Tag: সেমিফাইনাল

  • নাটকীয় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পিএসজি

    নাটকীয় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পিএসজি

    এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের যাত্রার সমাপ্তি প্রায় দেখে ফেলেছিল পিএসজি। রেফারির ঘড়ির কাঁটা তখন ৯০ ছুঁই ছুঁই, তখনও আটালান্টার বিপক্ষে ১-০’তে পিছিয়ে পিএসজি। ৯০তম মিনিটে মার্কুইনোস এক গোল দিয়ে সমতায় ফেরালেন দলকে। তখন অতিরিক্ত সময়ে গড়াচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু নাটকীয়তার শেষ তখনই নয়। শেষ মুহুর্তের জন্য তোলা ছিল নেইমার-এমবাপেদের কাছে। এরিক চুপো মোটিং ৯৩ মিনিটে আরেকবার আটালান্টার জালে বল জড়ালেন। আর তাতেই হৃদয় ভাঙল আটালান্টার। এবং সেই সঙ্গে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেল পিএসজি।

    ইউরো ক্লাব ইন্ডেক্স বলছিল কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচে জয়ের সম্ভবনা দুই দলেরই প্রবল। একছত্র আধিপত্য দেখাতে পারবেনা কোনো দলই। দুই দলের মধ্যে ৪৭ দশমিক ০৩ শতাংশ জয়ের সম্ভবনা আটালান্টার আর ৫২ দশমিক ৯৭ শতাংশ জয়ের সম্ভবনা পিএসজির। লিসবনে দেখা মিললো সেটাই। ধারাভাষ্যকরের ভাষায় ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ এট ইটস বেস্ট।’ ইতালির ইতিহাস গড়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসে কোয়ার্টার ফাইনালে আটালান্টা। আর পিএসজির সঙ্গে ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত লড়াই। শেষ মুহুর্তে মার্কুইনেসের গোলে সমতায় আর চুপো মোটিংয়ের গোলে জয় নিশ্চিত।

    খাতা কলমে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও ছেড়ে কথা বলেনি আটালান্টাও। পৃথিবীর সবচেয়ে রক্ষণাত্মক লিগে খেলেও মুড়ি মুড়কির মতো গোল করা আটালান্টা রুপকথা গড়েই ফেলেছিল। তবে শেষ মুহুর্তের দুই গোলে হাতছাড়া সেমি। ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকা এরপর তিন মিনিটের নাটকীয়তা! আর পিএসজির জয়।

    লিসবনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভবনা ছিল প্রবল। তবে জয়ের বাজি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর পক্ষেই ছিল। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার দল নয় আটালান্টাও। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে বিশ্বের নজর কাড়া আটালান্টার আক্রমণভাগের ওপর নজর ছিল তাই সকলের। আর তা ম্যাচ জুড়ে দেখিয়েছেও। পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচের ২৭ মিনিটে মারিও পাসালিচের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় আটালান্টা। ডুভান জাপাতার অ্যাসিস্ট থেকে গোল আসে আটালান্টার। আর এভাবেই শেষ হয় প্রথামার্ধ।

    তবে এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেই যেন মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ ছিন্ন ভিন্ন করতে শুরু করে আটালান্টার রক্ষণ। তবে কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। ক্রিকেটের ভাষায় ‘ঠিক ব্যাটে বলে যেন মিলছিল না।’ আর তাই তো অপেক্ষা বাড়তে থাকলো আর আটালান্টা স্বপ্ন বুনতে থাকল। ইনজুরিতে পড়ে আটালান্টার বিপক্ষে ম্যাচে খেলা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে শেষ মুহুর্তে দলের সঙ্গে থাকলেও প্রথমার্ধে ছিলেন না মাঠে। আর তার অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টেরও পেয়েছে পিএসজি। এমবাপে আর ডি মারিয়ার অনুপস্থিতিতে চাপটা যেন বেশিই ছিল নেইমারের কাঁধে।

    চাপের মুহুর্তে দলকে ঠিকই কক্ষপথে রেখেছিলেন নেইমার। তবে বাজে ফিনিশিংয়ের কারণে প্রথমার্ধে আর সমতায় ফিরতে পারেনি পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে আটালান্টা আর তাতেই টুঁটি চেপে ধরে নেইমাররা। আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে একের পর এক সুযোগ হারানোর মহড়া দেওয়া পিএসজিকে গুণতে হচ্ছিল মাশুল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এমবাপে তখনও ১-০ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পিএসজি।

    পিছিয়ে থাকলে হাল ছাড়েনি এমবাপেরা। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্ত পর্যন্ত চালিয়ে গেছেন লড়াই। আর ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় এই ম্যাচ জিততে পিএসজি ঠিক কতটা মরিয়া।

    আটালান্টার গোল বরাবর ১৭টি শট ১৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। তবে সুযোগ হারানোর মহড়ায় গোল হাতছাড়া হয় নেইমারদের। আর তাই তো হাতছাড়া হতে বসেছিল সেমিফাইনালের টিকিট। তবে ফুটবলে শেষের আগে শেষ বলে যে নেই কিছু তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল পিএসজি।

    রেফারির ঘড়ির কাঁটায় তখন ৯০ মিনিট চলছে, আর চতুর্থ রেফারি তখন অতিরিক্ত সময় হিসেবে যোগ করেছেন ৫ মিনিট। অর্থাৎ ম্যাচে ফিরতে পিএসজির আছে মাত্র পাঁচ মিনিট। ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান নেইমার, তবে জমাট বাধা রক্ষণে শট না নিয়ে বল বাড়িয়ে দেন ছয় গজের ভেতরে সেখান থেকে মারকুইনেসের শট। আর গোল! ৯০ মিনিটে এসে ম্যাচে সমতায় ফিরল পিএসজি।

