Tag: সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)

  • বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সূফিবাদি মানবিক ইসলাম চর্চাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে:সৈয়দ সাইফুদ্দীন

    বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সূফিবাদি মানবিক ইসলাম চর্চাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে:সৈয়দ সাইফুদ্দীন

    তুরস্কের ইস্তানবুল ইয়ালোভার আর মোদিস হোটেলে, আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব সূফীস স্কলারের আয়োজনে ৯ম আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলনে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া শতাধিক সূফি ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণে ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।

    এতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে বর্তমান সময়ে মুসলমানদের তাসাউফের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন সূফি ব্যক্তিত্ব, ওয়ার্ল্ড সূফি ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।

    তিনি বলেন, ইসলামের ফলিত দর্শন ও মূল নির্যাসই হচ্ছে সূফিবাদ। যুগে যুগে ইসলামী সূফিবাদের দাওয়াত প্রসারিত করেছেন ওলী-মনীষী আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বগণ। ইসলামের সাম্য, শান্তি ও মানববাদি রূপরেখাই সূফিবাদি দর্শনে উজ্জলভাবে বিদ্যমান।

    সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, ইসলামের সূফিবাদি শান্তি ও মানববাদী দর্শন চর্চা প্রত্যাশিতভাবে তেমন বিকশিত ও প্রসারিত নয় বলেই সারা বিশ্বে আজ ইসলামের অনুসারীদেরকে অনেকেই ভুল বুঝছে। তাছাড়া এর পেছনে কারণও রয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র ছাড়াও ইসলামের নামে এক শ্রেণীর লোকের উগ্রবাদিতা ও হঠকারিতার কারণে মুসলমানরা বিভিন্নভাবে বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত। তাই, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের নামে উগ্রবাদি ও হঠকারীদের থামাতে হবে। আর বিশ্ববাসীকে বুঝাতে হবে ইসলামে উগ্রবাদ, হঠকারিতা ও জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই।

    তিনি বলেন, এসব থেকে মুক্তি পেতে সূফিবাদি মানবিক ইসলাম চর্চাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমগ্র বস্তুবাদি দর্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সূফিবাদি গণমুখী দর্শনকে দেশে দেশে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সূফিবাদি দর্শনকে ছড়িয়ে দিতে সূফিবাদি চিন্তাধারার বোদ্ধা আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সম্প্রীতি ও আন্ত:যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি আরো বলেন, ইরাক ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বহু দেশে আজ রক্তপাত ও হানাহানি-সহিংসতা চলছে। মুসলিম বিশ্বে সংঘাত সহিংসতার জন্য শাসকদের গণবিমুখতা ও স্বেচ্ছাচারিতাই বড় দায়ী। শাসকরা দায়িত্বশীল ও গণমুখী হলেই চলমান বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।

    সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী সারা বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে শরণার্থী সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বাংলাদেশে গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারে পূর্ণ নিরাপত্তা ও নাগরিক মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নিতে সেদেশকে আন্তর্জাতিক চাপ দিতে বিশ্ব সংস্থাগুলেকে আহ্বান জানান। সারা বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে সূফিবাদি জনতাই নিয়ামক শক্তি হতে পারে বলে তিনি মতব্যক্ত করেন।

    সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মো: আল হোসাইনী (তুর্কী)। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ড. মো: উজ্জান আল হাদীদ আমিন।

    আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সূফি ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ড. হাসান বাশিশ (তুর্কি), ড. মাজেন শরীফ (তিউনিসিয়া), শেখ আহমদ তিজানী বিন ওমর (ঘানা), সালমান চিশতী (ইন্ডিয়া), শেখ বাজু (লেবানন), আব্দুল্লাহ শরীফ আল-উজানী (মরক্কো), ড. সোলাইমান তিজানী (নাইজেরিয়া), শায়খ ড. আব্দুল বারী (সোমালিয়া), ড. মাসউদ আহমদ রেযা (বৃটেন), ড. মো: মতিউল্লাহ নহর কারীজি (আফগানিস্তান), ড. সাইয়েদী আলী মাউন আইনাইনসহ (মরক্কো), সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, বাহরাইন, কাতার, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ। ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার পর্যন্ত চলবে এ আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন।

  • হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)’র তুরস্ক গমন

    হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)’র তুরস্ক গমন

    ওয়ার্ল্ড সূফি ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) ইস্তাম্বুল দারুস সালাম কুল্লি ইয়াফি এর আমন্ত্রণে ৯ম আন্তর্জাতিক সূফি সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।

    তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।

    হুজুর কেবলা ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি ইস্তাম্বুলের দারুস সালাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ৩দিনের উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইসলামে সূফিবাদের আলোকে বিশ্বে শান্তি ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ওপর বক্তব্য রাখবেন। এ সম্মেলনে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রতিনিধিগণ যোগদান করবেন।

    প্রসঙ্গতঃ হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার আমন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সূফিবাদি মানবিক ইসলামের বিকাশ ও চর্চায় ভূমিকা রেখে আসছেন।

  • সমাজ সেবা ও জনকল্যাণে আত্মেৎসর্গীত হওয়াই ওলী-সাধকদের জীবনদর্শন

    সমাজ সেবা ও জনকল্যাণে আত্মেৎসর্গীত হওয়াই ওলী-সাধকদের জীবনদর্শন

    মহান ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) আওলাদে রাসূল (দ.), শায়খুল ইসলাম, ইমামে আহলে সুন্নাত, গাউছুল ওয়ারা হযরত শাহ্সূফী আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)’র ৮৩তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গরিব দুস্থ মানুষের জন্য ফ্রী চিকিৎসাসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

    আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আয়োজিত ফ্রী চিকিৎসাসেবা ক্যাম্পে মেডিসিন, নাক, কান, গলা, স্ত্রী ও প্রসূতী, ডায়াবেটিস, চক্ষু, মইনীয়া সাইফিয়া ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়সহ নানা ধরনের সহস্রাধিক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ।

    এ মহতী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন রাহবারে শরীয়ত ও ত্বরীক্বত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।

    তিনি বলেন, বিত্তবানরা অসহায় বিপন্ন মানুষের দু:খ-দুর্দশা লাঘবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে গরিবদের দিন ও ভাগ্য বদলে যাবে। মানবিক দায়িত্ব ও মমত্ববোধ থেকে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে বিত্তবানদেরকে। সমাজসেবা ও জনকল্যাণে আত্মোৎসর্গীত হওয়াই ওলী বুজুর্গ সাধক মনীষীদের জীবনদর্শন ও শিক্ষা।

    শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)সহ মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাগণের শিক্ষাই হচ্ছে মানুষের কল্যাণে আত্মনিবেদিত থাকা।

    ফ্রী চিকিৎসাসেবায় ডাক্তারদের মধ্যে চিকিৎসা প্রদান করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: সৈয়দ নূরুল কিবরিয়া, নাক, কান গলা ও সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা: আসাদুজ্জামান নূর, শিশু রোগ অভিজ্ঞ ডা: ফাহিয়া মাহমুদ, প্রসূতী ও স্ত্রী রোগ অভিজ্ঞ ডা: আন্জুমান আরা সবুর, ডায়াবেটিস রোগ অভিজ্ঞ ডা: মাহফুজুল হক, চক্ষু রোগ অভিজ্ঞ ডা: শিপন প্রমুখ।

  • মানবিক সাম্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মাইজভাণ্ডারী দর্শনই অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস-সৈয়দ সাইফুদ্দীন

    মানবিক সাম্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মাইজভাণ্ডারী দর্শনই অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস-সৈয়দ সাইফুদ্দীন

    ত্বরীক্বায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার প্রবর্তক গাউছুল আ’যম শাহ্সূফী আল্লামা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১১৪ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ চট্টগ্রামসহ দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্ত জনতার অংশগ্রহণে দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ ২৪ জানুয়ারি (১০ মাঘ) শুক্রবার মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে শেষ হয়েছে।

    ওরশ উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে।

    শুক্রবার শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর ইমামতিতে দরবার শরীফে জুমার নামায আদায় করেন লাখো মুসল্লি। রাতে অনুষ্ঠিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সভাপতি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মন্জিলের সাজ্জাদানশীন রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীক্বত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।

    তিনি বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ অসাম্প্রদায়িকতা চর্চার পাদপীঠ। মানুষে মানুষে মিলন ও সম্প্রীতির ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাদায়ী দর্শনই হচ্ছে মাইজভাণ্ডারী দর্শন। জাত পাতের পার্থক্য, মানুষে মানুষে বিভেদ, অনৈক্য, বৈষম্য ও হানাহানির বিপরীতে মাইজভাণ্ডারী দর্শন শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক ঐক্যের বার্তাই দেয় বিশ্ববাসীর সামনে।

    সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, ক্ষমতার মোহ, সম্পদের প্রতি আসক্তি, ভোগ বিলাসে নিরন্তর ডুবে থাকার ফলে জনজীবন থেকে আজ শান্তি উধাও। কোথাও শান্তি মেলেনা। সমৃদ্ধ আলোকিত জীবন গঠন ও জীবনে প্রশান্তির পরশ পেতে মহান আল্লাহর ওলীদের পদাংক অনুসরণ করতে হবে।

    মানবিক সাম্য, ইনসাফ, ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় গাউছুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (ক.) প্রবর্তিত মাইজভাণ্ডারী ত্বরীক্বা ও দর্শনই অনুপ্রেরণা ও উজ্জীবনের চিরন্তন উৎস বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

    মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, শাহ্জাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী।

    এতে অতিথি ও আলোচক ছিলেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব আল্হাজ্ব কাজী মহসীন চৌধুরী, আন্জুমান সহসভাপতি খলিফা আল্হাজ্ব কবীর চৌধুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খলিফা আল্হাজ্ব শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, লক্ষীপুর সদর উপজেলা ৮ নং দত্তপাড়া ইউনিয়ন চেয়াম্যান আহসানুল কবীর রিপন, চান্দিনা পৌরসভার মেয়র খলিফা আল্হাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা মুফতী সালেহ সুফিয়ান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা নঈম উদ্দীন, আন্জুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা মো: বোরহান উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোতাহের মিয়া চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: শহীদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহের আলম, উত্তর জেলা সভাপতি খলিফা আব্দুল হামিদ, এইচ এম মঞ্জুরুল আনোয়ার চৌধুরী।

    মিলাদ-ক্বিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, বিশ্বের নিপীড়িত শোষিত মানুষের পরিত্রাণ এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)। পরে অসংখ্য ভক্ত জনতার মাঝে তবরুক পরিবেশিত হয়।

  • ‘মহিউদ্দীন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মত্যাগী এক মহান যোদ্ধা’

    ‘মহিউদ্দীন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মত্যাগী এক মহান যোদ্ধা’

    চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্মরণ সভা ও ‘চট্টলবীর’ নামক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাসূলে পাক (দ.)’র ৩১ তম আওলাদ ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে শরীয়ত ও ত্বরীকত,হযরতুল্হাজ্ব মাওলানা শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন- চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মত্যাগী এক মহান যোদ্ধা। মানবতা, মানবসেবা, আদর্শ ও নীতিতে দেশের মাুনষের প্রতি ভালবাসায় অবিচল থাকার কারণেই তিনি শুধু আওয়ামী লীগেরই নেতা ছিলেন না।

    তিনি ছিলেন দল মত নির্বিশেষে গণমানুষের নেতা। চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেকোন ত্যাগ স্বীকার ও তাঁর কঠোর ভূমিকার জন্য অনেক সময় রাষ্ট্রযন্ত্রও নমনীয় হতে বাধ্য হতো। তিনি আধুনিক চট্টগ্রামের রূপকার। চট্টগ্রামের মানুষ ও মাটির প্রতি তার ভালোবাসার জন্যই তিনি চট্টলবীর খ্যাতি লাভ করেন। এ মানুষটি মনে প্রাণে ছিলেন একজন খাঁটি মুসলিম ও নবীপ্রেমিক। তাই তিনি হজ্বের সময় হাজীদের নেতৃত্ব দিয়ে মক্কা মদিনায় হজ্ব করার জন্য নিয়ে যেতেন। সেখানে হাজীদের খেদমতে তার ত্যাগ ও মহানুভবতার কথা সর্বজন বিদিত। শুধু তাই নয়; সুন্নীয়তের খেদমতেও তিনি ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তিনিই একমাত্র মেয়র যিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীন সপিং কমপ্লেক্সে গাউছুল আ’যম আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী গেইট নির্মাণ করেন। এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী, ইসলাম, গণমানুষের কল্যাণ ও চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেই অবদান রেখে গেছেন তা চট্টলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) উল্লেখ করেন।

    উদ্বোধকের বক্তব্যে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ লালন ও সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতিবোধ জাগ্রত করে সহাবস্থানমূলক একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করে গেছেন এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী। তিনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে এবং কর্মজীবী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যেকোন সাহসী ভূমিকা নিতে পিছপা হতেন না। এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর জীবদ্দশায় কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে ভালবাসার কারণেই তাঁর মৃত্যুর পরেও মানুষ তাঁকে অন্ধের ন্যায় ভালবাসে। তাই আমি মনে করি, চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও শ্রমজীবী মানুষের কল্যানের জন্য এই সংগ্রামী মানুষটির আরো কিছুদিন বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল।

    চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্মরণ সভা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন শাহ আলম বাবুল।

    স্মরণ সভা পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী সাংবাদিক আলী আহমদ শাহিন ও আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, মাদার অব তেরেসা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাবু সুকুমার চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার পুলক কান্তি বড়ুয়া, জ্যোতিষ ড. মাদব আচার্য্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পংকজ বৈদ্য সুজন, নারীনেত্রী মমতাজ খান,সাংবাদিক সৈয়দ দিদার আশরাফী, লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী, শিল্পী দীপেন চৌধুরী, অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ, মো: জাহাঙ্গীর আলম, হাসান মুরাদ, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ এবং মো: খোরশেদ আলী মাইজভাণ্ডারী।

    পরে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়েকজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।