Tag: সিপিএল

  • সিপিএলে সাকিবের বার্বাডোজের শিরোপা জয়

    সিপিএলে সাকিবের বার্বাডোজের শিরোপা জয়

    টানা ১১ জয়ের পর হারের মুখ দেখল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। আর এই একটি পরাজয়ই গায়ানার জন্য হয়ে দাঁড়াল শিরোপা হাতছাড়ার কারণ। জোনাথন কার্টার, জনসন চার্লসদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের দাপুটে বোলিং শিরোপা এনে দিল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। গায়ানাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতল বার্বাডোজ।

    প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান করে বার্বাডোজ। রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৪৪ রানে থামে গায়ানার ইনিংস। এর ফলে ২৭ রানের জয়ে ২০১৪ সালের পর আবারও সিপিএলের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় বার্বাডোজ। আর নিজেদের পঞ্চম সিপিএল ফাইনালেও শিরোপা অধরাই থেকে যায় গায়ানার!

    ফাইনালে দলের দুর্দান্ত জয়ের দিন ব্যাট-বল হাতে কিছুটা ম্লান ছিলেন সাকিব আল হাসান। ১৫ রান করে রান-আউট হওয়ার পর থেকেছেন উইকেট-‘শূন্য’। ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৮ রান।

    ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বার্বাডোজ। দলকে ভালো শুরু এনে দেন জনসন চার্লস ও অ্যালেক্স হেলস। ২৪ বলে ২৮ রানে হেলস ফিরলে ভাঙ্গে দু’জনের মধ্যকার ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

    সাকিবের বদলে ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা ফিলিপ সল্ট ফাইনালে সুবিদে করতে পারেননি একদমই। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারানো বার্বাডোজকে এরপর টেনে নিয়ে চলেন চার্লস। তবে তা স্থায়িত্ব পায়নি বেশিক্ষণ। ২২ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন তিনি। তার ৬ চার ও ১ ছক্কার ইনিংস শেষে ফের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় বার্বাডোজ।

    গায়ানার বোলারদের বোলিং তোপের চেয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিতে বেশি খেসারত দিতে হয় দলটিকে। জেসন হোল্ডার (১) ও সাকিবের (১৫) রান আউটে দলীয় ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। যা তৈরী করে বড় সংগ্রহ না পাওয়ার সম্ভাবনা।

    শেষ পর্যন্ত তা আর হতে দেননি কার্টার ও অ্যাশলে নার্স। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে ২০ ওভার শেষে দলকে ৬ উইকেটে ১৭১ রানের পুঁজি এনে দেন তারা। সমান ৪ চার ও ছক্কায় কার্টারের ২৭ বলের ৫০ রানের ঝড় ও নার্সের ১৫ বলের ১৯ রানে চড়ে শেষ পর্যন্ত এ সংগ্রহ পায় বার্বাডোজ।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গায়ানা। বার্বাডোজের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্রেন্ডন কিং আজও লড়ে যান অনেকটা একাই। তবে আজ আর বার্বাডোজকে কাঁদিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। ৩৩ বলে ৪৩ রান করা কিংকে আউট করেন নার্স।

    তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরে খেলতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। যার ফলে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় গায়ানার। রেইমন রেইফারের বোলিং তোপে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৪ রানে থামে দলটির ইনিংস। বার্বাডোজের বোলারদের মধ্যে রেইফার রানে নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া হ্যারি গুরনে ও নার্স লাভ করেন দুটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-
    বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস: ১৭১/৬ (২০ ওভার)
    কার্টার ৫০*, চার্লস ৩৯, হেলস ২৮; তাহির ৪-০-২৪-১।

    গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স: ১৪৪/৯ (২০ ওভার)
    কিং ৪৩, পল ২৫, পুরান ২৪, রেইফার ৪-০-২৪-৪, নার্স ৪-০-১৭-২।

    ফল: বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ২৭ রানে জয়ী ও সিপিএল ২০১৯ আসরের চ্যাম্পিয়ন।

  • সিপিএলের ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

    সিপিএলের ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

    ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিপিএল ২০১৯ আসরের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। রবিবার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হবে বার্বাডোজ।

    প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ১৬০ রান জমা করে বার্বাডোজ। ম্যাচের শেষ ১৪ বলে রেইমন্ড রেইফার ও অ্যাশলে নার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াকু পুঁজি পায় দলটি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৪ বলে ৪৮ রান করেন তারা। রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ত্রিনবাগো। সেকুগে প্রসন্নের ২৭ বলের ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস ত্রিনবাগোকে স্বপ্ন দেখালেও, তার বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ১৪৮ রানে ত্রিনবাগোর ইনিংস শেষ হলে ১২ রানের জয় পায় বার্বাডোজ।

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে ১৮ রান করার পর বল হাতে আজও খরুচে ছিলেন সাকিব। ২ ওভার থেকে ২৭ রান খরচ করলেও দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

    ১৬১ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা দারূন পেয়েছিল ত্রিনবাগো। সাকিবের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে ৪ চার মেরে রান তাড়া শুরু করেন সুনীল নারিন। দ্বিতীয় ওভারেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোমেন্টাম। জেসন হোল্ডার ২ রান খরচায় তুলে নেন লেন্ডল সিমন্সের উইকেট। পরবর্তী ওভারে আউট হয়ে যান নারিনও।

    দুই ওপেনারের বিদায়ে রান তোলার গতিতে ভাটা পড়ে ত্রিনবাগোর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটি ৮১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে কাইরন পোলার্ড ও প্রসন্ন’র ৩৯ রানের জুটি ম্যাচে প্রতিরোধ গড়ে। পোলার্ড ২৩ রান করে আউট হলেও দ্রুতগতিতে রান তুলে দলকে খেলায় ধরে রাখেন প্রসন্ন।

    ৪ চার ও ছক্কায় অর্ধশতক পূর্ণ করে দলকে ফাইনালের স্বপ্ন দেখান লঙ্কান এ ব্যাটসম্যান। ২০তম ওভারের প্রথম বলে তিনি আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ত্রিনবাগো। রেইফারের দুর্দান্ত ইয়র্কারে ৫১ রানে তার বিদায়ের পর ১৪৮ রানে অল-আউট হয় দলটি।

    বার্বাডোজের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট লাভ করেন মোট চারজন বোলার। হোল্ডারের ১ উইকেটের বিপরীতে দুটি করে উইকেট নেন হ্যারি গুরনে, হেইডেন ওয়ালশ, নার্স ও রেইফার।

    এর আগে ভেজা আউটফিল্ডের জন্য প্রায় ঘন্টা দেড়েক পর শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ত্রিনবাগো। দীর্ঘসময় ধরে কাভারে ঢাকা উইকেটের সুবিধা নিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। ম্যাচের শুরু থেকেই করতে থাকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং। সাফল্য পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি দলটিকে। বার্বাডোজের দলীয় ২৭ রানে অ্যালেক্স হেলসকে (১০) আউট করে ম্যাচে প্রথম সাফল্য তুলে নেয় ত্রিনবাগো।

    হেলসের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে আভাস দেন বড় কিছু করার। যদিও শেষ পর্যন্ত আজও তা আর করতে পারেননি বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ১ ছক্কা ও চারে ১২ বল মোকাবেলায় ১৮ রান করেন তিনি। পেরির বলে ফিরতি ক্যাচ দিলে দলীয় ৫১ রানে আউট হন তিনি।

    সাকিবের আউটের পর জনসন চালর্স ও জেপি ডুমিনির ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল বার্বাডোজ। ম্যাচের মাঝপথে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি দলটি। ডুমিনির (১০) চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর ৩৫ রান করে জনসনও আউট হয়ে গেলে ছন্দপতন ঘটে বার্বাডোজের। ত্রিনবাগোর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে জনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডাররা বলার মতো কিছুই করে ওঠতে পারেনি। যা শঙ্কা জাগায় বার্বাডোজের লড়াকু সংগ্রহের।

    তবে শেষ পর্যন্ত তা হতে দেননি রেইফার ও নার্স। সপ্তম উইকেট জুটিতে ঝড় তুলে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তারা। ইনিংসের শেষ ১৪ বলে ৪৮ রান করে বার্বাডোজকে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করতে সাহায্য করেন নার্স ও রেইফার। ৯ বল থেকে ৩ ছক্কায় ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নার্স। আর ১৮ বল মোকাবেলায় ২ ছক্কার সাহায্যে রেইফার করেন ২৪ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-
    বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস; ১৬০/৬ (২০ ওভার)
    চার্লস ৩৫, রেইফার ২৪*, নার্স ২৪*, হোপ ২৩, সাকিব ১৮; পেরি ৪-০-২৫-২।

    ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স: ১৪৮/১০ (১৯.৩ ওভার)
    প্রসান্ন ৫১, পোলার্ড ২৩, রামদিন ২১; নার্স ৪-০-১৪-২।

    ফল: বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ১২ রানে বিজয়ী।

  • সিপিএল খেলতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সাকিব-লিটন

    সিপিএল খেলতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সাকিব-লিটন

    খেলার ঘন্টা : ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে গেলেন বাংলাদেশ দলের দুই ক্রিকেটার। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সাথে বাংলাদেশ ছেড়ে গেছে বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস।

    তবে তারা দু’জন খেলবেন দুই ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে।সিপিএল আসরের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে খেলবেন সাকিব আল হাসান এবং ৬ষ্ঠ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সিপিএলে ডাক পাওয়া লিটন দাস খেলবেন জ্যামাইকা তালাওয়াসে।

    এছাড়াও এবার সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টের হয়ে দল পেয়েছিল তরুণ আফিফ হোসেন। কিন্তু বিসিবি অনাপত্তিপত্র না দেওয়ায় সে যেতে পারেননি। এর আগেও সিপিএলে খেলেছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ। আর দল পেলেও ম্যাচে নামা হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের।

    গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় সিপিএল। লিগ পর্বের খেলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাকিবের দল বার্বাডোজের ম্যাচ বাকি আছে চারটি। ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দলটি পয়েন্ট তালিকায় আছে পাঁচে।

    বার্বাডোজের শেষ চারে ওঠার ভালো সম্ভাবনা আছে। কিন্তু লিটনের দল জ্যামাইকা তালাওয়াস ৮ ম্যাচ খেলে ৬টিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে পড়ে আছে। ক্রিস গেইল, ডোয়াইন স্মিথদের নিয়ে গড়া এই দলের বাকি আছে আর দুই ম্যাচ।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব..