Tag: সেনাবাহিনী

  • সেনাবাহিনী কাল থেকে মাঠে নামবে

    সেনাবাহিনী কাল থেকে মাঠে নামবে

    দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক বিষয় হিসেবে আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে মাঠে নামবে সশস্ত্রবাহিনী। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তার জন্য তারা নিয়োজিত থাকবে।

    সোমবার (২৩ মার্চ) বিকালে করোনাভাইরাস নিয়ে সচিবালয়ে জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

    এর আগে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুলিশ ও হাসপাতাল ছাড়া সব ধরনের সরকারি সেবা বন্ধ থাকবে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি, এর সঙ্গে ২৭-২৮ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। এর সঙ্গে ২৯ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ৩-৪ এপ্রিল আবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার সব খোলা থাকবে।

    ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, তথ্যসচিব, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

    গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে মহামারী আকারে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ ছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৯৯ হাজার মানুষ।

    বাংলাদেশে এই পর্যন্ত ৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন।

  • চসিক নির্বাচনে নিরস্ত্র সেনাবাহিনী থাকবে

    চসিক নির্বাচনে নিরস্ত্র সেনাবাহিনী থাকবে

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে সেনাবাহিনী উপস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম।

    শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই সংক্রান্ত দিকনির্দেশনামূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা নির্বাচনের সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আপনার ভোট আপনি কেন্দ্রে গেলেই দিতে পারবেন। কোনো ঝামেলা হবে না, এটুকু আশ্বস্ত আমরা করতে পারি। কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকবে, তবে তারা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখবেন।

    তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। যা চলবে পুরো মাসব্যাপি। এরপর রোজা এবং ঈদ-উল-ফিতর রয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকালে চট্টগ্রাম শহরে নির্বাচন কল্পনাও করা যায় না।

    এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কখনও আমরা সেনা মোতায়েন করিনি। এবারও করবো না। কিন্তু কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকবে এবং সেটা পোশাকে। তবে অস্ত্র থাকবে না। তারা শুধুমাত্র ইভিএম এর টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখবেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন খান, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান, বশির আহমদ, রাঙামাটি সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসাইন, খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন।

  • বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও যখন প্রবৃদ্ধি অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে, তখনও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ:প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও যখন প্রবৃদ্ধি অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে, তখনও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ:প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতি মুক্ত করে দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তাঁর সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন অনুশীলন-প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, নিরাপদে থাকুক, উন্নত জীবন পাক-সেই লক্ষ্যই আমরা বাস্তবায়ন করছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতাকালে সেনা সদস্যদের কর্তব্য নিষ্ঠা এবং দেশপ্রেম সম্পর্কে সচেতন করতে এ সময় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর প্রথম কোর্স সমাপনীতে ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণের চুম্বক অংশ উদ্বৃত করেন।
    জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, এই স্বাধীনতা নিশ্চয়ই ইনশাআল্লাহ থাকবে, কেউ ধ্বংস করতে পারবেনা। তবে স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে না পারো। সেই জন্য তোমাদের কাছে আবেদন রইল সৎ পথে থেকো।’
    জাতির পিতার কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে এ কথা বলেছিলেন। তবে, এটা শুধু সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র জাতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।’

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত এই প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ স্বাগত বক্তৃতা করেন।

    এরআগে, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনুশীলন (মহড়া) ‘অপারেশন বিজয় গৌরব’ প্রত্যক্ষ করেন।

    স্বাধীনদেশে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার গুরু দায়িত্ব ‘সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী যেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারে এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে সেভাইে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যার শুভফল ইতোমধ্যেই সকলে পাচ্ছেন।’

    শেখ হাসিনা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘বহুদেশে শান্তি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশপাশি সামাজিক কাজেও যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী ভূমিকা রাখছে।’

    ‘দেশের অনেক উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত হয়ে সেনা সদস্যরা ভূয়শী প্রশংসা কুড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক উন্নয়নের কাজ তাঁদের দিয়ে আমরা করাতে পারছি এবং তারা করে যাচ্ছে। এভাবে দেশের একদিকে যেমন স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অনেক অবদান রেখে যাচ্ছেন আমাদের সেনা সদস্যরা।

    তিনি সকল সেনা সদস্যকে এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানান।

