Tag: সীতাকুণ্ডে

  • সীতাকুণ্ডে জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় তিন শ্রমিক আহত

    সীতাকুণ্ডে জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় তিন শ্রমিক আহত

    সীতাকুণ্ডের কুমিরায় জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় কাজ করার সময় লোহার আঘাতে দুই শ্রমিক আহত হয়েছে। এছাড়া একই কারখানাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিক আহত হয় বলে জানা গেছে।

    রোববার বিকাল তিনটার সময় পৃথক দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

    কারখানায় কাজ করার সময় শফিউল বাসার (২৭) ও পীযূষ দে বয়স (২৫) এর মাথায় লোহার প্লেট পড়লে গুরুতর আহত হয়। এছাড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. নাজিম উদ্দিন (২৬) নামে অপর এক শ্রমিক আহত হয়। তাদেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন তালুকদার।

    আহত পীযূষ দে মৌলভীবাজার একামধু থানার রাজনগরের ধীরন্দ্র দের পুত্র। শফিউল বাশার কুমিল্লা জেলার ছোট বারেরা থানার বরুড়া এলাকার নজরুল ইসলাম এর পুত্র ও মো. নাজিম সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার আবুল বাশারের পুত্র।

  • সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে আবর্জনার পাহাড়, জনদুর্ভোগ

    সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে আবর্জনার পাহাড়, জনদুর্ভোগ

    সীতাকুণ্ড পৌরসদরস্থ শেখপাড়া এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশের খালি জায়গায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে (ডাস্টবিন) পরিণত হয়েছে। পথচারীরা দুর্গন্ধ নাকে রুমাল চেপে চলাচল করছে কেউ কেউ হাত দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে চলাচল করছেন।

    আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এই এলাকা দিয়ে চলাচল করার সময় ময়লার দুর্গন্ধে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। ময়লার স্তূপে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাথ বন্ধ হওয়ার পথে।

    জানা যায়, মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে স্তূপ সৃষ্টি হয়েছে। দিনের পর দিন ময়লা ফেলার কারণে পথচারীদের চলাচলের স্থান বন্ধ হয়ে গেছে। মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠা এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপের কারণে পথ চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।

    আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মহাসড়কের এ স্থান দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসযাত্রী, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী এবং পথচারীদের। এতে বাতাসে নানা ধরনের রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়ায় রোগাক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয় পথচারীরা।

    জানা যায়, পৌরসদরের শেখপাড়া এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের খোলা জায়গায় পৌর বাজার এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে ময়লা আবর্জনা ফেলতে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ধীরে ধীরে তা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়। এতে পথ চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কের এ স্থানে প্রায়শ ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

    এছাড়া খোলা জায়গায় ফেলা এসব ময়লা আবর্জনার উৎকট গন্ধে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা।

    বিষয়টির সমাধানে স্থানীয় পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশ কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

    এব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাইমুন উদ্দিন মামুন বলেন, বিষয়টি আসলে বড় একটি সমস্যা। রাস্তার পাশে এভাবে ময়লা ফেলে পরিবেশেরও মারাত্বক সমস্যা হচ্ছে। পৌরসভার মাসিক মিটিং এ বিষয়টি তুলেছি, ময়লার বাগাড়টি মহাসড়কের পাশ থেকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করছি।

    সীতাকুণ্ড পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, মহাসড়কের পাশের ময়লা, আবর্জনা ভাগাড়টি সরানোর জন্য জরুরি প্রদক্ষেপ গ্রহণে স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। বিষয়টির সমাধানে খুব সহসাই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন

    সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন পালন করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলার পাকারাস্তার মাথা আফতাব অটো মোবাইলস এর সামনে কেক কাটার আয়োজন করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস এম আল মামুন।

    সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়দ শামছ মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ শাহজান।

    বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শায়েস্তা খান। বক্তব্য রাখেন ১০ নং ছলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন আজিজ, ছলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী গোলাম মহিউদ্দীন।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম নান্টু, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি এস এম আল নোমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইমাম এবং সা:সম্পাদক আরজু, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম জিকু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য অভি,নাহিদ, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..

  • সীতাকুণ্ডে ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ : কৃষকের মুখে হাসি

    সীতাকুণ্ডে ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ : কৃষকের মুখে হাসি

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ডে পাহাড়ে পেঁপে চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এখন পাহাড়ে সারাবছরই চাষ হচ্ছে পেঁপের। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় এখানকার প্রায় দেড় হাজার কৃষকের মাঝে পেঁপে চাষে সচ্ছলতা এসেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রায় সর্বত্রই কমবেশি পেঁপে চাষ করছেন কৃষকরা। তবে সবচেয়ে বেশি পেঁপে চাষ হয় কুমিরা ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায়।

    দেখা গেছে, সোনাইছড়ি পাহাড় এখন পেঁপে বাগানে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিগত জমি ও সরকারি পাহাড় লিজ নিয়ে এখানে বেশ কয়েকটি পেঁপে বাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

