Tag: সেনাবাহিনী

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী: ভাটিয়ারীতে ৩শ রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে সেনাবাহিনী

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী: ভাটিয়ারীতে ৩শ রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে সেনাবাহিনী

    কামরুল ইসলাম দুলু : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছর ব্যাপী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়ার উদ্যেগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়েছে।

    আজ সোমবার(২২ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীস্থ হাজ্বী টি.এ.সি উচ্চ বিদ্যালয়ে উক্ত চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

    সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল চট্টগ্রাম ও মিলিটারি ডেন্টাল সেন্টার চট্টগ্রাম এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন । এতে প্রথমে প্রসূতি মায়েদেরকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। এরপর তাপমাত্রা ও ওজন পরিমাপ করা হয়। পরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ পত্র দেওয়া হয়।

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ লে.কর্নেল আহসান খালেদ এএমসি, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল মুক্তা সরকার এএমসি, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল অঞ্জনা চক্রবর্তী এএমসি, ডেন্টাল সার্জন মেজর কে.এস. এম বায়েজীদ এএমসি এবং মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন রাফি উস হাসান এএমসি। ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সরফরাজ হায়দার এর দিক নির্দেশনায় পরিচালিত উক্ত মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিন শতাধিক গরীব, দূস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও বিনা মূল্যে ঔষধ, টুথ ব্রাশ ও টুথ পেষ্ট বিতরণ করা হয়। উক্ত ক্য্যম্পিং পরিদর্শন করেন ষ্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী ইফতেখার-উল-আলম, এনডিসি, পিএসসি এবং মিলিটারি ডেন্টাল সেন্টারের কমান্ড্যন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আবদুল বারী মল্লিক, এফসিপিএস। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আর্চায্য, ইউপি সদস্য অহিদুল আলম, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু, সাইফুল মাহমুদ প্রমূখ।

  • সততার সঙ্গে সেনা সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    সততার সঙ্গে সেনা সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    মানুষের কল্যাণে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সেনাবাহিনীর নবীন সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ২০৪১ সালের উন্নত দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে সেনা সদস্যদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে যেন দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও কল্যাণে সর্বদা কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনা সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুর্যোগ দুর্বিপাকসহ সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীকে দেশের উন্নতিতে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। নবীন সেনা সদস্যদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে।

    অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে পার্সিং আউট ক্যাডেটদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি তোমাদের জাতির পিতা হিসাবে আদেশ দিচ্ছি, তোমরা সৎ পথে থেকো, মাতৃভূমিকে ভালোবাইসো। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবা, গুরুজনকে মেনো, সৎ পথে থেকো, শৃঙ্খলা রেখো, তা হলে জীবনে মানুষ হতে পারবা”।’

    সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি যখন তোমাদের মাঝে আসি, আমার মনে হয় আমিও তোমাদের পরিবারেরই একজন। কাজেই তোমাদের প্রতি সব সময় আমার দোয়া থাকবে, আশীর্বাদ থাকবে। তোমরা দেশ সেবা করবে। দেশের মানুষদের জন্য কাজ করবে।’

    সেনাবাহিনীতে কর্তব্যরতদের দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে-বিদেশে আমাদের সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই সর্বক্ষেত্রে তারা দক্ষ থাকবে, উপযুক্ত থাকবে, আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হবে; যেন সারাবিশ্বের যেখানেই যাবে সেখানেই তারা দেশের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে পারে। এদিকে সজাগ থাকতে হবে।’

    করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ সময় সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তিনি।

  • দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ প্রদান

    দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ প্রদান

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জেলার দীঘিনালায় প্রত্যন্ত এলাকার সহস্রাধিক দরিদ্র অসহায় রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ দিয়েছে দীঘিনালা সেনাজোন। মঙ্গলবার দিনব্যাপি উপজেলার বাবুছড়ামুখ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ সেবা পদান করা হয়।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, দুরুত্ব বজায় রেখে টোকেন দেওয়া, চিকিৎসাসেবা, রোগী দেখা, এবং ঔষধ বিতরন করা হচ্ছে। তার আগে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা থেকে আগত রোগীদের শৃংখলার মধ্যে রেখে জীবানুনাশক ঔষধ স্প্রে এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়।

    চিকিৎসা নিতে আসা বাঘাইছড়িমুখ এলাকার মনিকা চাকমা (৫০) জানান, তিনি ২মাস যাবত হাত-পায়ের জয়েন্ট ব্যাথায় ভুগছিলেন। এখানে এসে অতি সহজে চিকিৎসাসহ বিনামূল্যে ঔষধ পেয়ে খুবই উপকৃত হয়েছেন।

    একই অনুভূতি জানান, নৌকাছড়া এলাকার সমিতা চাকমা (৩৮)। এছাড়া সাধনাটিলা এলাকার রিসা চাকমা (২৮) জানান, তিনি এসেছেন দুই বছর বয়সি সন্তান তিস্তা চাকমাকে ডাক্তার দেখাতে, তিনি নিজেও রোগী।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও ৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাপনায় দীঘিনালা জোনের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ১হাজার ২০জন রোগীকে চিকিৎসা প্রদানে ৫টি বুথে ৫জন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। তার মধ্যে ৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের ২জন চিকিৎসক ডাঃ মেজর রাশা রহমান ও ডাঃ ওয়াজেদুল মাহমুদ আসিফ, দীঘিনালা জোনের ডাঃ ক্যাপ্টেন আহসান হাবিব নোমান এবং দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান। সাথে ছিলেন উপসহকারি চিকিৎসা কর্মকর্তাগন।

    মেডিকেল ক্যাম্পিং এর সমন্বয়ক জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর মোঃ সাকিব হোসেন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আওতায় দীঘিনালায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দূর্গম এলাকার দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা এবং ঔষধ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ চৌধুরী

  • কর্ণফুলীতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

    কর্ণফুলীতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

    নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় শিশু এবং বয়স্ক মহিলাদের ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে শূন্য থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের বিনামূল্য ঔষধ বিতরণ ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।

    সোমবার (৮নভেম্বর) সকালে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের বিনামূল্যে এ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।

    বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ পদাধিক ডিভিশনের উদ্যমী বীর ব্যাটালিয়ন এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরফরাজ, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য শফিউল আলম, ইউপি সদস্যা রেহেনা আক্তার আখি, আলমগীর হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, ইয়াসির আরাফাত, পিঙ্কু শীল, জ্যাক মামুন, আকিব জাবেদ ও প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সেনাবাহিনী দেশের প্রয়োজনে সবসময় প্রস্তুত: সিলেটে সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী দেশের প্রয়োজনে সবসময় প্রস্তুত: সিলেটে সেনাপ্রধান

    সিলেট প্রতিনিধি : সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের প্রয়োজনে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে সেনাবাহিনী।একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখন্ডতা তথা জাতীয় যে কোনও প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

    বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট সেনানিবাসে নতুন চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

    ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সিলেট সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান।

    এ সনয় সেনাপ্রধান আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সময় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী খুবই গুররুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। করোনাকালীন সেবা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তবে সব প্রশিক্ষণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেনা সদস্যদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ জুবায়ের সালেহীন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৭৫ ফিল্ড এম্বুলেন্স, ২ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এবং অর্ডন্যান্স ডিপো সিলেটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/বাপ্পা

  • আট বছর কোমায় থেকে কর্নেল পদে পদোন্নতি, সেনাবাহিনীর মানবিক দৃষ্টান্ত

    আট বছর কোমায় থেকে কর্নেল পদে পদোন্নতি, সেনাবাহিনীর মানবিক দৃষ্টান্ত

    কিছু সম্মান অমূল্য। তেমনি কিছু ভালোবাসার হয়না কোনো প্রতিদান। এমন সম্মান কিংবা ভালোবাসা হয়তো সবার ভাগ্যে জোটে না ঠিকই, তবে কেউ কেউ জন্মান কিছুটা সৌভাগ্যবান হয়েই। তেমনই এক সেনা কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজা। দীর্ঘ প্রায় আটটি বছর কোমায় থেকেও পেলেন পদোন্নতি। হাসপাতালের বিছানাতেই তাকে পরানো হয় ব্যাচ।

    ২০১৩ সালের ১১ মার্চ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার। এরপর মস্তিষ্কের কিছু অংশ হারিয়ে ফেলে কার্যক্ষমতা। চলে যান কোমায়। সেখানেই কেটে গেছে জীবনের প্রায় আটটি বছর। পুরো সময় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) অফিসার্স ওয়ার্ডের নন্দকুঁজা নামের একটি কক্ষে চিকিৎসাধীন তিনি। হাত-পা নাড়াতে পারলেও গভীর কোমায় আচ্ছন্ন।
    লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়া সেনাবাহিনীর চৌকস এই কর্মকর্তা কর্মক্ষম থাকলে হয়তো পৌঁছে যেতেন সাফল্যের কাঙ্ক্ষিত শিখরে। কিন্তু জীবনের এক নির্মম বাস্তবতা তাকে দেয়নি সেই সুযোগ। তবে বাহিনীর প্রতি তাছাওয়ারের অবদান ভুলে যায়নি সেনাবাহিনী। বিদায় লগ্নে বিরল এক সম্মান পেলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজা। গত সোমবার (১২ অক্টোবর) তাকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদ থেকে কর্নেল হিসেবে পদোন্নতির সম্মানে ভূষিত করা হয় তাকে।

    বাহিনীর এই সম্মাননায় গর্বিত মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজার জীবন সঙ্গী মোসলেহা মুনীরা রাজা ও তাদের তিন সন্তান।

    মোসলেহা মুনীরা রাজা বলেন, তার স্বামী চাইতেন তাদের দুই ছেলে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিবেন। সন্তানেরাও নিয়োজিত হবেন দেশের সেবায়। কিন্তু স্বামীর অসুস্থতার পর সবকিছু পাল্টে গেলেও দেশপ্রেমিক বাবার আদর্শেই বড় হচ্ছে তিন সন্তান। মুনীরা আশাবাদী একদিন তার স্বামী সুস্থ হয়ে উঠবেন। ফিরে পাবেন স্বাভাবিক জীবন।

    পরিবারের সদস্যদের সাথে কর্নেল দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজা

    সিএমএইচের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ মজুমদার জানান, ‘কর্নেল দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজার এ অসুস্থতাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় হাইপোস্কিক স্মিমিক ইনজুরি টু ব্রেইন ইফেক্টস। হার্ট অ্যাটাকের পর হার্ট ফিরে আসলেও, ব্রেইন ফিরে আসেনি। ব্রেইনের নিচের অংশ ভালো। কিন্তু বাইরের যে অংশগুলো আমাদের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে জড়িত সেই এরিয়ার সেলগুলো পুনরুজ্জীবিত হয়নি। এজন্য জীবন চালানোর জন্য বেসিক বডির প্রটেকটিভ সিস্টেম ভালো থাকলেও হাইয়ার সাইকোলজিক্যাল ফাংশনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

    এ অবস্থা থেকে মুক্তির সুসংবাদ দিতে না পারলেও সিএমএইচ সবসময় তাছাওয়ার রাজার পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজা বাউল শিল্পী হাছন রাজার বংশধর। ১৯৮৯ সালের ২৩ জুন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাজোয়া বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীন ইরাক-কুয়েত ও ২০০৭ সালে সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করেন। প্রায় অর্ধ শতাধিক দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

    চাকরি জীবনের ব্যস্ততার মাঝেও লেখালেখিতে হাত পাকিয়েছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ তাছাওয়ার রাজা। কবি হাছন রাজার জীবন ও কর্ম নিয়ে হাছন রাজা সমগ্র, মেজর জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে নিয়ে ‘ও জেনারেল মাই জেনারেল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসসহ একাধিক বই লিখেছেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাউজানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাউজানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক সহযোগিতায় গহিরা সাজেদা কবির চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ করা হয়।

    চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চট্টগ্রাম সি.এম.এইচ এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মেজর এন.এম ফরহাদুজ্জামান। সমন্বয়ক ছিলেন ১৮ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স এর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ।

    চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি কাউন্সিলর কাজী মো. ইকবাল, সহ-সভাপতি ও স্কুলের সভাপতি ইরফান আহমেদ চৌধুরী, পৌর আ.লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সহ- সম্পাদক সাইদুর রহমান চৌধুরী, পৌর যুবলীগ নেতা ফরহাদ ইসলাম, শিপুল চৌধুরী প্রমূখ।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে আসা রোগীদের জীবানু নাশক স্প্রে করা হয়। পরে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ঔষধ ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় অনেকে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, আবার ঝুঁকির বিবেচনায় হাসপাতালে যেতে চান না! তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা আগামী ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত চলমান থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/নেজাম

