Tag: সিলেট থান্ডার

  • সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে রাজশাহী

    সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে রাজশাহী

    বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। এ  জয়ে প্লে-অফে খেলাও নিশ্চিত করেছে দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে সিলেট থান্ডার। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩৪ বলে ৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন।

    রাদাফোর্ডের বলে আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান লিটন। ওপেনিং পার্টনারকে হারিয়ে দলীয় অধিনায়ক শোয়েব মালিককে নিয়ে রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ। তবে খানিক পর আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে। মাত্র ৪ রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা পাননি তিনি।

    আফিফ ৩০ বলে ৮টা চারের সাহায্যে ৪৬ রান করে রান আউট হলে মালিকও ফেরেন ২৭ রানে। শেষদিকে ইরফান শুক্কুরের ১০ ও মোহাম্মদ নেয়াওয়াজের অপরাজিত ১৭ রানের সুবাদে ২৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস।

    এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল পদ্মা পাড়ের দলটি।

    এর আগে টসে জিতে আব্দুল মাজিদকে নিয়ে ইনিংস শুরু কর‍তে আসেন সিলেটের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। তবে দলীয় ২৬ আর ৩৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মাজিদ (১৬) এবং নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস (৮)। এরপর মিঠুনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন ফ্লেচার। পরে তিনিও ৩৩ বলে ২৫ রান করে রান আউট হলে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন মিঠুন।

    তবে চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে মিঠুনও রান আউটের ফাঁদে পড়েন। আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলের ইনিংসটি মিঠুন সাজিয়েছেন ৩টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে। শেষদিকে রাদারফোর্ডকে ২৫ ও নাজমুল হসেন মিলনের অপরাজিত ১৩ রানের কল্যাণে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে সিলেট থান্ডার।

    ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার অলক কাপালি। এছাড়াও মোহাম্মদ ইরফান ও আবু জায়েদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ১৪৩/ ৬ (২০ ওভার)
    মিঠুন ৪৭, ফ্লেচার ২৫, রাদারফোর্ড ২৫; কাপালি ২/১৪, ইরফান ১/১৮।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৪৫/৪ (১৫.১ ওভার)
    আফিফ ৪৬, লিটন ৩৬, মালিক২৭; দেলোয়ার ২/১১, রাদারফোর্ড ১/৩১।

    ফল: রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী।

  • হেরেই চলেছে সিলেট,রংপুরের জয়

    হেরেই চলেছে সিলেট,রংপুরের জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসর হার দিয়ে শুরু করেছিল সিলেট থান্ডার। এরপর টানা চার হারের পর আসে স্বস্তির জয়। তবে আবার টানা হারের বৃত্তে আটকে যাওয়া সিলেট আগেই শেষ করেছে টুর্নামেন্টের প্লে-অফের আশা। আজও রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে হেরেছে ৩৮ রানের ব্যবধানে।

    এদিন আগে ব্যাট করে শেন ওয়াটসন ও নাইম শেখের ব্যাটে সিলেটকে ২০০ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয় রংপুর রেঞ্জার্স। পাহাড়সম এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি সিলেটের। ঝড়ো শুরুর আভাস দিয়ে মাত্র ১২ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার।

    আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ ১১ বলে ৭ রান করে গ্রেগরির বলে বোল্ড হলে পরে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রাদারফোর্ড। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পরের ৪ ওভারে ৩৮ রান যোগ করেন দুজন। ইনিংসের দশম ওভারে নবীর বলে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে মিঠুনকে সাজঘরের পথ দেখান বদলি খেলোয়াড় মুগ্ধ। আউট হওয়ার আগে মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩০ রান।

    তবে নিজের কাজটা ঠিকই করে যান রাদারফোর্ড। মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি। কিন্তু অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি শফিকউল্লাহ (১০), সোহাগ গাজী (১), রনি তালুকদাররা (০)। পরে রাদারফোর্ডও ৩৭ বলে ৬০ রান করে রান আউটে কাটা পড়লে ফিকে হয়ে যায় সিলেটের জয়ের আশা।

