Tag: সৈয়দপুর

  • সৈয়দপুরে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে দিনব্যাপী কর্মশালা

    সৈয়দপুরে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে দিনব্যাপী কর্মশালা

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারী সৈয়দপুরে ক্ষুদ্র ও মাঝারী নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২২ ফেব্রয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেকেন্ড স্মল এণ্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের (এসএমইডিপি-২) আওতায় শহরের বিমানবন্দর সড়কে ইকু হেরিটেজ এণ্ড রিসোর্ট সেন্টারে আয়োজিত কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়। কর্মশালার আয়োজন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক।

    এর আগে সকাল ১০টার দিকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জোয়ারদার ইসরাইল হোসেন।

    ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ওই ব্যাংকের উপ-পরিচালক বিধান সাহা, নারী উদ্যোক্তা আহমেদা ইয়াসমিন ইলা, প্রকল্পের নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক মো. আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।

    নির্বাহী পরিচালক জোয়ারদার ইসরাইল হোসেন বলেন,“দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তাই টেকসই উন্নয়নে অর্থনীতির মূল ধারায় নারী উদ্যোক্তাদের আনা প্রয়োজন। মুজিববর্ষে সরকার প্রতিশ্রুত নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক”।

    অনুষ্ঠানের সভাপতি তারিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংকের শাখা বছরে অন্তত ৩ জন করে নারী উদ্যোক্তা খুঁজে বের করে স্বল্প সুদে কমপক্ষে ১ জনকে ঋণ প্রদান করার কথা। সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। রংপুর অঞ্চলের ৫০ নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন কর্মশালায়।

    তিনি আরও জানান, এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে গঠিত এ তহবিলের আকার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকার বাইরে সারা বাংলাদেশে এসএমই খাতে ৯ শতাংশ সুদে নারী উদ্যেক্তাদের ঋণ গ্রহনের সুযোগ রয়েছে এ তহবিল থেকে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫৭টি ক্ষুদ্র ও মাঝারী নারী উদ্যোক্তাকে ৮শ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ঋণের সীমা ১ কোটি এবং মাঝারি উদ্যোক্তার ঋণের সীমা ৩ কোটি টাকা।

  • সৈয়দপুরে পঁচা কমলা বিক্রির দায়ে বিক্রমপুর ফল ভান্ডারের ২০ হাজার টাকা জরিমানা

    সৈয়দপুরে পঁচা কমলা বিক্রির দায়ে বিক্রমপুর ফল ভান্ডারের ২০ হাজার টাকা জরিমানা

    নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফল আড়তে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চলাকালে বিক্রমপুর ফল ভান্ডারে পঁচা কেনু (চায়না কমলা) মজুদ ও বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমান আদায় করা হয়েছে।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ওই ফল আড়তদারের দোকান থেকে ওই পঁচা কমলা পাওয়া যায়। ফলে খাবার অযোগ্য ফল রাখার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় দোকান মালিককে।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর অহিদুল হক, পৌর সেনেটারী ইন্সপেক্টর আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

  • সৈয়দপুরে ভাষা দিবসে সম্মিলিত আর্ট একাডেমীর উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    সৈয়দপুরে ভাষা দিবসে সম্মিলিত আর্ট একাডেমীর উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ ২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন আর্ট একাডেমী ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার সকালে শহরের রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে ডিজিটাল আর্ট একাডেমী, ব্রাইট লার্নিং ড্রয়িং হোম, ব্রাইট স্টার, সার্গাম সঙ্গীত বিদ্যালয়, আর্ট একাডেমী এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকরাও অংশগ্রহণ করেন।

    অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫টি গ্রুপে ১৫ জন শিক্ষার্থী ও বিজয়ী তিনজন অভিভাবককে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সে সাথে অংশগ্রহণকারী ১২০ জন শিক্ষার্থীর সকলকে শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।

    এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাপলা মেটালিক প্রিন্টার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বুলবুল, এমপি রাবেয়া আলীমের ছেলে প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান, ইসলামী ব্যাংকের অফিসার মোঃ সেকেন্দার আলী প্রমুখ।

    চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন জাবেদ আত্তারী, আমির হোসেন, শাহিন, জাকির। চিলড্রেণ আর্ট একাডেমির পরিচালক জাহিদ আত্তারী প্রতিযোগিতায় বিচারকে দায়িত্ব পালন করেন।

  • সৈয়দপুরে শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে র‌্যালী, পুষ্পমাল্য অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সৈয়দপুরে শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে র‌্যালী, পুষ্পমাল্য অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর উদ্যোগে র‌্যালী, শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে ব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয় থেকে র‌্যালী নিয়ে সৈয়দপুর সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। বিকালে ব্যাংক ভবনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল হক, ম্যানেজার অপারেশন নুরে আলম, সিনিয়র অফিসার আরিফ জনি, অফিসার মোঃ সেকেন্দার আলী, রওশন আলীসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রাহকবৃন্দ।

    দোয়া মাহফিলে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন সেইসকল ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

  • সৈয়দপুরে ইলিয়াস কাঞ্চনের বিরুদ্ধে মোটর শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

    সৈয়দপুরে ইলিয়াস কাঞ্চনের বিরুদ্ধে মোটর শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাহজাহান খান এমপির বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মোটর শ্রমিকরা।

    ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।

    সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ আলী, মাইক্রোবাস, জীপ, কার, পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন উপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক, ট্রাক মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক নাসিম প্রমুখ।

    বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শাহজাহান খান এমপির বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের দেওয়া মিথ্যা মামলা যদি প্রত্যাহার না করা হয়। তা হলে সারাদেশের পরিবহণ বন্ধ করে শ্রমিকরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। আর ওই কর্মসূচীতে যদি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তা হলে এর দায়ভার ইলিয়াস কাঞ্চন কেই নিতে হবে।

    ইলিয়াস কাঞ্চনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলা হয়, তিনি নিরাপদ সড়কের নামে সরকার ও বিদেশি দাতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে সরকারের প্রতি সমাবেশ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

  • সৈয়দপুরে রেলওয়ের সম্পত্তি উদ্ধার অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

    সৈয়দপুরে রেলওয়ের সম্পত্তি উদ্ধার অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের হাওয়ালদার পাড়ায় ১০৩টি অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় স্টেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুজ্জামান।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় তার সাথে ছিলেন র‌্যাব, পুলিশ আর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।

    অবৈধ দখলদারদের নিজ নিজ অবকাঠামো সরে নেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারো ১৫দিনের সময় বেধে দেয়া হয়। এ সময় সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় নাদিম আহমেদ নামের ১ জনকে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড আর ৩৩ জনের নিকট থেকে আদায় করা হয় ১লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

    এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যেহেতু মানুষজন বাড়ি-ঘর সরানোর জন্য সময় চেয়েছে, সেজন্য ১৫দিন পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করি- এটা সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ বা নির্দেশনা দিয়েছি। তাই আমরা ভাঙ্গার কার্যক্রম আপাতত করছি না। তবে সরকারী জমি দখলে রাখার যে অপরাধ সেই অপরাধে আমরা ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা আদায় করছি। সরকারী এ আদেশ যারা চ্যালেঞ্জ করবে তাদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার উদ্যোগ নেয়া হবে।

    উল্লেখ্য, সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের ৮শ’ একর জমির মধ্যে সাড়ে ৪শ’একর জমি গ্রাস করেছে অবৈধ দখলদারেরা। অবৈধভাবে দখলে নেয়া এসব জমির উপর প্রভাবশালীরা নির্মাণ করেছে ৪ হাজারেরও বেশী কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ী আর আকাশ ছোয়া বহুতল ভবন। গড়ে তুলেছেন বিপুল সংখ্যক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ে কারখানার শ্রমিকদের বসবাসের জন্য ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ২ হাজার ২শ’৫০টি কোয়াটারের মধ্যে ১ হাজার ৯শ’ কোয়াটার চলে গেছে বেদখলে।

