Tag: সেনাবাহিনী

  • সেনাবাহিনী একটা গুলিও ছোড়েনি: কাদের

    সেনাবাহিনী একটা গুলিও ছোড়েনি: কাদের

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কারফিউ জারির পর সেনাবাহিনী একটা গুলিও ছোড়েনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা জেলা কার্যালয়ে দলটির জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন তিনি।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, এই কারফিউ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত যখন দিলেন, সেনাবাহিনী নামল, আজ কতদিন? আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি একটা গুলিও ছোড়েনি। অথচ অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমরা যেনো হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলেছি।’

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেটও ওই রাতে ছিল। যদি কারফিউ জারি না হতো। এই প্ল্যান তাদের ছিল। ওই পরিকল্পনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছিল।’

    ‘শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর রাইড করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করতো। এটাই তো তাদের পরিকল্পনা।’- বলেন সেতুমন্ত্রী।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম করার কথা জানান দিচ্ছে। তাদের আহ্বানে তাদের দোসররা সাড়া দেবে এটাই স্বাভাবিক। মাথা যেদিকে যাবে লেজও সেদিকে অনুসরণ… এতে নতুনত্ব কিছু নাই। তবে তাদের আগুন সন্ত্রাসের ঐক্য দেশ ও দেশের উন্নয়ন ধ্বংসের ঐক্য।

    সরকার হতাহতদের পরিবারের পাশে আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার তাদের তাৎক্ষণিক সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতে যেনো স্বচ্ছলভাবে চলতে পারে সে ব্যবস্থা করছে। এই কাজ তো বিএনপি করে না। ফখরুল পারে শুধু হঠাৎ করে অন্ধকারে ঢিল ছুড়তে। তারা আছে বিবৃতির রাজনীতি নিয়ে, তারা মানুষের কাছে যায় না।

    মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিজ দলের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা যখন জামায়াতের দোসরদের সঙ্গে নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করে, দেশের সম্পদ ধ্বংস করে, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে, এটা কি মানবিক? মধ্যযুগের নির্মমতাকে হার মানিয়ে যখন আগুন সন্ত্রাসীরা লাশের ওপরও নির্যাতন চালায় একাত্তরের সেই বর্বরতা আবারও দেখাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। একাত্তরের প্রেতাত্মা এরা, হানাদারদের প্রেতাত্মা এরা।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট গাজীপুর থেকে চালু হওয়ার কথা। ৩৪টা এক্সেলেটর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যামনে চালু করব? জনগণ আজ উপলব্ধি করছে, মেট্রোরেল, এলিভেটেড চালু না থাকলে তারা কতটা কষ্টে থাকে। এই কষ্টটা আমরা দেইনি। দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। ক্ষমতার জন্য সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে।

    সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে অনেক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরগানাইজ করছেন আমরা জানি, তাদেরকে বলব কারও প্ররোচনায় বিবৃতি না দিয়ে এখানে এসে মেট্রোরেলের, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের, বিআরটিএর ধ্বংসলীলা দেখুন। বিআরটিসির ৪৪টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। সে দৃশ্যপট দেখুন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে, বিবৃতি চলছে, বিবৃতি যুদ্ধ চলছে দেশে-বিদেশে। যেখানে আজ ওয়ান ইলেভেনের মতো কুশীলব ড. ইউনুসও যোগ দিয়েছেন।

    ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আমরা আক্রান্ত, আক্রমণকারী নই। বিবৃতি আসছে আক্রান্তদের বিরুদ্ধে। আমরা আক্রমণকারী নই। আমাদের মেট্রো, বিআরটি, পদ্মাসেতুতেও কয়েকবার আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’ বলেন সেতুমন্ত্রী।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গাজীপুরের উত্তরায় জুয়েল মোল্লাকে হত্যা করে রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হয়েছে। এগুলো করেছে আক্রমণকারীরা। ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে ১৫ জনকে। এইসবের জন্য কারা দায়ী? শেখ হাসিনা আহতদের স্বজনদের পাশে যাচ্ছেন বিবেকের টানে, হৃদয়ের টানে। আপনাদের মতো মায়াকান্না করার জন্য নয়। বিবেক আর হৃদয়ের টানে তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য যা করতেন তার কন্যাও সে সহানুভূতি নিয়ে যাচ্ছেন।

  • মিয়ানমার ইস্যুতে সেনা ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মিয়ানমার ইস্যুতে সেনা ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও বাংলাদেশের সীমান্তে এর প্রভাব নিয়ে সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনা বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার ওয়াকিবহাল আছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আজ ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনার জন্য এবং তাদের ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় তাহলে অন্য ব্যবস্থা কী করা যায়, সেটাও হবে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারি বাহিনী (বিজিবি) রয়েছে তাদের ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বর্ডারের স্কুলটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

     

  • সেনাবাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে: সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে: সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের প্রতিটি সেন্টারেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ সেনাসদস্য পর্যন্ত সম্পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন।

    রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    নির্বাচনের পরে সহিংসতা হলে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম কী থাকবে এবং কতদিন পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা যদি হয় রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় যে দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হবে সম্পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবো। এছাড়া যতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার বলবেন ততদিন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।

    তিনি বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিবারসহ আমি ভোট দিয়েছি। সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। দেশের প্রতিটি সেন্টারেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাসদস্যরা কাজ করছে। রিটার্নিং অফিসাররা যখন যেখানে বলেছেন সেখানেই সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

  • ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামছে সেনা, থাকবে র‍্যাব-পুলিশ-বিজিবিও

    ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামছে সেনা, থাকবে র‍্যাব-পুলিশ-বিজিবিও

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে ১৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য বাহিনীগুলোও এসময়ে মাঠে থাকবে।

    এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৬ পরিপত্র জারি করেছে।

    সেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

    সেখানে আরও বলা হয়, নির্বাচনকালীন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও কোস্টগার্ড এবং সশস্ত্র বাহিনী ভোটের আগে-পরে ১৩ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।

    ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনী রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

    এছাড়া পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষাকারী সদস্যরা পাঁচদিনের জন্য মোতায়েন থাকবে। ভোটের আগের দুদিন থেকে তাদের মোতায়েন করা হবে।

    মেট্রোপলিটন এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ তিনজন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন থাকবে, আর গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ও অঙ্গীভূত আনসার থাকবে ১২ জন। বিশেষ এলাকার ভোটকেন্দ্রে (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায়) অস্ত্রসহ পুলিশ ২ জন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন থাকবে, আর গুরুত্বপূর্ণ ভোটবকেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ও অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন, গ্রাম পুলিশ থাকবে ২ জন। অন্যদিকে এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ৩ জন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন আর গ্রাম পুলিশ থাকবে ২ জন।

    পরিপত্রে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটগ্রহণের আগের দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন, ভোটগ্রহণের পরে একদিন এবং যাতায়াত ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজের জন্য একদিনসহ মোট পাঁচদিনের জন্য
    নিয়োজিত থাকবে।

    গ্রাম পুলিশ-দফাদার/মহল্লাদার প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে একজন ক্ষেত্রবিশেষে দুজন করে পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। তবে অঙ্গীভূত/সাধারণ আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণের জন্য একদিনসহ মোট ছয়দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।

    এতে আরও বলা হয়, পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপার স্থানীয়ভাবে গুরুত্ব বিবেচনায় রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজন অনুসারে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপির সদস্য সংখ্যা কম-বেশি করতে পারবেন। যতদূর সম্ভব নারী ভোটকেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নারী অঙ্গীভূত আনসার ও পুরুষ ভোটকেন্দ্রে পুরুষ অঙ্গীভূত আনসার নিয়োগ করতে হবে।

    পরিপত্রে বলা হয়, নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র‍্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা হবে। আনসার ব্যাটালিয়ন সহযোগী ফোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে। বাহিনীসমূহ আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৩ দিন নিয়োজিত থাকবে।

    এছাড়া বিজিবি/আর্মড পুলিশ/আনসার ব্যাটালিয়ন জেলা/উপজেলা/থানাসমূহে এবং কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এলাকাসমূহে দায়িত্ব পালন করবে। আনসার ব্যাটালিয়ন সেকশন ফরমেশন অনুযায়ী সহযোগী ফোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।

    নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলাসহ সব বাহিনী রিটার্নিং অফিসারের কাছে রিপোর্ট করবে এবং রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।

  • সেনাবাহিনীকে জনগণের আস্থা বজায় রাখার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

    সেনাবাহিনীকে জনগণের আস্থা বজায় রাখার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

    জাতির পিতার হাতে গড়া সেনাবাহিনী জনগণের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে তা ধরে রাখার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার (২২ জুলাই) সকালে সেনাবাহিনীর দফতরে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৩’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রযুক্তির পাশাপাশি সেনাসদস্যদের পেশাগত মানোন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একইসাথে যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচিত করার নির্দেশ দেন। দেশের যে কোনো দুর্যোগে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ নেন। সে সাথে পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।

    এই সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৩ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লে. কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

  • দেশের প্রতিটি প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর অবদান গৌরবজনক : প্রধানমন্ত্রী

    দেশের প্রতিটি প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর অবদান গৌরবজনক : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। দেশের প্রতিটি প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর গৌরবজনক অবদান রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে করোনা অতিমারী মোকাবেলা করেছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব মন্দার কবলে পড়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের গৌরবদীপ্ত ৭৫ বছর পূর্তিতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আয়োজিত প্লাটিনাম জুবিলী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন- যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। এই নিয়েই দেশ গঠন করবো। আমিও আহ্বান জানাবো মাটি ও মানুষের এই শক্তিকে কাজে লাগানোর। সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। যার যতোটা জমি আছে, তাতে ফসল উৎপাদন করতে হবে। নিজেদের শক্তিতে আমরা বর্তমান মন্দা পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো।

    এর আগে বুধবার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সেনাপ্রধান ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৩ এবং ১০ম টাইগার্স পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন।

    তিনি এই রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় রেজিমেন্টের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গৌরবময় অতীতের ন্যায় সদা প্রস্তুত থাকতে সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।

  • সাফজয়ীদের ১ কোটি টাকা তুলে দিল সেনাবাহিনী

    সাফজয়ীদের ১ কোটি টাকা তুলে দিল সেনাবাহিনী

    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে সাফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সাবিনা-সানজিদারা। এই চ্যাম্পিয়ন মেয়েদেরকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সব ফুটবলার এবং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ক্রেস্ট, উপহার সামগ্রী এবং ১ কোটি টাকার চেক প্রদান করা হয়।

    গত ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমুন্ডুতে সাফের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে লাল-সবুজের দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এই সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ আসর।

    সাফে জিতে গত বুধবার দেশে ফেরার দিন কয়েকটি সুখবর পেয়েছেন সাবিনারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাবিনাদের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সমান ৫০ লাখ করে দেবেন বাফুফের দুই সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুঁইয়া ও সালাম মুর্শেদী।

    এ ছাড়া জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে দেশে ফেরার পর চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ পুরস্কার তুলে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে : সেনাবাহিনী

    বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে : সেনাবাহিনী

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিছু কনটেইনারে কাপড়ের জিনিসপত্র আছে। এই জিনিসে পানি দেওয়া হলে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আপত দৃষ্টিতে ভয়ের কিছু নেই বলে আমি মনে করি।

    মঙ্গলবার (৭ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোর সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।

    তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। ডিপোর ভেতরে বিপদজনক কিছু আছে কি না তারা তা নিয়ে কাজ করছেন। সরেজমিন তারা পরিদর্শন করছেন। তাদের সঙ্গে স্পেশাল লোকজন আছেন। তারা বিষয়গুলো দেখছেন। তাদের কাছে ফাইনাল রিপোর্ট পাব। তাদের কাছ থেকে জানতে পারব কোনো বিপদ হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না। আপাত দৃষ্টিতে আমরা বলতে পারি, ডিপোর আগুন পুরোপুরি কন্ট্রোলে চলে এসেছে। এখন কিছু ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভয়ের কিছু নেই বলে আমি মনে করি।

    তিনি আরও বলেন, এখানে যাতে আর হতাহতের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টিকে আমরা প্রথম গুরুত্ব দিচ্ছি। যে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে সেগুলোর কাছে কম যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আর কোনো হতাহত চাইনি।

    শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এ বিস্ফোরণে হতাহত হন।

    এ ঘটনায় ৪১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

  • শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু সিনহা হত্যা মামলার

    শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু সিনহা হত্যা মামলার

    সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিনে ১২নং সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা সার্জেন্ট আয়ুব আলীকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

    বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে তৃতীয় দফায় ১২নং সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা সার্জেন্ট আয়ুব আলীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এছাড়া মামলার সাক্ষী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শাহীন আবদুর রহমান আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।

    এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার প্রথম দফায় ১নং সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা ৪ দিন দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে আদালত। এ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

    গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‍্যাবকে। ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।

    ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

    পরে র‍্যাব পুলিশের দায়ের মামলার ৩ সাক্ষি এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।

    গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

    গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষি করা হয় ৮৩ জনকে।

    এন-কে

  • সিনহা হত্যা মামলা: আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শী

    সিনহা হত্যা মামলা: আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শী

    সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে সপ্তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

    সোমবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টায় থেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সপ্তম সাক্ষী আব্দুল হামিদের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে তৃতীয় দফায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতে সাক্ষ্যদানের জন্য আরও তিনজন সাক্ষী উপস্থিত রয়েছেন।

    এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

    গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে আরও চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় সপ্তম সাক্ষিসহ আরও ৭৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

    ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‍্যাবকে।

    ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

    পরে র‍্যাব পুলিশের দায়ের মামলার ৩ সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।

    গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

    গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

    এন-কে

  • আফ্রিকায় ফরাসি সেনাদের হাতে আইএস নেতার মৃত্যু

    আফ্রিকায় ফরাসি সেনাদের হাতে আইএস নেতার মৃত্যু

    আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সাহারা অঞ্চলভিত্তিক শাখার (আইএসজিএস) প্রধান নিহত হয়েছেন। ফরাসি সেনাবাহিনীর চালানো এক অভিযানে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

    বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ হত্যার খবর নিশ্চিত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

    নিহত আইএস নেতার নাম আদনান আবু ওয়াহিদ আল–সাহারাবি। টুইটারে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, সাহেল অঞ্চলে সন্ত্রাসী দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা আমাদের আরেকটি বড় সাফল্য।

    তবে ফরাসি সেনাবাহিনীর চালানো এই অভিযান সম্পর্কে তিনি আর বেশি কিছু জানাননি।

    ২০১৭ সালে পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারে এক সন্ত্রাসী হামলায় চার মার্কিন সেনা নিহত হন। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় নাইজারের আরও চার সেনার। এর পর থেকেই সাহারাবি যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে ছিল।

    ২০২০ সালে ফ্রান্সের ছয় দাতব্যকর্মী হত্যার পেছনেও হাত ছিল এই আইএস নেতার।

    এন-কে

  • লকডাউনে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী-বিজিবি

    লকডাউনে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী-বিজিবি

    করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগামীকালকে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আমাদের তথ্য অফিসার সেটি জানিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের জন্য আমরা কঠোর বিধিনিষেধ দেব, প্রয়োজন হলে আমরা সেটি আরও বাড়াব।

    তিনি বলেন, এটি যাতে কঠোরভাবে প্রতিপালন হয়, সেজন্য বেশ কড়াকড়ি থাকবে। পুলিশ এবং বিজিবি থাকবে। এক সপ্তাহের জন্য সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থাকার সম্ভাবনা আছে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না। তবে বাজেটের যে বিষয়টি আছে, এ সংক্রান্ত যে কার্যক্রমগুলো আছে, এনবিআর এবং ব্যাংক সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। তাছাড়া সবই বন্ধ থাকবে।

    তিনি বলেন, জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সবই বন্ধ থাকবে। আমরা কড়া লকডাউন দিতে চাই, বলেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    এর আগে সন্ধ্যায়, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে পরবর্তী সাত দিন সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে।

    তিনি বলেন, লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

    জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।