Tag: সৈয়দপুর

  • প্রচন্ড শীতে জবুথবু সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলা

    প্রচন্ড শীতে জবুথবু সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলা

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ প্রচন্ড কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলার জনজীবন।

    মৃদু শৈত্য প্রবাহে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ফলে হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। কর্মচাঞ্চল্য একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলেও দেখা দিয়েছে প্রতিবন্ধকতা। বাতাসের সাথে সাথে মাঝে মাঝে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে জনপদগুলো। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ। তারা যেমন কর্মে যেতে পারছেনা শীতের কারণে তেমনি কাজ না করায় আয় বঞ্চিত হয়ে অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। হাড় কাপানো শীতে অসুস্থ হয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগাক্রান্তরা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে। শিল্প ও বানিজ্য নগরী শীতের প্রকোপে কর্মনিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।

    এদিকে শীত তথা ঘন কুয়াশার কারণে কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। তাদের বোরো বীজতলা, আলুর খেত, রবিশস্য সরিষা, ভুট্টা, বাদাম ও গমের খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধানবীজ হলদে বরণ ধারণ করায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে আগামী বোরো আবাদ নিয়ে।

    যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে দেখা দিয়ে সিডিউল বিপর্যয়। ট্রেনগুলো প্রতিটিই ৫ থেকে ৬ ঘন্টা বিলম্বে যাতায়াত করছে। সড়কপথে বাস, ট্রাক, মোটর সাইকেল ধীরগতিতে দিনের বেলাতেও লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। আকাশপথে ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে চলাচলকারী বিমানগুলো যথাসময়ে আসতে পারছেনা। সকালের বিমান দুপুরে বা বিকালে এসে পৌছায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

    সব মিলিয়ে কনকনে শীতে সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলার সর্বস্তরের মানুষ কাতর হয়ে পড়েছে। আজ ১৩ জানুয়ারি সোমবার সৈয়দপুরে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

  • সৈয়দপুরের মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত শিল্প সাহিত্য সংসদের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ

    সৈয়দপুরের মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত শিল্প সাহিত্য সংসদের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ উত্তরবঙ্গের শিল্প ও সাহিত্য চর্চার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ও নীলফামারী জেলার মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত সৈয়দপুর শিল্প সাহিত্য সংসদের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

    ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে শহরের ইকু হেরিটেজ হোটেল এন্ড রিসোর্ট সেন্টারে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে নতুন সদস্যদের শপথ পাঠ করান সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র, সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্প সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার।

    উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনটির ১৩৮ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে দুটি প্যানেলে ১৮টি পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    এর মধ্যে বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী শ, ম শামিম ও সৈয়দপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার এর নেতৃত্বাধিন ঐহিত্য পূনঃরুদ্ধার প্যানেলের ১৫ জন এবং সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক আলাপন সম্পাদক সাংবাদিক আমিনুল হক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ওবায়দু রহমান গণতান্ত্রিক প্যানেলের মাত্র ৩ জন জয়ী হয়।

    এর মধ্যে সভাপতি পদে আমিনুল হক ও শ. ম শামিমের ভোট সমান হওয়ায় ওই পদে পূণরায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর মধ্যেই গত ২৩ ডিসেম্বর আমিনুল হক তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে শ, ম শামীমকে সভাপতি পদে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

  • সৈয়দপুরের ৪ গুণিজনকে সম্মাননা দিলো ঢাকাস্থ সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার

    সৈয়দপুরের ৪ গুণিজনকে সম্মাননা দিলো ঢাকাস্থ সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ সমাজ সেবা, শিশু সাহিত্য, শিক্ষা ও চারণ কবি এই ৪ বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় নীলফামারীর সৈয়দপুরের ৪ গুনিজন সম্মাননা দিয়েছে সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি)।

    ঢাকাস্থ এ সংগঠনটি জীবন শিল্পী সৈয়দ আলী আহসান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গুনিজনদের সম্মাননা প্রদান করছে।

    এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ৪ জন গুণিব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। শহরের বিমানবন্দর রোডস্থ রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন ইকু হেরিটেজ হোটেল এন্ড রিসোর্ট সেন্টার এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং সিএনসি’র সভাপতি আবদুল মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সিএনসি’র ট্রাস্টি মামুনুর রশিদ, সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট লেখক হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিএনসি’র সদস্য বিশিষ্ট লেখক ও সৈয়দপুরের কৃতি সন্তান সৈয়দ এমদাদুল হক চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে যাদের সম্মাননা প্রদান করা হয় তারা হলেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার (সমাজ সেবা) সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাবিনা সালাম (নারী শিক্ষা), মুফতি মইনুল ইসলাম (শিশু সাহিত্য) ও চারণ কবি মরহুম আবুল হোসেন আদানী (মরনোত্তর)।

    আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দসহ সৈয়দপুরের কথা সাহিত্যিক আকমল সরকার রাজু, মরহুম আবুল হোসেন আদানীর মেয়ে স্বভাব কবি ডেইজি আদানী প্রমুখ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প সাহিত্য সংসদের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সৈয়দপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের নেতৃবর্গ সাহিত্য ও শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।

  • জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে রংপুর-সৈয়দপুর নীলফামারী গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ কাজ

    জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে রংপুর-সৈয়দপুর নীলফামারী গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ কাজ

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে রংপুরে গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ কাজ। ২০২২ সালের মধ্যে এই পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

    রংপুর অঞ্চলের শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে গ্যাস সরবরাহ ও বিতরণ লাইন নির্মাণে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

    রংপুর চেম্বার পরিচালনা পর্ষদ ও শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্লানিং) ইঞ্জিনিয়ার শৈলজা নন্দ বসাক। গতকাল সোমবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    তিনি জানান, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর সফরকালে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে বগুড়া থেকে রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস পাইপলাইন বসানোর সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলেশন কোম্পানির (আইএফসি) প্রকৌশলীরা।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রংপুর বিভাগে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের লক্ষ্যে রংপুর অঞ্চলে কতগুলো শিল্পকারখানা আছে, কতগুলো নতুন কারখানা হতে পারে এবং সেই কারখানাগুলোয় গ্যাসের চাহিদা কেমন হবে তা জানতেই এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। রংপুর, নীলফামারী, সৈয়দপুর শহর, পীরগঞ্জ শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আগামী বছর জানুয়ারিতে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে।

    সভায় শৈলজা নন্দ আরও বলেন, রংপুরে গ্যাস সরবরাহ করা হলে এ অঞ্চলে ব্যাপক শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। সেই সাথে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

    তিনি জানান, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে অনেক শিল্পোদ্যোক্তারা শিল্প প্লট ক্রয় করে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। এছাড়া রংপুরে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও রংপুরের সব উপজেলার শিল্পকারখানায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের আহ্বান জানানো হয়।

    রংপুর চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোজতোবা হোসেন রিপন বলেন, সরকারের লক্ষ্য দেশের সব অঞ্চলের সুষম উন্নয়ন। উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হল জ্বালানি। রংপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রংপুর অঞ্চলে গ্যাস সংশ্লিষ্ট শিল্প কলকারখানার বিকাশসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

  • সৈয়দপুরে সমবায় সমিতির নামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা

    সৈয়দপুরে সমবায় সমিতির নামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা

    মোঃ জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে সমবায় সমিতির নামে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ঋণ প্রদান করে কিস্তি আদায়ের মাধ্যমে রমরমা সুদের ব্যবসা চলছে। শতকরা ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত সুদ আদায়সহ বার্ষিক মেয়াদের পরিবর্তে মাসিক মেয়াদে সুদাসল আদায় করা হচ্ছে।

    এতে স্থানীয় গ্রাহকরা এনজিও’র আদলে গড়া এসব সমিতির খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত সুদ প্রদান এবং স্বল্প সময়ের ঋন পরিশোধের ফলে পুজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে।

    সমবায় সমিতি হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন নেয়া হলেও এক্ষেত্রে সমবায় আইন বা নিয়ম মানছেনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি সরকারী ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবারের দিনেও তারা কিস্তি আদায় করছে। যা সম্পূর্ণভাবে আইন বিরুদ্ধ ও অবৈধ কারবার।

    সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ এলাকায় রেলওয়ের পাওয়ার হাউস এর সামনে প্রধান অফিস খুলে অবিনশ্বর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অথচ ওই এলাকায় কোন ব্যবসায়ীই নেই। যারা এই সমিতির সদস্য হবেন।

    মূলতঃ সমবায়ের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সুদের রমরমা ব্যবসা করার লক্ষ্যেই স্থানীয় সমবায় অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সমিতি গঠন করেছে।
    এই সমিতির মাধ্যমে নিজেদের এনজিও পরিচয় দিয়ে নামে বেনামে সদস্য সংগ্রহ করে কোন রকমে ঋণ গছিয়ে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ২০% থেকে ৩৫% পর্যন্ত সুদ আদায় করা হচ্ছে। ঋনের কিস্তি দৈনিক হারে উত্তোলন করাসহ সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসে সরকারী ছুটির দিনও আদায় করা হচ্ছে ঋন ও সুদের কিস্তি।

    এছাড়া তারা বার্ষিক মেয়াদের পরিবর্তে মাসিক বা ত্রৈমাসিক মেয়াদে ঋণ প্রদান করছে। যা সম্পূর্ণরপে সমবায় আইন বা দেশের প্রচলিত বেসরকারী আর্থিক সংস্থার নিয়ম নীতির বিপরিত। এভাবে তারা অতিরিক্ত সুদ আদায় এবং সরকারী আইন ও নিয়ম ভঙ্গ করলেও স্থানীয় সমবায় অফিস এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় গ্রাহকরা প্রতারণা শিকার হচ্ছেন এবং অতিরিক্ত সুদ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

    কয়েকজন গ্রাহক জানান, অবিনশ্বর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালক সুমন নিজেদের এনজিও পরিচয় দিয়ে অল্প সুদের অধিকহারে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের সদস্য করেছে। এরপর সঞ্চয় করার মাধ্যমে গচ্ছিত টাকা ফেরত না দিয়ে এর বিপরিতে আমাদের ঋণ নিতে বাধ্য করেছে। যা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আদায় সহ মাত্র ১ মাস বা ৩ মাস মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য করছে। এতে আমরা ঋণ নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি। অথচ সদস্য করার সময় বলা হয়েছিল অন্যান্য এনজিও যেভাবে পরিচালিত হয় সেভাবেই পরিচালনা করা হবে এই সমিতি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান জানান, সমবায় সমিতিগুলো কোনভাবেই সমবায় আইনের বাইরে পরিচালিত হতে পারেনা। তারা নিজস্ব কমিটি করে আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে সরাসরি জেলা অফিস কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন দেওয়ায় আমরা কোন হস্তক্ষেপ করতে পারছিনা। তবে এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সৈয়দপুরে টিসিবি’র মাধ্যমে খোলা বাজারে মিশরীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি শুরু

    সৈয়দপুরে টিসিবি’র মাধ্যমে খোলা বাজারে মিশরীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি শুরু

    মোঃ জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে টিসিবি’র মাধ্যমে মিশরীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। শহরের শেরে বাংলা সড়কস্থ মেসার্স সাকিল ট্রেডার্স এই পেয়াজ বিক্রি করছে।

    ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে এই পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে শহরের ক্রেতাদের মধ্যে পেঁয়াজ কেনার হিড়িক পড়েছে। বিশেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই পেয়াজ কিনতে লম্বা লাইন করে পেয়াজ কিনতে দেখা গেছে।

    পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পর সাধারণ মানুষের মাঝে পেয়াজ কেনা নিয়ে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছিল। সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সৈয়দপুরে। বেশ কিছুদিন পরে নতুন পেয়াজ তথা পাতা পেয়াজ বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমলেও সর্বশেষ স্থানীয় বাজারে পাতা পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি এবং পুরাতন পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি।

    এমতাবস্থায় টিসিবি’র মাধ্যমে মাত্র ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কেননা বাজারে এই মিশরীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। সেসাথে দেশীয় পুরাতন পেয়াজ বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে যার দাম প্রায় ১৪০ টাকা কেজি। তাই লম্বা লাইন করে পেয়াজ বিক্রির দৃশ্য যেন দেখার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    টিসিবি’র মাধ্যমে পেয়াজ বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে স্বত্বির সৃষ্টি হয়েছে। সে সাথে বাজারে ভারসাম্য ফিরে এসেছে বলে উপস্থিত ক্রেতারা অভিমত ব্যক্ত করেছে।

    এ ব্যাপারে মেসার্স সাকিল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাকিল আহমেদ জানান, আমরা আজ মিশরীয় পেঁয়াজ পেয়েছি তাই সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করছি। আগামীকালও যদি পেঁয়াজ পাওয়া যায় তাহলে বিক্রি অব্যাহত থাকবে। এতে গ্রাহকদের পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে সৃষ্ট ক্ষোভ ও দূর্ভোগ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

  • যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অকেজো বাংলাদেশ বিমান ১ দিন পর যাত্রী ছাড়াই ঢাকায় ফেরত

    যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অকেজো বাংলাদেশ বিমান ১ দিন পর যাত্রী ছাড়াই ঢাকায় ফেরত

