Tag: সীতাকুণ্ডের

  • সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে মিনিবাস উল্টে ৬ যাত্রী আহত

    সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে মিনিবাস উল্টে ৬ যাত্রী আহত

    সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা সলিমপুরের ফকিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড-অলংকার ৮ নং রোডে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস ফকিরহাট এলাকায় পৌঁছলে বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে আইলেনে ধাক্বা দিয়ে উল্টে যায়। এসময় মিনিবাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    সড়ক দূর্ঘটনা বিষয়টি নিশ্চিত করে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার এসআই মোঃ কাউসার ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মিনি বাস উল্টে যায় এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গাড়িটি আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।

  • সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক আহত

    সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক আহত

    সীতাকুণ্ডে পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গা কারখানায় কাজ করার সময় গাড়ি থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নামাতে গিয়ে দুই শ্রমিক আহত হয়েছে।

    সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় সাগরিকা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হচ্ছে তপন কুমার (৩০) ও অপু মারমা (৩৫)। আহত দুইজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিষয়টি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আহত অবস্থায় দুইজন শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের একজনের পায়ে এবং অপরজনের চোখে আঘাত পায়। তবে তাৎক্ষনিক দুজনের বিস্তারিত জানাতে পারেনি তিনি।

    এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শিতলপুরে মাহিন এন্টার প্রাইজ নামক একটি অক্সিজেন কারখানা থেকে গাড়িতে করে পার্শ্ববর্তী সাগরিকা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে গ্যাস সিলিন্ডার বোতল নিয়ে আনলোড করার সময় হঠাৎ একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে দুই শ্রমিক আহত হয়।

    আহত অবস্থায় দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি তদন্ত শামমি শেখ।

  • বিরল রোগে আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের দুই ভাই-বোন

    বিরল রোগে আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের দুই ভাই-বোন

    সুস্থ স্বাভাবিকভাবে সবার মতো বেড়ে উঠছিলো মিথিলা ও মারুফ নামে দুই ভাই-বোন। কিন্তু বয়স তের, ঠিক তখন থেকে তারা আক্রান্ত হয় বিরল এক রোগে। যে রোগ থেকে মুক্তি মেলেনি ১৫ বছরেও।

    মা-বাবা বলেছেন অজ্ঞাত রোগ। কেউ বলছে জেনেটিক, আবার কেউ বলছে অবশজনিত রোগ। তবে এ দুই ভাই বোন প্রকৃত পক্ষে কী রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা এখনো বলতে পারছে না তাদের পরিবারের সদস্যরা।

    সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ছলিমপুর গ্রামের মঞ্জুর কাদের সাথে ১৯৮৯ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি কর্নেলহাটের বাসিন্দা মুক্তার বেগমের বিয়ে হয়। তাদের রয়েছে দুই মেয়ে, এক ছেলে । ১৯৯০ সালে ২৭ জানুয়ারি প্রথম মেয়ে মিথিলা কাদের ও ১৯৯৩ সালে ৩ মার্চ দ্বিতীয় ছেলে মঞ্জুর কাদেরের জন্ম হয়। জন্মের পর তারা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছিলো।

    যখন তারা সপ্তম শ্রেণিতে উঠে তখন থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়। তবে তৃতীয় মেয়ে ইসমত আরা ইতি ২১ বছর হলেও সুস্থ আছে। চিকিৎসকরা তাদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তাদের মা মুক্তার বেগম।

    তিনি রোগ প্রসঙ্গে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, প্রথমে পা দুইটিতে খিচুনি আসে, এরপর বাম হাত কাঁপতে থাকে তাদের। পরবর্তীতে হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলো বাঁকা হয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না। একাধিক চিকিৎসক চিকিৎসা করলেও দীর্ঘ ১৫বছরেও কোন পরিবর্তন হয়নি। বরং দিনের পর দিন তাদের চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া সংকুচিত হচ্ছে।

    তাদের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। অন্য একজনের বাড়ির পাশে দিয়ে যেতে হয় তাদের ঘরে। জরাজীর্ণ একটি টিনের ঘরে তাদের বসবাস। ঘরের সামনে হুইল চেয়ারে বসে আছে মিথিলা ও মারুফ। কথা বলতে পারে না। ক্র্যাচ দিয়েও চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর।

    মা মুক্তার বেগম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তার স্বামী মঞ্জুর কাদের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ব্যবসা করত। এতে লোকসানে পড়লে পরবর্তীতে পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসায় জড়িত হয়। তাদের চিকিৎসায় ব্যবসার পুঁজি চলে যায়। এখন সে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীর সহকারি হিসাবে কাজ করছে।

    তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার দুই সন্তানকে বিভিন্ন চিকিৎসককে দেখানো হয়েছে। চট্টগ্রামের নার্ভ ও মেরুদন্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শওকত হোসেনকেও দেখানো হয়েছে। চিকিৎসকরা সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। তবে তারা বিদেশ নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন।

    কিন্তু তাদের এখন সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাদের বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার দরকার, যা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে আসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে অসহায় পিতা মাতা।