চট্টগ্রাম নগরীকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নগরীর লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষন প্রকল্প এবং পে পার্কিং এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আজ সোমবার বিকেলে লালখান বাজার জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদের সামনে এই ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, খুলশী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী, ট্রেড ম্যক্সের সত্ত্বাধিকারী হেলাল আহমদ, রাজনীতিক ছিদ্দিক আহমদ, দিদারুল আলম মাসুম, মো. আজাদ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, আবদুল রশিদ লোকমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানীর গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম নগরীতে সৌন্দর্যবর্ধনের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের উপরে এবং নিচে চসিক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষনের উদ্যোগ নিয়েছে চসিক।
আউটসোসিং প্রকল্পের আওতায় নগরীর বিভিন্ন স্থানের ফ্লাইওভার, আইল্যান্ড, মিডআল্যান্ড সহ ফুটপাত সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করছে চসিক।
অনুরূপভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষন প্রকল্পের ফ্লাইওভারের নিচের ল্যান্ড স্কেপে ভাস্কর্য স্থাপন, সড়ক দ্বীপের দু’পাশে প্রাচীর ঘেষে বাগান/সবুজায়ন, আলোকসজ্জা, গ্রিল সংস্কার, বৈদ্যুতিক পুলে আকর্ষনীয় সৌন্দর্যবর্ধন, সিলিং এ আলোকসজ্জা, পে পার্কিং ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অনুমোদিত স্থানে নগরবাসীর জন্য বিনামূল্যে পানি পানের ব্যবস্থা, ফ্লাইওভারকে পোষ্টার, ব্যানার ও আবর্জনামুক্ত রাখা, আধুনিক গণশৌচাগার, পিলার ও স্পেনের মধ্যবর্তিস্থানে সুন্দর বাগান, টাওয়ার এলইডি ডিসপ্লে, ট্রাইভিশন, এলাইডি বক্স, টানা লাইটিং এবং ফ্লাইওভারের উপরে এ্যালুমিনিয়াম বক্স, এলাইডি বক্স ইত্যাদি থাকবে।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ট্রেড ম্যাক্সের ১৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর বিপরীতে ট্রেড ম্যাক্স চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে প্রতিবছর ১ কোটি টাকা প্রদান করবে।
সিটি মেয়র বলেন, এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয়বহুল বিধায় প্রকল্পগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষনের কাজ আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবুজায়নের আওতায় পুরো চট্টগ্রাম নগরীকে ফুল গাছ ও বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে সাজানো হবে। নগরীকে গ্রীন ও ক্লিন সিটিতে পরিণত করতে নগরীর যে সকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ও ভবঘুরদের উৎপাত ছিল সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে নাগরিক উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নগরীর বেশ কয়েকটি মোড়ে এই সৌন্দর্যবর্ধন কাজের সফল সমাপ্তি আমরা করেছি। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে নগরীর সৌন্দর্য। এরই অংশ হিসেবে লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগের ফলে নগরীর ফুটপাত,আইল্যান্ডগুলো পরিবেশ বান্ধব,নগরবাসী ও পথচারীদের চলাচল উপযোগী হয়ে উঠবে।
মেয়র বলেন, এ ধরনের স্থানগুলোতে নগরবাসী চাইলে যান্ত্রিক জীবনের বাইরে গিয়ে একটু বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য নির্মল পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারবেন। সিটি মেয়র সৌন্দর্যবর্ধন করা এই স্পটগুলোর রক্ষনাবেক্ষনে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
উদ্বোধন শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।