Tag: সৈয়দপুর

  • নীলফামারী ও সৈয়দপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ শুরু

    নীলফামারী ও সৈয়দপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ শুরু

    নীলফামারীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯ শুরু হয়েছে।

    ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নীলফামারী ফায়ার স্টেশনে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

    এতে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। স্টেশন অফিসার রিফাত আল মামুনের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-সহকারী পরিচালক এনামুল হক। পরে অগ্নি নির্বাপনে প্রস্তুতি এবং প্রাণহানী রক্ষায় বিশেষ মহড়া প্রদর্শণ করেন নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

    অপরদিকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ – ২০১৯ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ৬ নভেম্বর বুধবার সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহরের নতুন বাবুপাড়াস্থ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে “সচেতনতা, প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ , দুর্যোগ মোকাবেলার সর্বোত্তম উপায়” প্রতিপাদ্যের ওপর ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মাহমুদুুল হাসান।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস্ চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসনাত খান, মকবুল হোসেন ট্রাষ্ট একাডেমীর অধ্যক্ষ আবু রায়হান আল-বেরুনী, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাকির হোসন বাদল, ফায়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

    সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার মাধব চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি জাতীয় ও ফায়ার সার্ভিস পতাকা উত্তোলণের মাধ্যমে সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে প্রধান ও বিশেষ অতিথিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর একটি দল অভিবাদন জানান।

    পরে অগ্নিনির্বাপণ ও দূর্ঘটনা থেকে উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ব্যবহৃত আধুনিক বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদর্শন এবং অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পন থেকে উদ্ধার ও সেবা প্রদান বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে একটি যান্ত্রিক র‌্যালী সৈয়দপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

  • থানায় অভিযোগ দেওয়ায় প্রাণ নাশের হুমকি

    থানায় অভিযোগ দেওয়ায় প্রাণ নাশের হুমকি

    নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের প্রাচীণ ও ঐতিহ্যবাহী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ‘চেকআপ’ এ হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এতে যে কোন সময় প্রতিপক্ষ দূর্বৃত্তদের প্রাণঘাতি হামলায় জীবন নাশের আশংকায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী ও মালিক পক্ষ। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত আবেদন করেছেন চেকআপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনিশিয়ান মোঃ মোবারক হোসেন।

    সৈয়দপুর থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত চেকআপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এক রোগীকে কর্মচারীরা তাদের সেন্টারে পরীক্ষ-নিরীক্ষার জন্য আহ্বান জানায়। কিন্তু রোগীটি চেকআপ এ না গিয়ে পাশবর্তী এসআর প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ডিজিটাল হেলথ্ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টি সেন্টারে যায়। ওই রোগীকে ডাকার সময় ডিজিটাল হেলথ্ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃ মুকুল দেখতে পায় এবং অকথ্য ভাষায় উস্কানিমূলক কথাবার্তা ও গালিগালাজ করতে থাকে। এতে চেকআপের কর্মচারীরা তাৎক্ষনিক তাদের প্রতিষ্ঠানের ভিতরে চলে যায়।

    কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই ডিজিটাল হেলথ্ কেয়ারের মালিক মোঃ মুকুল (৩৫) ওই ঘটনার জের ধরে মোঃ আনিসুল (২০) ও মোঃ সাজ্জাদ (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে নিয়ে চেকআপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা করে ল্যাব টেকনিশিয়ান মোবারক হোসেনকে এলোপাথারীভাবে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এসময় চেকআপ’র কর্মচারী মোঃ আবু সালেহ, মোছাঃ মালেকা বেগম এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারপিট করে। এমতাবস্থায় চিৎকার শুনে আশপাশের দোকানের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। তবে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় যে, এ বিষয় নিয়ে কোথাও কোন অভিযোগ দিলে বা বাড়াবাড়ি করলে ভবিষ্যতে মোবারককে রাস্তাঘাটে একাকী ও রাতের অন্ধকারে সুযোগমত পাইলে খুন জখম করবে।

