Tag: সিনেমা হল

  • করোনা আতঙ্ক: দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ ঘোষণা

    করোনা আতঙ্ক: দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ ঘোষণা

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ১৮ মার্চ থেকে দুই এপ্রিল পর্যন্ত সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রদর্শক সমিতি ও প্রযোজক সমিতি।

    হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদের জানান, করোনার কারণে হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিনেমা হলে দর্শক যাচ্ছে না। বিশেষ করে সিনেপ্লেক্সগুলোতে জনসমাগম বেশি হয়। এছাড়া অন্যান্য হল ফাঁকাই থাকে। তারপরও করোনা আতঙ্কে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

    এই সময়ের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

    প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন: শুধু বাংলাদেশের সকল সিঙ্গেল স্ক্রিনই নয়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যতো মাল্টিপ্লেক্স আছে সেগুলো ও আমাদের এই সিদ্ধান্তের (সিনেমা হল বন্ধ ঘোষণা) আওতাভুক্ত। তারপরেও যদি কেউ সিনেমা হল চালু রাখেন এবং সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় তার দায় আমরা নেব না।

  • সিনেমা হলগুলো টিকে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পীরা বেঁচে থাকবে:তথ্যমন্ত্রী

    সিনেমা হলগুলো টিকে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পীরা বেঁচে থাকবে:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ দেশের সিনেমা হলগুলো রক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিনেমা হলগুলো যদি টিকে থাকে তবে চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পীরা বেঁচে থাকবে।

    সচিবালয়ে তার কার্যালয়ের সভা কক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অংশিজনদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনা এবং বৈশ্বিক সিনেমা বাজারে দখল নেয়া।

    বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি (বিএফপিডিএ), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি (বিএফডিএ) এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি (বিএফইএ) এর কার্যনির্বাহী সদস্যরা অংশ নেন। সভায় তথ্য সচিব কামরুন নাহারও বক্তব্য রাখেন।

    হাছান বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের দুঃসময় শেষ… সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ভালো ও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

    চলচ্চিত্র শিল্পকে ‘বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মিডিয়া’ হিসাবে অভিহিত করে হাছান বলেন, ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এই শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।

    জনগণ সিনেমা হলগুলোতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার কারণে সারাদেশে অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে উলেøখ করে তিনি বলেন, সিনেমা হল রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করা উচিৎ।

    হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্তাবধানে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে প্রাণবন্ত করার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সিনেমা হল মালিকদের জন্য সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য আমি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

    মন্ত্রী বলেন, দেশে সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষা করা দরকার। আর চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষার প্রধান উপাদান হলো সিনেমা হল।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদানের পরিমাণ পাঁচ কোটি থেকে বাড়িয়ে দশ কোটি টাকা করেছে এবং অনুদানের জন্য এখন একটি নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী অনুদানের অর্থে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে।

    পাশাপাশি প্রতিটি চলচ্চিত্র নির্মাতার অনুদানের পরিমাণও বাড়িয়ে ৭৫ লাখ করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।

    হাছান সিনেমা হল মালিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন চলচ্চিত্র শিল্প তার অতীত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করবে এবং বাংলা সিনেমা বিশ্বব্যাপী বাজার দখল করবে।

    সভায় বক্তব্য রাখেন বিএফপিডিএ সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, বিএফডিএ সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বিএফইএ সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এবং বিএফইএর প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস প্রমুখ।