Tag: সোনা জব্দ

  • চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচে মিলল সাড়ে ৩ কোটি টাকার সোনা

    চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচে মিলল সাড়ে ৩ কোটি টাকার সোনা

    চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিমানে তল্লাশি চালিয়ে সিটের নিচ থেকে ৩৮টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি একটি টিম চালানটি জব্দ করে। তবে চালানটির মালিক খুঁজে পায়নি সংস্থাটি।

    উদ্ধার হওয়া সোনার বারগুলোর ওজন চার কেজি ৪২০ গ্রাম। এগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

    কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ৭ টা ৪৪ মিনিটে শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম পৌঁছে। পরে বিমানটি তল্লাশি করে কাস্টমস গোয়েন্দার একটি টিম। এসময় বিমানের একটি সিটের নিচে কালো স্কচটেপ মোড়ানো দুটি প্যাকেট পাওয়া যায়। এগুলো কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে খোলা হয়। পরে সেখান থেকে ৩৮টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

    কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মতিন তালুকদার বলেন, উদ্ধার হওয়া সোনার বারগুলো চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউসে পাঠানো হয়েছে।

  • শাহজালালে একদিনে সাড়ে ২৮ কেজি সোনা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

    শাহজালালে একদিনে সাড়ে ২৮ কেজি সোনা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৃথক দুই অভিযানে প্রায় সাড়ে ২৮ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।

    ঢাকা কাস্টম হাউস ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের প্রথম অভিযানে বিমানের সিটের নিচ থেকে বেওয়ারিশ প্রায় ২৫ কেজি তরল সোনা এবং অপর অভিযানে তিন ব্যক্তির পেটের ভেতর (রেক্টাম) থেকে প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের সোনার বার ও স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে।

    সোমবার (১৭ জুলাই) বিমানবন্দরে আয়োজিত ঢাকা কাস্টমসের সংবাদ সম্মেলন সূত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টম হাউস, কাস্টমস গোয়েন্দা ও এনএসআই কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম দুবাই থেকে আসা এমিরেটসের ফ্লাইটে (নম্বর EK-584) অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে এয়ারক্রাফটের ইকনোমি ক্লাস এবং বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের সিট তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনাকালে ইকোনোমি ক্লাসের ১২টি সিটের নিচে ৯৮টি নীল স্কচটেপে মোড়ানো ডিম্বাকৃতির বস্তু দেখতে পাওয়া যায়। পাতলা পলিথিলিন মোড়ানো অবস্থায় ২৭ কেজি ৬০০ গ্রাম কাঁচা স্বর্ণের পেস্ট মিলে। কষ্টি পাথর ও এসিড দ্বারা পরীক্ষার পর প্রায় ২৫ পঁচিশ কেজি স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা। তল্লাশি অভিযান পরিচালনাকালে জব্দকৃত স্বর্ণ পরিবহনের সঙ্গে কোনো যাত্রীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

    অন্যদিকে একই দিন বিকেলে দুবাই হতে আসা ফ্লাইটে (নম্বর Ek-586) অভিযান চালিয়ে ৩ জন যাত্রী যথাক্রমে মশিউর রহমান রুবেল, জাহাঙ্গীর আলম ও আকবর হোসেনকে আটক করা হয়। বোর্ডিং ব্রিজ হতে গ্রিন চ্যানেলে নিয়ে এসে আর্চওয়ে করা হলে তাদের শরীরে ধাতব পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে এক্স-রে করানো হলে তাদের রেক্টামে ডিম্বাকৃতির ধাতব পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। জব্দকৃত সোনার বার ও স্বর্ণালঙ্কারের ওজন ৩ কেজি ৩৩০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যাত্রীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরপূর্বক বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেসে অভিযান : সাড়ে ৬ কেজি সোনা জব্দ

    কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেসে অভিযান : সাড়ে ৬ কেজি সোনা জব্দ

    ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ছয় কেজি সোনা জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এ সময় আটজনকে আটক করা হয়েছে।

    বুধবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ওই ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপ-পরিচালক মো: শাকিল খন্দকার ও আহমেদুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযানে শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম সোনাগুলো জব্দ করে এবং তাদের আটক করে।

    শুল্ক গোয়েন্দার রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    কাস্টমস গোয়েন্দার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি দল ১৪ তারিখ সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালায়। অভিযানে আট বাংলাদেশী যাত্রীর দেহ তল্লাশী করে ও রেক্টাম থেকে ৫৫ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। এসব সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা।

    আটক আট বাংলাদেশী হলেন মো: সোহেল রানা (৪৭), বিল্লাল বেপারি (৫২), তাজবির আহমেদ (৩৮), নাজমুল হাসান নীরব (৩০), মো: শাহে আলম (৪০), মো: নাদিম (৪১), সুলতান চৌধুরী (২৬) ও মো: সুমন (৩৬)।

    জব্দ সোনা ও আটকদের ঢাকা কাস্টম হাউসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে কাস্টমস আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে এবং ওই মামলায় যাত্রীদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।