বছরের শুরুতে বাংলা সিনেমার যেমন খরা ছিল তেমনি খরা ছিল বছরের শেষ সময়েও। তবে গতবারের মতো এবারও দুই ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা নিয়েই ছিল দর্শকের উন্মাদনা দেখা গেছে। বছরে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে যেমন মানসম্মত ছবি ছিলো তেমনি ছিল মানহীন সিনেমাও। বছরের দুই ঈদ, আর ঈদকে ঘিরেই আলোচনায় ছিলো মুক্তি পাওয়া ১৩ সিনেমা।
রোজার ঈদে মুক্তি পায় ৮ সিনেমা- আমিই বাংলাদেশ, জ্বীন, লোকাল, কিল হিম, পাপ, শত্রু, প্রেম প্রীতির বন্ধন ও আদম।
মুক্তি পাওয়া ৮ সিনেমার মধ্যে শাকিব খানের লিডার আমিই বাংলাদেশ দর্শক টানার শীর্ষে থাকলেও জ্বীন ছিলো দ্বিতীয় অবস্থানে। অনন্ত জলিলের কিল হিম সিনেমাটিও ছিলো নেটিজেনদের আলোচনায়। সিনেমা নিয়ে যেমন অন্তর্জালে আলোচনা হয়েছে, তেমনি সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর।
তবে দর্শক টানার প্রতিযোগিতায় লোকাল, পাপ, শত্রু, প্রেম প্রীতির বন্ধন ও আদম ছিলো অনেকটাই পিছিয়ে।
তবে রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর চেয়ে কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো ছিলো বেশি আলোচনায়।
কোরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো হলো- নির্মাতা হিমেল আশরাফের ‘প্রিয়তমা’, রায়হান রাফির ‘সুড়ঙ্গ’, চয়নিকা চৌধুরীর ‘প্রহেলিকা’, বন্ধন বিশ্বাসের ‘লাল শাড়ি’ ও সৈকত নাসিরের ‘ক্যাসিনো’।
মুক্তির পর দর্শক টানার প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিলো শাকিব খানের প্রিয়তমা ও আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ। সুপারহিটের তকমাও পেয়েছে সিনেমা দুটো। শাকিব খানের ভিন্ন লুক আর বড়পর্দায় আফরান নিশোর অভিষেক সবমিলিয়েই অনেকটাই হুমড়ি খেয়ে পড়েন দর্শকরা।
কোরবানির ঈদের আরেক চমক ছিলো অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের অভিনয়ে ফিরে আসা। দীর্ঘ আট বছর পর প্রহেলিকা সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। তাই প্রিয়তমা ও সুড়ঙ্গের পাশাপাশি মাহফুজ ভক্তরাও সিনেমাটি দেখেছেন।
ক্যাসিনো ও লাল শাড়ি সিনেমা দর্শকের মধ্যে তেমন সাড়া না ফেলতে পারলেও মুক্তি পর কয়েকদিন বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে হাউজ ফুল দেখা গেছে।
ঈদের মুক্তি পাওয়া সিনেমা বাইরেও ‘মা’, ‘মায়ার জঞ্জাল’, ‘জেকে ১৯৭১’ ও অন্তজালের মতো প্রায় দুই ডজনের মত সিনেমা ছিলো আলোচনায়। সিনেমাগুলোর মধ্যে বিগ বাজেট ও ভিন্ন গল্পের সিনেমা থাকলেও তেমন দর্শক টানতে পারেনি।
এদিকে বছরের শেষ সময়ে এসে মুক্তি যুদ্ধের সিনেমা ১৯৭১ সেই সব দিনগুলি যেমন প্রশংসিত হয়েছে। তেমনি প্রচলিত প্রথা ভেঙে দর্শকও টেনেছে।
তবে বছর জুড়ে মুক্তি পাওয়া সব সিনেমার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা মুজিব একটি জাতির রূপকার ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। সিনেমাটিতে আরিফিন শুভর অভিনয় প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি সমালোচনাও হজম করতে হয়েছে ছবিটির নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়েও।