২৪ ঘণ্টা বিনোদন ডেস্ক : গেল মাসেই সংবাদ সম্মেলন করে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল জানিয়েছিলেন, করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা না পেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সিনেপ্লেক্স।
আর এরই মধ্যে জানা গেল দুঃসংবাদটি। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আর কখনোই খুলবে না স্টার সিনেপ্লেক্স।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) স্টার সিনেপ্লেক্সের বিপণন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ জানান, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল কর্তৃপক্ষ আমাদের নোটিশ দিয়েছে সিনেপ্লেক্স বন্ধ করার জন্য। তাদের নতুন পরিকল্পনা রয়েছে শপিংমল নিয়ে।
তিনি বলেন, যদি বাড়িয়ালা ভাড়াটিয়াদের নোটিশ দেন চলে যাবার জন্য তাহলে তো চলে যেতেই হবে। তবে আমাদের অন্য সবগুলো শাখাই চালু থাকবে।
তবে রাজধানীতে সিনেপ্লেক্সের আরো দুটি ব্রাঞ্চ থাকায় খুব একটা সমস্যা হবে না জানিয়ে মেসবাহ উদ্দিন বলেন, বসুন্ধরা সিটিতে সিনেপ্লেক্স বন্ধ হলেও আমাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।
জানা যায়, ২০০২ সালে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম ডিজিটাল এবং অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত এ সিনেমা হলটি। ২০০৪ সালে এই সিনেপ্লেক্স হওয়ারই পরই হলবিমুখ মধ্যবিত্ত শ্রেণি আবার সিনেমা হলে এসে সিনেমা দেখতে শুরু করে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরেই বসুন্ধরায় এ সিনেপ্লেক্স সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছিল দেশি-বিদেশি সিনেমা প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স শাখায় ৬ টি স্ক্রিনে ১৬০০ আসন ছিল। এটি বন্ধ করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, শাখাটি রাখার অনেক চেষ্টা করেও পারলাম না। শপিংমল কর্তৃপক্ষ একমাস আগেই সিনেপ্লেক্সের শাখা ছাড়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। নোটিশে বলা আছে, তিন মাসের মধ্যে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
তবে সিনেপ্লেক্সের অন্যান্য শাখাগুলো (ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার, মহাখালীর এসকেএস টাউয়ার) চালু থাকলো। নতুন করে মিরপুর-১ এর সনি কমপ্লেক্স সিনেপ্লেক্স হিসেবে চালু হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে দেশের সিনেপ্লেক্সগুলো বাঁচাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে সিনেপ্লেক্সগুলো টিকিয়ে রাখতে সরকারি অনুদান চাওয়া হয়। অনুদান না পেলে সিনেপ্লেক্সগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এমন আভাস দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স