    শেষদিকে মনির হোসেন ব্যাটিংয়ে না নামলে এবং আর কোনো ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে মাত্র ১৬১ রানে থামে সিলেট থান্ডারের ইনিংস। ফলে ৩৮ রানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রংপুর রেঞ্জার্স। রংপুরের হয়ে গ্রেগরি, তাসকিন এবং মুস্তাফিজ নেন দুইটি করে উইকেট।

    এর আগে টসে হেরে রংপুরের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন কর‍তে আসেন নাইম এবং ওয়াটসন। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে আউট হওয়ার আগে ৭টি চারের সাথে ১টি ছক্কা সাহায্যে ৩৩ বলে ৪২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান নাইম। এরপর ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওয়াটসন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।

    পরে এবাদতের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এর আগে ডেলপোর্ট ২৫ রানে আউট হলে শেষদিকে লুইস গ্রেগরির ১৫ রানের সাথে মোহাম্মদ নবীর ১৭ বলে ২৩ ও ফজলে রাব্বির অপরাজিত ১৬ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রেঞ্জার্স। ম্যাচে সিলেট থান্ডারের হয়ে ২ উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৯৯/৫ (২০ ওভার)
    ওয়াটসন ৬৮, নাইম ৪২, ডেলপোর্ট ২৫; এবাদত ২/৩০, মনির ১/২৫, রাদারফোর্ড ১/২৮।

    সিলেট থান্ডার: ১৬১/১০ (১৯.১ ওভার)
    রাদারফোর্ড ৬০, মিঠুন ৩০, ফ্লেচার ১৯; মুস্তাফিজ ২/১৮, গ্রেগরি ২/২৭, তাসকিন ২/৩৯।

    ফল: রংপুর ৩৮ রানে জয়ী।

  • সুপার ওভারে সিলেটের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়

    সুপার ওভারে সিলেটের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্বে প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে সুপার ওভারে সিলেটকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে আশা টিকিয়ো রাখলো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে মুজিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কাছে ৭ রান করে ফ্লেচার-রাদারফোর্ড। জবাব দিতে নেমে শুরুতে সৌম্য সরকারকে হারালেও ডেভিড ভিজের ব্যাটে ২ বল আগেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান জড়ো করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করছেন চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচে খেলতে আসা উপল থারাঙ্গা। ৯ চারে ৩১ বলে ৪৫ রান করেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান।

    এছাড়া মাহিদুল ১৯, সাব্বির ১৭, উইজ ১৫, জিল ১০ এবং সৌম্য করেন ৫ রান। বল হাতে সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট নেন এবাদত ও রাদারফোর্ড। সোহাগ গাজী নেন ২ উইকেট।

    ১৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে সিলেট থান্ডার। তবে স্রোতের বিপরীতে দারুন ব্যাটিং করেন বোলার সোহাগ গাজী। ২৯ বলে তার ঝড়ো ফিফটিতে জয়ের আশা দেখে সিলেট থান্ডার।

    তবে সিলেটের আশায় বাঁধা হয়ে দাড়ান মুজিব উর রহমান। এক ওভারে সোহাগ গাজী-মিলনদের ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। কিন্তু শেষের দিকে এলোমেলো বোলিং করেন আল আমিন হোসাইন। আবারো আশা দেখে সিলেট। শেষ ৬ বলে ১৫ রান প্রয়োজন হলে শুরুতে পরপর দুই বলে বাউন্ডারি মারেন নাভিন উল হক। পরের বলে রান আউট হলেও শেষ বলে ১ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করেন মনির হোসাইন। ফলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।

    কুমিল্লার হয়ে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। এরপর সুপার ওভারেও দারুণ বোলিং করেন তিনি৷ ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে তারই হাতে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৪০/৯ (থারাঙ্গা ৪৫, জিল ১০, সৌম্য ৫, সাব্বির ১৭, ইয়াসির ৫, উইজে ১৫, অংকন ১৯*, রনি ৭, সানজামুল ০, মুজিব ৩; নাভিন ০/২৫, ইবাদত ৩/৩৩, গাজী ২/২৩, নাঈম ০/১২, মনির ০/২১, রাদারফোর্ড ৩/১৯)।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৪০ (চার্লস ০, রনি ২, মিঠুন ১৩, রাদারফোর্ড ১৫, ফ্লেচার ১, মিলন ১৩, গাজী ৫২, নাঈম ০, নাভিন ১৫, মনির ১৬, ইবাদত ৩*; সানজামুল ১/২৪, মুজিব ৪/১২, উইজে ১/৩১, আল-আমিন ২/৩০, সৌম্য ০/২২, হায়দার ০/১৭)।

