Tag: সৈয়দপুর

  • সৈয়দপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা,গ্রেপ্তার ২

    সৈয়দপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা,গ্রেপ্তার ২

    এম,আই সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরের গৃহবধূ আকলিমা বেগমকে (২৫) ধর্ষণের পর হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়েছে সিগারেটের ফয়েল পেপারের সূত্র ধরে।

    ওই গৃহবধূর মরদেহের সঙ্গে পাওয়া একটি সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে হত্যা রহস্য উম্মোচন হয়েছে।

    জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম-পিপিএম) শনিবার(২৯ আগস্ট) দুপুরে তার সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মৎস্য খামারের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে গত ২৩ আগস্ট সকালে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়।মরদেহের কোমরে পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। ডার্বি সিগারেটের ফয়েল পেপারে ওই সুইসাইড নোটটিতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না’।পরে পুলিশ জানতে পারে তার নাম আকলিমা বেগম (২৫)। তিনি কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর মেয়ে। প্রায় আট বছর আগে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হাবরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামের (২৮) সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের রয়েছে এক ছেলে দুই মেয়ে। ছেলের বয়স ৬ বছর। এক মেয়ের বয়স ১৮ মাস, আরেক মেয়ের বয়স ২ মাস। পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী শরিফুল ইসলাম সন্তানদের রেখে ঘটনার ১২ দিন আগে আকলিমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

    এ অবস্থায় আকলিমা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বাবার বাড়িতেও পরিবারের লোকজন তাকে মেনে না নিয়ে গালমন্দ করে। এতে ক্ষোভে ও দুঃখে আকলিমা ২২ আগস্ট বাবার বাড়ি থেকে বের হয়ে কামারপুকুর মৎস্য খামার এলাকায় ঘুরতে থাকেন। সেখানে একই গ্রামের কাঙ্গালু পাড়ার আনারুল ইসলাম (৩৫), শুভ (২০) ও হৃদয় (১৮) তাকে ডেকে নিয়ে খাবার ও টাকা দিতে চাইলেও ওইগৃহবধূ তাতে রাজি না হলে তারা তাকে জোরপূর্বক একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আকলিমা ঘটনার কথা প্রকাশের হুমকি দিলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা চালায়। সে চেষ্টায় আনারুল নিজ হাতে সুইসাইড নোট লিখে আকলিমার কোমরে গুঁজে দেয়।

    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, নিহত আকলিমার মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে গত ২৩ আগস্ট নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলামকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা তার স্বামীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করি। এরপর সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে ওই এলাকায় ডার্বি সিগারেট পান করেন এমন ৫০ থেকে ৬০ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করি। সুইসাইড নোটের লেখার সঙ্গে তাদের হাতের লেখা মেলানোর চেষ্টা করি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করি। একপর্যায়ে আনারুল ইসলামের হাতের লেখার সঙ্গে সুইসাইড নোটের লেখা মিলে যায়। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি ঘটনায় তিনজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে আমরা শুভকেও গ্রেপ্তার করি। তারা দু’জন গত শুক্রবার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। এ ঘটনায় জড়িত হৃদয়কেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

    তিনি বলেন, আকলিমা বেগমের এমন পরিণতির জন্য তার স্বামী শরিফুল ইসলামকেও দায়ী করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, মেয়েটি স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় পেল না, ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় পেল না, বাইরের সমাজও তাকে জায়গা দিল না। যে কারণে তাকে ওই নির্মম পরিণতির শিকার হতে হলো।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান, সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজমিরুজ্জামান প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিয়ের ৫ মাসেই শ্বশুরবাড়িতে লাশ হলেন নববধূ

    বিয়ের ৫ মাসেই শ্বশুরবাড়িতে লাশ হলেন নববধূ

    নীলফামারী প্রতিনিধির:বিয়ের মাত্র সাড়ে ৫ মাসে শ্বশুড়বাড়িতে লাশ হলো নববধূ শম্পা রানী।

    রবিবার (৭ জুন)স্বামী অনিবাশ চন্দ্র সরকারের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া থেকে ওই নববধূর লাশ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল।

    শম্পা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা বাসুদেব পাড়া গ্রামের জোতিষ চন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বামী অনিবাশ চন্দ্র সরকার কুড়িগ্রামে ব্র্যাকে কর্মরত। সে বাবা মায়ের পছন্দে শম্পাকে বিয়ে করলেও তার কর্মস্থলে স্ত্রীকে নিয়ে যায়নি।