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসার পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট বাতিল করা এয়ারক্রাফট টি ১ দিন পর যাত্রী ছাড়াই ঢাকার উদ্দেশ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে এসে ত্রুটি ধরা পড়ায় বিজি-৪৯৪ উড়োজাহাজের ঢাকায় ফিরতি ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়। এতে ঢাকাগামী ১১ জন যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন এবং এর মধ্যে অনেকে যেতে না পেরে ফিরে গেছেন।

    সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধা ৫ টা ২৫ মিনিটে ঢাকা থেকে বিমানের ফ্লাইটটি এসে পৌঁছে। ২৫ মিনিট বিরতির পর সেটি ৫ টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেকিং এর সময় ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ত্রুটি সারানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় শেষে ফ্লাইটটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। প্রায় ১ ঘন্টা অপেক্ষার পর ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণায় ঢাকা যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসা ১১ জন যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ে।

    বাধ্য হয়ে তাদের অনেকে ফিরে গেলেও কয়েকজন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করা সহ জরুরী ভিত্তিতে ট্রেনের টিকিট অতিরিক্ত দামে কিনে ঢাকায় যেতে বাধ্য হয়েছেন।

    এ ব্যাপারে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার সুশান্ত দত্ত জানান, বিমানের ৪৯৪ নং ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসার পর ফেরার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কোনভাবেই স্ট্রার্ট নিচ্ছিল না। এমতাবস্থায় প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালানো হয় ত্রুটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তা সারিয়ে তোলার। কিন্তু কোনভাবেই ত্রুটি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে উড়োজাহাজটি সৈয়দপুর বিমানবন্দরেই সারা রাত অবস্থান করছে।

    বিষয়টি ঢাকায় জানানো হয়। সেখান থেকে ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার আসার পর দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে কোন রকম ত্রুটি সারিয়ে তুলেছে। তবে এক্ষেত্রে আরও অধিকতর চেকিং প্রয়োজন রয়েছে। সেকারণে যাত্রী ছাড়াই উড়োজাহাজটিকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনাকাঙ্খিত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তির কারণে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • ১১০ বছর বয়সী বৃদ্ধের আকুতি আমার ওষুধ কেনার টাকাটাও কেটে নিল ম্যানেজার

    ১১০ বছর বয়সী বৃদ্ধের আকুতি আমার ওষুধ কেনার টাকাটাও কেটে নিল ম্যানেজার

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ ‘স্যার আমার টাকাটার খুব দরকার, সরকার দয়া করে আমাকে যে বয়স্ক ভাতা দেয়, সেই টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে কোন রকমে বেঁচে আছি। তাই একবারে সব টাকা কেটে নিলে আমি ওষুধ কিনবো কি দিয়ে? আর ওষুধ না খেলে বাঁচবো কেমন করে? এর চেয়ে আমাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেন। তাও টাকা পেয়েও ওষুধ কিনতে না পারার কষ্ট দিয়ে মারেন না।’

    এমন করেই করজোড়ে আকুতি করছিল এক বৃদ্ধ। কিন্তু তারপরও বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করলেন না ব্যাংক ম্যানেজার। বরং তিনি ১ হাজার টাকার ঋণ কর্তনের রিসিভ কেটে বৃদ্ধের হাতে ধরিয়ে দিয়ে এক প্রকার তাড়িয়ে দিলেন। ‘যান যান এখান থেকে বিরক্ত করবেন না, আমার অনেক কাজ আছে। আপনাদের আমি ভাল করেই চিনি। এভাবে টাকাটা কেটে না নিলে জীবনেও দিবেন না। ভাতা পাওয়ার আগে যেভাবে ওষুধ ছাড়াই বেঁচে ছিলেন সেভাবেই এখনও চলবেন। তা না হলে ঋণ শোধ না করেই কবরে যেতে হবে। তখন পরকালেও দূর্ভোগ পোহাতে হবে।’

    উপরোক্ত দৃশ্যটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখার। গত ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সামনেই একজন বৃদ্ধ গ্রাহকের সাথে এমন আচরণ করেন শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রাশেদুজ্জামান সরকার। তার এমন রূঢ় আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে গেল বৃদ্ধ।

    এসময় উপস্থিত সংবাদকর্মীরা বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমার নাম বদর উদ্দিন। আমার ছেলে ১৯৯১ সালে ১ হাজার ৮ শ’ টাকা কৃষি ঋণ নিয়েছিল। যা পরবর্তীতে মাপ করে দেওয়া হয়েছিল বলে আমি জানি। আমার বয়স ১১০ বছর। এলাকার মেম্বারের সহযোগিতায় গত ১ বছর যাবত সরকার দয়া করে আমাকে বয়স্কভাতা দিচ্ছেন। প্রতি ৩ মাস পর পর ১ হাজার ৫শ’ করে টাকা এই শাখা থেকে পাই।