    এ অভিযান নিয়ে বিগত কয়েকদিন যাবত চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে ছিল সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজন। এমনকি গত ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মানব বন্ধন কর্মসূচীও পালন করেছেন তারা।

  • সৈয়দপুর পৌরসভার কো-কম্পোষ্ট এন্ড ওয়াটার প্লান্ট পরিদর্শনে নেপালী প্রতিনিধি দল

    সৈয়দপুর পৌরসভার কো-কম্পোষ্ট এন্ড ওয়াটার প্লান্ট পরিদর্শনে নেপালী প্রতিনিধি দল

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার নির্মানাধীন বর্জ্র ব্যবস্থাপনা ও কো-কম্পোষ্ট এন্ড ওয়াটার প্লান্ট পরিদর্শন করলো নেপালের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

    মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় বিমানযোগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে প্রতিনিধি দল।

    এরপর পৌরসভা হয়ে দলটি শহরের নয়াবাজারস্থ ওয়াটার এইড বাংলাদেশ ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নির্মিয়মান সেনেটারী বর্জ্রসহ গৃহস্থালী বর্জ্র থেকে কম্পোস্ট সার ও বিশুদ্ধ পানি পরিশোধন প্লান্ট পরিদর্শন করে তারা।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জিয়াউল হক জিয়া, প্যানেল মেয়র-২ শাহিন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের রিজিওনাল ডিরেক্টর ডক্টর খাইরুল ইসলাম, হেড অফ প্রোগ্রাম আফতাব ওপেল, প্রোজেক্ট ম্যানেজার (স্মল টাউন) সুমন কান্তি নাথ, এসকেএস ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর (ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) মোঃ সাইফুল আলম, প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুর আলম খন্দকার প্রমুখ।

    পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলকে প্লান্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোজেক্ট ম্যানেজার (স্মল টাউন) সুমন কান্তি নাথ। তাকে সহযোগিতা করেন পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু।

    এরপাশাপাশি সৈয়দপুর পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক বাড়ি বাড়ি থেকে বাঁশি বাজিয়ে পরিচ্ছন্নকর্মীদের গৃহস্থালী ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পর্কে পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের নতুন বাবুপাড়া হাজী কলোনী মাঠে শহীদ কুদরত স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কো-কম্পোষ্ট ও ওয়াটার প্লান্ট এর বর্জ্র ব্যবস্থাপনার সফলতা ও উপকারিতা বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সুবিধাভোগী স্থানীয় জনগণ।

    পরে প্রতিনিধি দলের সাথে পৌরসভার অধিবেশন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় প্রতিনিধি দলের প্রধান নেপালের লাহান পৌরসভার মেয়র মুনি সাহ সুদিসহ ডিপুটি মেয়র সুরিয়ার কুমারী চৌধুরী, নেপাল ওয়াটার সাপ্লাই কো-অপারেশন এর চিফ টেকনিক্যাল ডিভিশন এর ঈশ্বর প্রসাদ, লাহান পৌরসভার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার খেম নন্দ ভুসাই, ওয়াটার এইড নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর তৃপ্তি রায়, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (কিংডম) পিটার এন্থনি ওয়াইস, বিকন লিডার কাবিন্দ্র পুডিসাইনি, পলিসি স্পেশালিস্ট গোবিন্দ্র বাহাদুর শেরসা, ইকো ট্যুরিজমের ট্রেজারার মমতা জাইন, দলিত জনকল্যান যুব ক্লাব এর এক্সিকিউিটিভ ডিরেক্টর বিনোদ কুমার বিশাঙ্ক, সোস্যাল মিউনিসিপ্যাল অফিসার মুহেশ কুমার ধাঙ্গারা, নেপালের মিত্র সংঘ সংস্থার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ল্যাথসেরিং গ্লান তামাং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    সৈয়দপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে লাহান এর মেয়কে ক্রেস্ট ও প্রতিনিধিদের প্রত্যেককে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। এসময় লাহান এর মেয়রও সৈয়দপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে তাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী উত্তরীয় ও জাতীয় প্রতিকের মেডেল প্রদান করেন।