    শম্পার শ্বশুড় সতিষ চন্দ্র সরকার জানান শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় পুত্রবধু শম্পা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এরপর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

    খবর পেয়ে শম্পার বাবা জোতিষ চন্দ্র দাস ও আত্নীয়স্বজনরা এসে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর থানায় খবর দেয়।

    নিহত শম্পার বাবা জানান,মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলে বাড়িতে আগুন লাগার নাটক করেছেন। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই ।

    শম্পার মামা অভিজিৎ দাস মিঠু বলেন, বাড়িতে আগুন লাগার যে ঘটনা তারা উল্লেখ করছেন সেটা যে সাজানো তা আগুনে পোড়া ঘরের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায়। বলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু তাতে ঘরের নিচের অংশে কোন কিছুুই পুুড়ে নাই। শুধুমাত্র উপরের চালের কাঠ ও টিন পুুড়ে গেছে। এমনকি ঘরের অন্যান্য জিনিষপত্র সামান্যতম ক্ষতিগ্রস্থও হয়নি। মুলতঃ তারা সন্ধ্যা রাতেই শম্পাকে র্নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আগুনের নাটক করে। তারা মামলা না করার জন্য সালিশ বৈঠকের জন্য চাপ দিচ্ছে। অথচ বিয়ের সময় আমরা মেয়ের সুখের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা মূূল্যের স্বর্নালংকার ও ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করা হয় ছেলে পক্ষকে। এরপরেও আমাদের মেয়ের লাশ দেখতে হলো! আমরা টাকার বিনিময়ে মিমাংসা নয়, এ্ই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

    সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, নিহত গৃহবধূর বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।রবিবার বিকেলে শম্পা রানীর মরদেহ লাশ জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • সৈয়দপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু

    সৈয়দপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু

    নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে এই প্রথম সাঈদ (৩৫)নামের দুই সন্তানের এক জনকের মৃত্যু হয়েছে।

    রবিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টায় শহরের নয়াটোলা মহল্লার নিজবাড়িতে তার মৃত্যু হয়।সে ওই এলাকার সিদ্দিক স্বর্নকারের ছেলে।

    জানা যায়, ঈদের আগে সে জরুরী কাজে ঢাকা গিয়েছিল। ঢাকা থেকে ফিরে অসুস্থ হলেও বিষয়টি চেপে রাখে। এরপর জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা বৃদ্ধি পেলে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) তার নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুরের আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠায়।

    কিন্তু রবিবার(৩১মে) বিকাল পর্যন্ত সেই রিপোর্ট আসেনি। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলেমুল বাশার জানান, সাঈদের করোনা উপসর্গ ছিল বলে নমুনা নেয়া হয়েছিল।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও সৈয়দপুরবাসীর জন্য সতর্কমূলকও। যেহেতু মৃত ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে যদিও তার রিপোর্ট পজিটিভ না নেগেটিভ তা জানা যায়নি তবে দাফন কাফন প্রশাসনের উদ্যোগে সম্পন্ন করা হবে। সে সাথে তার পরিবার ও আশপাশের লোকজনেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।

    তিনি সৈয়দপুরবাসীকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুুুজন

  • সৈয়দপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ট্রাক চালকের মৃত্যু

    সৈয়দপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ট্রাক চালকের মৃত্যু

    নীলফামারী প্রতিনিধি::: নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরশাদ হোসেন (৩৫) নামে এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৭ মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানায়, সৈয়দপুর চামড়া গুদাম নিবাসী হযরতের ছেলে আরশাদ হোসেন (৩৫) সৈয়দপুর টার্মিনাল এলাকায় একটি গ্যারেজে নিজের ট্রাকের চাকা পাল্টানোর কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ বিদ্যুতের লাইনের তার ছিঁড়ে ট্রাকের ওপর পড়লে আরশাদ হোসেন বিদ্যুতায়িত হয়ে ঝলসে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুরে নিয়ে যাওয়ার পথেই আরশাদ হোসেনের মৃত্যু হয়। আরশাদ হোসেন নিজেই তার ট্রাক চালাতেন।

    সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/সুজন

  • নকল ওষুধের সন্ধান:সৈয়দপুরে ল্যাবরেটরীজ মালিকের এক বছর কারাদণ্ড

    নকল ওষুধের সন্ধান:সৈয়দপুরে ল্যাবরেটরীজ মালিকের এক বছর কারাদণ্ড

    নীলফামারী প্রতিনিধি:::নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেক্সটন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) নামের এক ওষুধ ফ্যাক্টরী থেকে বিপুল পরিমাণ খোলা ট্যাবলেট এবং মালিকের ভাড়া বাসা থেকে নকল প্যান্টোনিক্স ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নকল ওষুধ উৎপাদন ও সংরক্ষনের দায়ে মালিকের এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও একমাসের কারদন্ড প্রদান করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় শহরের নিয়ামতপুর বাস টার্মিনাল এলাকার মাহবুবা প্লাজার মেসার্স রেক্সটন ল্যাবরেটেরিজ (ইউনানি) নামক ওই ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের নকল ওইসব ওষুধ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

    র‌্যাব ১৩ রংপুর ও র‌্যাব ১৪ ময়মনসিংহের সুত্র জানায়, ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় নকল ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যার ১৪ ময়মনসিংহের সদস্যরা সম্প্রতি ওই এলাকার এক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। পরে তাঁর দেয়া তথ্যে আরও দুজনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।

    আটককৃতদের মধ্যে থেকে একজনের তথ্যে জানা যায় ওইসব নকল ওষুধ সৈয়দপুরের রেক্সটন ল্যাবরোটরীজ থেকে কেনা হয়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে নকল ওষুধ উদ্ধার এবং এরসাথে জড়িতদের ধরতে র‌্যার ১৪-ময়মনসিংহের উপ অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান ও র‌্যাব ১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয় সৈয়দপুরে।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সোর্সের দেয়া সংবাদে রেক্সটন ল্যাবরোটরীজের (ইউনানি) মালিক আতিয়ার রহমানের শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের বহুতল ভবনের ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    এসময় ওইবাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের ৪ কার্টুন নকল প্যানটোনেক্স ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে শহরের নিয়ামতপুর বাস টার্মিনাল এলাকার মাহমুদা প্লাজায় অবস্থিত ওই ইউনানি ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয়ে দুই ড্রা লুজ (খোলা) ট্যাবলেট উদ্ধার করে র‌্যাবের দল। এসময় উদ্ধার করা ওষুধের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেক্সটন ল্যাবরোটরীজের (ইউনানি) মালিক আতিয়ার রহমান (৪৫)কে আটক করা হয়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নকল ওষুধ সংরক্ষণ দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ফ্যাক্টরী মালিককে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদন্ডের প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার।

    এসময় উদ্ধার করা কয়েক লাখ টাকা মূল্যের নকল ওষুধ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

    অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১৩ রংপুর সিপিসি -২ নীলফামারী ক্যাম্প কমান্ডার সিহিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ,র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সহকারি পুলিশ সুপার তফিকুল আলম, উপ-পরিদর্শক ফিরোজ সহ সঙ্গীয়ফোর্স।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/সুজন

  • সৈয়দপুরে ইটভাটায় পুড়ল কৃষকের প্রায় ৫০ একর জমির ধান

    সৈয়দপুরে ইটভাটায় পুড়ল কৃষকের প্রায় ৫০ একর জমির ধান

    নীলফামারী প্রতিনিধি:::নীলফামারীর সৈয়দপুরে তিনটি ইটভাটার নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে ও কালো ধোঁয়ায় প্রায় ৫০ একর জমির ইরি-বোরো ধান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।

    এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরাা সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    অভিযোগে জানা, সৈয়দপুর উপজেলার চার নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের পাশে পশ্চিমে তিন ফসলি আবাদি জমির একবারে পাশাপাশি তিনটি ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে।

    এ সব ইটভাটা হচ্ছে আলহাজ্ব মনছুর আলী সরকারের এমএএস ব্রিকস ও তাঁর ছোট ছেলে আনিছুর রহমান সরকারের এআরএস ব্রিকস্ এবং মোস্তফা ফিরোজের এমবিএস ব্রিকস্।

    আর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উল্লিখিত ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা ওই তিনটি ইটভাটার আশপাশে থাকা জমির মালিকরা প্রতি বছরের মতো চলতি ইরিবোরা মৌসুমেও তাদের জমিতে বিআর-২৮, বিআর- ২৯ সব বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের লাগানো ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতগুলো বেশ ভাল হয়েছে। কৃষকদের লাগানো এ সব ধানক্ষেতের কোনটির শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে, কোনটির শীষ বের হওয়া সম্পন্ন হয়েছে, আবার কোনটির শীষে পাক ধরেছে। আর মাত্র কয়েক দিন পরে কৃষকরা তাদের শ্রমে ও কষ্ট এবং অর্থে চাষাবাদ করা সোনালী ফসল ঘরে তুলবেন এমন অপেক্ষার প্রহর গুনছিল। তাদের স্বপ্ন ছিল চাষ করা ধান ঘরে তুলে তা বিক্রি করে ধারদেনা পরিশোধসহ সংসারের দৈনন্দিন অন্যান্য ব্যয়ভার মেটাবেন। এ অবস্থায় ওই তিন ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাসের ওই মাঠের আবাদকৃত প্রায় ৫০ একর জমির উঠতি ইরি-বোরা ধান পুরোপুরি পুড়ে বিবর্ণ ও কালো হয়ে গেছে।

    কৃষকরা অভিযোগ করেন গত ২৪ এপ্রিল থেকে গত ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ওই ধানক্ষেতগুলো পুড়ে যায়। আর ক্রমান্বয়ে এর আশপাশের ক্ষেতগুলো পুড়ে বিবর্ণ ও কালচে হয়ে যাচ্ছে। আর চোখের সামনে উঠতি ধানক্ষেত পুড়ে যাওয়া কৃষকদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতই অবস্থা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উঠতি ইরি-বোরো ধানক্ষেতগুলো পুড়ে বিবর্ণ ও কালো হয়ে গেছে। ইউনিয়নের মাঝাপাড়ার কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫) জানান, অন্যের কাছ থেকে ৪৫ শতক জমি বর্গা দিনে ইরি- বোরা ধান চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি জমির মালিককে পুরো টাকায় পরিশোধ করে দিয়েছে। এছাড়াও তার ওই পরিমাণ জমি আবাদে ৭/৮ হাজার টাকা ব্যয়ও হয়। এখন ইটভাটার ধোঁয়া তাঁর জমির পুরো ক্ষেত পুড়ে গেছে। এখন তিনি কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।

    ইউনিয়নের তেলিপাড়ার অপর কৃষক আব্দুল মান্নান (৫৮) বলেন, তিনি তাঁর নিজের ৩৬ শতক জমিতে বিআর-২৮ জাতের ধান লাগিয়েছেন। তারও পুরো ক্ষেত ভাটার নির্গত কালো ধোঁয়া পুড়ে গেছে। একই অবস্থা এলাকার সরকারপাড়ার কৃষক আইয়ুব আলী সরকার, আব্দুল মালেক,বাবুল হোসেন, বিপুল চন্দ্র রায়,মোজাহার হোসেন, ধীরেন চন্দ্র রায়, সামিউল বশির, জিয়াউল হক বাবুসহ আরও অনেক কৃষকেরই।

    এ ব্যাপারে জানতে এমএএস ব্রিকসের স্বত্তাধিকারী আলহাজ্ব মনছুর আলী সরকারকে তাঁর ইটভাটায় গিয়ে পাওয়া যায়নি।

    তবে এমবিএস ব্রিকসের স্বত্ত্বাধিকারী মোস্তফা ফিরোজ বলেন, আমার ইটভাটার ধোঁয়া ওই সব জমির ইরি-বোরা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। আমার ইটভাটায় ইট পোঁড়ানো কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।

    সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগম জানান, এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আসলে ইটভাটার ধোঁয়ায় নাকি অন্য কোন কারণে ওই সব ইরিবোরো ধান ক্ষেত পুঁড়ে গেছে তা নিয়ে আমার বিভাগের সংশ্লিষ্ট এলাকার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তাদের কাজ শেষে আমরা তদন্ত প্রতিবেদনসহ ক্ষতিগ্রস্থ জমি ও কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ইউএনও বরাবরে দাখিল করব। পরবর্তীতে ইউএনও মহোদয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

    সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। তদন্তে ইটভাটার কারণে ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে থাকলে ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • নীলফামারীতে করোনায় আক্রান্ত আরো ৫জনের মধ্যে ১জনের মৃত্যু

    নীলফামারীতে করোনায় আক্রান্ত আরো ৫জনের মধ্যে ১জনের মৃত্যু

    নীলফামারী প্রতিনিধি::নীলফামারীতে নতুন করে এক নারী সহ আরো পাঁচজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ(রমেক) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫জন।
    যদিও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মোট আক্রান্তে সংখ্যা বলছেন ১৪জন।

    তবে স্থানীয় সূত্রে জেলার সৈয়দপুরের এক বাসিন্দা সহ ১৫জনই আক্রান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

    জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) সকালে ও বিকেলে জলঢাকা উপজেলার এক নারী ও এক শিক্ষক সহ ৩ জন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্টে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ১জন সহ চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে এই রিপোর্ট প্রকাশ হবার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ওই ব্যক্তি গত ২৬ এপ্রিল মৃত্যু বরন করেন।

    জানা গেছে, ৬০ বছরের ওই ব্যক্তি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের সোহরাব মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলের গত ২৫ এপ্রিল পেটে ব্যথা নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ এপ্রিল সেই ব্যক্তির মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুর পর রংপুর মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে প্রেরণ করেন।

    মঙ্গলবার(২৮এপ্রিল) মৃত সেই ব্যাক্তির শরীরের নমুনায় করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

    অপরদিকে একইদিনের(২৮এপ্রিল) রিপোর্টে জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনার ডাঙ্গাপাড়া দুইজন ও সদরের একজন সহ নতুন করে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।তাদের তিনজনকে নীলফামারী সদর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু হাসান রেজওয়ানুল কবীর।
    অন্যদিকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে নোভেল করোনা ভাইরাস পজেটিভ একজন রোগী পাওয়া গেছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা গোপন করে বাড়িতে অবস্থানকারী ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) ভোর রাত ৪ টার দিকে শহরের কাজিপাড়া থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম পার্শ্ববর্তী রংপুরের তাঁরাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।করোনা ভাইরাস প্রাদূর্ভাবের পর থেকে তিনি সন্দেহভাজনদের করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে নমুনা সংগ্রহকারী দলের ৩ জনের সন্দেহ হলে নিজ উদ্যোগেই তাদের করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন মনে করে নিজেদের নমুনাও প্রেরণ করেন রংপুরে। গত ২৭ এপ্রিল সন্ধায় তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমসহ ২ জনের রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে।

    সৈয়দপুর শহরের কাজিপাড়া পানির ট্যাংকির পূর্বপাশের এক বাড়িতে তিনি স্ব-পরিবারে ভাড়া থাকেন ও প্রতিদিন রংপুর তাঁরাগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরে যাতায়াত করতেন।

    বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনের সহযোগিতায় গত সোমবার রাতে তার বাড়ি থেকে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ভোর ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সে সাথে পরিবারের অন্যান্য ৪ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হবে।

    এ ব্যাপারে সৈয়দপুর করোনা ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ শহিদুজ্জামান জানান, করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়তো তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে অবস্থান করে পরিবারের সকলকেই ঝুঁকিতে ফেলেছেন। যে কারণে এখন তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

    সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে তিনি খুব ভাল করেই অবগত আছেন। তারপরও তিনি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গেছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে তিনি নিজেই করোনা পজেটিভ আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রথম সৈয়দপুরে করোনায় আক্রান্ত একজনকে পাওয়া গেল।

    এদিকে জেলায় মোট ১৫জন আক্রান্তের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার খবর পাওয়া গেছে।

    জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, আক্রান্তরা বেশিরভাগ ঢাকা,নারায়নগঞ্জ,গাজীপুর,কুমিল্লা থেকে নীলফামারীতে আসে। আক্রান্ত্রদের মধ্যে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও ডিমলার দুইজন সহ ৪জন সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। তাদের দুই দফায় নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর মঙ্গলবার হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যায়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • সৈয়দপুরে যুবক করোনায় আক্রান্ত,২০ পরিবার লকডাউন

    সৈয়দপুরে যুবক করোনায় আক্রান্ত,২০ পরিবার লকডাউন

    নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি::::নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে এক ব্যক্তিকে আসোলেশনে নেয়া হয়েছে। সেই সাথে ২০টি পরিবার লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশাবকশি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা উক্ত ব্যক্তির বয়স ৩৮ বছর।

    আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভের রির্পোট হাতে পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলার সৈয়দপুরে একজন ও কিশোরগঞ্জে একজনসহ জেলায় দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

    জানা গেছে, ওই ব্যক্তি সৈয়দপুর উপজেলার উক্ত গ্রামের বাসিন্দা হলেও তিনি নারায়নগঞ্জের একটি খাদ্য উৎপাদিত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ৫ এপ্রিল তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসে জ্বরে আক্রান্ত হন। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষাগারে প্রেরন করেছিল।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার (৯এপ্রিল) সন্ধ্যায় উক্ত ব্যক্তির রির্পোট পজেটিভ আসে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন তাকে সৈয়দপুর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করে।

    খাতামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী জানান, ওই যুবক নারায়নগঞ্জ থেকে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসে। এরপর গ্রামবাসী বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানালে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ গত ৭ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। আজ বৃহস্পতিবার নমুনা পরিক্ষায় তার শরীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন পাওয়া গেছে।

    সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই যুবকের বাড়ি সহ ২০টি পরিবার লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি সহ এলাকার অন্যান্য লোকজনদের শনাক্তের কাজ চলছে।

    এর আগে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ হওয়ায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লগডাউন ঘোষনা করা হয়। গত মঙ্গলবার(৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লগডাউন ঘোষনা করা হয়। গত বুধবার(৮ এপ্রিল) রাতে ওই চিকিৎসককে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।

  • সৈয়দপুরে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার,প্রেমের কারণে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

    সৈয়দপুরে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার,প্রেমের কারণে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের হুগলীপাড়ায় বাদলের লিচু বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

    মৃত যুবকের নাম বিধান চন্দ্র (২৫)। সে বোতলাগাড়ীর বালাপাড়া শান্তিপাড়ার প্রফুল্ল চন্দ্র ঘটুর ছেলে এবং সৈয়দপুর সরকারী কলেজের রাস্ট্রবিজ্ঞান (অনার্স) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। লাশের গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় গাছে ঝুলানো ছিল এবং পা দু’টি দড়ি দিয়ে বাধা ছিল। তাছাড়া সুরতহাল রিপোর্টের সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

    এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর মুখে মুখে এটি হত্যাকান্ড এবং প্রভাবশালী পরিবারের অপকর্ম বলে জল্পনা কল্পনা চলছে।

    প্রেমের ঘটনায় প্রেমিকার পরিবারের লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ বিধানের অভিভাবকদের।

    তারা জানায়, একই এলাকার হুগলীপাড়ার উত্তম কুমারের মেয়ে পলি (২২) এর সাথে বিধানের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কিন্তু মেয়ের পরিবার তাদের প্রেমকে মেনে নেয়নি। তারপরও বিধানের প্রতি পলির প্রেমের কমতি ছিলনা। ফলে তাদের মেলামেশা প্রতিরোধ করা যাচ্ছিলনা।

    এমতাবস্থায় পলির বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার সাবেক মহিলা মেম্বারের স্বামী রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় প্রায় ৬ মাস আগে বিধানকে আটকে বেধড়ক মারপিট করে এবং স্থানীয়ভাবে শালিস বসিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে। সে সাথে পলিকে জোড় পূর্বক নীলফামারী সদরের চড়াইখোলা গ্রামে বিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের পরও পলি বিধানের সাথে মোবাইলে কথা বলাসহ লুকিয়ে দেখাও করে। এটা জানতে পেরে গতকাল রাতে বিধানকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশ লিচু বাগানের গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি লাশের পা দড়ি দিয়ে বাধাও ছিল।

    বিধানের মামা অনিমেষ চন্দ্র বলেন, এটা যদি আত্মহত্যা হয় তাহলে লাশের পা দড়ি দিয়ে বাধা ছিল কেন। আত্মহত্যা নয়, বরং পলির বাবা উত্তম কুমার ও তার সহযোগিরা বিধানকে হত্যা করেছে। যার চিহ্ন বিধানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যমান। বিশেষ করে পুরুষাঙ্গে আগাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এর দৃস্টান্তমূলক বিচার চাই।

    সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করা হবে এবং তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

     

  • সৈয়দপুরে ২ কোটি টাকারও বেশি কুল কেনা বেচা হওয়ার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের

    সৈয়দপুরে ২ কোটি টাকারও বেশি কুল কেনা বেচা হওয়ার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলতি মৌসুমে বিপুল পরিমান কুল (বরই) কেনা বেচা হওয়ার প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন কুল আমদানী এবং রপ্তানির সন্তোষজনক অবস্থা দেখে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সৈয়দপুরের ফল আড়তদাররা।

    তাদের অভিমত এবার এখানকার ফল বাজারে প্রায় ২ কোটি টাকার কুলের ব্যবসা হবে। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে সৈয়দপুরে আসছে নানা জাতের কুল।

    ক্রেতা-বিক্রেতারা বাছাই ও দরদাম করে কেনা-বেচা করছেন প্রতিদিনই। অনেকে এখান থেকে কুল কিনে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

    জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত হচ্ছে সৈয়দপুর। তাই আশপাশের জেলা-উপজেলাগুলোর কৃষকদের কাছ থেকে আড়তদার ও মধ্যম মানের ব্যবসায়ীরা কুল কিনে এনে এ বাজারে ভাল দাম পাওয়ার আশায় নিয়ে আসছেন। এতে বানিজ্যিকভাবে বরই উৎপাদনকারী চাষীরাও পর্যাপ্ত দাম পাচ্ছে।

    আড়তদাররা জানান, বর্তমান মৌসুমে এই অঞ্চলের কৃষকরা প্রতিযোগিতামূলক ভাবে কুল চাষ করেছেন। গাছে ফুল হওয়ার পর থেকে যত্ন নিয়ে আশাতিত ফলন হওয়ায় এ যাবত প্রায় কোটি টাকা মূল্যের কুল কেনাবেচা হয়েছে। স্থানীয় ও অন্যান্য স্থানের চাহিদানুযায়ী আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রায় দুই কোটি টাকারও বেশি মূল্যের কুল কেনা-বেচা হতে পারে বলে তারা মন্তব্য করেন।

    সরেজমিনে সৈয়দপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র ১ নং রেলঘুমটি সংলগ্ন ফল আড়তে গেলে দেখা যায়। পুরো বাজার জুড়ে এখন শুধু কুলের সমারোহ। বস্তাভর্তি কুলের দখলে আড়তদারদের দোকানের সিংহভাগ অংশ। চলছে হাক-ডাক, বেচা-কেনা।

    আড়তদাররা জানান, রংপুর বিভাগের কুল বাগান মালিকরা আপেল কুল, বাউ কুল, থাইকুল এ বাজারে নিয়ে আসছেন। এখানকার পাইকাররা ওই কুল কিনে বাছাইয়ের পর প্যাকেটজাত করে কাটুনে ভরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ফল মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কুলের জাত ও উপজাত অনুসারে প্রতিমণ কুল বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১ হাজার ২ শ’ টাকা দরে।

    উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের কুল বাগান মালিক আদর আলী জানান, তারা ছয় বছর যাবত পৈত্রিক চার বিঘা জমিতে আপেল কুল ও বাউ কুল আবাদ করেছেন। বিগত তিন বছর তেমন ফলন না হলেও এবার পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে। যা প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যে বিক্রি করেছেন।

    জাহাঙ্গীর নামের অপর এক কৃষক জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত তার জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন করছেন। কিন্তু বীজ, সার ও কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি এবং ফসলের মূল্য না পাওয়ায় লোকসানের হিসাবই করতে হয়েছে। কিন্তু কুল চাষ করে প্রায় দুই লাখ টাকার মত লাভ করেছেন।

    একইভাবে মন্তব্য করেন সৈয়দপুর শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় রেলওয়ের বাংলোর জমিতে কুল চাষকারী মোছাঃ কেয়া সরকার। তিনি বলেন, কুল চাষে তেমন কোন খরচ নেই। শুধুমাত্র গাছ লাগানোর সময় প্রাথমিক যে খরচ হয় এরপর আর খরচ করতে হয়না। শুধুমাত্র আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। যা বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়।

    সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহিনা বেগম জানান, এ অঞ্চলের কৃষকদের কুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এর ফলে তারা প্রায় ৭/৮ বছর যাবত কুলের চাষাবাদ করে আসছেন। কৃষকরা কুলের ফলন ভালো হওয়ায় এবার প্রায় দুই কোটি টাকারও বেশি মূল্যের কুল বিক্রি হতে পারে।

    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোখছেদুল মোমিন বলেন, সরকার কৃষকদের কুল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা কলে দিলে প্রতিটি কৃষকই কুল চাষে আগ্রহী হবে। পাশাপাশি মৌসুমী এ ফলে তারা সাবলম্বি হতে পারবে।

  • সৈয়দপুরে ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো শিক্ষক

    সৈয়দপুরে ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো শিক্ষক

    নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব আক্রসের জের ধরে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন শিক্ষক।

    রক্তাক্ত অবস্থায় আহত ছাত্রটি সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করাসহ চিকিৎসা শেষে প্রধান শিক্ষকের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করে লিখিত আবেদন করেছে। ইতোপূর্বেও ওই শিক্ষক একই ছাত্রকে বেধরক মারপিট করার কারণে ক্ষমা প্রার্থনা করে রেহাই পেয়েছিল।

    ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০ টায় সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে তোলপাড়া সৃষ্টি হয়েছে। কারণ শরীর চর্চা বিষয়ের ওই শিক্ষক কর্তৃক একের পর এক নানা অঘটন ঘটে চলেছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

    শিক্ষকের বেতের আঘাতে আহত ছাত্র আরিফুর রহমান জানায়, সকালে স্কুলের এসেমব্লি চলাকালে শপথ বাক্য পাঠ করার জন আগত ৩ জন ছাত্রী এগিয়ে যাওয়ার সময় কে বা কাহারা টিজ করেছে।

    এতে ছাত্রীরা তাৎক্ষনিক পিটি স্যার মোঃ আমিনুর রহমান কে অভিযোগ দেয় এবং বিচার দাবি করেন। এতে স্যার হঠাৎ করে আমাকে এসেমব্লির লাইন থেকে টেনে এনে তার হাতের বাশের কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে।

    এসময় আমার বা হাতের মধ্যমা আঙ্গুলটিতে আঘাত লেগে কেটে যায় এবং প্রবল রক্তক্ষরণ হতে থাকে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানানো হলে তিনি তা গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো লাইনে গিয়ে দাঁড়াতে বলেন। কিন্তু আমার আঙ্গুল থেকে রক্ত ঝড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে নিজেই অন্য হাত দিয়ে চেপে ধরে স্কুল থেকে বের হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতেই চার্জার অটো ভ্যান যোগে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যাই। সেখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসের লোকজন আমাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করান।

    আরিফ আরও জানায়, সম্পূর্ণ অকারনেই স্যার আমাকে মেরেছে। ইতোপূর্বেও তিনি আমাকে ব্যাপকভাবে মারডাং করায় স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে তখন সমাধান করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি প্রায়ই আমাকে ক্লাসে অহেতুক বকাঝকা করেন। এমনকি তিনি মাঝে মাঝে আমাকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে বলেন, তুই লেখাপাড়া করে কি করবি। তোকে তো রিক্সা চালাতে হবে।

    তাছাড়া তিনি আমাকে মাদকাসক্ত বলেও তিরস্কার করেন। যা সম্পূর্ণরুপে মানসিক অত্যাচার। এতে আমি প্রতিবাদ করলেই তিনি মারপিট করেন।

    আজ আমাকে মেরে রক্তাক্ত করলেও তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়াও পিটি স্যার অনেক অঘটন ঘটিয়েছেন। যা এলাকাবাসী সবাই জানেন।

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আমিনুর রহমানের সাথে স্কুলে গিয়ে কথা হলে তিনি জানান, ছাত্রটি এসেমব্লি চলাকালে মেয়েদেরকে উত্যক্ত করে। এটি সবাই শুনেছে। তাই তাকে মাত্র দুইবার পায়ে হাটুর নিচে বেত্রাঘাত করেছি। এতে কোন প্রকার রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু পরে জানতে পারি সে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বিষয়টি খুবই অপ্রীতিকর এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলেই মনে হচ্ছে।

    প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রটি অপরাধ করার প্রমান মেলায় তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে রক্ত ঝড়ার মত কিছু ঘটেনি। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি ছাত্রটি কর্তৃক উত্যক্তের শিকার ছাত্রীদের সম্মিলিত অভিযোগও পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেহেনা ইয়াসমিন বলেন, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, ঘটনাটি তাৎক্ষনিক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কেননা অভিযুক্ত শিক্ষক কর্তৃক ইতোপূর্বেও ছাত্র পিটানোর ঘটনাসহ অভিভাবক, কমিটির সদস্য ও শিক্ষকের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। একারণে কয়েকবার তিনি শো-কজের সম্মুখিন হলেও বার বারই ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন। এমনকি এধরণের অপকর্মের জন্য মারও খেয়েছেন। যা উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছিল।

  • সৈয়দপুরে স্কাউটস এর প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের জন্মদিন পালন

    সৈয়দপুরে স্কাউটস এর প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের জন্মদিন পালন

    নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ সৈয়দপুরে স্কাউটস এর জনক লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিপি দিবস পালন করা হয়েছে।

    শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পূবালী স্কাউট্স বিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে এ দিবসটি পালনে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সকালে শহরের রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন ক্লাবের অফিস চত্বর থেকে র‌্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

    বিকালে একই স্থানে বিপি’র জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘সুখ লাভের প্রকত পন্থা, অপরকে সুখী করা” স্কাউট্স এর মূলমন্ত্র বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পূবালী স্কাউট্স বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি সাবেক মেয়র আকতার হোসেন বাদল, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পলাশ, সেক্রেটারী এস কে কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল, কোষাধ্যক্ষ এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সদস্য মাসুদ রানা, খান বাবু, রাশেদুল ইসলাম জাস্টিস, কুতুব উদ্দিন আলো, রিফাত, ইউনুস, আরাফাত রেজভী প্রমুখ।