    এই বৃদ্ধ বয়সে নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছি। বিশেষ করে শ্বাষকষ্টে চরম ভোগান্তিতে আছি। বয়স্কভাতার টাকাটা দিয়ে ওষুধ কিনে কোন রকমে বেঁচে আছি। ছেলেরা দেখেও দেখেনা। তাই অনেক কষ্টে মানুষের কাছে চেয়ে চিমটে পেট চালাই। সরকার এই ভাতাটা দেওয়ায় অনেকটা স্বস্তি পেয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে গত আগস্ট মাসে ভাতা তুলতে আসলে ম্যানেজার মাত্র ৫শ’ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, আমার নামে ঋণ আছে তাই ১ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। আমিতো হতভম্ব! অনেক অনুরোধ করেও তার মন গলাতে পারিনি। বাধ্য হয়ে গত ৩ মাস ওষুধ কিনতে না পারায় অনেক কষ্ট করে কাটিয়েছি।

    তাই এবার বললাম যে, ঋনের টাকাটা প্রতিবারে ৫শ’ টাকা করে কেটে নিতে। তাহলে ঋণও পরিশোধ হবে আমারও ওষুধ কিনতে না পেরে কষ্ট হবেনা।

    কিন্তু না, তিনি কোন কথাই শুনতে রাজি নন। এবারও ১ হাজার টাকাই কেটে নিলেন। ম্যানেজারের বক্তব্য আমি যদি মরে যাই তাহলে বয়স্ক ভাতাও পাবনা এবং ঋণও পরিশোধ হবেনা। তাই বেঁচে থাকতেই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এখন আমি ওষুধ ছাড়া কিভাবে চলবো? ঋণ পরিশোধের আগেই তো ওষুধ না পেয়ে মরে যাবো! তখন তার ঋণ পরিশোধ করবে কে?

    এমন দুঃখভরা আবেগ নিয়ে প্রশ্নগুলো করে হাতের লাঠিতে ভর করে বৃদ্ধ কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সংবাদকর্মীরা বৃদ্ধের জন্য কিছু করা যায় কি না ভেবে শাখা ব্যবস্থাপককে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, কোন উপায় নেই।

    টাকাটা আমাকে নিতেই হবে। তার ঋণ ছিল ১ হাজার ৮শ’ টাকা যা সুদ ও আসল মিলে হয়েছে ৩ হাজার ৬শ’ টাকা। দীর্ঘদিন থেকে তিনি ঋণ পরিশোধ করছেন না।

    এতদিন কেন তাকে ধরেন নাই বা অল্প অল্প করে কেটে নিলেও তো পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ব্যবস্থাপক সংবাদকর্মীদের কটাক্ষ্য করে বলেন, কখন ধরবো আর কখন ধরবোনা তা কি আপনাদের কাছ থেকে শিখতে হবে। আমার ব্যাংকের পলিসি অনুযায়ী আমি কাজ করেছি। আপনাদের তার প্রতি বেশি দয়া হলে নিজেরাই তার ঋণ পরিশোধ করে দেন বা তাকে ওষুধ কেনার টাকা দেন।

    এভাবে গ্রাহককে টাকা বুঝিয়ে না দিয়েই ঋণ পরিশোধের নামে কর্তন করার কোন বিধান কি আপনাদের আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, সব নিয়মই কি লিখিত আকারে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা ব্যাংকের স্বার্থে যা করা দরকার তাই করি। এতে কেউ কোন অভিযোগ করেও কোন লাভ নেই। বর্তমান ইউএনও’র কাছে অনেকেই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন তাতে আমার কিছুই হয়নি। আপনাদের ইচ্ছে হলেও করতে পারেন।

    এসময় দেখা যায়, শাখা ব্যবস্থাপকের টেবিলে অনেক ভাতাগ্রহিতার পাশবই রক্ষিত। তিনি আরও অনেক ভাতাগ্রহিতা টাকা নিতে আসলে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে ৩শ’ থেকে সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা কেটে নিচ্ছিলেন ঋণ পরিশোধ বাবদ। অথচ বদর উদ্দীনের অনুরোধ কেন রাখলেন না। এমন অমানবিক না হলেও তো পারতেন। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রচন্ড রেগে যান এবং বলেন, আমি কি করবো আর কি না করবো সে বিষয়ে আপনারা বলার কে? এটা আমার অফিস, আমি আমার মত করেই কাজ করবো। কোন অনিয়ম হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসকে কোন জবাবদিহি করতে হলে তখন দেখা যাবে। আপনারা এখন যান।

    এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক মুঠোফোনে সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোছাঃ হাওয়া খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বয়স্কভাতাসহ সরকার প্রদত্ব যে কোন ভাতা গ্রহিতাদের হাতে তাদের প্রাপ্য টাকা দিতে বাধ্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর পর যদি তাদের কোন দেনা-পাওনা থাকে তা গ্রাহকের অনুমতি সাপেক্ষে পরামর্শক্রমে নিতে পারে। কিন্তু তাতে যেন যে উদ্দেশ্যে সুবিধাভোগীকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে তা ব্যাহত না হয় বা গ্রাহক ভোগান্তির শিকার না হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

    সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়াকে জানানো হলে তিনি বলেন, ব্যাংক ম্যানেজার এমনটা করতে পারেন না। তিনি যদি এধরণের আচরণ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, এই শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে স্থানীয় গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করাসহ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন উপস্থিত অনেক ভাতাভোগীসহ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

  • সৈয়দপুরে পুরাতন পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা নতুন পেঁয়াজপাতা সাড়ে ৩শ’ টাকা পাল্লা

    সৈয়দপুরে পুরাতন পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা নতুন পেঁয়াজপাতা সাড়ে ৩শ’ টাকা পাল্লা

    নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে পেঁয়াজের কেজি শুক্রবারের বাজারে ২২০ টাকা কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সে সাথে নতুন পেঁয়াজপাতা বিক্রি হচ্ছে ৫ কেজির পাল্লা সাড়ে ৩ শ’ টাকায়।

    ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে সৈয়দপুর শহরের সবজি আড়তে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন পেঁয়াজের বেশ মুজদ রয়েছে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ তথা পাতাসহ পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে ব্যাপকভাবে। কিন্ত তারপরও কমেনি পেঁয়াজের দাম। বরং দুই দিন আগের ২ শ’ টাকা কেজির স্থলে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এর সাথে নতুন মৌসুমের পাতাওয়ালা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৩৫০ টাকায়।

    নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় অধিকাংশ ক্রেতাই সেই পেঁয়াজই কিনছে। তবে পাতার পরিমান বেশি এবং পেঁয়াজ গুটি ছোট থাকায় একেবারে পেঁয়াজ নির্ভর খাদ্যপন্য তৈরী তথা রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুরাতন পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা। দাম না কমার কারণে রেকর্ড দাম ২২০ টাকা কেজি দরেই পেয়াজ কেনা-বেচা হচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে একজন পেঁয়াজ বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুরাতন পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে দাম সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠার আশংকা রয়েছে বলে জানান তিনি।

    অন্য এক ব্যবসায়ী অবশ্য ভিন্ন মত প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় এ সম্পাহের মধ্যেই পুরাতন পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে তিনি জানান, নতুন পেঁয়াজ যে হারে বাজারে আসছে তার চেয়ে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ আসা মাত্রই তা ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে ট্রাকে করে পাঠিয়ে দিচ্ছে। একারণে নতুন পেয়াজ উঠলেও পেয়াজের দাম কমছেনা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সৈয়দপুরের বাইরে পেঁয়াজ পাঠালে এখানকার বাজার দর কমবে।

    এসময় ক্রেতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এবার যে পরিস্থিতি দাঁড় করানো হয়েছে তা সরকারের ব্যর্থতার প্রকাশ। বিশেষ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বাজার মনিটরিং বা তদারকি করেননি। তাই চাহিদার সাথে মজুদের চরম হেরফের সৃষ্টি হয়েছে। যা তার অদূরদর্শীতার খেসারত। যার ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।

    সৈয়দপুর পাইকারী সবজি বাজারের আড়ৎদাররা দাম বাড়ার কারণ হিসেবে জানান, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া বেশি দামে আমদানী করতে হচ্ছে। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে সম্প্রতি বুলবুল এর আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ায় সেখান থেকে পেয়াজ আসছেনা।

    বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া পাইকারী বাজারগুলোতে গেলে আড়ৎদাররা কোথা থেকে পেঁয়াজ আমদানী করা হয়েছে এ সংক্রান্ত চালান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ওজনে কম দেওয়া এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রির জন্য জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে প্রতি কেজি পেয়াজের।