    লাহান পৌরসভার মেয়র মুনি সাহ সুদি তার বক্তব্যে বলেন, সৈয়দপুর পৌরসভার এ প্লান্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদুরপ্রসারী ফলপ্রসু প্রকল্প। এজন্য সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়রকে তিনি অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

  • রেলওয়ের কোয়াটার খাতায় শুন্য থাকলেও বাস্তবে রেলকর্মচীরই দখলে

    রেলওয়ের কোয়াটার খাতায় শুন্য থাকলেও বাস্তবে রেলকর্মচীরই দখলে

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে বিভাগের একটি কোয়াটার দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর যাবত নথিতে শুণ্য (খালি) হিসেবে থাকলেও তা একজন রেলকর্মচারীই দখল করে বসবাস করছেন বিনা বরাদ্দে।

    ওই রেল কর্মচারীর একই শহরে নিজস্ব বাসা-বাড়ি থাকলেও তিনি কোয়াটার দখল করে সেখানে অবস্থান করছেন আর বাসা ভাড়া দিয়ে নিজের পকেট ভরছে। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোয়াটারের ভাড়া বাবদ কোন অর্থই পাচ্ছে না।

    রেলওয়ে ভূ-সম্পতি কর্মকর্তা (আইওডাব্লু) এর সহযোগিতায় তিনি ওই কোয়াটারটি দখল করে বসবাস করলেও নিয়মানুযায়ী তার বেতন থেকে এক পয়সাও কর্তন হচ্ছেনা। ফলে সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগ তথা বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজস্ব হারাচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকে।

    সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনী এলাকায় জেলা ডাকবাংলো সংলগ্ন ৬১০ নং ডাবল কোয়াটারটি মূলতঃ বরাদ্দ ছিল রেলওয়ে কারখানার জিওএইচ শপের তৎকালীন খালাসী মোস্তাক এর নামে। কিন্তু তিনি কোয়াটারটি ছেড়ে দিলে বিগত ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর তারিখে এটি শুন্য তথা খালি ঘোষণা করে সৈয়দপুর রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (আইওডাব্লু)। এর পর প্রায় ১ বছর যাবত এটি খালিই ছিল। কিন্তু তারপর কোয়াটারটি কোন প্রকার বরাদ্দ না নিয়ে ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে দখল করেন জিওএইচ শপেরই গ্রেড-১ মিস্ত্রি মোঃ রফিকুল ইসলাম (টিকিট নং ২৫০৬৯)। তিনি তখন থেকে আজ অবধি সেখানে বসবাস করছেন। বিষয়টি বর্তমান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা অবগত হলেও কোয়াটারটি ওই রেল কর্মচারীর নামে বরাদ্দ প্রদান করা বা দখলমুক্ত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নেননি। বরং তিনিই পরবর্তীতে ওই রেল কর্মচারীকে সহযোগিতা করেছেন সেখানে বিনা বরাদ্দে বসবাসের ক্ষেত্রে।

    এ ব্যাপারে কথা হয় কোয়াটার দখলকারী রেলওয়ে কর্মচারী মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন কোয়াটারটি তার নামে বরাদ্দ নেই তবে তার শপের (জিওএইচ) একজন কর্মচারীর নামে বরাদ্দ রয়েছে। তার বদলে তিনি সেখানে বসবাস করছেন। এ ব্যাপারে আইওডাব্লুসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন।

    সৈয়দপুর রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (আইওডাব্লু) মোঃ তহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সৈয়দপুরে তো অনেক কোয়াটার কোন কার নামে বরাদ্দ বা কার দখলে আছে সে ব্যাপারে সঠিক ভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা। আমি এখন অফিসের বাইরে আছি।

