Tag: সৌদি আরব

  • সৌদি আরব থেকে ফিরলেন ২০০ বাংলাদেশি

    সৌদি আরব থেকে ফিরলেন ২০০ বাংলাদেশি

    সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ধরপাকড় শুরু হওয়ায় দেশে ফিরছেন সৌদি প্রবাসীরা।

    কাজের বৈধ অনুমোদন (আকামা) থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে দুই শ’ বাংলাদেশিকে সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফিরতে হয়েছে।

    ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তারা বিমানযোগে দেশে ফেরেন। বারাবরের মতো এবারও দেশে ফেরা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সহায়তা প্রদান করে ব্রাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।

    তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছর ১৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ৮০৪ জন জনকে ব্র্যাক সহযোগিতা করেছে। এর মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী এলেন গতকাল শুক্রবার।

    জানা যায়, সংসারে সচ্ছলতা আনতে মাত্র পাঁচ মাসে আগে বহু স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের আকমত আলী। কিন্তু তার সে স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ আরও ১০ মাস থাকলেও তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ফেরত আসা গোপালগঞ্জের ছেলে সম্রাট শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আট মাসের আকামা ছিলো তার। নামাজ পড়ে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কোনো কিছু না দেখেই দেশে পাঠিয়ে দেয়।

    ফেরত আসা সাইফুল ইসলামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ দেখানোর পরেও তাকে দেশে পাঠানো হয়। সাইফুল বলেন সবে মাত্র নয় মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন, আকামার মেয়াদও ছিল ছয় মাস।

    চট্টগ্রাম জেলার আব্দুল্লাহ বলেন, আকামা তৈরির জন্য আট হাজার রিয়াল জমা দিয়েছেন কফিলকে কিন্তু পুলিশ গ্রেফতারের পর কফিল কোনো দায়িত্ব নেয়নি।

    এদিকে ব্রাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ফেরত আসা কর্মীরা যেসব বর্ণনা দিচ্ছেন সেগুলো মার্মান্তিক। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে অনেক লোক ফেরত আসতো। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই এই দায় নিতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যেন গিয়ে এমন বিপদে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

  • সৌদি আরবে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশি দুই সহোদর নিহত

    সৌদি আরবে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশি দুই সহোদর নিহত

    সৌদি আরবে বাসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভায় তাদের বাড়ি।

    নিহতরা হলেন, কাঞ্চন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কলাতলী এলাকার হাবিব উল্লাহ্ মিয়ার ছেলে বড় ছেলে আব্দুল হালিম এবং মেজ ছেলে দ্বীন ইসলাম (২৮) । একই বাসে থাকা নিহতদের ছোট ভাই ইসলাম উদ্দিন আহত অবস্থায় সৌদি আরবের হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

    গত বুধবার মক্কা নগরীর নিকটবর্তী এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ইসলাম উদ্দিন বাড়িতে ফোন করে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।

    ইসলাম উদ্দিনের বরাত দিয়ে নিহতদের বোন সীমা আক্তার জানান, গত বুধবার কাজ শেষে জিহরা এলাকা থেকে মদিনায় ফেরার জন্য ওমরা যাত্রীবাহী একটি গাড়িতে ওঠেন তার তিন ভাই। বাসটিতে মোট ৩৯ জন যাত্রী ছিল।

    স্থানীয় সময় রাত সাতটার দিকে মদিনা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে হিজরা রোডে একটি লোডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল হালিম ও দ্বীন ইসলামসহ ৩৫ যাত্রী মারা যায়। গুরুতর আহত হন ইসলাম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন। তাদের স্থানীয় আল হামনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সীমা আক্তার আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার তিন ভাই আব্দুল হালিম, দ্বীন ইসলাম ও ইসলামউদ্দিন জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে বসবাস করে আসছেন। তারা সেখানে ঠিকাদারি কাজ করতেন। নিহত আব্দুল হালিমের আলাউদ্দীন নামে তিন মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে ও দ্বীন ইসলামের ১৪ মাসের হালিমা আক্তার নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

    এদিকে দুর্ঘটনায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পর তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ।

  • বাসে আগুন লেগে সৌদি আরবে ৩৫ ওমরাহযাত্রী নিহত

    বাসে আগুন লেগে সৌদি আরবে ৩৫ ওমরাহযাত্রী নিহত

    সৌদি আরবে ওমরাহযাত্রী বহনকারী একটি বাসে আগুন লেগে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।

    বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি গাড়ির সঙ্গে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসটির ধাক্কা লাগলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা সবাই বিদেশি হলেও কোনো বাংলাদেশি আছেন কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

    মদিনার ১৭০ কিলোমিটার দূরে আল-আখাল গ্রামের হিজরা রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।

    স্থানীয় পুলিশের বরাতে খবরে বলা হয়, এশিয়ান ও আরব দেশের নাগরিকদের বহনকারী বাসটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। বেসরকারি পরিবহনের বাসটি একটি ভারী যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা খায়।

    এতে সঙ্গে সঙ্গে বাসটিতে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই ৩৫ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ আল-হামনা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

    দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে রেড ক্রিসেন্টসহ অন্যান্য জরুরি সেবা সংস্থা।