    এলাকাবাসী জানান, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়ার ফুলতলা পাহাড়ে ইতিমধ্যে পেঁপে চাষের জন্য সুপরিচিতি। পার্শ্ববর্তী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পাহাড়েও উল্লেখযোগ্য পেঁপে চাষ হয়ে থাকে। ফলে এখান থেকে পেঁপে কিনে নিয়ে যেতে প্রতিদিন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভীড় করেন।

    ফুলতলার পেঁপে চাষী মো. নাসির উদ্দিন জানান, তিনি নিজে ৫০ শতক জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে কয়েকদফা পেঁপে বিক্রি করেছি। তিনি জানান, শুধু কুমিরা এলাকাতেই পেঁপে চাষ করে অনেক কৃষক নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন।

    কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, চাষাবাদে সার, কীটনাশক, শ্রমিক মুজুরি ও চারা ক্রয়সহ বিভিন্নভাবে তার যা খরচ হয়েছে তার দ্বিগুণ লাভ করেছি। তিনি জানান, শীত ও বর্ষা সবসময় তারা পেঁপে চাষ করেন। পাহাড়ি এলাকায় পেঁপে চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বর্ষায়ও গাছের গোড়ায় পানি না জমায় তেমন ক্ষতি হয় না।

    কৃষকরা জানান, চলতি বর্ষায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হলেও পেঁপে বাগানগুলোর ক্ষতি হয়নি। ফলে অনেকটা নিশ্চিন্তে চাষাবাদ করছেন তারা। গাছেও ফলন খুব ভালো। প্রতি কেজি পেঁপে পাইকারী দরে ১৫/২০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। তবে সরকারিভাবে পেঁপে চাষিদের তেমন কোনো সহায়তা প্রদান করা হয় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

    যদি সহজ শর্তে কৃষি ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হত তাহলে কৃষকরা এই ফল চাষে অনেক বেশি আগ্রহী হতেন বলে দাবি তাদের।

    পেঁপে চাষে স্থানীয় চাষিরা স্বচ্ছল হচ্ছেন জানিয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, সীতাকুণ্ডে ২৫০ হেক্টর জমিতে দেড় হাজার কৃষক পেঁপে চাষ করেন। সোনাইছড়ি থেকে ছোট কুমিরার সুলতানা মন্দির পর্যন্ত এলাকায় পাহাড়ে প্রচুর পেঁপে চাষ হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব পেঁপে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।

    আরো:: হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

    ২৪ঘন্টা/কামরুল ইসলাম দুলু/রাজীব.

  • সীতাকুণ্ডে ভাসুরের বিরুদ্ধে বিধবা নারীর সাংবাদ সম্মেলন

    সীতাকুণ্ডে ভাসুরের বিরুদ্ধে বিধবা নারীর সাংবাদ সম্মেলন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে আপন ভাসুরের নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে এবং সহায় সম্পত্তি জাল কবলা করে আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক বিধবা নারী।

    বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপন ভাসুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামের সমীর কান্তি নাথের স্ত্রী কনিকা দেবী।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমার স্বামী সমীর কান্তি নাথ ২০০৩ সালে রেল দূর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর থেকে আমি এক প্রতিবন্ধি ছেলেসহ দুই ছেলেকে নিয়ে অতিকষ্টে দিন যাপন করে আসছি।

    এ অবস্থায় ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আমার মৃত স্বামীকে জীবিত দেখিয়ে জাল কবলার মাধ্যমে আমার স্বামীর বড় ভাই (ভাসুর) পংকজ কুমার নাথ নড়ালিয়া মৌজার ৪০.৩৩ শতক জায়গা ৯৮৭ নং ভুয়া কবলামূলে জনৈক আবু জাফর মো. শফিউদ্দীনের নিকট বিক্রি করে।

    পরবর্তীতে একই জায়গা ১৪ দিন পর ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সমীর কান্তি নাথের নাবালক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ২ ওয়ারিশ হতে নামজারির কথা বলে জোরপূর্বক কমিশন রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ১৩১১ নং কবলা মূলে বিএম এনার্জি লি. এর পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমানের নামে সৃজন করে। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ৩৯৯৫ নং দলিলমূলে ১২ শতকের আরো একটি কবলা সৃজন করে।

    তিনি একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় লিপ্ত থাকায় সৃজিত ভূয়া কবলার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়ে, সি.আর মামলা নং ৩১৩/২০১৯ এবং অপর ২৭৯/১৯ নং মামলা করা হয়। কিন্তু কবলা বাতিলের মামলা করার পর হতে মামলা তুলে নিতে ভূমি দস্যু পংকজ কুমার নাথ, জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আজম, সেলিম, ভেন্টার আলমগীর, ভেন্টার জাফর, সামছুল আলম, নাসির, বদিউল আলমসহ বিএম এনার্জি লিঃ এর দখলদারেরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

    ভূমিদস্যুদের নানামুখী হুমকী-ধমকীর কারণে বর্তমানে পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। একজন অসহায় নারী হিসেবে আমি ও আমার দুই ছেলের নিরাপাত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    ২৪ ঘন্টা/কামরুল ইসলাম দুলু/রাজীব..