  • সব দিকে নজর রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

    সব দিকে নজর রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী যারা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাদের সন্মানটা বজায় রেখেই তারা যেন আমাদের সেই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। সব দিকে নজর রেখে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি এবং সেই ধরনের ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। সেই সাথে বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছি যাতে সব ধরনের ট্রেনিংটা আমাদের সকলে পায়। আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন একটা সশস্ত্র বাহিনী আমরা গড়ে তুলতে চাই। আর সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

    দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী তারাই যেন দায়িত্ব পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা দায়িত্ব পেলে ভবিষ্যতে দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

    সোমবার সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২০ উপলক্ষে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‍মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু খাতা কলমেই বেশি নম্বর পাওয়া না, যারা ফিল্ডে ভাল কাজ করতে পারে, কমান্ড করতে পারে, নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা আছে কি না, বা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেবার মতো ক্ষমতা আছে কি না সেই মানসিকতা আছে কিনা সেগুলো আপনাদের বিচারে আনতে হবে।

    তিনি বলেন, এই দেশ স্বাধীন করেছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বে যারা বিশ্বাসী, যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী নিশ্চয়ই তাদের সেই আদর্শ নিয়েই চলতে হবে। দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী হবে তারাই যেন দায়িত্ব পায়। যাতে সঠিক পথে বাংলাদেশেটাকে তারা ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই আমাদের যে সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচন পর্ষদ, এই নির্বাচন পর্ষদে ভবিষ্যতে যারা প্রমোশন পাবে তাদেরকে আপনারা নির্বাচিত করবেন। বর্তমানে যেমন সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য আধুনিক পদ্ধতি অর্থাৎ ট্রেস ট্যাবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কমপারেটিভ ইভালুয়েশন এর মাধ্যমে আপনারা কারা প্রমোশন পাওয়ার উপযুক্ত সেই দক্ষতা কার কতটুকু আছে তার তুলনামূলক মূল্যায়ন করে আপনারা সিদ্ধান্ত নেন। সেই সাথে সাথে সে সকল অফিসার সামরিক জীবনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদেরকে আপনারা অবশ্যই বিবেচনা করবেন। সেটা আমি চাই। আর যে কোন একজন অফিসার বা কর্মকর্তা তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের পেশাগত মান, তাদের যোগ্যতা সম্পন্ন এবং তাদের দক্ষতা এটা বিবেচ্য বিষয় হবে সেটা অগ্রাধিকার আপনারা দেবেন।

    তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী একটা সুশৃঙ্খল বাহিনী। এই সুশৃঙ্খল বাহিনীতে যারা পদোন্নতি পাবে তারা সব সময় একটা শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চলতে পারে। কারণ শৃঙ্খলাটাই হচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা মেরুদন্ড হিসেবে কাজ করে। কাজেই শৃঙ্খলা সম্পর্কে যারা যথেষ্ট সচেতন, অনুগত, তারা যেন উপরে যারা থাকবে তাদের প্রতি অনুগত থাকবে, আবার অধনস্তনদের ব্যাপারে দায়িত্ববান হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে প্রসূতি মায়েদের ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে সেনাবাহিনী

    সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে প্রসূতি মায়েদের ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে সেনাবাহিনী

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের হাজ্বী টি.এ.সি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রসূতি মায়েদের ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    আজ বুধবার (৮ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী প্রসূতি মায়েদের উক্ত চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৮০ জন গর্ভবতী মায়ের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

    এছাড়া বিনামুল্যে প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ সরবরাহ, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিসহ দুস্থ অসহায় প্রসূতি মায়েদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সৌজন্যমূলক পুষ্টিকর খাবারও উপহার দেওয়া হয়।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন এর উদ্যোগে এই মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

    এ চিকিৎসা ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের এর গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. মাহমুদা আশরাফী ফেরদৌসি।

    প্রথমে প্রসূতি মায়েদেরকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। এরপর তাপমাত্রা ও ওজন পরিমাপ করা হয়। পরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ পত্র দেওয়া হয়।

    উক্ত ক্যাম্পেইনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আর্চায্য, প্রেসক্লাব সভাপতি সুমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন মাসুম, মোঃ মাঈন উদ্দিন, অহিদুল আলম প্রমূখ।

