Tag: সেনাপ্রধান

  • সেনাবাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

    সেনাবাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

    সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

    মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি ও ৫৯ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব ন্যস্ত হলো।

    সেনাবাহিনী প্রধান মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    এরপর সেনাপ্রধান মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য একাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সব অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

    দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মোট ২১৩ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৫৯ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ১৪ জন অফিসার ক্যাডেট ও ০৪ জন ট্রেইনি অফিসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।

    কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার আব্দুল্লাহ আল আরাফাত ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।

    প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেট কর্তৃক দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের পর তাদের বাবা-মা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা নবীন অফিসারদের র‍্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে তাকে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অভ্যর্থনা জানান।

    অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতিম দেশ শ্রীলঙ্কান মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের বাবা-মা ও অভিভাবক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আমরা সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান

    আমরা সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান

    ইসলাম-বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রিষ্টান সব ধর্মের মানুষ মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চান বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

    শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে পবিত্র কঠিন চীবর দান উৎসব ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

    সেনাপ্রধান বলেন, ‘ইসলাম, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিষ্টানসহ অন্য যেসব ধর্ম আছে, সব ধর্ম, জাতি ও গোষ্ঠী সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। এখানে সুন্দরভাবে শান্তিতে বসবাস করতে, দেশ ও জাতির উন্নতি করতে চাই।’

    বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘যখন আজান হচ্ছিল, তখন তারাই বললেন যে, কিছুক্ষণ পরে শুরু করি, আজানটা শেষ হয়ে যাক। এই যে ধর্মীয় বোঝাপড়া (আন্ডারস্ট্যান্ডিং), ধর্মীয় সম্প্রীতি, মমত্ববোধ দেখিয়েছেন, এটা অতুলনীয়।’

    বৌদ্ধদের নির্ভয় দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, এভাবেই প্রতিনিয়ত, প্রতি সময় আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করবেন। সুখে-শান্তিতে থাকবেন। এজন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা সেটা করব। এর আগে দুর্গাপূজাতেও আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি। খুব সুন্দরভাবে তা উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা যখনই যে ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা চাইবেন, আমরা সেটা প্রদান করব।’

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, এখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দেখে ভালো লাগছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে দেখে। তারা এ দেশে অনেক বৌদ্ধমন্দির তৈরিতে আর্থিক সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের জন্য এটা চমৎকার অবদান। এখানে ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারও আছেন। তারাও বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতির জন্য অবদান রাখছেন।

    তিন পার্বত্য জেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্বত্য জেলায়, বিশেষ করে যেহেতু এখানে আমাদের একটু শান্তি-সম্প্রীতির কিছুটা ঘাতটি আছে, সেদিকটা পুষিয়ে নিতে চাই। একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। পাহাড়ে সবাই পাহাড়ি-বাঙালি যেন একসঙ্গে বসবাস করতে পারি।

    বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅং এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন।

  • দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে : সেনাপ্রধান

    দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে : সেনাপ্রধান

    দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা অল্প সময়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।

    বুধবার (২৪ জুলাই) শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে স্থাপিত সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।

    সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, দেশের কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। মূল সমস্যা ছিল ঢাকায়। অল্প সময়ে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

    সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের হয়ত আর অল্প কিছু দিন থাকতে হবে।

    ওয়াকার-উজ-জামান আরও জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অল্প সময়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ঢাকা থেকে শেরপুর আসার পথে সড়কে যানবাহনসহ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক দেখেছি।

    প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। হামলা থেকে রেহাই পাননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।

    পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশে দুর্বৃত্তদের হামলায় এক হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে তিন পুলিশ সদস্যের।

    রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দীসহ অন্যান্য হাসপাতালে অনেক পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও অনেক পুলিশ সদস্য ভর্তি রয়েছেন।

  • সেনাবাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে: সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে: সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের প্রতিটি সেন্টারেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ সেনাসদস্য পর্যন্ত সম্পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন।

    রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    নির্বাচনের পরে সহিংসতা হলে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম কী থাকবে এবং কতদিন পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা যদি হয় রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় যে দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হবে সম্পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবো। এছাড়া যতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার বলবেন ততদিন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।

    তিনি বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিবারসহ আমি ভোট দিয়েছি। সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। দেশের প্রতিটি সেন্টারেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাসদস্যরা কাজ করছে। রিটার্নিং অফিসাররা যখন যেখানে বলেছেন সেখানেই সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

  • জেনারেল র‍্যাংক ব্যাজ পরানো হলো নতুন সেনাপ্রধানকে

    জেনারেল র‍্যাংক ব্যাজ পরানো হলো নতুন সেনাপ্রধানকে

    নতুন নিয়োগ পাওয়া সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে জেনারেল র‍্যাংক ব্যাজ পরানো হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই ব্যাজ পরানো হয়। তিনি জেনারেল আজিজ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

    এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে ব্যাজ পরিয়ে দেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শফিউদ্দিন আহমেদ বিদায়ী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

    গত ১০ জুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    এর আগে তিনি সেনাসদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

    গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর কিউএমজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এই দায়িত্ব গ্রহণের আগে জিওসি, অ্যার্টডক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

  • নতুন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ

    নতুন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ওয়াহিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।

    প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে আগামী ২৪ জুন (২০২১) বিকেল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

    বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। জেনারেল আজিজ আহমেদ আগামী ২৪ জুন অবসরে যাবেন।

    খুলনার একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ১৯৮৩ সালে নবম বিএমএ লংকোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন পান।

    গতবছর ডিসেম্বরে তাকে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (অ্যার্টডক) জিওসির দায়িত্ব থেকে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) করে সেনাসদরে নিয়ে আসা হয়েছিল।

    তার আগে ২০১৯ সালের অগাস্টে মেজর জেনারেল থেকে পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন শফিউদ্দিন আহমেদ। তখনই তাকে অ্যার্টডকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

  • সেনাবাহিনী দেশের প্রয়োজনে সবসময় প্রস্তুত: সিলেটে সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী দেশের প্রয়োজনে সবসময় প্রস্তুত: সিলেটে সেনাপ্রধান

    সিলেট প্রতিনিধি : সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের প্রয়োজনে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে সেনাবাহিনী।একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখন্ডতা তথা জাতীয় যে কোনও প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

    বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট সেনানিবাসে নতুন চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

    ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সিলেট সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান।

    এ সনয় সেনাপ্রধান আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সময় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী খুবই গুররুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। করোনাকালীন সেবা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তবে সব প্রশিক্ষণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেনা সদস্যদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ জুবায়ের সালেহীন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৭৫ ফিল্ড এম্বুলেন্স, ২ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এবং অর্ডন্যান্স ডিপো সিলেটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/বাপ্পা

  • সিনহা হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট নই : সেনাপ্রধান

    সিনহা হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট নই : সেনাপ্রধান

    কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ডকে জঘন্যতম ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

    সিনহা হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্টির সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

    বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ।

    সেনাপ্রধান বলেন, তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করলেও তা সফল হবে না। তবে মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি করার চক্রান্ত হয়েছে।

    এসময় উত্তেজনা কমাতে পুলিশ প্রধানসহ কক্সবাজার যাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

    অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেন কেউ সেনাবাহিনীর সাবেক বা কর্মরত কারও বিরুদ্ধে এমন কাজের দুঃসাহস না করে সেটি নিশ্চিতের আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।

    এর আগে তিনি সকালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ৬টি ইউনিটকে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পতাকা তুলে দেন তিনি। এসময় কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পাশাপাশি সালাম গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান।

    উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ‘গাড়ি তল্লাশিকে’ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

    এদিকে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মেজর সিনহা হত্যা দুই বাহিনীতে কোন প্রভাব ফেলবে না:সেনাপ্রধান-আইজিপি

    মেজর সিনহা হত্যা দুই বাহিনীতে কোন প্রভাব ফেলবে না:সেনাপ্রধান-আইজিপি

    টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা অফিসার সিনহা মো: রাশেদ হত্যা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ।

    তিনি বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত টিম কাজ করছে তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান তিনি।

    বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সেনা বাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ কক্সবাজারে যৌথ এক প্রেসব্রিফিং এ এই কথা বলেন।

    প্রেসবিফিং এ পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে সাবেক সেনা অফিসার খুনের ঘটনা দুই বাহিনীতে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে না।

    তিনি প্রশাসনের মাদক বিরোধী স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন- এলাকায় কারা মাদক ব্যবসা করে কারা মাদক পাচারে জড়িত আপনার জানেন। কারণ আপনারা এ এলাকার মানুষ। আপনারা তাদের চিহ্নিত করে দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারেন।

    জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। যে ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মর্মাহত। আমি আপনাদের মাধ্যমে যে মেসেজ দিতে চাই, তা হলো এটাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই।

    সেনাপ্রধান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি ‘জয়েন্ট ইনকোয়ারি টিম’ (যৌথ তদন্ত দল) গঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মাকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। তার কথার ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর আস্থা আছে। যে যৌথ তদন্ত দল গঠিত রয়েছে, তার ওপরও দুটি বাহিনীই আস্থাশীল।

    জেনারেল আজিজ বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরে, এমন কিছু হবে না। এ ঘটনা নিয়ে যেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত চিড় ধরানোর মতো ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকারও অনুরোধ করেছেন তিনি।

    পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে আইনের শাসন আছে। সংবাদমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বিচার বিভাগ মুক্ত। এ ঘটনা নিয়ে অনেকে উসকানিমূলক কথা বলার চেষ্টা করছেন। যারা উসকানি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।

    বেনজীর আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। মেজর (অব.) সিনহার মৃত্যুতে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হবে না। কমিটি প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। কমিটি যে সুপারিশ দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এর আগে আজ বুধবার (৫ আগষ্ট) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তাঁরা বিমানে তারা কক্সবাজার যান।

    দুই বাহিনীর প্রধান পরে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্টহাউস জলতরঙ্গতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হোন। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিএমএতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    বিএমএতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৭৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স এবং ৫৩তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে স্বল্প পরিসরে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    এ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৭৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৫৩ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের সর্বমোট ২৫৫ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ২৩১ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী অফিসার রয়েছেন, যারা সেনাবাহিনীর চলমান ‘অপারেশন কোভিড শিল্ড’-এ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

    ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার তামিম আহমেদ ৭৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন।

    এছাড়া কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার মাসরুফ হাসান নাঈম সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে ক্যাডেটগণ আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন এবং পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণ নবীন অফিসারদের র‌্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।

    এর আগে, সেনাপ্রধান প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), বিএমএ’র কমান্ড্যান্ট এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার তাকে অভ্যর্থনা জানান। উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারগণের পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণ এ বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইতালির সেনাপ্রধান করোনায় আক্রান্ত

    ইতালির সেনাপ্রধান করোনায় আক্রান্ত

    ইতালির সেনাপ্রধান সালভাতোর ফারিনা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ইতালির সংবাদ সংস্থা এজিআই জানিয়েছে, সেনাপ্রধান নিজেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

    তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আজ আমার পরীক্ষা করা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আমি নিজের বাসভবনেই আছি। ভালো আছি। আমার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি জেনারেল ফেডেরিকো বোনাতো দায়িত্ব পালন করবেন।

    এদিকে সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে ৯৭ জনের মৃত্যুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ১৭২ জন।

    ইতালিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পুরো দেশজুড়ে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জীবিকা নির্বাহ বা পারিবারিক জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরণের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের প্রাণ বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    এ ছাড়া লম্বারদিয়া অঞ্চলসহ আরও ১৪টি প্রদেশে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা দেন। রেড জোন এলাকার অধিবাসীরা কেউ সেখান থেকে বের হতে পারবেনা এবং নতুন করে অন্যত্র থেকে আসা ব্যক্তিরাও প্রবেশ করতে পারবে না। দেশটিতে পাব ও ডিস্কো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    সরকার থেকে বলা হয়েছে, কেউ যদি এই আইন অমান্য করে তবে ২০৬ ইউরো জরিমানা অন্যথায় ৩ মাসের জেল দেওয়া হবে।

    বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে সরকারের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

  • তাইওয়ানের সেনা প্রধান হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত

    তাইওয়ানের সেনা প্রধান হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত

    তাইওয়ানের পার্বত্য এলাকায় বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির সেনা প্রধান নিহত হয়েছেন।

    তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে এই দুর্ঘটনায় তিন মেজর জেনারেলসহ আট সিনিয়র কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একথা জানায়।

    এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেনা প্রধান শেন ই-মিং ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউএইচ-৬০এম হেলিকপ্টারটি তাইপে নগরীর কাছে পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। নতুন চন্দ্র বছরের প্রাক্কালে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইলান অঞ্চলের সৈন্যদের নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য উড্ডয়নের পর এটি বিধ্বস্ত হয়।

    এয়ার ফোর্স কমান্ডার সিউং হোচি সাংবাদিকদের জানান, ‘পাঁচজন বেঁচে গেলেও আমাদের আট সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং তাদের পরিবারের জন্যে রয়েছে আমাদের সমবেদনা।’

    প্রেসিডেন্ট তিসাই ইং ওয়েনের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার কারণে তিনি তিনদিনের জন্যে তার নিবাচনী প্রচারণা বন্ধ রাখবেন।