২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। শারমিন সুমি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন যখন ভয়াবহ আকারে রুপ নিচ্ছে।
দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে এসে মানুষের প্রাণ রক্ষাকারী নানান নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ তখন বাজার থেকে কমে আসছে।
ফলে বাজারে একদিকে যেমন চরম কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে রোগীর প্রয়োজনের সময় ওষুধ সংকটে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যু বরণ করার তথ্য মিলছে।
এর কারণ অনুসন্ধানে নেমে প্রশাসনের চোখে ধরা পড়েছে ভিন্ন চিত্র। সরবরাহ ঠিকই আছে বরং বর্তমান সময়ের অতিব জরুরি ওষুধগুলো মজুদ রেখে বেশি মুনাফা লাভের প্রতিযোগীতায় নেমেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি।
আজ রোববার (৭ জুন) দুপুরে নগরীর হাজারী গলিতে র্যাব, পুলিশ, ওষুধ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে এসব চিত্র ধরা পড়ে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান ও কামরুল হাসান এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আকতার, মো. ওমর ফারুক, গালিব চৌধুরী ও এসএম আলমগীর যৌথ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
হাজারী গলিতে ঔষধের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত অভিযানে দেখা গেছে অনেক পাইকারি ওষুধের দোকানে বর্তমান সময়ের নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো বেশি মুনাফা লাভের আশায় মজুদ রেখেছে ব্যবসায়িরা।
তাছাড়া করোনাকালে সাধারণ মানুষের চাহিদাকে পুজি করে নকল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড সেনিটাইজার, নকল পিপিইসহ নকল নানান সুরক্ষা সামগ্রী ফার্মেসীতে রেখে বেশি দামে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি। ভেজাল ও মেয়াদ উর্ত্তীন্ন ওষুধেরও কমতি ছিলনা এসব ফার্মেসীতে।
এ ধরনের নানা অপরাধে ৩০ টি ফার্মেসীকে ১০ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা (দশ লক্ষ তিরানব্বই হাজার টাকা) জরিমানা করা হয় এবং পনের লক্ষ টাকার ঔষুধ ও করোনার নকল সুরক্ষা সামগ্রী জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্বদানকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে জানান, চট্টগ্রামে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এবং ওষুধের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ঠেকাতে জেলা প্রশাসন অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আজ হাজারী গলিতে অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে হাজারী গলির কিছু ওষুধের দোকানের ব্যবসায়িরা ওষুধ মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছে। অনেকে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করছে।
তাছাড়া অধিকাংশ ফার্মেসিস্টদের সার্টিফিকেট না থাকা, আনরেজিস্টার্ড ওষুধ রাখা, বিদেশী অবৈধ ওষুধ রাখা, নকল পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার দায়ে ২৯ মামলায় ৩০ ফার্মেসীকে ১০ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ওষুধ ও নকল সুরক্ষা সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
জনস্বার্থে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স