    ফলাফল: সুপার ওভারে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স জয়ী।

    ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুজিব উর রহমান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।

  • মুস্তাফিজ-ডেলপোর্ট’র নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

    মুস্তাফিজ-ডেলপোর্ট’র নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

    দেশ সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল রংপুর রেঞ্জার্স।

    আজ টুর্নামেন্টের ২৫তম ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট থান্ডারকে। প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ মিঠুনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় সিলেট। ১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটকে বড় স্কোর করতে দেননি রংপুরের মুস্তাফিজ। আর তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৬২ রান করেন মিঠুন।

    জবাবে ডেলপোর্টের ২৮ বলে ৬৩ রানের সুবাদে ১৬ বল বাকী রেখেই জয়ের স্বাদ নেয় রংপুর।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় রংপুর রেঞ্জার্স। দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। স্পিনার আরাফাত সানির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে শুন্য রানে আউট হন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান।

    ছক্কা দিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন চার্লস। কিন্তু ৯ রানে চার্লস পেসার মুকিদুল ইসলামের বলে আউট হলে দলীয় ১৬ রানে দুই ওপেনারকে হারায় সিলেট।

    এরপর দলের হাল ধরে বড় জুটি গড়েন মিঠুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দেখেশুনে খেলে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা। তবে দলীয় ৭৩ রানে মোসাদ্দেক রান আউট হলে মিঠুনের সাথে জমে উঠা জুটিটি বিচ্ছিন্ন হয়। ২৩ বলে ১৫ রান করেন মোসাদ্দেক। ৪৯ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

    অধিনায়কের বিদায়ের পরপরই ৩৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিঠুন। অর্ধশতকের স্বাদ নিয়ে নিজের ইনিংস বড় করছিলেন মিঠুন। কিন্তু ৬২ রানে মুস্তাফিজের বলে আরাফাত সানিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিঠুন। ৪৭ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন মিঠুন।

    মিঠুনের পর আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় সংগ্রহটাও বড়সড় করতে পারেনি সিলেট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেরফেইন রাদারফোর্ডের ৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় সিলেট। ৪ ওভারে ১০ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

    জয়ের জন্য ১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ককে হারায় রংপুর। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক খেলোয়াড় ও রংপুরের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন ১ রান করে সিলেটের পেসার এবাদত হোসেনের ইর্য়কারে বোল্ড হন।

    এরপর দলের জয়ে ভিত গড়ে দেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও ডেলপোর্ট। ৬৩ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ২৮ বলে ৬৩ রান ছিলো ডেলপোর্টের। ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ডেলপোর্ট থেমে যান ৬৩ রানেই।

    ১৩তম ওভারে দলীয় ১০৪ রানে ডেলপোর্টকে আউট করেন আফগানিস্তানের পেসার নবীন উল হক। পরের ওভারে আবারো রংপুর শিবিরে আঘাত হানেন নবীন। এবার ইংল্যান্ডের লুইস গ্রেগরিকে ৪ রানে থামিয়ে দেন তিনি। ফলে ৮ রানেই ২ উইকেট হারায় রংপুর। তবে আফগানিস্তানের ও রংপুরের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাইম। চতুর্থ উইকেটে ১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ২২ রান করেন তারা। ২টি করে চার-ছক্কায় ৫০ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত নাইম। ১২ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রান করেন নবী। সিলেটের নবীন ১৩ রানে ২ উইকেট নেন।