    পরে এ বিষয়ে উপরোল্লেখিত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতি ও প্লাজা কর্তৃপক্ষ এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় মোবারক।

    এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে মোঃ মুকুল সহ অন্যান্যরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চেকআপ’র লোকজন।

    এ ব্যাপারে ডিজিটাল হেলথ্ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মোঃ মুকুলে সাথে কথা হলে তিনি জানান, রোগিটি যে ডাক্তার রেফার্ড করেছেন তিনি নিয়মিত আমাদের প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠান। তাই ওই রোগী আমাদের এখানে আসার পথে চেকআপ এর কর্মচারী মোবারক জোর করে তার প্রতিষ্ঠানে নেওয়ার চেষ্টা করে। যা আমার চোখে পড়লে আমি তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আমার সাথে চরম দূর্ব্যবহার করে। একজন কর্মচারী হয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে যে আচরণ করেছে সে তা মেনে নেওয়া যায়না।

    তাই বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বত্বাধিকারীকে জানাতে যাওয়ার পথে মোবারক ও তার সহকর্মীরা বাধা দিলে আমার সাথে থাকা লোকজনের সাথে বাক-বিতন্ডা ও এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি বাধা দিয়েও সে মুহুর্তে তাদের প্রতিহত করতে পারিনি। তবে দ্রুতই আমরা সেখান থেকে চলে আসি এবং এ ব্যাপারে প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতি ও প্লাজা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা সময় নিয়ে বসে এ ব্যাপারে সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন। অথচ তার আগেই মোবারক থানায় অভিযোগ দিয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং প্লাজা ব্যবসায়ী, প্লাজা কর্তৃপক্ষ ও আমাকে হেয় করতেই করা হয়েছে বলেই আমি মনে করি।

  • রেলওয়ের ৫ হাজার কোটি টাকার জমি আত্মসাতের অভিযোগ

    রেলওয়ের ৫ হাজার কোটি টাকার জমি আত্মসাতের অভিযোগ

    নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ের জমিতে গড়ে তোলা বহুতল ভবনের ১৬ মালিক হাজিরা দিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

    দুদকের একজন উপপরিচালক স্বাক্ষরিক এক পত্রের প্রেক্ষিতে তারা ২৯ অক্টোবর ঢাকাস্থ সেগুন বাগিচায় দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য প্রদান করেছেন।

    বক্তব্য দানকারীদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দপুরের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী বিউটি সাইকেল স্টোরের মালিক আলতাফ আহমেদ, আজিম উদ্দিন হোটেলে মালিক নিজাম বিন আজিম, ওয়ারেস খাঁনের ছেলে ইকবাল খাঁন (ভোলা), মৃত. সুলতান মাদারীর ছেলে বিশিষ্ট চাউল ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন ভোলা, মৃত. সামির আহমেদের ছেলে শাহজাদ মুরাদ, গোয়ালপাড়ার জহির উদ্দিনের ছেলে জাকির উদ্দিন, মৃত. নাসির উদ্দিনের ছেলে নান্নু মিয়া, মৃত. ফতে আলমের স্ত্রী শাহনাজ বানু, মৃত. ইলিয়াসের ছেলে ও বাগদাদ ক্লোথ স্টোরের মালিক গোলাম জিলানী, আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ শাহিন, মোঃ শাহবাজের স্ত্রী রাজিয়া বেগম, মৃত. আজগার আলীর ছেলে আনোয়ার আলী ও শওকত আলী, কোহিনুর ক্লোথ স্টোরের মালিক মোঃ শাহিন। এছাড়া ঠিকান ভুল থাকায় খুজে পাওয়া যায়নি এমন দুইজন হলেন হাজী জাবেদ আলীর ছেলে এনামুল ইসলাম, ঋতু মিয়ার ছেলে ফিরোজ আলী এবং বাঁশবাড়ী মহল্লার একজন মৃত ব্যক্তি ডাঃ অনিল কুমারের ছেলে অমিত কুমার এর সন্তানেরা তাদের বাবার নামের সমন তথা পত্র গ্রহণ করেনি।