    তিনি বলেন, অন্যকোন দেশের সৈনিকরা ততটা মানবিকতা দেখায় না, যতটা আমরা বাঙালিরা দেখাতে পারি। কাজেই সেইদিক থেকে আমি মনে করি প্রশিক্ষণ এবং সমরাস্ত্রের দিক থেকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত আমাদের সশস্ত্র বাহিনী হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি এবং উদ্যোগ নিয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ না করে বলেন, ‘শুধু এটুকুই বলবো আমাদের সীমিত সম্পদ দ্বারা যতটুকু সম্ভব তা আমরা করে যাচ্ছি।’

    বাংলাদেশ রেজিমেন্ট সহ তিনটি পদাতিক বাহিনী আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দক্ষিণাঞ্চল এক সময় অবহেলিত ছিল। সেখানে কোন সেনানিবাস ছিলনা। সেখানেও আমরা সেনানিবাস করে দিয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেন তার আলোকে তাঁর সরকার ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্বাবধানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশন এই শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনুশীলনের আয়োজন করে।

    বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।

    আধুনিক ট্যাংক, এপিসিএস, মিগ ফাইটার প্লেন এবং তিন সশস্ত্র বাহিনীর এমআই হেলিকপ্টারগুলো অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে। যেখানে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী এবং শত্রু বাহিনীর মধ্যে ছদ্ম যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে মহড়া সমাপ্ত হয়।

    ২২২ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব শত্রুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বিজয় অর্জনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিজয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানান।

    স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর সচিবগণ এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    এরআগে, প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপে (পূর্বের নাম জাহাইজ্জার চর) পৌঁছলে সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাঁকে স্বাগত জানান।

    পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেনান্ট জেনারেল মো. শামসুল হক এবং প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান দ্বীপের উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

    প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে নির্মিত ও বাস্তবায়িত তিনটি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার, পরিকল্পিত বনায়ন প্রকল্প এবং এক মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ’৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীতে আধুনিক সরঞ্জাম সন্নিবেশিত করে একে আরো যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয় এবং উন্নয়ন যাত্রায় কোন প্রতিষ্ঠান যেন পিছিয়ে না থাকে, তারও উদ্যোগ গ্রহণ করে।

    ‘সশস্ত্র বাহিনীকে তাঁর সরকার আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব থেকে বেশি প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। কেননা একটি আধুনিক বাহিনী গড়ে তোলায় এটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।’

    এজন্যই অতীতে জলদস্যু প্রবণ এই দ্বীপটিকে (স্বর্ণদ্বীপ) সেনাবাহিনীর উন্নত প্রশিক্ষণ এবং খোলামেলাভাবে মহড়া করার জন্য ২০১৩ সাল থেকে বরাদ্দ করেছেন এবং এর নামও পরিবর্তন করে দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    তিনি চরটির আধুনিকায়নে সেনা সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, জাহাইজ্জার চরকে স্বর্ণদ্বীপে রূপান্তরিত করার জন্য আমি সেনা সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাই এবং এখানে যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে। আমরা তা করবো।

    তিনি বলেন, আমাদের তিন বাহিনীর জন্যই প্রত্যেকটি হেড কোয়ার্টারে আমরা ্একটি করে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স করে দিয়েছি এবং সেখানে প্রশিক্ষণের আরো সুযোগ করে দিয়েছি। শিক্ষা-দীক্ষা, প্রশিক্ষণ-সবদিক থেকেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরা উন্নত হোক সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।

    শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ভিত্তিতে বর্তমানে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলছে এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ১০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম সেটা বাস্তবায়ন শেষে ২০ বছর মেয়াদি (২০২১-৪১) প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

    শতবর্ষ মেয়াদি ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র প্রসংগও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

    তিনি এ সময় দেশের দারিদ্রের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের সময়ে দারিদ্র আরো কমিয়ে আনার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি, সেই অনুষ্ঠান চলাকালে আরো দেড় থেকে দু’ভাগ এবং পরে আরো অন্তত তিনভাগ দারিদ্র যদি কমিয়ে আনতে পারি তাহলেই দেশকে আমরা দারিদ্র মুক্ত করতে পারবো।’

    সরকারের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচিতে সেনা সদস্যদের অবদান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সকলকে অন্তত একটি ঘর তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের ‘আশ্রায়ন প্রকল্প’ও শুরু হয় সেনা সদস্যদের সহায়তায়।

    তিনি এ সময় তাঁর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি, দেশের সকল বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তক প্রদান, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের উল্লেখ করেন।

