Tag: সিডিএ চেয়ারম্যান

  • সাগরিকা স্টেডিয়ামে ইনডোর কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    সাগরিকা স্টেডিয়ামে ইনডোর কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইনডোর কমপ্লেক্স নির্মান কাজ উদ্বোধন করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।

    মঙ্গলবার বিকালে তারা স্টেডিয়াম আউটডোরে উপস্থিত হয়ে এই কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে সাগরিকা স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য এই কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছর মার্চ নাগাদ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এসময় সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিবিএস’র প্রকৌশলী নয়ন, এসপেক্ট্রা’ কন্সট্রাকশন’র রবিউল ইসলাম, শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার রুবেল আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধন শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

  • নাগরিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ব্যতিক্রমী আয়োজন

    নাগরিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ব্যতিক্রমী আয়োজন

    চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর ও পতেঙ্গা এলাকার জনদুর্ভোগ, যানজট, দূর্ঘটনা, জলাবদ্ধতা এবং বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ১২ই অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সীম্যান্স হোস্টেলস্থ লিলি কমিউনিটি সেন্টারে সেবা সংস্থা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারনের সমন্বয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ মতবিনিময় সভাটির সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ কোম্পানীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    এতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ, নিউমুরিং এর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভায় ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যা এবং জনদুর্ভোগ সভায় উত্থাপন করেন।

    স্বাগত বক্তব্যে ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়টি অত্র ওয়ার্ডে অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার ময়লা বাহী ট্রাক, ড্রাম ট্রাক ঐ এলাকায় চলাচল করে ফলতঃ প্রধানতম সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ময়লার ভাগাড়ের ফলে জনগনের স্বাস্থ্য সেবাও হুমকির মুখে। এ সব বিষয় বিবেচনা করে ঐ এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার জন্য সিটি মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

    ইপিজেড থানা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শারমিন সুলতানা ফারুক বন্দর এলাকায় দুই দুইটি রপ্তানী পক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে কর্মরত রয়েছে দুই লক্ষাধিক কর্মজীবি নারী। এদের চিকিৎসা এবং প্রসূতি মা’দের চিকিৎসার সুবিধার্থে ঐ এলাকায় একটি ডে-কেয়ার, মাতৃসদন হাসপাতাল সহ একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আবেদন জানান।

    ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. হাসান মুরাদ অভিযোগ করেন শুক্রবারসহ বিভিন্ন সরকারী ছুটির দিন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায় না। এছাড়া গ্যাসের চাপও খুব কম। বেশীর ভাগ সময়ই রাত ১০টার পর গ্যাস পাওয়া যায় তাও অপ্রতুল। তিনি মহেশখালের মুখে সিডিএ কর্র্তৃক নির্মাণাধীন স্লুইসগেটটি নির্মাণে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।

    ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিউল আলম সিমেন্ট ক্রসিং সংলগ্ন রেললাইনটি দখলমুক্ত করে একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার আহবান জানান। এছাড়া নিউমুরিং ৫নং খাল এবং মাটিয়া খালটি পুণঃরুদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসণের উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। এছাড়া এম.এ.আজিজ সড়কটি বিভিন্ন কন্টেইনার ইয়ার্ড কেন্দ্রিক যানজটের কারণে এলাকাবাসী ঘন্টার পর ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    ৪০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ আউটার রিং রোডের কাজটি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার আহবান জানান। এছাড়া ৭নং এবং ৯নং খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

    ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী দ্রুততার সাথে বৃহত্তর হালিশহর-পতেঙ্গা এলাকায় ওয়াসার সঞ্চালন লাইন স্থাপনের অনুরোধ জানান।

    এছাড়া ভুতুড়ে বিল, গড় বিল এবং যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতে দীর্ঘসূত্রিতা রোধ করার আহবান জানান। কন্টেইনার ইয়ার্ডের লরি, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকে যার ফলে বিমান বন্দর সড়কটি প্রায়শই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী হারুনুর রশীদ বিভিন্ন সেবা সংস্থা গুলোর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এলাকাবাসী জলজটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বলে মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। এছাড়া গণপরিবহনে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য রোধ করার জোর দাবী জানান।

    বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ চট্টগ্রাম বন্দর ঘোষিত বন্দর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর নামে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।

    পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক এ এম এন ইসলাম গুপ্ত খালটি সংস্কার করার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া মুসলিমাবাদ থেকে সী-বীচ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার এবং আলোকিত করার জন্য সিটি মেয়রের নিকট আহবান জানান।

    সেবা সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম প্রথমেই ব্যতিক্রমধর্মী একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করায় উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান। এ রকম আয়োজন সেবা সংস্থার সাথে জনগনের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

    তিনি বলেন সরকারের গৃহীত প্রকল্পের ফলে ওয়াসা ক্রমান্বয়ে জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০০ কিলোমিটার নতুন পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। শহরের প্রায় ৮৬ ভাগ জনগনকে পানি সরবরাহের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

    এছাড়া জাইকার অর্থায়নে বারিকবিল্ডিং থেকে কাস্টম হয়ে পতেঙ্গা পর্যন্ত ওয়াসার নতুন পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এ সকল উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে অত্র অঞ্চলে ওয়াসার পানি সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নিউমুরিং এর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মফিজুর রহমান মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বরাদ্ধকৃত নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের ফলে বর্তমানে বিদ্যুতের সমস্যা নেই বললেই চলে।

    তবে মেরামতজনিত কারণে কিছু কিছু এলাকার গ্রাহক বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেনা যেটা সাময়িক। এছাড়া আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

    গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল এবং গড় বিল শুণ্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জনগন যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে পারে সেজন্য সদা সচেষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। তিনি মতবিনিময় সভার মাধ্যমে গ্রাহকের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন নাগরিক সমস্যা নিয়ে নেতৃবৃন্দের উপস্থাপিত বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শুনেন এবং প্রতিটি প্রস্তাবের প্রতি সহমত পোষন করেন।

    তিনি বলেন চট্টগ্রাম শহরে উন্নয়নের মহোৎসব চলছে। বিভিন্ন সেবা সংস্থা একযোগে নগরীতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে একথাও ঠিক এসব জলাবদ্ধতার জন্য আমরাও অনেকাংশে দায়ী।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামে একসময় অনেকগুলো পুকুর ও দিঘী ছিলো। কিন্তু কালের ব্যবধানে চট্টগ্রাম শহর থেকে সেইসব পুকুর ও দিঘী হারিয়ে গিয়েছে। খালগুলো দখল হয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও নগরবাসীর অসচেতনতাও দায়ী জলাবদ্ধতার জন্য। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় ডোর টু ডোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালু করেছে। তারপরও নগরবাসী প্রতিনিয়ত নালা নর্দমায় ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। নাগরিক সমাজের মনমানসিকতাও উন্নত করার অনুরোধ জানা তিনি।

    তিনি আরো বলেন এ শহর আপনার আমার সকলের। এ শহরকে যদি আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারি তাহলে এ সুনাম সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর। তিনি নাগরিকবৃন্দকে নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশীদার হওয়ার আহবান জানান।

    প্রিধান অতিথি বলেন বিমানবন্দর সড়কের অফডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলোর কারণে বিমানবন্দর সড়কটি দিন দিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অফডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যে নৌপরিহন মন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা হয়েছে।

    অফডক কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো সরিয়ে নিলে বিমানবন্দর সড়কটি যানজটমুক্ত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে দলের নেতা-কর্মীদের সাধারণ জনগনের পাশে থাকার আহবান জানান।

    এছাড়া বে-টার্মিনালটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম শহরে আর কোন যানজট হবেনা বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি নগরবাসীকে উন্নয়নের প্রসব বেদনা সহ্য করার জন্য অনুরোধ জানান।

    বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন ব্যতিক্রমী মনোমুগ্ধকর আয়োজনের মাধ্যমে জনগনের বিভিন্ন সমস্যা এবং দুর্ভোগ সরাসরি উপস্থাপনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়েছেন যার কারণে চট্টগ্রামবাসী রেকর্ডসংখ্যক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্ধ পেয়েছেন। শুধুমাত্র সিডিএ’র মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদিত হচ্ছে চট্টগ্রামে। ইতিমধ্যে আউটার রিং রোডের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

    লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উন্নয়ন কর্মকান্ডসমূহ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জনগনের সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে।

    তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে আউটার রিং রোডের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বারিক বিল্ডিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও সাময়িক বন্ধ রেখেছেন বলে নেতৃবৃন্দকে জানান।

    এছাড়া আউটার রিং রোডের কাজও দ্রততার সাথে সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি জনগনকে যে কোন সমস্যায় তার সাথে সরাসরি স্বাক্ষাত করার অনুরোধ জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগনের সংগঠন। জনগনের অধিকার আদায় করতে গিয়েই এ সংগঠনের জন্ম। তাই জনগনের অসুবিধায় আমরা কখনোই চুপ থাকতে পারিনা।

    ব্যতিক্রমী এ মতবিনিময় সভার মাধ্যমে আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এ কথা জানাতে এসেছি যে আপনাদের সুখে দুখে সবসময়ই আমরা আছি এবং থাকবো।

    তিনি বলেন শুধু একটি সভার মাধ্যমে আমরা আমাদের কার্যক্রম সমাপ্ত করবোনা। আমরা শুরু করেছি মাত্র। এলাকা ভিত্তিক সমস্যাগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সাথে আমরা মতবিনিময় করে সমস্যাগুলো সমাধানের পর্যায়ে নিয়ে আসবো।

    তিনি বন্দর পতেঙ্গা এলাকার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকাকে নিয়ে অবহেলায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশের সিংহভাগ আয় এ এলাকা থেকেই হয় তারপরও এই এলাকার লক্ষ লক্ষ জনগন কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত।

    দীর্ঘস্থায়ী যানজট, জলজট এই এলাকার মানুষের নিত্যসঙ্গী। তাই এ এলাকার মানুষের নাগরিক সমস্যা সমাধানে আমাদের অব্যাহত কর্মযাত্রা চলমান থাকবে। তিনি সেবা সংস্থার প্রতিনিধিগণকে জনগনের দুঃখ দুর্দশা শুনতে আসায় অভিবাদন জানান।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল আলম, কামরুল হাসান ভূলু, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আবু তাহের, ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান মোঃ নাছির উদ্দিন, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ হাসান, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হোসেন মুরাদ, ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম প্রমূখ।