    উল্লেখিতদের ঠিকানায় গত ২১ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক ২৯ অক্টোবর দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।

    সৈয়দপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে পৌছানো এসংক্রান্ত পত্রে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে, সৈয়দপুর (নীলফামারী) রেলওয়ের ৫ হাজার কোটি টাকার ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত বিষয়ে নোটিশ তথা পত্র প্রাপ্তদের বক্তব্য প্রদান ও গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। এজন্য নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নামে বা সন্তানের নামে অথবা অন্য কোন নামে সৈয়দপুর পৌরসভার অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের জমির উপর নির্মিত বাড়ি বা দোকান এর জমি লীজ বা ভাড়া অথবা লাইসেন্স গ্রহণের রেকর্ডপত্র এবং বাড়ি-দোকান-মার্কেট নির্মাণের অনুমোদিত নক্সা ও জমি-দোকানের লাইসেন্স ভাড়া প্রদানের রশিদসহ উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।

    এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত আপনার কোন বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে। এর প্রেক্ষিতে উল্লেখিত ব্যক্তিরা যথাসময়ে দুদকে হাজিরা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এ ব্যাপারে বিউটি সাইকেল স্টোরের মালিক আলতাফ আহমেদ বলেন, দুদকের চিঠি পেয়ে আমার পক্ষে আমার ভাতিজা দুদকে হাজির হয়ে তারা যে কাগজপত্র চেয়েছিল তা জমা দিয়ে এসেছে। সম্প্রতি এ ঘটনা জানা জানি হলে সৈয়দপুরের রেলওয়ে জমিতে যাদের বহুতল ভবন রয়েছে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যারা নোটিশ পাননি তারা এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য না পাওয়ায় চরম দিশেহারা অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কেননা নোটিশ প্রাপ্তরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে তাদের বৈধতা নিশ্চিত করতে পারলেও অন্যদের ক্ষেত্রে কি করা হবে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় রেলওয়ের জমি কেনা বেচার সাথে জড়িতরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

  • সহকারী শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিলেন অধ্যক্ষ

    সহকারী শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিলেন অধ্যক্ষ

    একজন সহকারী শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিলেন অধ্যক্ষ। সে সাথে এ ব্যাপারে আর কোন তথ্য সাংবাদিকদের দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে।

    জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের স্বনামধন্য ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। বিশেষ করে সভাপতি কর্তৃক অনিমতান্ত্রিকভাবে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্ত পূর্বক সে অনিয়ম ধরা পরার পরও তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ না নেওয়া, কিন্ডারগার্টেন শাখায় দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবত পরিচালনা কমিটির কোন মিটিং না করেই সভাপতি আমিনুল হক একক আধিপত্য বিস্তার করে যা ইচ্ছে তাই ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, অধ্যক্ষ পরিচয় দিলেও সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে বেতন উত্তোলন করাসহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষকের অনুপস্থিতির দিনগুলোতেও বেতন প্রদান, একজন সহকারী শিক্ষক এখানে ক্লাস না নিয়ে স্থানীয় একটি কলেজে গিয়ে ক্লাস করান। অথচ বেতন ভাতা ঠিকই স্কুল থেকে নিচ্ছেন।

    এমন অনেক বিষয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এসব সংবাদ প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানকারী হিসেবে সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান কে সন্দেহ করে তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলকভাবে দোষ চাপিয়ে এমন হুমকি প্রদান করেন অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান জুয়েল।

    এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, সাংবাদিককে কে বা কারা তথ্য দিয়েছেন তা আমার জানা নেই। অহেতুক সন্দেহবশত তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন। আমি সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। অধ্যক্ষ কোন কাজে বাইরে গেলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করার কথা আমার। কিন্তু অধ্যক্ষ অন্যান্য অনিয়মের মতই এক্ষেত্রেও অনিয়ম করে আমার জুনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দেন। এধরণের বিভিন্ন অনিয়ম করে চলেছেন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে কখনই আমি কোন কথা বলেনি অথচ এ নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ এনে চাকুরীচ্যুত করাসহ স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওযা হচ্ছে। এমনকি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এতে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

    তিনি বলেন, অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান আজ সকালে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে বলেন, আপনি হাজিরা খাতার ছবি তুলেছেন। লতিফ আর রেজাউল কোথায় স্বাক্ষর করে বা করেনা আপনি সেগুলো ছবি তুলে সাংবাদিককে সরবরাহ করেছেন। যা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর। এসময় তার কথার প্রতিবাদ করলে তিনি উপরোক্ত হুমকি প্রদান করেন।

    এ ব্যাপারে জানার জন্য অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের মুঠোফোন ০১৭১৭০১২২৯৫ নম্বরে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    এ ব্যাপারে সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন জানান, আমি এ বিষয়ে এখনই কিছু জানিনা। তবে সহকারী শিক্ষক অভিযোগ দিলে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের বাড়ি কিনতে হলো আ’লীগ কর্মীকে

    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের বাড়ি কিনতে হলো আ’লীগ কর্মীকে

    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের জায়গা আছে বাড়ি নেই এমন হতদরিদ্রদের জন্য সরকারীভাবে বাড়ি করে দেওয়ার প্রকল্পের অধীনে তৈরী বাড়ি কিনে নিতে হলো এক আওয়ামীলীগ কর্মীকে।

    এজন্য ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মহিলা মেম্বার ও অন্যান্যদের দিতে হয়েছে ৪৫ হাাজার টাকা।

    চরম দরিদ্র ও ভিক্ষা করে খাওয়া ওবায়দুল হক নামের ওই ব্যক্তির কোন রকমে গচ্ছিত টাকা ও এনজিও’র ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হয়েছে বাড়ির মূল্য বাবদ।

    এ ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চওড়া বাজার গুয়াবাড়ি এলাকায়।

    সরেজমিনে গেলে হতদরিদ্র ওবায়দুল হক জানায়, আমি আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত প্রান কর্মী। যা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ জানেন। আমি ভিক্ষা করে কোন রকমে জীবন নির্বাহ করি। অথচ আমার কাছ থেকেই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ি বরাদ্দের জন্য ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিফ ওরফে ফকির নিয়েছে ২৫ হাজার আর ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আখতারা বেগম ও তার স্বামী বাচ্চা বাউ এবং সুমন নামের এক আওয়ামীলীগ কর্মী মিলে নিয়েছেন ২০ হাজার টাকা। অনেক কষ্টে ভিক করে সঞ্চয় করা কিছু টাকা আর দুইটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাদের টাকা দিয়েছি। এখন এনজিও’র ঋণের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে।

    তিনি আরও জানান, উপরোক্ত ব্যক্তিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের কথা বলে এসব টাকা নিয়েছেন। একারণে আমি টাকা দিয়েই বাড়িটি নিতে বাধ্য হয়েছি। তাছাড়া বাড়িটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ হওয়ায় এখানে উন্নতমানের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করার কথা থাকলেও ৩ নম্বর গুড়িয়া ইট দিয়ে বানানো হয়েছে। সে সাথে মিস্ত্রির খরচ ও খাওয়া, মালামাল আনার ভ্যান ভাড়াও দিতে হয়েছে। বাড়ির মেঝেতে মাটি ভরাটের জন্য লেবারের মজুরিও দিয়েছি। এগুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের করার কথা থাকলেও তার ছেলে বুলবুল চৌধুরী দায়িত্ব নিয়েও সকল খরচ আমাকেই বহন করতে হয়েছে।

