Tag: সেন্টমার্টিনে

  • সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবি : আরো দুই রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

    সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবি : আরো দুই রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবির ঘটনায় ছেঁড়াদ্বীপ থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেন্টমার্টিনের ছেঁডা দ্বীপের পশ্চিমাংশ থেকে ভাসমান মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি মধ্য বয়সী পুরুষের। ধারণা করা হচ্ছে- গত ১১ ফেব্রুয়ারি ট্রলারডুবির ঘটনায় তারা নিখোঁজদের মধ্যে ছিলেন। কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. নাঈম উল হক এই তথ্য জানান।

    নাঈম উল হক জানান, সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল দেয়ার সময় দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাগরে ভাসমান দুটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কাঠের বোটে করে মরদেহ দুটি টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের জন্য নেয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, নৌপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার আশায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাতে টেকনাফের মহেশখালীয়াপাড়া এলাকা দিয়ে ট্রলারে ওঠে শতাধিক রোহিঙ্গা। সেন্টমার্টিন উপকূলে গিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি।

    মালয়েশিয়াগামীদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। দালালদের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন উপকূল পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলারটি ডুবে গেলে ভাসমান অবস্থায় ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। একই সঙ্গে আরও ৭৩ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

    উদ্ধার হওয়াদের মতে- ট্রলারে আরও অন্তত ৫০ রোহিঙ্গা ছিল। তাদের খোঁজে টানা অনুসন্ধান চালালেও শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায় এক নারীর, শনিবার সকালে এক নারীর ও রাতে এক পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। এর দুদিন পর সোমবার আরও দুজনের মরদেহ পাওয়া গেল।

  • কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি : ১২ নারী ও তিন শিশুর মৃত্যু

    কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি : ১২ নারী ও তিন শিশুর মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : কক্সবাজারে ট্রলার বোঝাই করে প্রায় ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে মালেয়শিয়া যাবার পথে টেকনাফে বঙ্গোপসাগরের ছেঁড়াদ্বীপের কাছেই ডুবে গেছে ট্রলারটি।

    এতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। নিহতদের মধ্যে ১২ জন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে এবং সবাই রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।

    ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে জানিয়ে এখন পর্যন্ত ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বললেন সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার নাইম উল হক।কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি

    তিনি বলেন, সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সোমবার গভীর রাতে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রলার ডুবে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় ডুবুরি, নৌ বাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।

    জানা যায়, গতকাল রাতে দালালের হাত ধরে টেকনাফ উপকূল দিয়ে দুটি ট্রলারে প্রায় আড়াইশ যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে সাগরের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    সেন্টমার্টিন নৌ বাহিনীর অফিসার ইনচার্জ লে কমান্ডার এস এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফের নোয়াখালী নামক ঘাট থেকে ট্রলারটি ছেড়েছিল। স্থানীয় ২ জন দালালের হাত ধরে প্রায় ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে মালেয়শিয়া যাবার পথে টেকনাফের ছেঁড়াদ্বীপের কাছে ট্রলারটি ডুবে যায়।

    আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার এবং পাশাপাশি ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করার তথ্য নিশ্চিত করে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে বললেন এ কর্মকর্তা।

    উদ্ধার হওয়া জীবিত কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা হলে তারা জানায়, দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে বের হয়ে তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ২ দালালও ছিলো। তারা লাইফ জ্যাকেট পড়ে থাকায় ট্রলার ডুবির সাথে সাথেই তারা সাঁতরে পালিয়ে যায়।

  • সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে করে ফিরছেন পর্যটকরা

    সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে করে ফিরছেন পর্যটকরা

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া কিছু পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে টেকনাফে ফিরেছেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চারটি স্পিডবোট ও তিনটি কাঠের ট্রলার নিয়ে দেড় শতাধিক পর্যটক টেকনাফে পৌঁছান। এর মধ্যে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছেন।