    ধারাভাষ্যকররা গলা ফাটাচ্ছেন ম্যাচ গড়াচ্ছে অতিরিক্ত সময়ে। তবে নেইমার-এমবাপেদের ভাবনায় ছিল অন্যকিছু। ম্যাচের তখন ৯৩ মিনিট চলছে, নেইমার পাস থেকে বল পেয়ে যান এমবাপে। আর ঠান্ডা মাথায় ডি বক্সের ভেতরে মাটি কামড়ানো পাস সতীর্থ চুপো মোটিংয়ের উদ্দেশে বাড়িয়ে দেন এমবাপে। আর ডি বক্সের ভেতর থেকে বল জালে জড়াতে এক চুল ভুল করেননি মোটিং। ব্যাস ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৯৩ মিনিটে এসে ২-১ গোলে এগিয়ে পিএসজি। আর এর কিছু সময় পরেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। তাতেই নেইমার-এমবাপেদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাউজানে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেমিফাইনালে গড়দুয়ারা আলোকন সংঘ

    রাউজানে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেমিফাইনালে গড়দুয়ারা আলোকন সংঘ

    রাউজান প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাউজানে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় হাটহাজারী গড়দুয়ারা আলোকন সংঘ ট্রাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে নোয়াজিশপুর খেলোয়াড় সমিতিকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়েছে।

    বিজয়ী দলের শফিক ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে পাঁচ হাজার টাকার প্রাইজমানি লাভ করেন।

    ২১ ফেব্রুয়ারী রাউজান সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই খেলায় দেশ বিদেশের খেলোয়ারের অংশ গ্রহন করেন।

    খেলা শেষে টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আহসান হাবীব চৌধুরী হাসানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক সুমন দে-তপন দে এর যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্ল্যাহ, আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, ইরফান আহামেদ চৌধুরী, কামরুল হাসান বাহাদুর, টূর্ণামেন্টের আহবায়ক পৌর প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জানে আলম জনি, চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, সুকুমার বড়ুয়া, নুরুল ইসলাম চৌধুরী শাহাজান, জসিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মফজ্জল হোসেন, সারজু মোঃ নাছের, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শওকত হোসেন, মুছা আলম খান, সেকান্দর হোসেন, দিদারুল আলম, আরিফুল হক চৌধুরী, আবু ছালেক, ইমরান হোসেন ইমু, ছাত্রলীগ নেতা জিল্লুর রহমান মাসুদ, অনুপ চক্রবর্তী, মোঃ আসিফ, ওয়াহেদ বাবলু, ইমরান হোসেন জীবন, মোঃ রাশেদ হোসেন, রাজু দে, মোবারক হোসেন রাব্বি, বেলাল হোসেন সিফাত প্রমুখ।

    আগামী ২৩ তারিখ আনোয়ারা খেলোয়াড় সমিতি বনাম ফরহাদাবাদ খেলোয়াড় সমিতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

  • প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

    প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

    আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। যুবাদের বিশ্ব আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার শেষ চারে জায়গা করে নিল টাইগাররা।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পচেফস্ট্রুমে স্বাগতিক দলকে ১০৪ রানের পরাজয়ের স্বাদ দেয় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রোটিয়ারা গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে ধীর-স্থির ভঙ্গিতে খেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমন। তার বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। তবে তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে খেলে যান ইমন। দুজনই পূর্ণ করেন অর্ধ-শতক।

    অর্ধ-শতক তুলে নেন শাহাদাত হোসেনও। তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬১ রান।

    দলের পক্ষে তামিম ৮৪ বলে ৮০, শাহাদাত ৭৬ বলে ৭৪ ও হৃদয় ৭৩ বলে ৫১ রান করেন। এছাড়া ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক আকবর। দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের পক্ষে ফেকো মলেটসেন দুটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৩৪ রানে। ওপেনার খানিয়া কোটানিকে সাজঘরে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। সাকিব ও শরিফুল ইসলামের সাথে প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার রকিবুল হাসান। মূলত রকিবুলের ঘূর্ণিতেই খেই হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

    অবশ্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লুক বিউফোর্ট। তবে তার একক প্রচেষ্টা সফল হয়নি সতীর্থদের সঙ্গহীনতায়। ৯০ বলে ৬০ রান করে দলের পক্ষে একমাত্র উল্লেখযোগ্য স্কোর তার। এছাড়া ৩৪ রান আসে জনাথন বার্ডের ব্যাট থেকে। শেষপর্যন্ত ৪২.৩ ওভার ব্যাট করে প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে ১৫৭ রানে। বাংলাদেশ পায় ১০৪ রানের জয়।

    বাংলাদেশের পক্ষে রকিবুল একাই শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া সাকিব দুটি এবং শরিফুল ও শামিম একটি উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: দক্ষিণ আফ্রিকা

    বাংলাদেশ ২৬১/৫ (৫০ ওভার)
    তামিম ৮০, শাহাদাত ৭৪, হৃদয় ৫১
    মলেটসেন ৪১/২, ভ্যান ভুরেন ৪৬/১

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৭ (৪২.৩ ওভার)
    বিউফোর্ট ৬০, বার্ড ৩৫, লিস ১৯
    রকিবুল ৩২/৫, সাকিব ৪১/২, শরিফুল ২৮/১, শামিম ৩৬/১

    ফল: বাংলাদেশ ১০৪ রানে জয়ী।