    এই ম্যাচের আগে এবারের আসরে একটি জয় ছিলো সিলেট ও রংপুরের। তাই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই ছিলো এই দু’দল। দ্বিতীয় জয়ের জন্য মরিয়া ছিলো সিলেট ও রংপুর। অবশেষে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ নিয়ে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহে রেখে ষষ্ঠস্থানে উঠলো রংপুর। সপ্তম ম্যাচে ২জয়ের সাথে ৫টি হারও রয়েছে রংপুরের। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচে ১জয় ও ৭হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম ও শেষ দল সিলেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    সিলেট থান্ডার : ১৩৩/৯, ২০ ওভার (মিঠুন ৬২, রাদারফোর্ড ১৬, মুস্তাফিজ ৩/১০)।
    রংপুর রেঞ্জার্স : ১৩৪/৩, ১৭.২ ওভার (ডেলপোর্ট ৬৩, নাইম ৩৮*, নাভিন ২/১৩)।
    ফল : রংপুর রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা :মুস্তাফিজুর রহমান(রংপুর)।

  • মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার প্রতিশোধের জয়

    মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার প্রতিশোধের জয়

    বিপিএলের চলতি আসরের চট্টগ্রাম পর্বে মুখোমুখি দেখায় সিলেট থান্ডারের কাছে ৮০ রানে হেরেছিল খুলনা টাইগার্স। ঢাকায় ফিরে বদলাটা বেশ ভালোভাবেই নিল খুলনা। টি-টোয়েন্টিতে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

    এদিন সিলেটের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে খুলনার হয়ে ওপেনিং করতে আসেন মিরাজ ও শান্ত। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন মিরাজ, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শান্ত। সিলেটের বোলারদের শাসন করে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬৬ রান তুলে ফেলেন দুজন।

    পরে চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির স্বাদ পান মিরাজ। ৩১ বলে পাওয়া অর্ধশতকটি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে সাজান তিনি। পরে ১১৫ রানের সময় খুলনা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এবাদত। শান্তকে ফেরান ৪১ রানে।

    এরপর রুশোও ১৫ রানে আউট হয়ে গেলে মুশফিককে সাথে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন মিরাজ। ১৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে পাওয়া জয়ে ৬২ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।

    এর আগে টসে হেরে সিলেটের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও রুবেল মিয়া। ফ্লেচার একপ্রান্ত থেকে ঝড় তুললেও অপর প্রান্তে টেস্টের মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন রুবেল। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬২ রান। ফ্লেচার ২৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হলে নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লেসকে সাথে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করার পথে ছুটেন রুবেল।

    কিন্তু চার্লস সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ, ১২ বল থেকে ১৭ রান করেন তিনি। দুই রান পরেই অবশ্য ৪৪ বলে ৩৯ রান করে শহিদুলের বলে আউট হন রুবেল। একই ওভারে মোহাম্মদ মিঠুন কোন রান না করে ফিরে গেলে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও রাদারফোর্ড। শেষদিকে দুজনের ৫৩ রানের পার্টনারশিপে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট থান্ডার। রাদারফোর্ড ২০ বলে ২৬ ও মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।

    আজকের এই ম্যাচ হারের ফলে ৭ ম্যাচে মোটে ১ জয়ে প্লে-অফের আশা অনেকটা ফিকে হয়ে গেল সিলেট থান্ডারের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ১৫৭/৪ (২০ ওভার)
    রুবেল ৩৯, ফ্লেচার ৩৭, রাদারফোর্ড ২৬*; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, শহিদুল ২/২৬।

    খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/২ (১৭.৫ ওভার)
    মিরাজ ৮৭*, শান্ত ৪১, রুশো ১৫; রাদারফোর্ড ১/৯, এবাদত ১/২১/

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • সহজ ম্যাচ কঠিন করে চট্টগ্রামের জয়

    সহজ ম্যাচ কঠিন করে চট্টগ্রামের জয়

    বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় খেলায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুরুতে এক প্রান্ত আগলে রাখে আশা বাঁচিয়ে রাখেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। শেষে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয় ছিনিয়ে আনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন সিলেট থান্ডারের দুই ওপেনার রনি তালুকদার এবং আন্দ্রে ফ্লেচার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পেসার মেহেদী হাসান রানার দুর্দান্ত বলে বোল্ড হন রনি। রুবেল হোসেনের করা পরের ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শাফাকুল্লাহ। ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ মিঠুন আর আন্দ্রে ফ্লেচার গড়েন ৩৯ রানের জুটি। ফ্লেচারকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মুক্তার আলি। ৩২ বলে ৩৮ রান করেন ফ্লেচার।