    সৈয়দপুর সবজিবাজার পাইকারী ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, আমদানী করার ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং বা হাতে হাতে টাকা প্রদানসহ চালান ছাড়াই নেয়ার শর্তে ব্যবসা করতে হচ্ছে। তা না হলে যে পরিমান পেঁয়াজ আনা সম্ভব হয়েছে তার সিংহভাগই আনা যেত না। তাহলে পেঁয়াজের দাম আরও অনেক বেশি হতো।

  • সৈয়দপুরে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মহিলা নিহত, আহত ১

    সৈয়দপুরে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মহিলা নিহত, আহত ১

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মোমেনা খাতুন নামে এক গৃহকর্মী মহিলা নিহত হয়েছেন।

    ১১ নভেম্বর সোমবার সকাল ৯ টায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ধলাগাছ মোড় এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোমেনা খাতুন (৩৮) উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই গ্রামের মোঃ আবু বক্কর সিদ্দীক এর স্ত্রী। তিনি পেশায় একজন গৃহকর্মী। অন্যের বাড়িতে ঝুটা কাজ করার জন্য যাওয়ার সময় দূর্ঘটনায় পতিত হন। তার এক ছেলে রয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে দিনাজপুরের দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী প্রাইভেট কার রাস্তা পার হওয়ার সময নিহত মহিলাকে ধাক্কা দিলে সে পড়ে গিয়ে কারের বাম্পারের সাথে আটকে যায়। এ অবস্থাতেই কারটি দীর্ঘ ১ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত মহিলাকে টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়। এসময় টার্মিনালের লোকজন প্রাইভেট কারটিকে আটকানোর চেষ্টা করলেও পালিয়ে যায়।

    এদিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা বাজার এলাকায় ওই প্রাইভেট কারটিই অপর এক পথচারীকে পিষ্ঠ করে। এসময় লোকজন ধাওয়া করলে কারের চালক একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগিয়ে নিজে পালিয়ে যায়। পরে আহত পথচারীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। পথচারীর নাম জানা যায়নি। তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ কারটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

  • সৈয়দপুরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম

    সৈয়দপুরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম

    উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় শহরের রেলওয়ে মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে গেট বাজার, রেলওয়ে কারখানা, বাঁশবাড়ি আমিন মোড়, হানিফ মোড়, রেলওয়ে হাসপাতাল কলিম মোড় হয়ে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোড, বঙ্গবন্ধু চত্বর, শেরে বাংলা সড়ক দিয়ে আবারও রেলওয়ে মাঠে এসে সমাপ্ত হয়।

    দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার ব্যাপ্তির শোভাযাত্রাটি প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী শহর প্রদক্ষিণ করে। এতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মসজিদের মুসল্লী, খানকাহ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের ব্যানারে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    সকাল ৮ টা থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন কলেমা খচিত ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা নিয়ে রেলওয়ে মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন। সকল বয়সের মানুষের সমাগমে রেলওয়ে মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

    শোভাযাত্রা শেষে রেলওয়ে মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত থেকে আগত পীর সৈয়দ আহমেদ আল-জামাল আশরাফী আল জ্বিলানি।

    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নীলফামারী জেলা শাখা সভাপতি পীর গোলাম জ্বিলানী আল কাদরী, সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমেদ আশরাফী, আঞ্জুমানে গাউসিয়া সৈয়দপুর শাখা সভাপতি হাজী নুর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী তসলিম, আফতাব আলম জুবায়ের এমাদী, নাদিম আশরাফী, সৈয়দপুর পৌরসভার কাউন্সিলর শাহিন আকতার, এরশাদ হোসেন পাপ্পু, জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, কাজী হায়দার আলী প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সৈয়দপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক খালিদ আজম আশরাফী।

    মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা সফলভাবে পালনে সৈয়দপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে এবং সমাবেশ স্থল রেলওয়ে মাঠে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

    সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজাহান নিজে উপস্থিত থেকে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। শোভাযাত্রা শুরুর প্রথম থেকে শেষাবধী তিনি অবস্থান করেন।

    উল্লেখ্য, প্রতিবছরই সৈয়দপুরে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়ে থাকে।

    এছাড়া,গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার জুমআর নামাজের পর শহরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী পানির ট্যাংকি মাঠ থেকে মোটর শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে প্রায় ৩ শতাধিক মোটর সাইকেল অংশগ্রহণ করে।

  • পাখি সুরক্ষার নামে সংগঠন থাকলেও সুফল নেই সৈয়দপুরে অবাধে চলছে পাখি শিকার-নিধনযজ্ঞ

    পাখি সুরক্ষার নামে সংগঠন থাকলেও সুফল নেই সৈয়দপুরে অবাধে চলছে পাখি শিকার-নিধনযজ্ঞ

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবাধে চলছে পাখি শিকার। পাখির অভয়ারণ্য গড়া, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর নামে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সুবিধা নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠন থাকলেও তাদের কার্যক্রমে বিন্দুমাত্র থামেনি পাখি শিকার বা নিধন।

    ‘এসো আমরা পাখি বাঁচাই, প্রকৃতি বাঁচাই’ শ্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সেতুবন্ধন নামে সংগঠনটির কার্যক্রম দিবস কেন্দ্রিক ও অফিসিয়াল পর্যায়ে হলেও সাধারণের মাঝে এর ন্যুনতম প্রভাব নেই।

    কারণ তারা সংগঠনের নামে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের অজুহাতে অর্থ নিলেও তার কার্যকরী বাস্তবায়ন ঘটায়নি মাঠ পর্যায়ে। মাঝে মাঝে লোক দেখানো নানা প্রোগ্রাম করলেও সেগুলোতে তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের সম্পৃক্ততা না থাকায় প্রোগ্রামের নামে প্রশাসনিক ব্যক্তিদের ভোজন বিলাশ হলেও কাঙ্খিত লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সফলতা আসেনি।

    সে সাথে সংগঠনটিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করে নিজের আখের গুছিয়েছে সেতুবন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচয়দানকারী আলমগীর হোসেন।

    পরিবেশ, পাখি ও সমাজ উন্নয়নের কথা বলে আলমগীর হোসেন স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও সরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিবর্গসহ দেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে তা দিয়ে নিজের বাড়ি, আদালতে বিচারাধিন অন্যের জমিতে পাঠাগার স্থাপন করাসহ ব্যক্তিগত নানা সম্পদ গড়েছে। এমনকি যাদের সহযোগিতায় সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠা লাভ করে সেই সকল প্রাথমিক পর্যায়ের যুবকদের পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে সরিয়ে দিয়ে নিজের ইচ্ছেমত সংগঠন পরিচালনা করছেন।

    এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতুবন্ধনের প্রতিষ্ঠাকালীন অনেকেই বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও আলমগীর কর্তৃপক্ষের তোষামোদি করে বিষয়টি নিজের পক্ষে নিয়ে সুবিধা ভোগ করছেন। এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সেতুবন্ধনের নামে যুব সংগঠন করে সরকারী বরাদ্দ নিয়ে পকেটস্থ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    তারা আরও জানান, মাঝে মাঝে গ্রামে গঞ্জে পাখি শিকারের মাধ্যমে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার নামে শো ডাউন করা হলেও আলমগীরের কাছে নিয়মিত পাখি শিকারী বা শিকারের জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকধারীর কোন তথ্য নেই এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। নেই এ বিষয়ে কোন গবেষণা বা অনুসন্ধানী তৎপরতা। শুধু আই ওয়াশ কিছু লিফলেট বিতরণ, কলসী স্থাপন, আগে থেকেই অভয়ারণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত স্থানগুলোতে ব্যানার টাঙ্গিয়ে এবং অসুস্থ পাখির পরিচর্যা করার নাটক সাজিয়ে, চিত্র প্রদর্শনী করে কৃতিত্ব জাহির করেন। এর মধ্যেই যেন তাদের কার্যক্রম সীমাবন্ধ। ফলে গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ ও শহরের সৌখিন পাখি শিকারীদের মধ্যে এ ব্যাপারে সামান্যতম সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি।

    এরূপ নানা কারণে পাখি সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠন সেতুবন্ধন আজ নাম মাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে। পাখি শিকার বা নিধন প্রতিরোধে সংগঠনটির কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় দিন দিন পাখি শিকার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সংগঠনটি এখন নামকাওয়াস্তে পাখি আলমগীর সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।

    এ ব্যাপারে পাখি আলমগীরের সাথে কথা হলে বলেন, সৈয়দপুরে কতজন পাখি শিকারী আছে তা জানা নেই। তবে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে একজন থাকতে পারে। অন্যান্য অভিযোগের বিষয় সে এড়িয়ে যায় এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিরা তার সাথে আছে তাই এ নিয়ে সংবাদ করলেও তার কিছুই হবেনা মর্মে অহমিকা প্রকাশ করেন।