    এর আগে সকালে পর্যটকদের আনতে টেকনাফ থেকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজ তিনটি এরই মধ্যে দ্বীপে পৌঁছেছে।

    বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রলারে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাটে পৌঁছান পর্যটক তৌহিদ আলম। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পর আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় আমরা বন্ধুরা মিলে কাঠের ট্রলারে করে এসেছি। দুই দিন দ্বীপে আটকা ছিলাম। দ্বীপটি সাগরের মাঝখানে হওয়ায় ভয়টা খুব বেশি কাজ করছিল। তবে সেখানকার প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন অনেক সহযোগিতা করেছেন। এখন ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

    তার মতে, সকাল থেকে কাঠের ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে দেড় শতাধিকের মতো পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন টেকনাফ এসেছেন।

    তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘আসার সময় নাফ নদীর মাঝখানে পর্যটকবাহী জাহাজ দ্বীপের দিকে যেতে দেখেছি। আমাদের আনতে জাহাজ যাবে জানলে ট্রলার নিয়ে আসতাম না। কেননা সাগরে এখনও ঢেউ রয়েছে।’

    এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর আহমদ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, চারটি স্পিডবোট ও তিনটি কাঠের ট্রলারে কিছু লোকজন টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছেছেন। দুপুরে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের নিতে আসা জাহাজ পৌঁছেছে। তাদের ভালোমতো জাহাজে তুলে দেওয়া হবে। তাদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’

    টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে জাহাজ দ্বীপে পৌঁছেছে। বিকালে তাদের নিয়ে টেকনাফে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে কিছু লোকজন ট্রলারে করে টেকনাফে এসেছেন বলে খবর পেয়েছি। জাহাজ পাঠানোর পরও কেন ট্রলারে করে লোকজন আসছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

  • চঞ্চল চৌধুরীকে বন্দী করে রাখল বুলবুলি

    চঞ্চল চৌধুরীকে বন্দী করে রাখল বুলবুলি

    বিনোদন ঘন্টা : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কবলে সিনেমার শুটিং বন্ধ রয়েছে। সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন ছবির নায়ক চঞ্চল চৌধুরীসহ অন্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

    জানা যায়, নির্মিত হচ্ছে সিনেমা “হাওয়া”। সমুদ্রের জেলেদের গল্প নিয়ে হবে এ সিনেমা। মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছবির কাহিনি।

    এটি নির্মাণ করছেন মেজবাউর রহমান সুমন। গল্পের প্রয়োজনেই কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনে ছবির দৃশ্যধারণ করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই শুটিং চলছিল সেন্ট মার্টিনের গভীর সমুদ্রে।

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কবলে নায়ক চঞ্চল চৌধুরীসহ অন্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা এখন বন্দি।

    চঞ্চল চৌধুরী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে বাতাসের আওয়াজ আর সাগরের গর্জনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সকাল পর্যন্ত এই পরিস্থিতি ছিল।

    শনিবার দুপুরের পর থেকে আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এখন হোটেলে আড্ডা দিয়ে, গল্প করে সবাই সময় কাটছে। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

    নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে, তাই কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। সবাই হোটেলের ভেতরেই আছেন। সঙ্গে পর্যাপ্ত খাবার আছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

    তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিনের রাস্তাঘাটও জনমানব শূন্য। সবাই নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন নাফিজা তুশি, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, রিজভি, নাসির, মাহমুদসহ টিমের অনেকেই।

    তিনি বলেন, ছবির বেশির ভাগ শুটিং শেষ হয়ে গেছে। আপাতত শুটিং বন্ধ। আরো কয়েকদিন শুটিং করতে হবে। আবার কবে শুটিং শুরু করবো, বুঝতে পারছি না।

    ইসলাম, কক্সবাজার

  • কক্সবাজারে পর্যটকরা হোটেল বন্দি,সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে

    কক্সবাজারে পর্যটকরা হোটেল বন্দি,সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে

    ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : ‘বুলবুল’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। উত্তাল রয়েছে সাগর। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি পূর্ণিমা থিতির জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে সাগরের জোয়ারের পানি বেড়েছে ৭-৮ ফুট।

    কক্সবাজারের সর্বত্র গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে হোটেলেই বন্দি সময় পার করছেন টানা তিনদিনের জন্য বেড়াতে আসা পর্যটকরা। ঘরবন্দি হয়ে আছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

    অপরদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় ১২০০ পর্যটক। তবে তারা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ।

    তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, বুলবুলের প্রভাবে যে কোনো দুর্যোগকালীন মুহূর্তে স্থানীয়দের পাশাপাশি আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে সাইক্লোন শেল্টার এবং বহুতল ভবনগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পর্যটকদের আহার ও আবাসন নির্বিঘ্ন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়া না কাটা পর্যন্ত তাদের দেখভাল করা হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

    তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দ্বীপেও বৃষ্টির পাশাপাশি হালকা বাতাস রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে।

    ঢাকা থেকে পরিবার-পরিজন মিলিয়ে ২৫ জনের দল নিয়ে তিনদিনের জন্য কক্সবাজারে ঘুরতে আসা মাহমুদুল হাসান। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বেড়াতে এসে এখন হোটেল রুমে বন্দি হয়ে আছি। কক্সবাজারে সংকেত কম হলেও বৈরী আবহাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে টিমের নারী ও শিশু-কিশোররা বের হতে ভয় পাচ্ছে। তাই কোথাও ঘুরা হচ্ছে না।

    পর্যটকদের মাঝে তরুণরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বালিয়াড়িতে ঘুরলেও বেশিরভাগ পর্যটক হোটেল কক্ষেই সময় কাটাচ্ছে।

    কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, দুপুর ১২টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা গতিবেগ রয়েছে ১৩০ কিলোমিটার। যেটি দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে।

  • সেন্টমার্টিনে আটকে আছে ১২০০ পর্যটক, পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন

    সেন্টমার্টিনে আটকে আছে ১২০০ পর্যটক, পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারনে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৪নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতে পারেনি প্রায় ১২০০ পর্যটক।

    আজ শুক্রবার সকালে টেকনাফ জাহাজঘাট থেকে কোন পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। সে হিসেবে প্রবাল দ্বীপে আটকে থাকা পর্যটকেরা আজ ফিরতে পারছেনা।

    দ্বীপের আবাসিক হোটেলগুলোতে তারা নিরাপদে অবস্থান করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে গন্তব্যে ফিরবে আটকে পড়া পর্যটকেরা।

    সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য হাবিব খান মুঠোফোনে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে টেকনাফ ফিরেনি। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা আটকে গেছে।

    তবে, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছে। সেন্টমার্টিন থেকে না ফেরা পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ১২০০ হবে বলে জানান হাবিব মেম্বার।

    সমুদ্রে ৪ নং সতর্ক সংকেত থাকায় সেন্টমার্টিনগামী কোন জাহাজ আজ শুক্রবার না ছাড়তে নির্দেশ জারী করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে জারিকৃত এই নোটিশ যথারীতি সংশ্লিষ্ট জাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত মতে আজ শুক্রবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে কোন জাহাজ ছাড়েনি।

    গতকাল বৃহস্পতিবার অনেক পর্যটকের টিকিটের টাকা ফেরত দেয় জাহাজ কর্তৃপক্ষ। এতে করে মৌসুমের শুরুতেই একটি ধাক্কা খেলো পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

    সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবাসিক কটেজ সী প্রবালের মালিক আব্দুল মালেক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ৮-১১ নভেম্বর এই ৪ দিন তার কটেজ বুকিং ছিলো। ইতোমধ্যে অনেক পর্যটক সেন্টমার্টিন গিয়ে পৌঁছেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল।

    উল্লেখ্য, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে বর্তমানে কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন, দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান ও এমভি বে-ক্রুজার চলাচল করছে।