    সরকার প্রধান বলেন, সমাজের কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে এবং উন্নয়নের সুফলটা যেন একদম গ্রামের তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছায়, সেটা নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলছে বলেই তাঁর সরকার দেশের এত উন্নয়ন করতে পারছে। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ ভাগে উন্নীত করতে পেরেছে।

    তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও যখন প্রবৃদ্ধি অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে, তখনও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ নয়, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে সেনাবাহিনী-সেনাপ্রধান

    রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ নয়, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে সেনাবাহিনী-সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ নয় শুধুমাত্র কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে দেবে সেনাবাহিনী। কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য এখন পরিকল্পনা চলছে। সেটি শেষ হলেই এ বেড়া নির্মাণের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করবে সেনাবাহিনী।

    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। তার দিকনির্দেশনায় সেনাবাহিনীতে আধুনিকায়নের কাজ চলছে।

    তিনি আজ রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় মেরিন ড্রাইভের নিদানিয়া এডি ফায়ারিং রেঞ্জ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত অরলিকন রাডার কন্ট্রোলড গানের পরীক্ষামূলক ফায়ারিং অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেছেন।

    সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি রোহিঙ্গা নারীকে সেনাবাহিনী সদস্য কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। সে ব্যাপারে আমরা একজন ব্রিগেডিয়ার কি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    সকাল ১০ টায় সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ উখিয়ার ইনানীর নিদানিয়া হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের ধারায় সংযোজিত অরলিকন রাডার কন্ট্রোল গানের পরীক্ষামূলক ফায়ারিং এডহক ৪৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারির ব্যবস্থাপনায় নিদানিয়া এডি ফায়ারিং প্রত্যক্ষ করেন।

    এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত বিশ্বখ্যাত অরলিকন রাডার কন্ট্রোল গান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামাদির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আকাশ প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র সংযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা আরো একধাপ এগিয়ে গেল।

  • যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান

    যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, যেকোন হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসে আর্মার্ড কোর সেন্টার এন্ড স্কুলে ৬ষ্ঠ সাঁজোয়া কোর পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘ স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত। শান্তি মিশনে আমাদের সদস্যরা সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।’

    হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার রূপকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, সেনাবাহিনী সাঁজোয়া কোরের সদস্যরা ‘প্রাণ দেব, মান নয়’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত। এই কোরের সদস্যরা দেশের অভ্যন্তরীণ যেকোন দুর্যোগময় মূহুর্তে ও জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সাথে অংশগ্রহন করেছে।

    জেনারেল আজিজ বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে এই কোরের সদস্যদের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতায় অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও যুগোপযুগি ও আধুনিক হয়ে গড়ে উঠবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এর আগে তিনি ৬ষ্ঠ সাঁজোয়া কোর পূর্নমিলনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ আর্মার্ড কোর এর অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরীরত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে প্রেসব্রিফিংকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখক রোহিঙ্গা এসেছে মিয়ানমার থেকে। তাদের সীমিত জায়গার মাঝে রাখা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে বিদেশেসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই ৭টি ক্যাম্প সুরক্ষা, তাদের অবাধ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য সেনাবিাহিনী কাজ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হবে। নিরাপত্তা দেয়াসহ তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

  • উপজাতী সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ১ সেনা গুলিবিদ্ধ

    উপজাতী সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ১ সেনা গুলিবিদ্ধ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গহীণ অরণ্যে লক্ষ্মীছড়ি জোনের সেনাবাহিনী ও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সাথে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

    ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে কুমারী, বটটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

    লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আনিসুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে মানিকছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে এক উপজাতীয় সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ, একটি এসএমজি, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। নাম জানা না গেলেও একজন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

    জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরে অবস্থান নিশ্চিত হলে লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আনিস ও ক্যাপ্টেন নাসির এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিত টের পেয়ে এলোপাতারি গুলি বর্ষন করে সেনাবাহিনীর উপর।

    সন্ত্রাসীদের গুলিতে লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আনিস আহত হয়। তিনি ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তার নাম ও পরিচয় জানা যায় নি। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমজি, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকছড়ি থানার অফিসার(তদন্ত) মো. মাসুদ করীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিকছড়ি হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মহিউদ্দীন আহত সেনা কর্মকর্তার চিকিৎসা দেন।

    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ থেমে গেলেও ঘটনাস্থলে সেনা অভিযান চলছে। তবে এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    আরো:: চকরিয়ার মালুমঘাটে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা/আলমগীর হোসেন/রাজীব..