    এব্যাপারে ১৮ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সরফরাজ হায়দার বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বছরব্যাপী সারাদেশে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া সদর দপ্তর এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ১৮ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ও সিএমএইচ চট্টগ্রামের যৌথ উদ্যেগে বিভিন্ন এলাকায় গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছেন। তারই অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ডে মোট তিনটি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩০০ জন গর্ভবতী নারীকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি বিনামুল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শসহ ফেসিয়াল মাস্ক ও পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সীতাকুণ্ডে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ৪৯ প্রসূতি নারীকে চিকিৎসা সেবা

    সীতাকুণ্ডে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ৪৯ প্রসূতি নারীকে চিকিৎসা সেবা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের মছজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয় প্রসূতি মায়েদের ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    আজ রোববার (২১ জুন) সকাল ৯ টা থেকে দিনব্যাপী প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন এর উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পেইনের প্রথম আজ অনুষ্ঠিত হয়।

    ক্যাম্পেইনের সমন্বয় করছেন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

    মছজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের চারটি কক্ষকে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে প্রসূতি মায়েদেরকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। এরপর তাপমাত্রা ও ওজন পরিমাপ করা হয়। পরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ পত্র দেওয়া হয়।

    চিকিৎসা সেবা দেন চট্টগ্রাম সিএমএইচ এর গাইনি বিভাগের চিকিৎসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. মাহমুদা আশরাফী ফেরদৌসি।

    ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর চলাকালীন সময়ে প্রসূতি মায়েরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ঝুঁকির জন্য অনেকে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে চান না। তাই সেনাবাহিনী এই উদ্যেগ নিয়েছে। প্রথম দিনে ৪৯ জন প্রসূতিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে কোন প্রসূতি মায়ের যদি শরীরের তাপমাত্রা বেশি হয় এবং তারা যদি করোনা সাসপেক্ট হন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে সিএমএইচ পাঠিয়ে করোনা টেস্ট করা হয়।

    আগামী বুধবার কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা দেবেন বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা

    পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:করোনা সংকট কালে কর্মহীন, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন লংগদু জোনের উদ্যোগে লংগদু, মাইনীমুখ, করল্যাছড়ি ও ইয়ারাংছড়ির দূর্গম এলাকার দুস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

    সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয় সেনা সদস্যরা। সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিজস্ব রেশন থেকে চাল, ডাল, আটা, তেল, পেয়াজ, আলু, বিস্কুটসহ নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য বিতরণ করা হয়।

    লংগদু জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মিরাজ হায়দার চৌধুরী জানান, করোনা মহামারীর সংকটাপন্ন পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষের পাশে আর্ত মানবতার সেবা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন শি জিনপিং

    সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন শি জিনপিং

    চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন।

    লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই তিনি এ নির্দেশ দিলেন।

    মঙ্গলবার বেজিংয়ে সংসদীয় অধিবেশনের সময় ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্স’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বসেন শি জিনপিং।

    সেখানে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি।

    যদিও চীনা প্রেসিডেন্ট কোনো বিশেষ দেশ বা প্রতিপক্ষের নাম উল্লেখ করেননি।

    তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের বাতাবরণে শি’র বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি।

    ‘জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি’র বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    শি জিনপিং বলেন, সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি।

    চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    আনন্দবাজার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত ও তিন সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

    তার আগে মোদি ও রাজনাথ সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আগামীকাল সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজমুকুন্দ নরবণেও বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় তৎপর রয়েছে ভারত। তাদের দাবি, ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে এও জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ভারত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    গত কয়েক দিন ধরেই লাদাখ ও উত্তর সিকিমের সীমান্তরেখায় ভারত ও চীনের সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই বাড়ছে।

    গত ৫ মে ২৫০ চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে।

    ওইদিন ভারতীয় ও চীনা সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড, লাঠি নিয়ে। এমনকি পাথর ছোড়াও হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনারাই।

    প্রসঙ্গত লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ। প্রায় তিন হাজার ৪৮৮ কিলোমিটারজুড়ে চীন-ভারত সীমান্ত অবস্থিত।

    দিল্লির দাবি, ২০১৫ সাল থেকে চীনা সেনারা দফায় দফায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই প্রকৃত সীমান্ত রেখা লংঘনের ঘটনা ঘটেছে চারটি জায়গা দিয়ে। এর মধ্যে তিনটি অবস্থিত পূর্ব লাদাখে ও একটি পশ্চিম সেক্টরে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর