Tag: সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

  • সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ভারত থেকে আমদানীকৃত মেশিন ৩ বছর যাবত অকেজো

    সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ভারত থেকে আমদানীকৃত মেশিন ৩ বছর যাবত অকেজো

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা নীলফামারীর সৈয়দপুর কারখানায় ভারত থেকে আমদানীকৃত মূল্যবান মেশিনগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

    আমদানীর পর থেকেই দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর যাবত এ মেশিনগুলো দিয়ে কোন কাজ করা যাচ্ছেনা।

    আগামীতে আদৌ এগুলো ভালো করা সম্ভব হবেনা কি না বা এগুলোর ভবিষ্যৎই বা কি সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথাই যেন নেই। বাধ্য হয়ে ব্রিটিশ আমলের পুরাতন মেশিন কোন রকমে রিপিয়ারিং করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে শ্রমিকরা।

    এতে কর্মঘন্টা বেশি ব্যায় হচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। ফলে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যায় করে আনা মেশিন কোন কাজেই লাগেনি রেলওয়ের। যা একপ্রকার অপচয় হিসেবেই মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

    রেলসূত্রে জানা যায়, কারখানার লোকো মেশিন শপ-২ এ ট্রিপল দিয়ে ঢেকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে অকেজো ভার্টিকাল বোরিং মেশিন (৩৬ ইঞ্চি)। যা বিগত ২০১৬ সালের ১৮ মে তারিখে আমদানী করা হয়। কিন্তু তখন থেকেই এটি অব্যহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

    কারণ হিসেবে শ্রমিকরা দাবি করছে আনার পর চালু করা মাত্রই মেশিনটির ইলেকট্রিক সার্কিট বোর্ড টি জ্বলে যায়। এরপর থেকেই এটি ফেলে রাখা হয়েছে। এটি মেরামতের জন্য বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও ভারতীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা কোম্পানী সে বিষয়ে কোন কর্ণপাত না করায় মেশিনটি কাজে লাগানো যায়নি। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আগের পুরাতন মেশিনই মেরামত করে কোন রকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরকম আরও অনেক মেশিন যা ভারত ও চীন থেকে আমদানী করা হয়েছিল সেগুলো কাজে লাগছেনা।বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

    এব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়ার্কস্ ম্যানেজার (ডাব্লু এম) শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, মেশিনটি অকেজো নয়। ইন্টলেশন করে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের কাজের পরিমান কম, তাই বন্ধ রয়েছে। অন্য মেশিন দিয়ে কাজ চলছে। প্রয়োজনে এটি মেরামত করে ব্যবহার করা হবে। এখন কাজে লাগছেনা তাই ঢেকে রাখা হয়েছে। এমন নয় যে এটি কখনই ব্যবহার হবেনা। বরং এটির যে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে তা সেরে নেওয়া যাবে।

    এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, ইন্টলেশনের সময় এটির ইলেকট্রিক সার্কিট বোর্ড পুরো যাওয়ায় এটি অকেজো হয়ে আছে। এতে তিনি বলেন, সেরকম কিছু হয়ে থাকলে তা আমাদের লোকজনই মেরামত করবে। সম্ভব না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সৈয়দপুর রেল কারখানায় রেলওয়ের মিউজিয়াম করা হবে

    সৈয়দপুর রেল কারখানায় রেলওয়ের মিউজিয়াম করা হবে

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ সৈয়দপুর রেল কারখানায় কোচ মেরামতের কাজে ব্যবহৃত পুরনো ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন মেশিনারিজ সংরক্ষণ করার জন্য একটি মিউজিয়াম করা হবে। রেলের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য এ মিউজিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

    প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো বাংলাদেশের অন্যতম এ রেল কারখানাটি কয়লা চালিত ইঞ্জিন মেরামত কারখানা হিসেবেই প্রথম ১৮৭০ সালে যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে এর প্রসারতা বেড়েছে।

    স্বাভাবিকভাবেই এ কারখানায় রয়েছে অনেক পুরনো এবং ঐতিহাসিক সব মেশিনারিজ। তাই সেগুলো সংরক্ষণে মিউজিয়াম করার প্রস্তাব দিয়েছে সৈয়দপুর রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

    শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সৈয়দপুর রেল কারখানা ঘুরে দেখার একপর্যায়ে এ কারখানার দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জায়দুল ইসলাম এ কথা জানান।

    ১১০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানায় একটি পরিত্যক্ত শেড পরিষ্কার করে সেখানেই মিউজিয়াম করার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেল কারখানায় মিউজিয়াম করার ব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জায়দুল ইসলাম বলেন, সৈয়দপুর রেল কারখানায় ঐতিহ্যবাহী মেশিনারিজ রয়েছে। এখানে রয়েছে কয়লা চালিত ব্রড গেজ ইঞ্জিন, ডিজেল চালিত মিটার গেজ ইঞ্জিন ও ন্যারো গেজ ইঞ্জিন। এগুলোসহ বিভিন্ন মেশিনপত্র সংরক্ষণের জন্যই মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কারখানা শুরু হয়েছিল কয়লা চালিত ইঞ্জিনের মেরামত কারখানা হিসেবে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে আজকের এ অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই অনেক ঐতিহাসিক মেশিনারিজ, যাত্রীবাহী কোচ, মালবাহী কোচ রয়েছে। রেলওয়ের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী এসব মেশিনপত্রের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোর জন্য একটি মিউজিয়াম থাকা জরুরি। তাই এগুলো সংরক্ষণ করা দরকার।

    তিনি আরো বলেন, আমি দেখেছি সৈয়দপুরে যত মানুষ ঘুরতে আসেন, সবাই একবার হলেও রেল কারখানা ঘুরে দেখে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটি মিউজিয়াম থাকলে সেখান থেকে আমরা একটি রেভিনিউ আয় করতে পারব। একই সঙ্গে রেলের ইতিহাসও জানাতে পারব। সৈয়দপুর রেল কারখানায় একটি মিউজিয়াম করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মিউজিয়ামের নাম এখনো ঠিক হয়নি। হয়তো রেলের ডিজি বিষয়টি ঠিক করবেন।