    পরের ওভারে রানার দ্বিতীয় শিকার হন মিঠুন (১৫)। তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন তিনি। ঐ ওভারেই জনসন চার্লস কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে বল তুলে নেন চার্লস। এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে সিলেট থান্ডার। মেইডেন ডাবল উইকেট নেন রানা।

    মোসাদ্দেক হোসেন আর নাঈম হাসান মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। ১৬ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন নাঈম। ২২ বলে ৩০ রানের প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলে বিদায় নেন মোসাদ্দেক। শেষে দেলোয়ার হোসেন ৪ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং কৃস্মার সান্টোকি ৬ বলে ৯ রান করেন। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে সিলেট থান্ডার।

    লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ধাক্কা খায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। কৃস্মার সান্টোকির বলে বোল্ড হন ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। মাঝে ফ্লাডলাইটের ত্রুটির কারণে কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা।

    নিজের পরের ওভারে এসে ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসের উইকেট তুলে নেন সান্টোকি। মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার আব্দুল মজিদ। ৭ বলে ৬ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ইবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ইবাদত। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    এক প্রান্ত আগলে রাখা লেন্ডল সিমন্স আর চ্যাডউইক ওয়ালটন যোগ করেন ২২ রান। ১২ বলে ৯ রান করে দেলোয়ার হোসেনের বলে বিদায় নেন ওয়ালটন। এরপর সিমন্সকে সঙ্গ দেন নুরুল হাসান সোহান। নুরুল আর সিমন্সের ব্যাট দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখে। আশার প্রদীপ সিমন্স রান আউট হয়ে ফিরেন। সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দিলেও নুরুল তাতে সাড়া দেননি। এক পর্যায়ে দুজন এক প্রান্তে চলে আসলে রান আউট হন সিমন্স। ৩৭ বলে ৪৪ রানের এক দারুণ ইনিংস খেলেন সিমন্স। সেই ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর তিনটি ছক্কা।

    পরের ওভারে মুক্তার আলিকে এলবডিব্লিউ করেন সান্টোকি। ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখান থেকে হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান। দেলোয়ারের এক ওভারে হাঁকান দুই ছক্কা। এর মধ্যে একটি ছিল ১১০ মিটার লম্বা যা এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে বিপিএলের সবচেয়ে বড় ছক্কা।

    শেষ ২৪ বলে ২৪ রান প্রয়োজন ছিল রিয়াদদের। ইবাদতের করা ১৭ তম ওভারেই ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন সোহান। লং অনের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত শটে চতুর্থ বলে চার আর পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন সোহান। ঐ ওভারে ১৩ রান হলে সমীকরণ সহজ হয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য।

    পরের ওভারে নাঈম হাসানের বলে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন কেসরিক উইলিয়ামস। উইলিয়ামস ১৭ বলে ১৮ এবং সোহান ২৪ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    সিলেট থান্ডার ১২৯/৮, ২০ ওভার
    ফ্লেচার ৩৮, মোসাদ্দেক ৩০, মিঠুন ১৫
    রানা ৪/২৩, রুবেল ২/২৮, মুক্তার ১/২৬

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৩০/৬, ১৮ ওভার
    সিমন্স ৪৪, সোহান ৩৭*, উইলিয়ামস ১৮*
    সান্টোকি ৩/১৩, ইবাদত ১/২৮, দেলোয়ার ১/৩১

  • ঢাকা প্লাটুনের দাপুটে জয়

    ঢাকা প্লাটুনের দাপুটে জয়

    চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হারলেও বেশ লড়াই করেছিলো সিলেট থান্ডার। এরপর রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে হারের পর আজ ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে পরাজয়। সবে মিলে তিন ম্যাচে টানা তিন হার সুরমা পাড়ের দলটির। মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরেও এখনো দেখা হলো না জয়ের মুখ।

    শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকার দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সিলেট। ইনিংস শুরু করতে এসে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদার। তবে ১০ রানে থাকা ফ্লেচারকে ফিরিয়ে সিলেটের সেই স্বপ্নকে হতাশায় পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। এরপর রনি ১৪, জনসন চার্লস ১৯, শফিকউল্লাহ ২ ও মিঠুন ৮ রান করে বিদায় নিলে ৬১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    সেখান থেকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুললেও লাভ হয়নি তাতে। নাঈম হাসান ১০ রান করে রান আউট হয়ে গেলে আরো কঠিন হয়ে কাজ। পরে দেলোয়ার হোসেনও ফিরে যান ১৭ রান করে। ফলে ১৫৮ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। ২৪ রানের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। মাত্র ৩৪ বলে অর্ধশতক করা মোসাদ্দেক শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। শুরুতে দেখে খেললেও ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজন। তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশিদূর টানতে পারেননি তামিম। ফিরেছেন ৩১ রান করে। ৫টা চারের মারে ইনিংসটি সাজাতে তিনি খরচ করেছেন ২৮ বল। তামিমের আউটের পর নিজের অর্ধশতক তুলে নেন এনামুল। পরে আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৬২ রানে।

    এরপর দলের হাল ধরেন লরি ইভান্স ও জাকের আলী। তৃতীয় উইকেটে ৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে ফ্লেচারের অনবদ্য এক ক্যাচে ২০ রান করে আউট হতে হয় জাকেরকে। শেষদিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১৭ এবং থিসারা পেরেরার অপরাজিত ২২ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৮২/৪ (২০ ওভার)
    বিজয় ৬২, তামিম ৩১, পেরেরা ২৩*; মোসাদ্দেক ১/১৬ দেলোয়ার ১/২৮, নাঈম হাসান ১/৩৫।

    সিলেট থান্ডার: ১৫৮/৭ (২০ ওভার)
    মোসাদ্দেক ৬০*, চার্লস ১৯, দেলোয়ার ১৭; হাসান মাহমুদ ২/২৪, মাশরাফি ২/২৯।

    ফলাফল: ঢাকা ২৪ রানে জয়ী।

  • রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় দুর্দান্ত জয়

    রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় দুর্দান্ত জয়

    চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছিলো রাজশাহী রয়্যালস। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেও আজ (শুক্রবার) কম গেল না দলটি। সিলেট থান্ডারকে হারিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। যেখানে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ শেষ করতে মাত্র ৪৮ মিনিট সময় নিয়েছে রাজশাহী!

    ৯২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরতেই বিপাকে পড়ে সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়ে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট তুলে নেন নাঈম হাসান। পরের ওভারে উইকেটের দেখা না পেলেও মাত্র দুই রান খরচ করেন এবাদত। তবে দলের এমন হতশ্রী অবস্থা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি লিটন ও আফিফ হোসেন। পরের ৪ ওভারে তুলে নিয়েছেন ৫৩ রান।

    এরপর ৬২ রানের পার্টনারশিপের মাথায় আফিফ ৩০ রান করে বিদায় নিলেও খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। লিটনের অপরাজিত ৪৪ রানের সুবাদে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। যেখানে ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটি সাজাতে লিটন চার মেরেছেন ৭ টি।

    এর আগে টসে হেরে নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন রাজশাহীর দুই ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার ও জনসন চার্লস। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন দুজন। ১৯ রানে থাকা রনিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। খানিক পর চার্লসকে ফেরান অলক কাপালি। পরের বলেই কাপালির দ্বিতীয় শিকার জীবন মেন্ডিস। ফলে ৪১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন দলের হাল ধরলেও তা টেনে নিয়ে যেতে পারেননি বেশিক্ষণ। মিঠুনকে ২০ রানে ফিরিয়ে ৩১ রানির পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন রবি বোপারা। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ ব্যাটসম্যান আউট হলে ১৫ ওভার ৩ বলেই মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। রাজশাহী হয়ে কাপালি নেন ৩ উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ৯১/১০ (১৫.৩ ওভার) মিঠুন ২০, মোসাদ্দেক ২০, রনি ১৯; কাপালি ৩/১৭, ফরহাদ রেজা ২/৯, বোপারা ২/১০

    রাজশাহী রয়্যালস: ৯২/২ (১০.৫ ওভার) লিটন ৪৪*, আফিফ ৩০, মালিক ১২; নাঈম ১/১৬

    ফলাফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।

  • জয় দিয়ে বিপিএলে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

    জয় দিয়ে বিপিএলে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

    মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ইনিংসও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেনি। জাতীয় দলের আরেক তারকা ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত অর্ধ-শতকে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুভসূচনা করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান জড়ো করে সিলেট থান্ডার। দলের পক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেন মিঠুন। ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে।

    এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে জনসন চার্লস ২৩ বলে ৩৫ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৫ বলে ২৯ রান করেন।

    চট্টগ্রামের পক্ষে রুবেল হোসেন শিকার করেন দুটি উইকেট।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা চট্টগ্রাম দলীয় ৪২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেলেও সেই চাপ সামাল দেন চারে নামা ইমরুল কায়েস ও ওপেনার অভিষকা ফার্নান্দো। ফার্নান্দো ২৬ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নিলেও ইমরুল দেখেশুনে খেলে যান।

    ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে ইমরুল যখন বিদায় নিচ্ছেন দল তখন জয়ের দোরগোড়ায়। শেষদিকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ৩০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস দলকে ৫ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ওয়ালটন হাঁকান ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।

    সিলেটের পক্ষে নাজমুল ইসলাম অপু শিকার করেন দুটি উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    সিলেট থান্ডার ১৬২/৪ (২০ ওভার)
    মিঠুন ৮৪*, চার্লস ৩৫, মোসাদ্দেক ২৯
    রুবেল ২৭/২, নাসুম ৩৪/১, এমরিট ৩৮/১

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩/৫ (১৯ ওভার)
    ইমরুল ৬১, ওয়ালটন ৪৯*, ফার্নান্দো ৩৩
    অপু ২৩/২, মোসাদ্দেক ৯/১, এবাদত ৩৩/১

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে জয়ী।

  • বিপিএলের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে টস জিতে সিলেট থান্ডারকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    চট্টগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিয়াদ এমরিত এবং সিলেটের নেতৃত্বে রয়েছেন মোসাদ্দেক।

    চট্টগ্রামের স্কোয়াডে রয়েছেন ক্রিস গেইল, কেসরিক উইলিয়ামস, ইমাদ ওয়াসিম, লেন্ডল সিমন্সদের মতো বিদেশি তারকা। এ ছাড়া দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক জুনিয়ররা আছেন দলটিতে।

    তবে চট্টগ্রামের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ। ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ফলে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিসিবি।

    মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি এই ম্যাচে খেলবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। থাকছেন না লেন্ডল সিমন্স ও কেসরিক উইলিয়ামস।

    সিলেট থান্ডারও যথেষ্ট শক্তিশালী দল গড়েছে। বিদেশিদের মধ্যে আছেন আন্দ্রে ফ্লেচার, মোহাম্মদ সামি, শিরফানে রাদারফোর্ড, জনসন চার্লস, জীবন মেন্ডিসরা। এ ছাড়া বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজীরা।

    নতুন আঙ্গিকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএল নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। এর আঁচ পাওয়া গেছে গেল রোববার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে শেরেবাংলায়।

    অনুষ্ঠান সফল করতে আয়োজনের কমতি রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এবার লিগের মূল লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় দর্শকরা।

    সিলেট থান্ডার একাদশ : জনসন চার্লস, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ মিথুন, মোসাদ্দেক হোসেন, জীবন মেন্ডিস, নাজমুল হোসেন, সোহাগ গাজি, নাভিন উল হক, কৃশমার সান্তোকি, এবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশ : ইমরুল কায়েস, আভিশকা ফার্নান্দো, জুনায়েদ সিদ্দিকি, রায়ান বার্ল, চ্যাডউইক ওয়ালটন, নুরুল হাসান, নাসির হোসেইন, রিয়াদ এমরিত, নাসুম হোসেন, রুবেল হোসেন, মুখতার আলি।