Tag: সূফিবাদী ঐক্য ফোরাম

  • খাজা গরীব নেওয়াজ (রহ.) মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র বিশ্ব মুসলিম মেনে নেবে না

    খাজা গরীব নেওয়াজ (রহ.) মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র বিশ্ব মুসলিম মেনে নেবে না

    ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ সূফীবাদী ঐক্য ফোরাম আয়োজিত খাজা গরীব নেওয়াজ (রহ.) মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র, ২০০ বছরের পুরানো মসজিদ ভাংচুর, ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংস, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ধর্মীয় উপসনালয়, মসজিদ, মাজারসমূহে সন্ত্রাসী হামলা, নিরীহ মানুষ হত্যা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

    মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা। ঘোষিত কর্মসূচি ব্যাখ্যা করে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সংগঠক মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন। এতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন হাফেজ নগর দরবার শরীফের শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ আশেকুর রহমান, আওলাদে মাইজভাণ্ডারী শাহজাদা সৈয়দ নাফিজুর রহমান, ওষখাইন আলীনগর দরবার শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন শাহজাদা মাওলানা আবদুল কাদের চাঁদমিয়া, নঈমীয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন অধ্যক্ষ মাওলানা মাহামুদুল হক নঈমী, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ ইলিয়াছ সোহেল, মাওলানা শাহ ফাইজুল কাবির বদরী, সিনিয়র সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ গোলাম মওলা মুরাদ, এটিএন নিউজের বিভাগীয় প্রধান সাংবাদিক এস এম আকাশ, সাংবাদিক ইসমাইল ইমন, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মিয়াজী, শাহজাদা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান, ইতিহাস গবেষক সোহেল মোঃ ফকরুদ্দিন, শাহজাদা মাওলানা ইশফাকুর রহমান, মাওলানা আবদুল মালেক আশরাফী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম চাটগামী, মাওলানা দিদারুল আলম, হাফেজ মুহাম্মদ হাসান ইমাম, সৈয়দ সালাহ উদ্দিন খোকন, মুহাম্মদ নাঈম, মুহাম্মদ রাকিব, মো. আনিসুর রহমান বিপলু প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বিনা উসকানিতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে ২০০ বছরের পুরানো মসজিদ ভাংচুর, ধর্মীয় ঐতিহ্য ধ্বংস করে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন, সূফীবাদী জনতা সবসময় শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে কাজ করে। মানবতাবিধ্বংসী কোনো কর্মকাণ্ড তারা সমর্থন করে না।

    তারা বলেন, একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর হতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় মাজার, মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে হামলা করে নিরীহ মানুষ হত্যা ও দিন-দুপুরে আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানান। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার শান্তিকামনা করেন। একইসাথে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তারা আরো বলেন, দেশে আর যেন নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে সূফীবাদী শান্তিপ্রিয় এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কেউ কিছু করতে চাইলে তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আধ্যাত্মিক চেতনায় বিশ্বাসীরা সব সময় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত। তাদের আস্তানায় হামলা, ভাংচুর করে যারা ইসলামের কৃষ্টি সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, তারা কখনো মুসলমান তথা ইসলামের কল্যাণ চাই না। তারা মূলত ইহুদি, নাসারার সহচর। এদের ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাকায় আহ্বান জানান। তারা ভারতের গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মিডিয়া আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান এবং দেশের বিরুদ্ধে যাবতীয় ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানান।

  • ধর্মীয় সংঘাতের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: সূফিবাদী ঐক্য ফোরাম

    ধর্মীয় সংঘাতের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: সূফিবাদী ঐক্য ফোরাম

    অদ্য ৪ ডিসেম্বর দুপুরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর বাংলাদেশ সূফিবাদী ঐক্য ফোরামের উদ্যোগে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মীয় উপাসনালয়, মাজার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যা ও শেরপুর জেলার মুরশিদপুর দরবারে হামলা করে নিরহ মানুষ হত্যা বিষয়ে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।

    স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা, মহাসচিব মাস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, মেট্রোপার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন, সাংবাদিক আবু হেনা খোকন, মাওলানা দিদারুল আলম, সাংবাদিক মো. নাজিম উদ্দিন মিয়াজী, শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ ইলিয়াছ সোহেল, মাওলানা জহিরুল ইসলাম চাটগামী, মো. আবু হানিফ মাসুম প্রমূখ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে জুলুম ও দূঃশাসনের অবসান হলেও এখন একটি উগ্রগোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ইতিমধ্যে দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হামলা ভাংচুর, শেরপুরে মুরশিদপুর দরবারে হামলা নিরহ মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি লুটপাট, গরু, ছাগল, মহিষ চুরি এমনকি পরিবেশ বান্ধব গাছপালা কেটে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্মানিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের লাঞ্চনাসহ ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেইট রাজা বাজারের বাসায় ঢুকে জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে জবাই করে। চিহ্নিত খুনিদের আসামী করে মামলা হলেও অধ্যাবদি আসামীদের গ্রেফতারে কোন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। খুনি-সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় এই জঙ্গীগোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নানা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। অন্যথায় দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি যে কোন সময় ভিন্নরূপ ধারণ করতে পারে। ধর্মীয় সংঘাতের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।