    এ ব্যাপারে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিফ ওরফে ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাড়িটি মূলত: সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন আওয়ামীলীগের দরিদ্র সদস্যের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। একারণেই আমি ২৫ হাজার টাকা নিয়েছি। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেই আপনাকে জানানো হবে।

    ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আখতারা বেগম ও তার স্বামীর বাচ্চা বাউয়ের বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। এ কারণে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা রিসিভ না করায় তাদের কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    ঠিকাদার তথা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরীর ছেলে বুলবুল চৌধুরী জানান, বাড়ির কাজ শেষ। এখন আপনি ২ নম্বর ইট খুজতেছেন? কোথাও কোন ২ নম্বর ইট দিয়ে বাড়ির কাজ করা হয়নি। কাজ করার কথা চেয়ারম্যানের সেখানে আপনি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাবার পরিবর্তে আমিই কাজটি দেখাশোনা করছি। তাতে সমস্য কী?

    সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, ওবায়দুল হক আওয়ামীলীগের একজন কট্টর সমর্থক। তার ব্যাপারে আমি জানি। সে খুবই গরীব। সৈয়দপুর উপজেলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ দুর্গোয ও ত্রাণ মন্তনালয়ের ৩০টি বাড়ির মধ্যে ৫টি বাড়ি আমি পেয়েছি। তার একটি ওবায়দুলকে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে কেউ যদি আমার নাম করে বা অন্যকোনভাবে ওই দরিদ্র ওবায়দুলের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে থাকে তাহলে তা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমি আমার চেষ্টা মত কাজ করেছি। মেম্বার চেয়ারম্যানরা অনিয়ম করে থাকলে তার দায়ভার আমরা নিবো না।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। কেউ যদি নিয়ে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর নিম্নমানের ইট দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। কেননা বাড়ি করার জন্য ইট আমরাই সংগ্রহ করে সরবরাহ করেছি। এখানে দুই নম্বরি করার কোন সুযোগ নেই।

    উল্লেখ্য, সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের ৫টি বাড়ি দেওয়ার নামে প্রকাশ্যে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম করার মাধ্যমে হরিলুট করা হয়েছে। বিষয়টি যেন ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে।

    তাদের বক্তব্য হলো যে বাড়ি প্রধানমন্ত্রী গরীব লোকদের জন্য বিনামূল্যে দিয়েছেন। সেই বাড়ি দেওয়ার নামে আওয়ামীলীগের লোকজনই যদি আওয়ামীলীগের লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেয়। তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা? এতে আওয়ামীলীগসহ সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

  • সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ জুয়াড়ির কারাদন্ড

    সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ জুয়াড়ির কারাদন্ড

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে ধলাগাছ কয়াকিসামতপাড়া থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় গভীর রাতে আটক ৮ তরুণকে পৃথক পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

    ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার ৩১ অক্টোবর (বুধবার ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাতে) ওই দন্ডাদেশ দেন।

    দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- কয়াকিসামতপাড়া এলাকার ইব্রাহিম আলীর ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ জমশেদ আলীর ছেলে মোঃ আরিফ, তছলিম উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী, মৃত হাসানের ছেলে মাহমুদ আলী, আনছার আলীর ছেলে আঃ মজিদ।

    প্রত্যেককে ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের ৪ ধারায় ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং সুলতানের ছেলে মোঃ টিপু, মৃত কবিরের ছেলে রাজা ইসলাম কে ৭ দিনের ও মৃত তছলিমের ছেলে ইমান আলী কে একই আইনে ৩ দিনের বিনাশ্রম দন্ডাদেশ দেন প্রদান করা হয়েছে।

    সৈয়দপুর থানার এসআই ইমাদ উদ্দিন জানান, আসামীদের রাত ৩ টার দিকে শহরের ধলাগাছ কয়াকিসামত পাড়ায় অবস্থিত জনৈক সাদ্দাম হোসেনের চায়ের দোকান থেকে আটক করা হয়। তারা প্রত্যেকে টাকা ও তাস দিয়ে জুয়া খেলায় মগ্ন ছিল। এমতাবস্থায় বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর উপস্থিতিতে সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে আটক করা হয় তাদের। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরাঞ্জাম তাস ও টাকা উদ্ধার করা হয়।

