Tag: সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

  • ভাঙ্গায় অ্যাম্বুল্যান্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ৭

    ভাঙ্গায় অ্যাম্বুল্যান্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ৭

    ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ে সড়কের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ড্রাইভারসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আজ শনিবার (২৪ জুন) সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় একটি ফ্লাইওভারে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

    ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, একটি দ্রুতগামী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে ধাক্কা দিলে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ জন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন।

    তবে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানাতে পারব।

    তিনি আরো বলেন, এটা মাদারীপুরের শিবচর হাইওয়ে থানার অন্তর্ভুক্ত। তাই শিবচর হাইওয়ে থানাও এ ঘটনা নিয়ে কাজ করছে।

  • চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ : দগ্ধ মায়ের সঙ্গে চলে গেলেন দুই সন্তানও

    চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ : দগ্ধ মায়ের সঙ্গে চলে গেলেন দুই সন্তানও

    চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। একই ঘটনায় দগ্ধ ঈমাম উদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    নিহতরা হলেন, নূর নাহার বেগম (৩০), তার ছেলে মারুফ (১) ও মেয়ে ফিরিয়া (৩)।

    রোববার (২৮ মে) দুপুরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক।

    তিনি বলেন, রোববার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার সৈয়দ পাড়ায় একটি বসতবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  • চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৪

    চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৪

    চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২৮ মে) ভোরে শহরের সৈয়দ পাড়ায় একটি বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    এতে দগ্ধরা হলেন, নূর নাহার বেগম (৩০), তার ছেলে মারুফ (১) ও মেয়ে ফিরিয়া (৩) এবং ঈমাম উদ্দিন (২৩)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, রোববার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

    চট্টগ্রামে অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

    চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানা এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন- বিলকিস (২৮), জোসনা বেগম (২৮), সাথী আক্তার (১৭), জান্নাত (০৮) ও কাইনাত (৩)। তারা সবাই চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানার উত্তর শিকলবাহা গোদার পাড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে অটোরিকশায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

  • ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩

    ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩

    সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের হেতিমগঞ্জ এলাকায় ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাস গাড়ির ধাক্কায় গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। এতে ভস্মীভূত হয়ে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাস যাত্রী তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেতিমগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর মাইক্রোবাস গাড়ি থেকে তিনজনের মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে।

    তিনজনের মৃত্যুর খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী।

    তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

    ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক আলাউদ্দিন মনির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।

    গিয়ে দেখি নোহা গাড়িটি জ্বলে ভস্মীভূত হয়ে গেছে এবং ট্রাকের পেছন দিকে আগুন জ্বলছে।
    আমরা আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাই। আমাদের যাওয়ার আগেই তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দু’দোকান পুড়ে ছাই

    লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দু’দোকান পুড়ে ছাই

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে সদর উপজেলার পশ্চিম টুমচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলে স্থানীয়রা জানান।

    এ অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বাবা ও ছেলের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন তারা।

    স্থানীয়রা জানান, সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করে সন্ধ্যার পর স্থানীয় টুমচর গ্রামের আব্দুর শহীদ এর খাবার হোটেল ও তার ছেলে সোহেলের চায়ের দোকানে ১০/১৫ জন লোক আড্ডা দিচ্ছেলেন। এসময় দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার সংযোজনের সময়ে আগুনের সুত্রপাত হয়। এসময় উপস্থিত লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মুহুর্তেই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ৩০ থেকে ৪০ ফুট উপরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে টিনশেড দোকানের টিন ৬০ ফুট উঁচুতে করই গাছে গিয়ে পড়ে। এসময় বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

  • আগ্রাবাদে ওয়ার্কশপে আগুনে দগ্ধ ৩ : সকলের অবস্থা আশংকাজনক

    আগ্রাবাদে ওয়ার্কশপে আগুনে দগ্ধ ৩ : সকলের অবস্থা আশংকাজনক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় একটি লেদ মেশিনের ওয়ার্কশপে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩ জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোডের কাটা বটগাছ এলাকায় ‘আর ডি রাবার এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

    দগ্ধদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনজনকেই ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

    দগ্ধরা হলেন, ডবলমুরিং থানা চৌমুহনীর মতিয়ার পুল এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৩৮), কমার্স কলেজ রোডের কাটা বট গাছ এলাকার মৃত আমির হোসেন ভুইয়ার ছেলে শাহাদাত ভূঁইয়া (৫৫) এবং একই এলাকার জমির উদ্দিন লেনের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে গোলাম মওলা (৫০)।

    ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, ওয়ার্কশপে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের সাথে সংযুক্ত পাইপ লাইন থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। তবে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে ওয়ার্কশপ সংলগ্ন একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    এ ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ওয়াকর্শপে আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের টিম।

    তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্কশপে আগুনে পোড়া বিভিন্ন আসবাবপত্র দেখা গেলেও ঘটনাস্থলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ওয়ার্কশপের সবগুলো সিলিন্ডার অক্ষত পাওয়া যায়।

    তবে কানেকটিং রাবারের পাইপ পোড়া অবস্থায় দেখে ধারণা করছি লেদ মেশিনের ওয়ার্কশপটিতে রাবার গলিয়ে বিভিন্ন আকৃতির কাঁচামাল তৈরি করার জন্য সিলিন্ডার থেকে যে কানেক্টিং পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে সেখান থেকেই আগুনে সূত্রপাত। কানেক্টিং পাইপে আগুনের স্ফূলিঙ্গ ওভারহিটের কারণে রাবার গলে আগুন ধরে গিয়েছিল।

    তিনি ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ তিন শ্রমিককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান।

    দগ্ধ অবস্থায় ৩ জনকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত নায়েক শীলব্রত বড়ুয়া। তিনি বলেন, তাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালের ছয়তলায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    এদিকে দগ্ধ তিন জনের অবস্থায় গুরুতর বলে জানিয়েছেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খালেদ।

    তিনি বলেন, তাদের মধ্যে গোলাম মওলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাছাড়া ৫০ শতাংশ পুড়েছে মিজানুর রহমানের এবং শাহাদাত ভূঁইয়ার মুখমন্ডলসহ শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান এ চিকিৎসক।

  • প্রাণ গেল ছয় শিশুর

    প্রাণ গেল ছয় শিশুর

    রাজধানীর রূপনগর শিয়ালবাড়ি বস্তিতে বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সবশেষ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।

    ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যুর পর বুধবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের এবং রাত সাড়ে সাতটার দিকে পঙ্গু হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

    নিহত ছয় শিশু হলো: রমজান (৮), নূপুর (১০), শাহীন (৭), জান্নাত (১৪), ফারজান(৭) ও রিয়া মনি (১০)। রিয়া মনি রাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক, বাকি সবাই শিশু। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা ভালো নয় বলে চিকিৎসক জানান।

    ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঢামেক হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলো: জুয়েল হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৬), জান্নাত বেগম (২৫), বোন তানিয়া (৮), ভাই বায়েজিদ (৫), জামেলা (৭), অজ্ঞাত পরিচয় শিশু (৫, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক), মীম (৮), ওজুফা (৯), মোস্তাকিম (৮), মোরসালিনা (৯), নিহাদ (৮), অর্নব ওরফে রাকিব (১০), জনি (১০) ও সিয়াম (১১)। এদের মধ্যে সিয়ামের চিকিৎসা চলছে বার্ন ইউনিটে।

    নিহত ছয় শিশুর মধ্যে ফারজানার বাবার নাম আবু তালেব, মা নার্গিস বেগম। গ্রামের বাড়ি ভোলার বাপদার চেউয়াখালী। তার বোন মরিয়ম আহত হয়েছে। সে চিকিৎসাধীন। তারা পাঁচ বোন ও দুই ভাই। ফারজানা বস্তির ব্র্যাক স্কুলে পড়ত।
    নূপুরের বাবার নাম নূর আলম, মা সুরমা বেগম। গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দুলারহাটের নুরাবাদ। রুবেলের বাবার নাম নূর ইসলাম, মা পারভীন বেগম। গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাসনে। রমজানের বাবার নাম বদিউল আলম। বাড়ি কিশোরগঞ্জের ফুলবাড়িতে। সে মাদরাসায় পড়ত। শাহিনের (৯) বাবার নাম শাহজাহান। ঝিলপাড়া বস্তিতে পরিবারের সাথে থাকত সে।
    রিয়া মনির বাবার নাম মো: মিলন। গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া। নিহত এই ছয় শিশুই পরিবারের সাথে ফজর আলী মাতবর বস্তিতে থাকত।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভ্যানগাড়িতে করে এক ব্যক্তি মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে গ্যাস বেলুন বিক্রি করত। কয়েকদিন ধরেই রূপনগর আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর সড়কে সে গ্যাস বেলুন ফুলিয়ে বিক্রি করে। গতকাল বিকালে রূপনগরে ওই সড়কের শেষ মাথায় ফজর মাতবরের বস্তির সামনে বেলুন বিক্রি করতে আসে সে। এ সময় বস্তির শিশুরা বেলুনওয়ালার চারপাশে দাঁড়িয়ে বেলুন ফোলানো দেখছিল। এ সময় সিলিন্ডারে কোনো কিছু করতে যায় বেলুন বিক্রেতা। আর তখনই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে থাকা ১৫ থেকে ২০ জন ছিটকে পড়ে। মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে চার শিশুর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এক শিশুর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেলেও সে এমন অবস্থায় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অল্প কিছুদূর যেতেই লুটিয়ে পড়ে শিশুটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় সে।

    রূপনগর থানার ওসি তদন্ত দীপক কুমার দাস বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে এই ঘটনায় মামলা করবে।’

    সতর্ক করলেও পাত্তা দেয়নি বেলুন বিক্রেতা : বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে বেলুন বিক্রেতাকে সতর্ক করেছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী। প্রথমে একটি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হতে দেখে ওই নারী বিক্রেতাকে সতর্ক করেন। কিন্তু বিক্রেতা তেমন পাত্তা দেননি। বলেন, পানি দিলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সতর্ক করার পরই পরপর তিনটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়।

    ক্ষতিপূূরণের আশ্বাস তথ্য প্রতিমন্ত্রীর : ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। গতকাল বিকেল ৫টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হতাহতদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাথে আলোচনা করে হতাহতদের পরিবারকে কিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে এ বিষয়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটা নীতিমালা আছে। সেটি কতটা কার্যকর তা মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

    ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর তিনটি ইউনিট সেখানে কাজ করে। এসময় পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় এবং নয়জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে সবশেষ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। বিষয়টি এখন পুলিশ বলতে পারবে।’

    সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ছয় শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় বেলুন বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম আবু সাইদ (৩০)।

    বুধবার রাতে পুলিশ তাকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ।

    এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুপনগর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত)।

  • Exclusive : রাজধানীর রূপনগরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শিশুর মৃত্যু | সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ভিডিও

    Exclusive : রাজধানীর রূপনগরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শিশুর মৃত্যু | সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ভিডিও

    বেলুনে গ্যাস ভরার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু মারা গেছে। এই ঘটনায় আরো সাত শিশুসহ ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩–৪ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভিডিও টি দেখতে ক্লিক করুন : https://www.youtube.com/watch?v=KbPN3DfNGGY

     

    বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    বিস্তারিত : http://www.24ghonta.news/3870

  • রাজধানীর রূপনগরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শিশুর মৃত্যু

    রাজধানীর রূপনগরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শিশুর মৃত্যু

    রাজধানীর রূপনগর আবাসিকের ১১ নম্বর রোডে বেলুন ফোলানোর একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

    বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত শিশুরা হলো রমজান, মুকুল, শাহীন, ফারজানা। সবশেষ বিকালে নিহত শিশুটির নাম জানা যায়নি। তাদের সবার বয়স ছয় থেকে নয় বছরের মধ্যে।

    রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ডিএমপির মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে চার শিশুর মৃত্যুর পর হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচজন।’

    আনিসুর রহমান নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রূপনগর আবাসিক এলাকার শেষ সীমানায় সাইকেলে করে বেলুন ফোলানোর সিলিন্ডার নিয়ে একজন বেলুন বিক্রি করছিলেন। এসময় অনেক শিশু ও নারী আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই চার শিশুর মৃত্যু হয়।’

    প্রত্যক্ষদর্শী আনিস আরো জানান, বিস্ফোরণে তাদের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই ঘটনায় এক নারীর ডান হাত উড়ে যায়। এছাড়া বেলুন বিক্রেতাসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হন।

    ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে চার শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত আছে বেশ কয়েকজন। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সেখানে গেছে।’

  • সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক আহত

    সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক আহত

    সীতাকুণ্ডে পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গা কারখানায় কাজ করার সময় গাড়ি থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নামাতে গিয়ে দুই শ্রমিক আহত হয়েছে।

    সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় সাগরিকা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হচ্ছে তপন কুমার (৩০) ও অপু মারমা (৩৫)। আহত দুইজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিষয়টি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আহত অবস্থায় দুইজন শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের একজনের পায়ে এবং অপরজনের চোখে আঘাত পায়। তবে তাৎক্ষনিক দুজনের বিস্তারিত জানাতে পারেনি তিনি।

    এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শিতলপুরে মাহিন এন্টার প্রাইজ নামক একটি অক্সিজেন কারখানা থেকে গাড়িতে করে পার্শ্ববর্তী সাগরিকা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে গ্যাস সিলিন্ডার বোতল নিয়ে আনলোড করার সময় হঠাৎ একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে দুই শ্রমিক আহত হয়।

    আহত অবস্থায় দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি তদন্ত শামমি শেখ।