    সৈয়দপুরের রেলওয়ে কোয়াটার ও বাংলো বরাদ্দ ও বরাদ্দ বাতিল বিষয়ক কর্মকর্তা (ব্যারাক মাস্টার) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকেই অফিসার কলোনীর ৬১০ নং ডাবল কোয়াটারটি শুন্য রয়েছে। এটি জিওএইচ শপের মোস্তাক নামের একজন খালাসীর নামে বরাদ্দ ছিল। পরবর্তীতে তিনি তা ছেড়ে দিলে তখন থেকেই এটি আজ পর্যন্ত শুন্য হিসেবে খাতায় রয়েছে। কিন্তু সেখানে রফিকুল ইসলাম নামে একজন রেলওয়ে কর্মচারী আইওডাব্লুকে ম্যানেজ করে দখলে রেখে বসবাস করছেন। খালি কোয়াটার রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব মূলতঃ আইওডাব্লু’র। তিনি কোন কোয়াটারে কাকে থাকার জন্য দিচ্ছেন সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানার নেই।

    একটি সূত্রের অভিযোগ আইওডাব্লু মোঃ তহিদুল ইসলাম সৈয়দপুরে যোগদানের পর থেকে প্রায় শতাধিক কোয়াটার ও বাংলো যেগুলো খালি হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন ব্যক্তিকে বসবাসের সুযোগ করে দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সেসাথে কোন কোন কোয়াটারকে পরিত্যক্ত দেখিয়েও সেখানে বহিরাগতদের দখলে দিয়ে মাসোহারা আদায় করে চলেছেন।

    সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার (ডাব্লুএম) ও কোয়াটার এবং বাংলো বরাদ্দ কমিটি (হাউজিং কমিটি) এর চেয়ারম্যান শেখ হাসানুজ্জামান জানান, রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি তথা জায়গা, কোয়াটার, বাংলো দেখা শোনার দায়িত্ব মূলতঃ আইওডাব্লু’র। আমরা শুধু আমাদের রেলওয়ে কারখানার কোন কর্মকর্তা কর্মচারী বরাদ্দ নিলে বা ছেড়ে দিলে সে বিষয়ে লিখিতভাবে জানাই। বরাদ্দ প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাপ্ত বেতনের ৪০ ভাগ বেতন কর্তন করা হয় বেতন থেকে। তাছাড়া সৈয়দপুরের বেশিরভাগ রেলওয়ে কোয়াটার ও বাংলো অনেক বড় বড় মানুষ দখল করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করেন রেলওয়ে কারখানার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিউজ করে কি হবে। কোন কোয়াটার যদি কোন কর্মচারী আইওডাব্লু ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বা তাদের অজ্ঞাতে দখল করে বাস করে সেক্ষেত্রে আমার করার কিছুই নেই। কেননা তার বেতন থেকে কর্তনও করতে পারবোনা। আর আইওডাব্লু আমার অধিনে নয় তিনি ইএন বা রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা পাকশী রেলওয়ে বিভাগের অধিনে। তাই তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ আমরা নিতে পারিনা।

  • সৈয়দপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

    সৈয়দপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন যাটোর্ধ অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কামারপুকুর বাজারস্থ মেসার্স রাজা ফিলিং স্টেশনের বিপরিতের মার্কেটের সামনে থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত এলাকায় এক ব্যক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট করে। এতে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর থানার এসআই দিলিপ কুমার রায়। পরে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

    এলাকাবাসী জানায় মৃত লোকটি গত কিছুদিন যাবত কামারপুকুর বাজার এলাকায় ঘুরাঘুরি করতো এবং রাতে মার্কেটের সামনে বারান্দায় থাকতো। তবে কারো সাথে কোন কথা বলতো না। মুখে লম্বা দাড়ির ওই লোকের পড়নে গেঞ্জি, শার্ট, জিন্সের প্যান্ট ও কালো জ্যাকেট রয়েছে। পাতলা গড়নের ওই ব্যক্তি মাঘ মাসের হাঁড় কাপানো প্রচন্ড শীতের কারণে মারা গেছে বলে অনেকে মনে করছে।

    সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।

  • সৈয়দপুরের কুখ্যাত মাদক সম্রাট ভন্ড কালাম সহ ৩ জন আটক

    সৈয়দপুরের কুখ্যাত মাদক সম্রাট ভন্ড কালাম সহ ৩ জন আটক

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কুখ্যাত মাদক সম্রাট ভন্ড কালামসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

    ২০ জানুয়ারি (সোমবার) বিকালে তাদেরকে সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে কারখানা সংলগ্ন সাহেবপাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে গাজা সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলো সাহেবপাড়ার পিতা- মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে দেওয়ানবাগী পীরের স্থানীয় খলিফা ও মাদক সম্রাট মোঃ আবুল কালাম (৬২ বছর), একই মহল্লার মৃত সোলায়মানের ছেলে মোঃ মিন্টু (৫০) এবং নয়াটোলা মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম মামুন (৩৩)। আাবুল কালাম তার নিজ বাড়িতে অন্য দুইজনকে নিয়ে গাজা সেবন করছিলেন। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০০ গ্রাম গাজা পাওয়া যায় যা পরে ধ্বংস করা হয়।

    এ অপরাধের কারণে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার আটক মোঃ আবুল কালামকে ৬ মাস এবং অন্য দুইজনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। মোবাইল কোট চলাকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের কর্মচারীরা ও সৈয়দপুর থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, মাদক সম্রাট কালাম দীর্ঘ দিন থেকেই সৈয়দপুর শহরের প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। নিজেকে দেওয়ানবাগী পীরের খলিফা বলে পরিচয় দিলেও সে মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে তাকে লোকজন ভন্ড কালাম বলেই আখ্যায়িত করেছে।

  • সৈয়দপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    সৈয়দপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারি)  বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আবুল কাজীর দোলায় ১০ম বারের মত এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

    এতে নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড় জেলা থেকে প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করেন।

    এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মোহাসিনুল হক মহসিন, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুজ্জামান রাশেদ।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল হেলাল চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজক কাজী মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেন (ঘোড়া হুজুর)। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ কামারপুকুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিকো আহমেদ, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মেহেদি হাসান সুরজ মন্ডল, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার ও প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক মোতালেব হোসেন।

    প্রতিযোগিতায় ১০টি ঘোড়া অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে রংপুরের মহসিন আলী, দ্বিতীয় হয়েছে দিনাজপুরের বিন্নাকুড়ির আমিনুর রহমান এবং তৃতীয় হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ার সোনামিয়া।

    সৈয়দপুরের মোটর সাইকেল শোরুম তাহিয়া বাজাজ ও ইসলাম মটরস্ এর সৌজন্যে অনুষ্ঠিত ঘোড় দৌড় দেখার জন্য সৈয়দপুরের আশে পাশের হাজার হাজার নারী-পুুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সহ দূর-দূরান্ত থেকেও অনেক লোকজন সমবেত হয়েছিল প্রতিযোগিতাস্থলে।

  • সৈয়দপুরে টেন্ডার ছাড়াই ২৫টি গাছ কেটে সাবার করেছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা

    সৈয়দপুরে টেন্ডার ছাড়াই ২৫টি গাছ কেটে সাবার করেছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ কর্তৃৃৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে টেন্ডার ছাড়াই ২৫ টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটেছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা।

    বিগত ৫ দিন থেকে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসারের কার্যালয় চত্বরের গাছগুলো কাটার পর তা প্রকাশ্যেই পাচার করে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সরকারী গাছ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কাটার পরও তিনি তা অস্বীকার করে মিথ্যেচার করছেন এবং নানা অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টিকে জায়েজ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    প্রশাসনকে অবগত করা হলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়।

