Tag: সৈয়দপুরে

  • সীতাকুণ্ড সৈয়দপুরে হ্যান্ডিক্যাপের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন

    সীতাকুণ্ড সৈয়দপুরে হ্যান্ডিক্যাপের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড উপজেলার আওতাধীন ১ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল (হিউম্যানিটি এন্ড ইনক্লুশন) এর বাস্তবায়িত প্রকল্প ডিজএ্যাবিলিটি ইনক্লুসিভ গ্রাজুয়েশন আউট অব প্রোফাটি প্রকল্পের তৃনমুল পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল, ভ্যাটেরিনারী সার্জন ডা. শাহ জালাল মো. ইউনুস, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা লুৎফুন নেছা বেগম, ১নং সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ.এম. তাজুল ইসলাম নিজামী, হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল এর সীতাকুণ্ড সাইটের বেইজ ম্যানেজার আব্দুল গফুর, রেডিও সাগরগিরীর প্রযোজক সঞ্জয় চৌধুরী।

    পরির্দশনকালে ইউনিয়নের আওতাধীন সৈয়দপুরের জলদাসপাড়ায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন যার মধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রনজিত জলদাস এর মুদি দোকান, প্রদীপ জলদাস এর মুদি দোকান পরিদর্শন করেন।

    প্রকল্প থেকে ঐ সকল নির্বাচিত দরিদ্র প্রতিবন্ধী পরিবারকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ত্রিশ হাজার টাকার মালামাল উনত্রিশ হাজার টাকার মুল্যের ফ্রিজ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি জলদাস পাড়ায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের জন্য হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল বর্তমান প্রকল্প থেকে টিউবওয়েল উঁচুকরণ ও সকলের জন্য প্রবেশগম্য উপযোগী প্লাটফর্ম তৈরি করে দেওযা হয়েছে।

    হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল এই প্রকল্পে আওতায় সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা ও মুরাদপুর ইউনিয়নের ১৫০ টি হত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে দারিদ্রতা বিমোচনের লক্ষ্যে তাদের আয়বর্ধনমুলক বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন এবং প্রকল্প থেকে সরাসরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

    যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুদি ব্যবসা, গরু/ছাগল পালন, চায়ের দোকান, জমি লীজের ব্যবস্থা,সেলুন ব্যবসা, মাছ ব্যবসা, রিক্সা/ভ্যান গাড়ি, বাঁশ বেতের কাজ, জুতার দোকান, ফলমুলের ব্যবসা, শাকসবজি ব্যবসা, কামারের দোকান, হাঁসমুরগী পালন, সেলাই মেশিন ও কাপড়ের ব্যবসা, মাছ ধরার জাল ইত্যাদি।সীতাকুণ্ড ইউএনও মিল্টন রায়

    প্রকল্পের মুল লক্ষ্য উল্লেখিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তথা পরিবারগুলোকে অতি দরিদ্র অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো। সে লক্ষ্যেই হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও প্রকল্পভুক্ত পরিবারগুলোকে বিভিন্ন ধরনের কারিগরী দক্ষতা মুলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এবং অন্যান্য দক্ষতা উন্নয়নমুলক প্রশিক্ষণও প্রদান করা হচ্ছে।

    প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সহায়ক উপকরণ যেমন: হুইল চেয়ার, ট্রাই সাইকেল, ক্রাচ, সাদাছড়ি, স্পেশাল সীট, লো ট্রলি, ওয়াকিং ফ্রেম, ওয়াকিং স্টিক, কৃত্রিম হাত পা লাগানো, কানে শোনা যন্ত্র, চশমা ইত্যাদি। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের চলাচল উপযোগী/প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরন করেছে।

  • সৈয়দপুরে আল আরাফাহ ব্যাংকের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

    সৈয়দপুরে আল আরাফাহ ব্যাংকের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কলম্ব বিতরণ করা হয়েছে।

    বুধবার (১ জানুয়ারী) শহরের বিভিন্ন শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকায় রানু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ এর সৈয়দপুর এলোমিনিয়াম ওয়ার্কসপ, সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ধলাগাছ এলাকায় আহমেদ প্লাই উডস্ ফ্যাক্টরীর শ্রমিক-কর্মচারী এবং শহরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-ফারুক একাডেমীর গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়।

    কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখার এভিপি ও ম্যানেজার মোঃ রবিউল আলম, রানু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুশীল কুমার দাস, রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজ কুমার পোদ্দার, সৈয়দপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিউটি সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী আলতাফ হোসেন (সিআইপি), ব্যাংকের কর্মকর্তা এফএভিপি জাকির হোসেন, আল ফারুক একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

    পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্প প্রতিষ্ঠান সমুহের শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাবৃন্দসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সৈয়দপুরে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিককে কার চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা

    সৈয়দপুরে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিককে কার চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সৈয়দপুর প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন কে কার চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

    ২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) বিকাল সাড়ে ৪টায় সৈয়দপুর শহরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন চামড়া গুদাম এলাকায় সৈয়দপুর-রংপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সৈয়দপুর সোনাখুলি কামিল মাদরাসার ইংরেজীর প্রভাষক আশিকুর রহমান তার (ঢাকা-মেট্রো-গ-৩৭৩৩৬৫) এর এ্যাশ কালারের কার নিয়ে আকস্মিকভাবে সাংবাদিক জাকির হোসেন এর মোটর সাইকেলে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে সাংবাদিক জাকিরসহ সহযাত্রি সাংবাদিক শাহজাহান রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুত্বরভাবে আহত হয়।

    এমতাবস্থায় আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।

    কিন্তু কারের মালিক প্রভাষক আশিকুর রহমান এ দূর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। কার থেকে বের হয়েই প্রভাষক আশিকুর রহমান নিজেকে সাংবাদিক ঝন্টুর ছোট ভাই বলে পরিচয় দিয়ে তাকে আটকানোর কারণে উল্টো দুই সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজনকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। সে দূর্ঘটনার জন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত না হয়ে বরং নানা প্রকার হম্বি-তম্বি প্রদর্শণ করে। এতে উপস্থিত জনগণ উত্তেজিত হয়ে উঠলে সে কৌশলে কার নিয়ে পালিয়ে যায়।

    স্থানীয়রা জানান, কার চালক আশিকুর রহমানকে এসময় নেশাগ্রস্থ বলে মনে হচ্ছিল। যা তার আচরণে প্রকাশ পেয়েছে। আশিকুর রহমানের স্ত্রী সৈয়দপুর কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক বলে জানা গেছে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসেই বসবাস করেন।

    বিষয়টি সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান কে মুঠোফোনে অবহিত করা হয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সৈয়দপুরে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গেছে নতুন বই

    সৈয়দপুরে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গেছে নতুন বই

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব পালনে নীলফামারীর জেলার ৯০ ভাগ প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছেছে শিক্ষার্থীদের নতুন বই।

    নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলার ১৬৪টি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে।

    উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বইগুলো এরই মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বুঝে নিচ্ছে। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৯টি সরকারি, ১টি বেসরকারি, ৮৪টি কিন্ডার গার্টেন ও ৬০টি এনজিও স্কুলের শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবের আনন্দে ভাসবে।

    রহমতুল্ল্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজা খাতুন জানান, এবারের বইগুলোর পাতা সুন্দর ও ছাপা ঝকঝকে।

    সামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমির অধ্যক্ষ এম এ মুবিন সরকার বলেন, চাহিদা অনুয়ায়ী বই পেয়েছি।

    বই বিতরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন প্রধান জানান, ১৪ ডিসেম্বর থেকে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চাহিদা অনুযায়ী বই পৌঁছান শুরু হয়েছে। ৯০ ভাগ স্কুলে বই ইতিমধ্যে পৌছেছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে শতভাগ প্রতিষ্ঠানে বই পৌছানোর কাজ শেষ করা হয়েছে।

  • সৈয়দপুরে মাত্র ১ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল

    সৈয়দপুরে মাত্র ১ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি স্থানীয় দখলদাররা কব্জা করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে ফাইলেরিয়া রোগীরা। ফাইলেরিয়া নির্মূলের উদ্দেশ্যে সরকার এবং দাতা সংস্থা এই হাসপাতালটি নির্মাণ করে।

    বর্তমানে ফাইলেরিয়া রোগের বিশেষজ্ঞ ছাড়াই এই হাসপাতালটি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার এখানে ফাইলেরিয়া রোগের অপারেশন করা হচ্ছে ভাড়াটিয়া ডাক্তার নিয়ে এসে।

    এদিকে ফাইলেরিয়া হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন অবৈধ দখলদারের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয়, ডিজি র‌্যাব, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নীলফামারী জেলা প্রসাশক, সিভিল সার্জন, রংপুরের স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।

    অন্যদিকে আইএসিআইবি’র পক্ষ থেকে হাসপাতালটির পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ পল্লী ডাক্তার এসোসিয়েশন (বিপিডিএ)’র মহাসচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    আ্যাম্বুলেন্স, অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি অকেজে হয়ে পড়ে আছে। অনেক দামী-দামী জিনিসপত্র ব্যবহার না হওয়ায় মরিচা ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

    এক সময় হাসপাতালটিতে রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসত। এখন দখলদারদেও কারণে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির বেড থাকলেও তা ফাঁকা পড়ে আছে। এক সময় বিশ্বের একমাত্র ফাইলেরিয়া হাসপাতালে রোগীর পরিপূর্ণ ও গিজগিজ অবস্থা বিরাজ করলেও এখন তা ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে।

    ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ বাংলাদেশের একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে নারীরা এ রোগের কারণে সমাজে নানাভাবে হচ্ছে উপেক্ষিত। কারো কারো সংসারও ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন ধরনের ফাইলেরিয়াল প্যারাসাইট বা পরজীবী শরীরে প্রবেশ করলে এ রোগের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের পরজীবী একজন রোগী হতে আরেকজন সুস্থ লোকের শরীরে কয়েক প্রজাতির মশার কামড়ে সংক্রামিত হয়। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো তীব্র এবং ঘন ঘন কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে যা এমনিতেই সেরে যায়। আক্রান্ত লসিকান্ত্রন্থির প্রদাহের কারণে লসিকা গ্রন্থিতে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া এবং লসিকা নালী ফুলে যায়। গোদ হলে সাধারণত শরীরের হাত-পা বা পুরুষের অন্ডকোষ, নারীর স্তন ও যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়।

    এ রোগ নির্মূলে সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধন নিয়ে কাজ শুরু করেন বাংলাদেশের একমাত্র ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড কিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি)।

    ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাপান সরকারের অর্থায়নে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছে ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৬৯.৫ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা হয় এ হাসপাতালটি। পরবর্তীতে দাতা সংস্থার দেয়া অনুদানের প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ও চার তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক মডেলের দুইটি ভবন নির্মাণ করা হয়।

    রংপুর মোসলেম পাড়ার ফাইলেরিয়া রোগী রাসুলা বেগম (৫৫) বলেন, ২০ বছর ধরে এই রোগে ভুগছি। ৫ মাসে এই হাসপাতালে ৪ বার এসেছি। প্রতি মাসে ১৮শ’ টাকার ওষুধ খেতে হয়। রোগ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। সামান্য একটু ব্যথা কমেছে।

    কর্তব্যরত ডাঃ রায়হান তারেক বলেন, আমার একার পক্ষে এত বড় হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকার যদি ডিপুটেশনে কিছু চিকিৎসক দিত তাহলে এই হাসপাতালটির সেবার মানও বাড়ত। প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক্তার নিয়ে এসে হাইড্রসিল অপারেশন করা হয়ে থাকে।

  • সৈয়দপুরে ৫ মাসেও উচ্ছেদ হয়নি রেল লাইনের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা

    সৈয়দপুরে ৫ মাসেও উচ্ছেদ হয়নি রেল লাইনের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের দুই পাশ হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আবেদন করার প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উপরন্তু রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠেছে শীতবস্ত্রের দোকান। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। এতে বেড়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোঃ সুলতার মৃধা জানান, সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যে সৈয়দপুর কিলোমিটার ৩৯৩/০ হতে ৩৯৫/৬ পর্যন্ত রেললাইনের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট ও বসতবাড়ি উচ্ছেদ করতে গত ৩০ জুন ডিইএন/২/পাকশী বরাবরে আবেদন করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে এসব দোকানপাট ও বসতবাড়ির মালিকরা রেললাইনের ওপর ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সঠিকভাবে রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচলে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ জরুরি হয়ে পড়েছে।

    বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি রুহুল আলম মাস্টার বলেন, সৈয়দপুরে রেললাইনের পাশে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করার প্রচলন দীর্ঘদিনের। কারণ বাইরে একটি দোকান ভাড়া নিতে গেলে ১০ থেকে ২৫ লাখ অগ্রিম দেওয়াসহ প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ ২০-৩০ হাজার টাকা ব্যায়। আর রেললাইনের পাশে দোকান করলে অগ্রিম দিতে হচ্ছে না। শুধু প্রতিদিন বখরার টাকা দিলেই নিশ্চিন্তে ব্যবসা করা যাচ্ছে। তবে শীত মৌসুম এলেই দোকানির সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ সৈয়দপুরই হচ্ছে বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের একমাত্র শীতবস্ত্রের মোকাম। এখান থেকেই শীতবস্ত্র যায় এ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। ফলে বখরা দিয়ে দোকান বসাতে ব্যস্ত থাকেন ব্যবসায়ীরা। আর এদের সহায়তা করেন রেলওয়ে কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ী নেতারা। সে সাথে কিছু সংগঠন এদেরকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমান টাকা।

    রেললাইনের দুই পাশে দোকান বসানো খুবই ঝুঁকিপুর্ণ বলে মন্তব্য করে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোঃ শওকত আলী বলেন, রেলওয়ের আইন অনুযায়ী রেলপথের দুই পাশে ২০ ফুট করে এলাকা সংরক্ষিত। এ ছাড়া রেলপথে সব সময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। দোকান বসানো তো দূরের কথা, রেলপথে মানুষসহ সকল প্রকার জীবজন্তু চলাচল করাও একেবারেই নিষিদ্ধ। এদিকে রেললাইনের পাশে দোকান বসায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।

    একমাস পূর্বে রেললাইনের পাশের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের নামে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু সকালে অভিযান শেষে বিকালে আবার সেসব দোকান নতুন করে বসেছে। এছাড়া রেল লাইনের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নিয়মিত একটি বাঁশের হাট বসলেও তা এ অভিযানের সময় বহাল তবিয়তেই রয়ে যায়।

    অভিযোগ রয়েছে যে, রেলওয়ে পুলিশ, ষ্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ দোকান দেদারছে চলছে।

  • সৈয়দপুরে গুচ্ছগ্রামের ঘর তৈরী সম্পূর্ণ না হতেই তড়িঘড়ি করে হস্তান্তর

    সৈয়দপুরে গুচ্ছগ্রামের ঘর তৈরী সম্পূর্ণ না হতেই তড়িঘড়ি করে হস্তান্তর

    নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে গুচ্ছগ্রাম তথা আবাসন প্রকল্প-২ এর অধিনে হতদরিদ্র ও ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর জন্য নির্মানাধীন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর তৈরী সম্পূর্ণ না হতেই হস্তান্তর করা হয়েছে।

    গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা কার্যালয়ে ছয়জন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির মাঝে ৬টি ঘর হস্তান্তর করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

    প্রতিটি বাড়ি ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ২টি করে ঘর, ঘরের সাথে বাড়ান্দা, রান্নার স্পেস, সেনেটারী ল্যাট্রিন রয়েছে।

    কিন্তু অত্যন্ত অল্প জায়গায় ২০টি বাড়ি করায় পরিবেশ অত্যন্ত ঘিঞ্জিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর ভাবে তৈরী করা হয়েছে। ঘরের জন্য ব্যবহৃত সিমেন্টের খুটিগুলোর অধিকাংশরই মাথার দিকে ভেঙ্গে রড বেড়িয়ে পড়েছে। আবার কোন কোনটির মাঝ বরাবর বেড়ায় টিন লাগানোর জন্য এঙ্গেল আটকানোর নাটের জন্য ছিদ্র করার সময় ভেঙ্গে রড বেড়িয়ে গেছে। এসব ভাঙ্গা মেরামত না করেই বেড়া ও চালের টিন লাগানো হয়েছে।

    এখনও ঘরগুলোর মেঝেতে মাটি ভরাট করা হয়নি। প্রতিটি ঘরের বেড়া থেকে নিচে মাটি পর্যন্ত প্রায় দুই ফুট জায়গা ফাঁকা রয়েছে। যেখান দিয়ে কুকুর-বিড়ালসহ যে কোন প্রানী অনায়াসে ঘরের ভিতর ঢুকতে পারবে। এমনকি মানুষও ঢুকে বেড় হতে পারবে। পানি বা বিদ্যুতের ব্যবস্থায় নিশ্চিত করেনি। এমন অবস্থাতেই তরিঘরি করে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এর আগে গত ১১ নভেম্বর সোমবার বিকালে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আবেদনকারী ভূমিহীন হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ঘর বরাদ্দের জন্য লটারী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভূমিহীনদের তালিকা করা ও যাচাই বাছাই নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

    ১৫ নভেম্বর শুক্রবার জুমআর নামাজের পর সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বরাদ্দপ্রাপ্ত কয়েকজন হস্তান্তরকৃত বাড়িতে উঠার জন্য নিজেরাই ঘরের মেঝের মাটি ভরাট করছেন। অনেকে বেড়ার টিন থেকে মেঝে পর্যন্ত ফাঁকা জায়গাগুলো বাঁশ, কাঠ বা পুরাতন ইট দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।

    মেঝের মাটি ভরাট করা হয়নি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তফুরা একজন জানান, যেহেতু ঘরটি হস্তান্তর করেছে। তাই এটার দেখা শুনার দায়িত্ব এখন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির। কেননা এখন এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্তৃপক্ষ নেই। যে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়নি সেগুলো অনেকটা নিরাপ্তাহীন অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় বেড়ার টিন বা কোন জিনিস যদি চুরি হয় তাহলে কারই কিছু করার থাকবেনা। তিনি বলেন, শুনেছি মাঝিয়ায় মাটি ভরাট করে দেওয়া হবে এবং প্রতিটি বাড়ির জন্য ৯০টি করে ইট দেওযা হবে। যে ইটগুলো মেঝের মাটির উপর বেড়ার টিন যেন না লাগে সেজন্য ব্যবহার করা হবে।

    বর্তমান অবস্থায় যদি ছেড়ে দেওয়া হয় বা মাটি ভরাট করা না হয় তাহলে এঘরে বসবাস করাই দুরহ হয়ে পড়বে।