Tag: স্কুলছাত্রী

  • লক্ষ্মীপুরে ছাদে পানির সুইচ দিতে গিয়ে স্কুলছাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

    লক্ষ্মীপুরে ছাদে পানির সুইচ দিতে গিয়ে স্কুলছাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে-দ্বিতলা ভবন থেকে পড়ে যাওয়া ভাবনা আক্তার (১২) নামের শিশুটি মারাত্মক জখম হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুশয্যায় রয়েছে শিশুটি। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকালে উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউপির হায়দরগন্জ বাংলাবাজার এলাকায়। বিকালে উত্তেজিত এলাকাবাসী ওই ভবনটির সামনের অংশ ভাংচুর করে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির কাছে উপযুক্ত বিচার দাবি করে।

    আহত বামনা আক্তার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জের বাংলাবাজার এলাকার হুমায়ুন কবির বাচ্চুর মেয়ে ও বন্ধন একাডেমীর ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বন্ধন একাডেমির পাশের ভবনে মক্তব পড়তে যায় ভাবনা। ছুটি শেষে শিক্ষকের নির্দেশে সহপাঠি মোহনার সাথে ওই ভবনে ছাদে পানির লাইন চালু করতে উঠে। এসময় মোহনার অগোচরে ভাবনা প্রবাসী বাবুল মাঝির দ্বিতলা ভবনের ছাদে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীচে পাকা রাস্তায় পড়ে যায়। এতে তার শরীরের অর্ধেক অংশ পুড়ে যায় ও মাথায় মারাত্নক জখম হয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কিশোরি মেয়েটির অবস্থা আশংকাজনক।

    উল্লেখ্য-গত এক বছরের মধ্যে এক রাজমিস্ত্রি মাহবুব ওই দ্বিতলা ভবনের কাজ করতে গিয়ে ও ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রী সায়েমও খেলা করতে গিয়ে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে নীচে পড়ে মারাত্নক আহত হয়েছিলো। পরে চিকিৎসা খরচ ও জরিমানা দিয়ে মামলা থেকে রক্ষা পায় ভবন মালিক বাবুল মাঝি। কিন্তু শালিসদার ও বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পরেও ওই ভবনের অতিরিক্ত অংশ ভাঙ্গে নি। যার কারনে আজকের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    এঘটনায় ভবন মালিকের ছেলে ফারুক মাঝি মোবাইলে জানান, ভবন নির্মানের সময় সামনের অংশ বাড়তি করায় ভুল হয়েছে। আহত স্কুল ছাত্রীর চিকিৎসার সকল খরচ বহন করছি। স্থানীয়ভাবে বৈঠক বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    রায়পুর পল্লী বিদ্যুতের হায়দরগঞ্জ শহর কার্যালয়ের ইনচার্জ লুৎফুর রহমান বলেন, ওই ভবনটি করার আগেই বিদ্যুত লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। দুই ভবনের মালিককে তাদের ভবনের সামনের অংশ ভেঙ্গে ফেলতে বললেও তারা শুনেনি। আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

    রায়পুরের হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, খবর পেয়েছি শিশুটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থা আছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/আকাশ

  • স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, রাউজানে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

    স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, রাউজানে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফজল আহমদ (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    আজ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে দণ্ড দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ। দণ্ডপ্রাপ্ত ফজল আহমদ উপজেলার ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা গ্রামের মাইজপাড়া এলাকার মৃত সৈয়্যদ আহমেদের পুত্র। সে একই উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের এনায়েত ফকির বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতো।

    ১০ নং পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার ফজল আহমেদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে স্থানীয় ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ডেকে কক্ষের দরজা বন্ধ করলে মেয়েটি কৌশলে দরজা খুলে পালিয়ে যায়।

    পরে দৌঁড়ে ছুটে এসে বিষয়টি সবাইকে জানালে আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং বিস্তারিত জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে স্বাক্ষীসহ উপজেলায় যাওয়ার প্রস্তুতিকালে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

    এ সময় আমি মোটর বাইক নিয়ে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে আদালত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে একমাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফজল আহমদ নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

  • বুকভরা অভিমান নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্কুলছাত্রী রুনা

    বুকভরা অভিমান নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্কুলছাত্রী রুনা

    টানা ছয় মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানতে হলো রাউজানের স্কুলছাত্রী রুনা আকতারকে।

    বুধবার ভোর চারটায় স্বজনদের চোখের জলে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন চিকদাইর ইউনিয়নের মাওলানা বদিউর রহমানের বাড়ির দিনমজুর আবদুল মন্নানের মেয়ে রুনা। সে চিকদাইর শাহাদাৎ ফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্রী।

    জানা গেছে, তার সাথে পটিয়া শিকলবাহা জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান বাড়ির কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম অভির সাথে প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল। গত ৩ এপ্রিল এলাকায় একটি ওরসে অভি নামের ছেলেটির সাথে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় কিছু যুবক তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে। এ সময় অভি মেলা থেকে নিজেকে গা ঢাকা দেয়। পরে রুনাকে স্থানীয় জাকের হোসেন মাস্টার ডেকে কথা বলে তার স্বজনদের ফোন করে তাদের হাতে তুলে দেন। পরে মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কিছু ছেলে তাকে উক্ত্যক্ত করার কথা বলেন। বিষয়টা নিয়ে রুনার বাবা মেয়েকে বকাঝকা করেন। রাতে অনেকটা অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার চেস্টা করে সে।

    আত্মহতার চেষ্টাকালে ৩ এপ্রিল ঘটনার দিন রুনাকে মুমূর্ষু অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনায় স্থানীয় কিছু যুবককে অভিযুক্ত করে রুনার পিতা আব্দুল মন্নান বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে ৯ মে পর্যন্ত ১ মাস ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় রুনাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অনেকটা যমে-মানুষে টানাটানি শেষে স্কুল ছাত্রী রুনা বুধবার সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তার মৃত্যুতে শোকে কাতর পরিবারের সদস্যরা।

    এদিকে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা মামলাটি আদালত তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শনা দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল আব্বাস মামলাটি তদন্ত করে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে রুনা আকতারকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রতিবেশী নুরুল আমিনের ছেলে মঞ্জুর হোসেন (২২), কবির আহম্মদের ছেলে কফিল উদ্দিন(২০) বাশির উদ্দিনের ছেলে হেলাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি : বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি : বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোঃ রফিক(৬০) নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    ২৭ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ এই দণ্ডাদেশ দেন।

    মোঃ রফিক উপজেলার ৭ নং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বেপারী পাড়ার মৃত নবাব মিয়ার পুত্র।

    সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার স্কুল বন্ধের দিন এলাকার খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে স্কুল শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান জনৈক স্কুল ছাত্রী। এ সময় মোঃ রফিক শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীটির শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে তার সাথে থাকা বান্ধবীটি চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়।

    পরে বিষয়টি স্থানীয়দের কেউ রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের হেল্পডেস্ক টিমকে বিষয়টির খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

    রবিবার সকালে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের হেল্পডেস্ক টিমের সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষের কাছে বিষয়টির খোঁজ নেন।

    এ সময় স্থানীয় লোকজন বলেন, রফিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরে হেল্পডেস্ক টিমের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করে রফিককে হাজির করে রাউজান থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের ভিত্তিতে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, মোঃ রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।