    পরে আটককৃত জুয়াড়িদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতে বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুয়ার খেলার অপরাধে আটক তরুণদের আলাদা আলাদা মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন।

    বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার জানান, শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অপরাধ দমনে ভ্রাম্যমান আদালত সদা সক্রিয় আছে এবং থাকবে। এই জুয়ার কারনে অনেক সুখি সংসারে অশান্তি দেখা দিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে গভীর রাত হলেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অপরাধীদের আইনানুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

  • নীলফামারীতে নারী ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    নীলফামারীতে নারী ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে আসামী আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমনা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

    বুধবার(৩০ অক্টোবর) দুপুরের নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আহসান তারেক ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

    দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন। সে সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের পূর্ব দক্ষিণপাড়া মহল্লার মনির উদ্দিনের ছেলে।

    মামলার বিবরণে মতে, ২০০৪ সালের ২৪ আগষ্ট রাতে সৈয়দপুর লক্ষমণপুর বালাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা দুলালী বেগমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম। পরের দিন বিকালের গৃহবধু বাদী হয়ে আমিনুলের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৯ (১)/৩০ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৭।

    ওই মামলার তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টম্বর আদালতে আমিনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক আজগর আলী।নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী রমেন্দ্র নাথ বর্দ্ধন বাপী জানান, বিচার কাজ শুরু থেকেই আসামী আমিনুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামী আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।

  • পুলিশ ও জনতার সমন্বয়েই মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব

    পুলিশ ও জনতার সমন্বয়েই মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব

    পুলিশ ও জনতার সমন্বয়েই দেশ থেকে মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড দূর করে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এজন্যই মূলত সারা বিশ্বে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম অত্যন্ত সফলজনক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

    সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করা হয়। যা বর্তমানে একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌছেছে। আগামীতে সাধারণ জনগণ যদি স্বতস্ফুর্তভাবে পুলিশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা নির্মূলে সহযোগিতা করে তাহলে অচিরেই এদেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশের মাধ্যমে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

    উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশ রেলওয়ে হেডকোয়ার্টার্স এর ডিআইজি মোঃ শামসুদ্দিন এনডিসি।

    তিনি ২৬ অক্টোবর সকালে নীলফামারী সৈয়দপুরে রেলওয়ে জেলা পুলিশের আয়োজনে রেলওয়ে পুলিশ ক্লাবে অনুষ্ঠিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেছেন।

    সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ রাজিব উদ্দিন, প্রথম আলো সৈয়দপুর প্রতিনিধি এম আর আলম ঝন্টু, সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী প্রমুখ।

    এতে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং একটি সুনাগরিকত্বের পরিচায়ক। আগামীতে এ কনসেপ্টটি অত্যন্ত গুরুত্ববহণ করবে। এখন যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ঠিক তেমনি আগামীদিনে কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাভরে সম্মান করবেন। কেননা এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ থেকে মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার অপরাধ কর্ম নির্মূলে সাফল্য অর্জন হচ্ছে। এর ফলে পুলিশ ও জনতার মাঝে যে সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে সেই বন্ধনের মাধ্যমে সমাজ থেকে সকল অন্যায়-অবিচার দূরীভূত করা সম্ভব হলে আমাদের সোনার বাংলা একটি রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। তাই কমিউনিটি পুলিশিং এর সাথে সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    আলোচনা সভার পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা থেকে বের হয়ে রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম হয়ে রেলওয়ে জেলা পুলিশের এসপি অফিস চক্কর দিয়ে প্রেসক্লাব হয়ে পুলিশ ক্লাবে এসে পৌছে।

    এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ মমতাজুল ইসলাম, আরআই শাহ আলম, ওসি ওয়াচ এসআই হাবিবুল আলমসহ রেলওয়ে জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যবৃন্দ ও সাংবাদিক শাহজাহান আলী ও দুলাল সরকার এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।

    দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে রেলওয়ে পুলিশ ক্লাবে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও রেলওয়ে মাঠে রেলওয়ে পুলিশ বনাম রেলওয়ে বিভাগ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শহরের প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ যাদু প্রদর্শণী পরিবেশন করেন সৈয়দপুরের খ্যাতনামা যাদু শিল্পী মনোয়ার হোসেন। পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বিশেষ পুরস্কার ও অংশগ্রহণকারীদের শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।

    এছাড়া সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

  • সৈয়দপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

    সৈয়দপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

    নীলফামারীর সৈয়দপুর থানা পুলিশ একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে।

    ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী চাঁদনগর মহল্লার মশিউর রহমানের ছেলে ওলিউর রহমান। সে চেক ডিজঅনার মামলাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিল।

    জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে উল্লেখিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে ছিল ওলিউর রহমান। সৈয়দপুর থানার এসআই সাইদুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে আগেই অবস্থান নেয় এবং ওলিউর দিনাজপুর যাওয়ার পথে ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের ঢাকা মোড়ে ঢাকা থেকে আগত একটি কোচে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সৈয়দপুর থানায় নিয়ে আসে। গ্রেফতার ওলিউলকে পরের আজ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে এসআই সাইদুর রহমান জানান, ওলিউর রহমানের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির দুই মামলায় ৬ মাস অর্থঋণ আদালতে ৩ মাস করে এবং অন্য এক মামলায় ৩ মাসের সাজা হয়েছে। সে দীর্ঘ দিন থেকে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

    সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামী দীর্ঘ দিন থেকে পলাতক থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ঢাকা মোড় বাসস্ট্যান্ডে একটি নাইট কোচে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী ওলিউর রহমানকে নীলফামারী জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

  • এমপিও ভুক্তির তালিকায় না থাকায় সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

    এমপিও ভুক্তির তালিকায় না থাকায় সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

    নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তাঁর কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিষ্ঠানের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির নাম না থাকায় ২৪ অক্টোবর বৃস্পতিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটায় বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা খুলে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।

    এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে গত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী) এমপিওভূক্ত হয়। এরপর বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শাখা (নবম-দশম শ্রেণী) এমপিওভূক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শর্ত পূরণ করে ও নিয়মকানুন মেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে।

    আবেদনের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্তি হবে এমন আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।

    গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্তির ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত এমপিওভূক্তির তালিকায় সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম না থাকায় বিদ্যালয়ের এমপিওভূক্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশায় পড়ে এবং বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন।

    প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার যথারীতি শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে না গিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসে অবস্থান নেন। এর এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়ের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাকে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

    এ খবর অল্প সময়ের মধ্যে গোটা সৈয়দপুর শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ বিদ্যালয়ে ছুঁটে যান। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেও অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে ঘটনাটি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ বিদ্যালয়ে পৌঁছে তালা খুলে প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়কে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে।

    বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্তকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল শর্তপূরণ পূর্বক যথাযথভাবে আবেদন করা হয়। আর এমপিওভূক্তি করার এখতিয়ার সম্পূর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এতে আমার কোন রকম গাফিলাতি কিংবা অবহেলা নেই। কিন্তু তারপরও শিক্ষক-কর্মচারীরা ভূল বুঝে অহেতুক আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন।

  • রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এস আই’র সম্মাননা পেলেন সৈয়দপুর থানার সাহিদুর রহমান

    রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এস আই’র সম্মাননা পেলেন সৈয়দপুর থানার সাহিদুর রহমান

    নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার সাহিদুর রহমান রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।

    বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জের সতেরো পুলিশ সদস্যকে সাহসিকতা ও কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে এসআই সাহিদুর রহমান।

    ২৩ অক্টোবর বুধবার দুপুরে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘মাসিক অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভা’ শেষে কর্মস্পৃহা ও কর্মচাঞ্চল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    রংপুর বিভাগের আট জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের গত সেপ্টেম্বর মাসের কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য।

    শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার সাহিদুর রহমান ছাড়াও আর যারা পুরস্কার পেলেন তারা হলেন- শ্রেষ্ঠ জেলা পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, শ্রেষ্ঠ সার্কেল পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার একরামুল হক সরকার, শ্রেষ্ঠ মাদক ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধারকারী কর্মকর্তা লালমনিরহাট জেলার সদর থানার নুর আলম সরকার, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার গাইবান্ধা থানার ফিরোজ হোসেন, শ্রেষ্ঠ এএসআই দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার আলমগীর হোসেন, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইউনিট কুড়িগ্রাম ট্রাফিক ইউনিটের টিআই জাহিদ সরওয়ার এবং শ্রেষ্ঠ থানা রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিন্নাত আলী।

    এছাড়াও ক্লুলেস খুন মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার এসআই মিজানুর রহমান, একই জেলার ডিবি’র এসআই মনিরুজ্জামান, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার এসআই আব্দুল মতিন।

    আসামী গ্রেফতারে সাহসিকতার জন্য লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার এসআই মিজানুর রহমান, মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে সাহসীকতার জন্য লালমনিরহাট থানার কনস্টেবল জ্যোতিষ কুমার, একই থানার কনস্টেবল ইমরান পাঠান ও একই জেলার আদিতমারী থানার কনস্টেবল নুরুন্নবী মিয়া।

    সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যকে গ্রেফতারে গাইবান্ধা বি-সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক, অস্ত্র ও অপহৃত শিশু উদ্ধার, দাগী আসামী গ্রেফতারে দিনাজপুর জেলার বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।

    এদিকে মাসিক অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভার পূর্বে সকাল সাড়ে দশটায় একই সভাকক্ষে রেঞ্জের সকল পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে ট্রাফিক ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিআইগণকে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর রেঞ্জের মাননীয় ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য।

    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন, রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, আরআরএফ রংপুরের কমান্ড্যান্ট (এসপি) মেহেদুল করিম, রেঞ্জ দপ্তরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এনামুল হক, মোঃ আব্দুল লতিফ, পিবিআই রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেন, সিআইডি’র সহকারি পুলিশ সুপার সরোয়ার কবীর সোহাগ এবং রেঞ্জ দপ্তরের সহকারি পুলিশ সুপার (অপরাধ) এবিএম জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সৈয়দপুরে স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোঁয়া দিবস পালিত

    সৈয়দপুরে স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোঁয়া দিবস পালিত

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২১ অক্টোবর সোমবার জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোঁয়া দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে।

    দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।

    এ সব কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, হাত ধোঁয়ার কৌশল প্রদর্শন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী।

    সকালে দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালীটি উপজেলা পরিষদ সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক প্রদক্ষিণ করে লায়ন্স স্কুল ও কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

    র‌্যালীতে সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

    পরে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “সকলের জন্য উন্নত স্যানিটেশন, নিশ্চিত হোক সুস্থ জীবন এবং সকলের হাত, পরিচ্ছন্ন থাক” ওপর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোখছেদুল মোমিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

    সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস্ সালাম।

    অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নারী ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ্জাহান মন্ডল, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হক, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদেও চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি লায়ন নজরুল ইসলাম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের ওয়াশ ৪ আরবান পুওর প্রজেক্টের প্রকল্প সমন্বয়নকারী নজরুল ইসলাম তপাদার প্রমূখ।

    পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার কৌশল প্রদর্শন করা হয়। শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।