    ১৩ জানুয়ারি সোমবার বিকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড নয়াটোলা এলাকায় উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিসারের কার্যালয়ে প্রধান ভবনের পশ্চিম পাশের বিশালাকৃতির একটি কদম গাছের কাটা গুড়ি ও ডালপালা পড়ে আছে। যা কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গাছকাটার পাইকার ও কাঠুরেরা তাদের যন্ত্রপাতি ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। এছাড়া অফিস চত্বরের চারপাশের প্রায় ২৫টি গাছ কেটে তা আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে আমগাছ ৬টি, কাঠাল গাছ ৬টি, ঘোড়ানিম গাছ ৬টি, মেহগনি ৫টি, বাতাবি লেবু গাছ ১টি। এ গাছগুলোর শুধুমাত্র গোড়াগুলো দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেক গাছের গোড়াও মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যা মাটি খুড়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ওই স্থানের গাছও কাটা হয়েছে। যে গাছগুলোর কোন কান্ড বা ডালপালার কোন হদিস নেই। এগাছগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।

    স্থানীয়রা জানান, গত প্রায় ৫দিন থেকে প্রানি সম্পদ কার্যালয়ের গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অফিসের লোকজনের কাছে জানতে পারেন যে টেন্ডারের মাধ্যমেই গাছ কাটা হচ্ছে। তাই তারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি।

    এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গাছগুলো কাটা হয়েছে অফিস ভবনটি রক্ষার জন্য। গাছের কারণে ভবনটি ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছিল। তাছাড়া আমরা ঠান্ডার কারণে অফিসে বসতে পারছিনা। তাই রোদের ব্যবস্থা করার জন্যই গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

    উপ-সহকারী প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা দিলাল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে চরম বিরক্তিভাব প্রকাশ করে বলেন, এটা আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যাপার। এ সামান্য বিষয় নিয়ে আপনারা ছুটে এসেছেন। অথচ এখানে কোন জীবিত গাছই কাটা হয়নি। মরা গাছগুলো অনেকদিন থেকে পড়ে আছে যা জঙ্গলের সৃষ্টি করেছে তাই কেটে ফেলা হয়েছে। এখন এটা নিয়ে কারো মাথাব্যাথা থাকার কথা নয়। তারপরও যদি কেউ নাক গলাতে আসেন তাহলে আমি অত্যন্ত পজেটিভলি বলছি তা ভালো হবেনা। উপস্থিত সংবাদকর্মীরা তার আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হক জানান, মূলতঃ একটি মাত্র কদম গাছ কাটা হয়েছে। তাও গাছকাটার কর্মীদের ভুলের কারণে। অফিসের দক্ষিন-পশ্চিম পাশের বাড়ি ওয়ালার অভিযোগের কারণে ওই গাছটির ডাল কাটার জন্য মজুর লাগানো হয়েছিল। তারা আমার অনুপস্থিতিতে পুরো গাছটিই কেটে ফেলেছে। তাছাড়া আর কোন জীবিত গাছ কাটা হয়নি। উত্তরদিকের মাত্র ৫টি গাছ কাটা হয়েছে। সেগুলো সব মৃত ছিল। তাই ওই গাছগুলো কাটার ক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা বন বিভাগের কোন অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।

    উপজেলা সামাজিক বনায়ন, নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান জানান, এ ধরণের কোন আবেদন আমাদের এখানে করা হয়নি। বিষয়টি আমরা জানিনা। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপজেলা প্রশাসন দেখবেন।

    নীলফামারী জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোনাক্কের আলীকে বিষয়টি মুঠোফোনে অবগত করা হলে তিনি জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে আজ উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা মুঠোফোনে একটি গাছে ডাল কাটার বিষয়ে অবগত করেছেন মাত্র। এ ব্যাপারে প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসিয়াল কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করায় উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) পরিমল কুমারকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান, একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে যদি তিনি এমন অনিয়মতান্ত্রিক কাজ করে থাকেন তাহলে সেখানে আমার আর কি করা থাকে। তিনি এ ব্যাপারে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেননি।