Tag: সুনামগঞ্জ

  • কাঁঠালের দাম হাঁকানো নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩

    কাঁঠালের দাম হাঁকানো নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩

    সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কল ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে মসজিদে দানকৃত একটি কাঁঠাল নিলামে তোলা এবং দাম হাকাঁনো নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত এবং উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। তবে আরো ২/৩ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

    সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টায় গ্রামের মধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

    নিহতরা হলেন- মো. বাবুল মিয়া (৫৮), নুরুল ইসলাম (৪২), মো. শাহজাহান(৩৬)। তাৎক্ষনিক আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

    খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,হাসনাবাজ গ্রামের মসজিদে এক ব্যাক্তি একটি কাঠাল দান করেন। মসজিদে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এই কাঠালটি নিলামে তোলা হয় এবং দাম হাকাঁনো হয়। এতে গ্রামের দ্বীন ইসলামের পক্ষের লোকজন দামের কথা শুনা যাচ্ছে না বলে আওয়াজ তুললে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সুনু মিয়া ও জুনাব আলী গংরা বলে উঠেন মসজিদের ভেতরে অবস্থানকারী সবাই শুনলেও তোমরা কেন শুনতে পাওনি এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাাকটি হয়।

    এরই জের ধরে সকালে দ্বীন ইসলামের লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ সুনু মিয়া ও জুনাব আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে দ্বীন ইসলামের পক্ষের বাবুল মিয়া(৫৮) ও নুরুল ইসলাম(৪২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং সুনু মিয়া জুনাব আলী গংদের পক্ষে মো. শাহজাহান মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়াঁলো ৩ জনে। এতে উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হন। তবে তাৎক্ষনিক আহতের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

    এ ব্যাপারে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছিত সুজন জানান,গতকাল রোববার রাতে এবং আজকে ভোরে আসনাবাজ গ্রামে গিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করে কথা বলেছি। উভয়পক্ষের লোকজন আমাকে আশ্বস্থ করেছিলেন যে কোন পক্ষই মারাামরিতে যাবেন না। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের শান্ত করে উপজেলা পরিষদেও মিটিংয়ে আমি চলে বাসার পর শুনতে পাই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একটি কাঠাল নিয়ে এমন অনাকাংঙ্খিত ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

    এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক ভেবে ৩জনকে আটক করেছে।

     

  • সুনামগঞ্জে তীব্র ঢেউ আছড়ে পড়ছে হাওরপাড়ে

    সুনামগঞ্জে তীব্র ঢেউ আছড়ে পড়ছে হাওরপাড়ে

    সিলেট প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার উপজেলাগুলো বন্যার পানিতে তালিয়ে থাকায় হাওরের তীব্র ঢেউ আছড়ে পড়ছে গ্রামগুলোতে। পানি বেড়ে যাওযায় বৃষ্টি সাথে বাতাস পেলেই শুরু হয় ঢেউ। ঢেউয়ের তাণ্ডবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মধ্যনগর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ উপজেলার হাওরপাড়ের ঘরবাড়ি। ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি, ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়েছে শত শত ঘরসহ ধান ও গরুর খড়।

    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরপারের ঠাকুরহাটি গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসনাত বলেন, ঢেউয়ে আমার বসতভিটা ভেঙে গেছে এবং শতাধিক মণ ধান ভেসে গেছে।

    মাটিয়ান হাওরপারের রতনশ্রী গ্রামের তমিম হোসেন বলেন, ঢেউয়ে ঘর ভেঙেছে, তাই বাড়ি ছেড়ে স্বজনের বাড়িতে আশ্রয়ে আছি। মধ্যনগরের নয়াবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া কানন সরকার বলেন, আমার ধান, চাল, কেতা বালিশ ও ঘরে থাকা সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পরনে থাকা ভেজা কাপড়ে এসে গ্রামের স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি।

    তাহিরপুর উপজেলার সোহালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার লিটন বলেন, হাওপাড়ের মানুষদের পানির সাথে যুদ্ধ করার সক্ষমতা আছে, তবে এবার বন্যার পানি অনেক বেশি হয়েছে। এখন যদি টেউ হয় তাহলে বড় ধরণের ক্ষতি হবে হাওপাড়ের মানুষদের।

  • সুনামগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ৩০

    সুনামগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ৩০

    সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ায় ৩০ জন আহত হয়েছে। উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের নোয়াখালী নামক স্থানে আজ রোববার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিরাই উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি বাস শান্তিগঞ্জের নোয়াখালী এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসে থাকা যাত্রীদের বের করা হয়। এ সময় বাসে থাকা অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাস খাদে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

    এন-কে

  • হিন্দু গ্রামে হামলা: প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা স্বাধীন মেম্বার গ্রেফতার

    হিন্দু গ্রামে হামলা: প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা স্বাধীন মেম্বার গ্রেফতার

    সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামকে (স্বাধীন মেম্বার) গ্রেফতার করেছে পিবিআই সিলেট।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান।

    তিনি জানান, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে প্রযুক্তি সহায়তায় স্বাধীন মেম্বারকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    জানা যায়, ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর থেকেই উঠে আসে স্বাধীন মেম্বারের নাম।

    হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলায়ও স্বাধীন মেম্বারকে আসামি করা হয়। স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

    হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে এক যুবকের দেওয়া স্ট্যাটাসের জেরে ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

    অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাজারও লোক মিছিল নিয়ে এসে এই হামলা চালায়।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীদের বেশিরভাগই আসে স্বাধীনের গ্রাম দিরাইয়ের নাচনি থেকে। স্বাধীন মেম্বারও হামলাকারীদের দলে ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই হামলা হয়।

    স্বাধীন মেম্বারের সঙ্গে জলমহাল নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে মামুনুল অনুসারীদের সঙ্গে তিনি এই হামলায় অংশ নেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

    প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ দিরাইয়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। পরদিন মামুনুলের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নোয়াগাঁওয়ের এক যুবক।

    এই স্ট্যাটাসের জেরে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামটিতে হামলা চালিয়ে ৯০টিরও বেশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় দু’টি মামলা এবং স্বাধীনসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

  • চলন্ত বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা : চালক গ্রেফতার

    চলন্ত বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা : চালক গ্রেফতার

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় চালক শহীদ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

    শনিবার (২ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এসে নামার সময় পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।

    সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, এখনো (সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত) শহীদকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি সিআইডি।

    এ ঘটনায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে রশিদ আহমদ নামের চালকের সহকারীকে (হেলপার) ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে আটক করে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী ওই বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এসময় চালক ও তার সহকারী কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফ দেন।

    পরে স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ বাসটি জব্দ করে।

    এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও তার সহকারী রশিদ আহমদকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

    ওই ছাত্রী দিরাই ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি বর্তমানে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

  • চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা, সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ কলেজছাত্রীর

    চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা, সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ কলেজছাত্রীর

    বাসের চালক-হেলপার কতৃক ধর্ষণচেষ্টার পর সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক কলেজছাত্রী।

    শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে করে দিরাই আসছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর এলাকায় আসার পর তিনি ছাড়া বাকি যাত্রীরা নেমে যান।

    কোনো যাত্রী না থাকায় বাসের ড্রাইভার ও হেলপার মিলে তাকে উত্ত্যক্ত করার এক পর্যায়ে ধর্ষণেরচেষ্টা চালায়। সম্ভ্রম বাঁচতে একপর্যায়ে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যান ওই শিক্ষার্থী।

    এ ঘটনায় গ্রামবাসী ওই কলেজছাত্রীকে আহত অবস্থায় দিরাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

    দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

    চালক ও হেলপারকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

  • খাটিয়াও মেলেনি করোনা উপসর্গে নিহতের! ২ ভাই ও পিতা লাশ কাঁধে নিয়ে করলেন দাফন

    খাটিয়াও মেলেনি করোনা উপসর্গে নিহতের! ২ ভাই ও পিতা লাশ কাঁধে নিয়ে করলেন দাফন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ]  সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বক্তারপুর গ্রামে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের মরদেহ দাফনে পাশে ছিলোনা কোন স্বজন কিংবা গ্রামবাসী।

    এমনকি মরদেহ দাফনে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি মসজিদের লাশ বহনের খাটিয়া। তাছাড়া দাফনের আগে মৃতের গোসল করাতেও দেয়া হয়নি।

    ফলে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো সালাম মিয়ার লাশ খাটিয়া ছাড়াই বাবা ও দুই ভাই কাঁঁধে করে কবরস্থানের নিয়ে যায়। সেখানে তারা তিনজনেই কবরস্থ করেছেন। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার।

    ওই দিন রাতে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো লাশ খাটিয়া ছাড়া তিন ব্যক্তি কবরস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর থেকেই এ ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে বক্তারপুর গ্রামে মো. সালাম (২২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ১০ বাড়ি লকডাউন করে প্রশাসন।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সালামের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার পর মরদেহ গোসল না করিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    এ সময় মৃত সালামের বাবা-মা ছেলের লাশ গোসল করানোর উদ্যোগ নিলে স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের লোকজন তাতে বাধা দেন। তারা মৃতের শরীরে এক ধরনের পাউডার ও কাফনের কাপড় পরিয়ে দিয়ে লাশ প্যাকেটিং করে দেন।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, লাশ কবরে নেয়ার জন্য গ্রামের মসজিদ থেকে খাটিয়া আনতে গেলে ইউপি মেম্বার শরিফ উল্লাহসহ মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের খাটিয়া আনতে দেননি।

    এমনকি গ্রাম থেকে অনেক কষ্টে একটি খাটিয়া সংগ্রহ করলেও সে খাটিয়া ব্যবহার করতে দেননি ইউপি মেম্বারসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

    পরে উপায়ন্তর না দেখে মৃতের বাবা জবুল মিয়া এবং তার দুই ভাই খালিক মিয়া ও আলীনূর মিয়া নিজেদের কাঁধে লাশ তুলে খাটিয়া ছাড়াই মরদেহ গ্রাম্য কবরস্থানে নিয়ে যান এবং সেখানে তার দাফন সম্পন্ন করেন।

    মৃত সালামের মা সালেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে মারা গেল কিন্তু গ্রামের কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি পানি এনে দিলেও তারা আমার ছেলের গোসল করাননি। আমার ছেলের মরদেহে কেউ হাত দেননি। সব কিছু তার বাবা ও ভাইয়েরা মিলেই করেছে।

    স্থানীয় মেম্বার আমার ছেলেকে খাটিয়ায় তুলতে দেননি। মসজিদের খাটিয়া ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। রিপোর্টে যদি আমার ছেলের করোনা না হয়, তা হলে আমার দাবি থাকবে– ছেলের মরদেহ আবার উত্তোলন করে যেন শরিয়ত অনুযায়ী দাফন-কাফন করানো হয়।

    এদিকে মৃতের পরিবাবের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছে মসজিদ কমিটি, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ বলেন, যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবই সরকারি ও পঞ্চায়েতের নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়ে আসা খাটিয়া ফেরত নেয়া হয়। আমি তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।

    দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ অন্য কেউ হাত দেয়নি। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের তদারকিতে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

    দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, মরদেহ দাফনের সময় দোয়ারা থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান স্বাস্থ্য বিধি ও শরিয়ত বিধি মেনেই তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এখানে তার পরিবারের কেউ লাশে হাত দেননি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, আমিও বিষয়টি জেনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। রিপোর্ট হাতে আসার পর সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার ওই যুবকের করোনা নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিলেট করোনাভাইরাস ল্যাব কর্তৃপক্ষ। সেখানে তার করোনা নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • দিরাইয়ে শিশু তুহিন হত্যায় বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড

    দিরাইয়ে শিশু তুহিন হত্যায় বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে বীভৎসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক অপর দুই চাচা জমসেদ ও মোছাব্বির খালাস পেয়েছেন।

    সোমবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই রায় ঘোষণা করেন।

    এর আগে গত ১০ মার্চ আরেক অভিযুক্ত শিশুর চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে আট বছরের আটকাদেশ দেয় শিশু আদালত।

    আলোচিত এই মামলায় পাঁচ মাসের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ করেছে আদালত।

    মামলার আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন, তুহিন হত্যা মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক দুই চাচা মোছাব্বির ও জমসেদকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

    সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউর এডভোকেট শামুসন্নাহার রব্বানী শাহানা বলেন, আলোচিত মামলায় দ্রুততম সময়ে রায় দিয়েছে আদালত।

    মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৯ সনের ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত শিশু তুহিন মিয়াকে গলাকেটে তার লিঙ্গ, দুই কান কেটে পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনার দুই দিন পর চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদ ও তার দুই চাচা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আদালতে ৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেন। তবে বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির তুহিন হত্যার কথা স্বীকার করেননি। পিতা আব্দুল বাছিরকে দুই দফা রিমান্ডে নিলেও তিনি ছেলে হত্যার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেননি।

    মামলায় বাবা আব্দুল বাছির, চাচা জমসেদ, নাছির, মাওলানা মোছাব্বির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে পৃথক পৃথকভাবে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

    অভিযুক্ত চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বয়স কম হওয়ায় তাকে বিচারের জন্য শিশু আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

    গত ২ জানুয়ারি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করে আদালত। গত ৩ মার্চ আদালত যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১০ মার্চ মঙ্গলবার সকালে তুহিন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শিশু চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদকে আট বছরের আটকাদেশ দেন শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন।

  • জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়ক পরিবহন-শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার

    জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়ক পরিবহন-শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার

    জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক সংস্কারের দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকের ডাকে অর্নিধিষ্ট কালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম তাঁর কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।

    বৈঠকে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, জগন্নাথপুর সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিজামুল করিম, জগন্নাথপুর-সিলেট মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সভাপতি রব্বানী মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠক শেষে আজ বেলা ২টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

    জগন্নাথপুর সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিজামুল করিম নিশ্চিত করেছেন। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে সড়কে মেরামতের কাজ শুরু হবে। এজন্য ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় গাড়ি চলাচল শুরু হবে।

  • শিশু তুহিন হত্যা: চাচার স্বীকারোক্তি, বাবার নেতৃত্বে হত্যা

    শিশু তুহিন হত্যা: চাচার স্বীকারোক্তি, বাবার নেতৃত্বে হত্যা

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু তুহিন মিয়াকে (৫) তার বাবাই হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন, চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ও বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে হত্যা করেন।

    ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আরও বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে বাবার কোলে রেখেই চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারসহ অন্যরা মিলে তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

    এদিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল খালেকের আদালতে, চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে শিশু তুহিন হত্যায় তার বাবাও জড়িত বলে জানান।

    এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাবা বছির ও ২ চাচাকে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

    জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা, চাচি ও এক চাচাতো বোনকে থানায় আনা হয়। এরপর টানা কয়েকঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

    পরে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন তুহিনের মা মনিরা বেগম। সেই হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    এদিকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামে অন্যদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আবদুল বাছিরের পরিবারের বিরোধ ও মামলা রয়েছে। এর জের ধরে অন্যদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

  • প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের সদস্যরাই তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে!

    প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের সদস্যরাই তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে!

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গতরাতে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে বীভৎস কায়দায় খুন করা হয়। সোমবার দিনভর যারাই ঘটনাটি শুনেছেন তাদের মনেই নাড়া দিয়েছে শিশুটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে খবরটি। কারা এই শিশুটিকে এভাবে বীভৎস কায়দায় খুন করেছে তা নিয়ে সবার ভেতরে ছিল কৌতূহল।

    তবে প্রাথমিকভাবে এই খুনের পেছনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা রীতিমত আঁৎকে ওঠার মতো। যাদের কাছে আশ্রয় পাওয়ার কথা তারাই শিশুটির খুনের সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার বাবাও এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নির্মম ও বর্বর এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবারটি।

    সোমবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শিশু তুহিনকে কেন মারা হয়েছে, কীভাবে মারা হয়েছে, কয়জনে মেরেছে পুরো ঘটনা জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু তারা বলবেন না। ঘটনার পরপর তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া ছয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করবে সংস্থাটি।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বশত্রুতার জের। যাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যেই তিন-চারজন জড়িত আছেন।

    এর আগে এই ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তারা হলেন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

    তুহিন

    রবিবার মধ্যরাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে নৃশংস এই খুনের ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে গাছে ঝুলে ছিল শিশু তুহিনের লাশ। পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢুকানো ছিল। বাম হাতটি ঝুলে ছিলে লাশের সঙ্গে। কেটে নেওয়া হয় শিশুটির কান ও লিঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে ছিল রক্তে।

    সকাল ১০টায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তুহিন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে দুই ব্যক্তির নাম লেখা ছিল। তারা হলেন ছালাতুল ও সোলেমান। তারা সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন শিশুটির বাবাসহ স্বজনরা।

    ঘটনাটি সুনামগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এর সঙ্গে জড়িত যারাই হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরা।

  • দিরাইয়ে পাশবিক কায়দায় শিশু হত্যা

    দিরাইয়ে পাশবিক কায়দায় শিশু হত্যা

    ছয় বছরের ছোট্ট শিশু তুহিনের গলাকাটা নিথর দেহটি ঝুলে আছে কদমগাছের ডালে। নিষ্পাপ দেহ থেকে কেটে নেয়া হয়েছে দুটি কান। ছোট্ট শরীর থেকে গোপনাঙ্গটিও বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ঘাতকরা। নির্মমতার এখানেই শেষ নয়—হত্যার পর শিশুটির পেটে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে দুটি ধারালো ছুরি। হত্যা করার​ সবধরনের পাশবিকতাকে হার মানিয়েছে ঘাতকেরা। যেন নির্মম নির্যাতনে হত্যার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলো তারা।

    নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রাম থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুহিন একই এলাকার বছির মিয়ার ছেলে।

    তুহিনের স্বজনরা জানান, রবিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে শিশু তুহিন প্রকৃতির ডাকে উঠলে তার মা বাহিরে নিয়ে যান। এর পর তাকে এনে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেন।

    রাত ৩টার দিকে মা-বাবা হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। এর পর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত দেখেন। এর পর কিছু দূরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।

    দিরাই থানার এসআই তাহের জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির কান, গলা ও প্যানিস কেটে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ধারালো ছুরি। তবে কে বা কারা, কী কারণে এ শিশুটিকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।