌজন্য সাক্ষাতকালে সিটি মেয়র বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন সেক্টরে রাশিয়ার বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে আছে এবং আগামীতে থাকবে। রাশিয়া বাংলাদেশের সব উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশীদার হতে প্রস্তুত। বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আস্থার সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় বলে তিনি সিটি মেয়রকে অবহিত করেন।

    সাক্ষাতকালে ব্যবসা-বাণিজ্য,আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি,সামরিক মহড়া, সৌহার্দ্যপূর্ণ ভ্রমন এবং সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেইজমেন্টসহ বিবিধ বিষয়ে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন।

    এই সময় রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতভ এর স্ত্রীও অনারারি কনসুল স্থাপতি আশিক ইমরানও তাঁর স্ত্রী এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা,প্রধান প্রকৌশলী লে:কর্ণেল সোহেল আহমদ,প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো: আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

    পরে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতভ লালদীঘি পাড়ে নির্মাণাধীণ ইউরিস রেডকিনের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন।

    রেডকিনের স্মৃতিসৌধ এর নির্মাণ কাজ দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে তজ্জন্য সিটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।

  • চমেক হাসপাতালে কার্ডিলজী ক্যাথল্যাব উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র

    চমেক হাসপাতালে কার্ডিলজী ক্যাথল্যাব উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বহুল প্রত্যাশিত কার্ডিলজী ক্যাথল্যাব’র উদ্বোধন করা হয়।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে কার্ডিলজী বিভাগে ফলক উম্মোচন করে কার্ডিলজী ক্যাথল্যাব-১ ও ২ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    এই ক্যাথল্যাব উদ্বোধনের ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ হ্নদরোগের চিকিৎসা সুবিধা পাবে। এই চিকিৎসা সুবিধার মধ্যে থাকছে এনজিও গ্রাম,এনজিও প্লাষ্টিক (রিং পরানো),স্থায়ী ও অস্থায়ী পেকমেকার স্থাপন। এই উপলক্ষে আয়োজিত কার্ডিলজী বিভাগ কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন শহরমুখি জনতার চাপ নগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি বৃহত্তর চট্টগ্রামের এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় চমেক হাসপাতালকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন এই প্রতিষ্ঠানটি ৫”শ বেডে একটি হাসপাতাল। পরবর্তীতে ৫”শ থেকে ১৩১৩ শয্যা বিশিষ্ট চট্গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। কিন্তু জনবল বৃদ্ধি করা হয়নি। ৫”শ বেডের জনবল দিয়ে আজো ধুকেধুকে চলছে চমেক হাসপাতাল।

    তিনি আরো বলেন এই জনবল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৭হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে চমেক। এছাড়া রোগী হিসেবে প্রত্যন্তাঞ্চল থেকে আসা প্রতিদিন আউট ডোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগী। বলতে গেলে চমেক হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তাররা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন কার্ডিলজী ক্যাথল্যাবে গত বছরের এদিন পর্যন্ত ১২হাজার রোগীকে এনজিও গ্রাম চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। ক্যাথল্যাব উদ্বোধনের মাধ্যমে কার্ডিলজী সংক্রান্ত সকল সুযোগ সুবিধা এতদাঞ্চলের মানুষ আরো বেশী চিকিৎসা সেবা ভোগ করতে পারবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

    চমেক হাসপাতালের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলার হৃদরোগ বিভাগে স্থাপিত কার্ডিলজী এ ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

    চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি:জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কার্ডিলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার প্রবীর কুমার দাশ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানে বিএমএ এর চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডাক্তার মুজিবুল হক খান,সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডাক্তার নাসির উদ্দিন মাহমুদ,ডাক্তার রিজোয়ান রেহান, ডাক্তার আবুল হোসেন শহীনসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধান ও চিকিৎসক গন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন ডাক্তার লক্ষ্মী পদ দাশ।

  • সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের আধুনিকায়ন কাজ দেখতে গেলেন সিটি মেয়র

    সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের আধুনিকায়ন কাজ দেখতে গেলেন সিটি মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : আগ্রাবাদস্থ সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের আধুনিকায়ন কাজ সরেজমিনে দেখতে গেলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    আজ বুধবার দুপুরে মার্কেটের ১ম তলা থেকে ৫ম তলায় পর্যন্ত পাঁয়ে হেটে চলমান কাজ প্রত্যক্ষ করেন সিটি মেয়র। তিনি আসন্ন রমজান এর আগে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে আধুনিকায়নের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে দিক নির্দেশনা দেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন,ত্রি-মাত্রিক প্রতিষ্ঠান সহ মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে শিঘ্রই বৈঠক আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন মেয়র।

    ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ মার্কেটে আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। এই কাজের মধ্যে প্রথমতলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পঞ্চম তলায় অত্যাধুনিক ফুড কোড, সিনেপ্লেক্স কিডস কর্ণার এবং মার্কেটে নতুন স্কেভেটার লিফট স্থাপনসহ বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে।

    তিনি বলেন, এই মার্কেটের ৬ষ্ঠ তলা থেকে ১১ তলা পর্যন্ত এই প্রথম চট্টগ্রামে ‘সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ নামে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এর গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে পার্কের নকশা অনুযায়ি কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দেন।

    এই পার্কের ভেতরে মহিলা পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা নামাজ আদায় করার স্থানসহ সুপরিসর অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ঠদের নির্দেশ দেন মেয়র। এই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি শিল্প বিকাশের পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

    পরিদর্শন কালে সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মো. আলী নেওয়াজ চৌধুরী, সহ সভাপতি মো. নুর আলম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন,সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন আরিফ, অর্থ সম্পাদক মো. পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, দপ্তর সম্পাদক মো. খোরশেদুল আলম, ধর্ম সম্পাদক মো. বশির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম, সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. সালাউদ্দিন ও সাবেক কমিটির আনিস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সন্ত্রাস,মাদক,জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশের স্থান পরিদর্শনে সিটি মেয়র

    সন্ত্রাস,মাদক,জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশের স্থান পরিদর্শনে সিটি মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : ঐতিহাসিক লালদিঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সন্ত্রাস, মাদক,জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা দিতে লালদিঘীর মাঠ পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    আজ সোমবার সকালে তিনি এ পরিদর্শন করেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

    এতে ব্যানার, ফেষ্টুন, প্লে-কার্ড নিয়ে ৪১ ওয়ার্ডে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী গঠিত কমিটির আহ্বায়কের নেতৃত্বে ‘সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে না বলুন, নিরাপদ ও বাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলুন’ শ্লোগান সম্বলিত মিছিল সহকারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণসহ সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, কলামিষ্ট, সাংবাদিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।

    পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র লালদিঘীর দক্ষিণ অংশে একটি বৃহৎ আকারের পেন্ডেল, মঞ্চে কার্পেট, ভিআইপি টেবিল বক্স, বক্তব্য ডাইস, কুসুম চেয়ার, কাঠের চেয়ার, ভিআইপি সোফাসহ মাঠে মহিলা ও মুরব্বিদের জন্য ৭ হাজার চেয়ার বসানোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

    এছাড়া মাঠের ভিতরে ৫টি বড় এলইডি স্কিন, কোতোয়ালী মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেট, সোনালী ব্যাংক, লালদিঘীর পূর্ব পাশ ও সিনেমা প্যালেস মোড়ে এলইডি স্কিন বসানো সহ আন্দরকিল্লা ও নিউমার্কেট মোড় পর্যন্ত পর্যাপ্ত মাইক বসানোর নির্দেশ প্রদান করেন মেয়র।জঙ্গিবাদ মাদক বিরোধী সমাবেশের স্থান পরিদর্শনে সিটি মেয়র ২

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন শৃংখলা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, স্বাস্থ্য শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটি চেয়ারম্যান কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর সলিমউল্লাহ বাচ্চু, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, হাজী নুরুল হক, মো. ইয়াছিন চৌধুরী আশু, এস এম এরশাদুল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।

    মেয়র এ সমাবেশকে সফল করতে মাইকিং, প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া সিটি মেয়র ৩ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত সমাবেশে সার্বক্ষনিক ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারীসহ সুশৃংখল সমাবেশের কতিপয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

    এদিকে সমাবেশকে উপলক্ষ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৩ টায় টাইগারপাসস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

  • বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন কাজ উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

    বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন কাজ উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম মহাগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ ওয়াইজার পাড়া হাজী ফকির মো. সওদাগরের বাড়ির সামনে ফলক উন্মোচন করে এ কাজের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    এই উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ্ব হারুণ উর রশিদ। এই সময় অন্যান্যের মধ্যে চসিক প্যানেল মেয়র জোবাইরা নার্গিস খান, কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির পক্ষে মো. ইউনুচ কোম্পানী, মো. ইলিয়াছ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ,আনোয়ার হোসেন,মনিরুল হুদাসহ চসিক নির্বাহী প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দু”পাশে প্রয়োজনীয় বাড়তি জায়গা অধিগ্রহন করে ওয়াকওয়ে নির্মাণের নিদের্শনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনানুযায়ি খালটির দৈর্ঘ্য হবে আনুমানিক ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার এবং প্রশস্থ ৬৫ফুট। এই নতুন খালের দু”পাশে প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া এ খালের দু’পাশে থাকবে ২০ফুট করে সড়ক এবং নির্মাণ করা হবে ৬ফুুট করে ওয়াকওয়ে।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, এ খালটি হবে নয়নাভিরাম একটি খাল। যা দেশের অন্য কোথাও দেখা যাবে না। এখন বাকলিয়ার মানুষ অবসর বিনোদনের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে যাই। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তখন হবে উল্টো। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ ধুলিকণা বিহীন নির্মল বাতাস ও সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আসবে এখানেই। এই প্রকল্পটি হবে সেই রকম একটি সৌন্দর্য মন্ডিত প্রকল্প । যা দেশের মানুষ এক নজরে দেখার জন্য শহরতলী এই বাকলিয়াতে ছুঁটে আসবে ।

    মেয়র বলেন, খাল খননের জন্য যে সকল ভূমির মালিকের ভূমি অধিগ্রহন করা হবে তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৌজা মূল্যের তিনগুণ নির্ধারণ করে পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে এক চুল পরিমাণ অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকবে না। কোনো ভূমি মালিকের কোনো ভবণ যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত এলাইনন্টের মধ্যে পড়ে,তবে তাদেরকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়মনুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, এই প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে পূর্ব-পশ্চিম ষোলশহর, চান্দগাঁও, মোহরা, উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম বাকলিয়া ও চকবাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির ফলে জনগণের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    সিটি মেয়র অধিগ্রহনকৃত ভূমি মালিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা আমার উপর আস্থা রাখুন,আমার নিজের জায়গা হলে যে রকম গুরুত্ব দিতাম, এখন তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। ভূমি মালিকেরা যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতি পূরণের টাকা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এ প্রকল্পটি এ এলাকার জন্য কত উপকার বয়ে আনবে তা বাস্তবায়িত হওয়ার পর বুঝতে পারবে এলাকাবাসি।তাই এ কাজে যেন কোন ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন সিটি মেয়র।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এই নতুন খাল খননের জন্য অধিগ্রহণ যোগ্য জমির পরিমান ২৫.১৬৬২ একর। প্রস্তাবিত খালটি বহদ্দারহাট বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে শুরু করে যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন শাহ আমানত সংযোগ সড়ক অতিক্রম করে নুরনগর হাউজিং হয়ে ওয়াইজের পাড়া মাজার হয়ে বলির হাট বলি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়া কর্ণফুলী নদীতে পতিত হবে। এই নতুন খাল খননের জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫৬ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১০৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।

  • শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে চট্টগ্রামের ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র

    শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে চট্টগ্রামের ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : রোগমুক্ত ও সুস্থ আগামী প্রজম্ম গড়তে চট্টগ্রাম নগরীতে শনিবার দিনব্যাপি উদযাপিত হলো জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০।

    এই উপলক্ষে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নগরীর আগ্রাবাদ টিএন্ডটি কলোনী প্রাইমারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে জাতীয় ভিটামিন “এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন- ২০২০ এর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন আগামী প্রজম্মকে সুস্থ দেহ ও মনের অধিকারী গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্টিজনিত সমস্যা,যা ভিটামিন “এ” অভাবে হয়। তাই সরকার সবধরণে অপুষ্টি রোধে জাতীয় পুষ্টিসেবা কাযক্রমসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে।

    তিনি বলেন এই অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল কার্যকরি ভুমিকা পালন করে থকে। তাই বর্তমান সরকার এর উদ্যোগে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

    এর ফলে রাতকানা রোগ ও অন্ধত্বের হার বর্তমানে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি নগরবাসিকে এগিয়ে আসার আহবান জানান মেয়র।

    তিনি বলেন, অন্ধত্বের মত অভিশাপ আর কিছু নেই। নিজেদের অজ্ঞতার কারনে জন্মের পর শিশুরা অন্ধহয়ে যায়। এই ব্যাপারে সকল অভিভাবক বিশেষ করে মা ও বাবা কে সচেতন হতে হবে। এই কর্মসূচি থেকে যাতে একটি শিশু যেন বাদ না পড়ে, সেই জন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগর স্ব্স্থ্যা সহ সংশ্লিষ্ট টীকাদান কেন্দ্র খোলা রাখা হয়।

    এই সময়ের মধ্যে নিজ নিজ শিশুকে পার্শ্ববতী সেন্টারে নিয়ে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান মেয়র।

    সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১২৮৮ টি কেন্দ্রে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৮০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঊদ্যোগ নিয়েছে চসিক।

    এই প্রসঙ্গে বিগত সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছরও শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করেন সিটি মেয়র। ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাম্পেইন এ নগরে অবস্থিত সকল সরকারি-বেসরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত কর্মকর্তাগন ছাড়াও প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, চসিক জোনাল অফিসার, মেডিকেল অফিসার,ইপিআই টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজার,স্বাস্থ্য সহকাররি, টীকাদান ও স্বাস্থ্যকর্মী এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন ।

    এই কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় পুষ্ঠি প্রতিষ্ঠান,ব্শ্বি স্বাস্থ্য সংস্থা,ইউনিসেফ, বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম, বিভিন্ন এনজিও সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ঠদের ধন্যবাদ জানান মেয়র।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আলী।

    উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ জাকারিয়া, রিদওয়ান, টিএন্ড টি মধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহমদ,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি সুলতানা শাহীন,অরুণ চন্দ্র দাশ ও তাজুল ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

    পরে মেয়র ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

  • জনগণের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আইন প্রণয়নের আহবান মেয়রের

    জনগণের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আইন প্রণয়নের আহবান মেয়রের

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : জনগণের অংশগ্রহন ব্যতিত আইন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। জনগণের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আইন প্রণেতাদেরকে আইন প্রণয়নের আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন ট্যাক্সরুলস ১৯৮৬ ইংরেজী অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর কর পূর্ণঃমুল্যায়ন করার নিয়ম আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ২০১৬ সালে কর মুল্যায়ন করতে গিয়ে চসিককে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখিন হতে হয়েছে।

    সেদিন নগরবাসীর একমাত্র সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। এমনকি আর্দশ কর তফশিল-২০১৬-তে পরিচ্ছন্নতায় ৭ শতাংশ, আলোকায়ন ৫ শতাংশ, স্বাস্থ্য সেবায় ৮ শতাংশ এবং হ্যোল্ডিং-এ ৭ শতাংশ কর ও রেইটস নির্ধারণ করা আছে।

    তবে এক্ষেত্রে চসিক পূর্বের ন্যায় কর আদায় করে আসছে। কোনোরুপ কর ও রেইটস হার বৃদ্ধি করেনি। তারপরেও সেবা গ্রহনকারীগন নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করে না। অনাদায়ী হ্যাল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের জন্য আইন আছে, করদাতাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বিবেচনা করে এখনো পর্যন্ত আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না।

    জনগণের সামর্থ্য ও অন্যান্য আনুসাংগিক বিষয়াদি বিবেচনা করে আইন প্রণয়ন করা হলে সকল করদাতা কর পরিশোধে উৎসাহিত হবে এবং কোনোরুপ সংক্ষুদ্ধও হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    মঙ্গলবার সকালে সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আইন শৃংখলা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিটি কর্পোরেশনের আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বিষয়ক দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চসিক প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন শৃংখলা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর এইচ.এম.সোহেল, আলহাজ্ব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, প্রধান শিক্ষা কর্মকতা সুমন বড়ৃয়া, স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফিয়া আকতার, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, উপপরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র গভারনেন্স স্পেশালিষ্ট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জুনিয়র ফ্যাসিলিটেটর মোহাম্মদ আমিনুর হোসেনসহ চসিক আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগন এই সময় বক্তব্য রাখেন।

    সিটি মেয়র বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো নগরবাসীর উন্নত পরিসেবা প্রদান করা, যাতে নগরের অধিবাসীগণ উন্নত জীবন যাপন করতে পারে। নগরবাসীদের দিতে হবে বিভিন্ন সেবা। থাকতে হবে নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, প্রশস্থ সড়ক ও নর্দমা সুবিধাদি, চিত্ত বিনোদনের জন্য খোলা জায়গা ও বাগানের সুবিধাদি, কেনা কাটার জন্য উন্নত মার্কেট সুবিধা ইত্যাদি।

    সিটি কর্পোরেশনকে এই সকল সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা বাঞ্চিনীয়। তাই সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য প্রত্যেক শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শাখার কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত আইনী বিষয় শিক্ষাদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী বলে তিনি মনে করেন।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন,একটি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক মানদন্ড বা শর্ত হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। এটি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা আনয়ন করে। প্রতিষ্ঠানে যদি কোন শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে কোন প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন ও নীতিমালা সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ হয়। তাই উন্নয়নের নানাবিধ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

    সিটি কর্পোরেশন এলাকার সঠিক ও যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং নগরের নাগরিকদের উন্নত পরিসেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই মর্মে তিনি মন্তব্য করেন।

  • সাগরিকা স্টেডিয়ামে ইনডোর কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    সাগরিকা স্টেডিয়ামে ইনডোর কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইনডোর কমপ্লেক্স নির্মান কাজ উদ্বোধন করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।

    মঙ্গলবার বিকালে তারা স্টেডিয়াম আউটডোরে উপস্থিত হয়ে এই কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে সাগরিকা স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য এই কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছর মার্চ নাগাদ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এসময় সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিবিএস’র প্রকৌশলী নয়ন, এসপেক্ট্রা’ কন্সট্রাকশন’র রবিউল ইসলাম, শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার রুবেল আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধন শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।