Tag: স্ট্যাটাস

  • বার্সায় যাওয়ার আগে লেভান্দোস্কির আবেগঘন স্ট্যাটাস

    বার্সায় যাওয়ার আগে লেভান্দোস্কির আবেগঘন স্ট্যাটাস

    দীর্ঘ দিনের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় বলে দিয়েছেন রবার্ট লেভান্দোস্কি। পোলিশ তারকার নতুন ঠিকানা হতে চলেছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শেষ। শুধু বাকি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এর আগেই নিজের পুরোনো ক্লাবের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেভান্দোস্কি।

    অনেক বছর ধরে বায়ার্ন মিউনিখের গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে ছিলেন পোলিশ স্ট্রাইকার লেভান্দোস্কি। কিন্তু, সময় অনেক গড়িয়েছে। আট বছর কাটিয়ে ফেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখে। এবার প্রিয় ক্লাবটি ছাড়ছেন এ তারকা ফুটবলার। কিছু দিন আগে পোলিশ তারকা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন,জার্মান ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছেন না তিনি।

    তবে জার্মান ছাড়লেও ক্লাবটির স্মৃতি সারাজীবন মনে রাখবেন পোলিশ স্ট্রাইকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার সব সতীর্থ, ক্লাবের সব কর্মচারী এবং এফসি বায়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সহ যারা আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবার জন্যই আমরা অনেক শিরোপা জিততে পেরেছি। সবার ওপরে আমি সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা জানাই-আপনারাই এই ক্লাব তৈরি করেছেন। আমরা খেলোয়াড়রা এখানে কেবল একটা মুহূর্তের জন্য থাকি। আমার জন্য সেই মুহূর্তটা অসাধারণ আটটি বছর এবং এই স্মৃতি সারাটা জীবন আমার মনে থাকবে।’

    লেভা আরো লিখেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে যা কিছু অর্জন করেছি, সে জন্য আমি গর্বিত। আমি আবারও এই ক্লাবের সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, তারাই বায়ার্নকে বিশেষ একটি ক্লাব করে তুলেছে।’

    লেভাকে নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে নীতিগতভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বার্সেলোনা। আগামী তিন মৌসুমের জন্য এই পোলিশ স্ট্রাইকারকে দলে নিচ্ছে বার্সেলোনা।

    ইএসপিএনের খবর অনুযায়ী, লেভান্দোস্কিকে দলে নিতে স্প্যানিশ ক্লাবটির ৪৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ হবে। চুক্তিতে সব প্রক্রিয়া ও মেডিকেল শেষ হওয়ার দলের প্রাক-সিজনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তিনি।

    পরবর্তী জোয়ান গ্যাম্পার ট্রফির আগে বার্সেলোনা লেভান্দোস্কিকে মাঠে নামাবে। বার্সেলোনা ৭ আগস্ট ক্যাম্প ন্যুতে মেক্সিকান দল পুমাসের বিপক্ষে খেলবে।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামে চিকিৎসক কণ্যা করোনা আক্রান্ত, সাংবাদিক পিতার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস!

    চট্টগ্রামে চিকিৎসক কণ্যা করোনা আক্রান্ত, সাংবাদিক পিতার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত শিশুদের সুস্থ করে তুলতে, তাদের সেবায় একাত্ব হয়ে এমনভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছে, এখন সে নিজেই এ রোগের শিকার।

    সাজাজিক যোগাযোগাগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনভাবেই মত প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি স্ট্যাটাসে তার ২৯ বছর বয়সী চিকিৎসক কণ্যা ডাঃ সামিয়া নাজনীন করোনা আক্রান্তের তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

    তিনি ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার মেয়ের শরীরে জ্বরসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার জন্য গত ১০ মে বিআইটিআইডিতে নমুনা দিয়ে আসেন। গতকাল সোমবার (১১ মে) রাতে বিআইটিআইডি ল্যাবের রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে।

    সাংবাদিক পিতা তার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকে আমার কোমলমতি মেয়েটি খুব কাঁদছে, তার মাও কাঁদছে অবিরত। চোখেও ঘুম নেই মেয়ের কথা চিন্তা করতে করতে। অন্যদিকে আমার ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অস্রু জমাট বেধে আছে কিন্তু চোখ ফেটে বের হতে পারছে না।

    এদিকে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকেই করোনা আক্রান্ত এ নারী চিকিৎসক তার শ্বশুরবাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সামিয়া নাজনীনের স্বামী সানিউল ইসলাম।

    তিনি বলেন, করোনা মহামারিতেও সে ঘরে বসে ছিলেন না। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে উপস্থিত থেকে শিশুদের সেবা করেছেন।

    তবে কিভাবে সামিয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তার কোন নির্দ্দিষ্ট কারণ তিনি জানে না উল্লেখ করে বর্তমানে সে বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং শরীরও মোটামুটি ভাল বলে জানায়।

    এদিকে মেয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বুক ফাঁটা, মনে কষ্ট ও চাপা ক্ষোভ মিশ্রিত এক মন্তব্য প্রকাশ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তার মেয়ের জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

    তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমার মেয়ে তার বাপের স্বভাবই পেয়েছে। আমি সারাজীবন জনসেবা করার চেষ্টা করেছি। অন্যের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছি। রাজনীতি, সাংবাদিকতা যখন যা করেছি সমস্ত মন প্রান দিয়ে করেছি। পরের কাজে জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছি, কোন ফাঁকি রাখিনি।

    নিজের স্বার্থ নিয়ে কোনদিন মাথা ঘামাইনি। যখন যে কাজ করেছি তাতে ষোলআনা উজাড় করে দিয়েছি। নিজেকে এমনভাবে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে কখন জীবনের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি টেরই পাইনি।

    শেষ বেলায় হিসেব করে দেখছি আমার হিসেবের ঘরে ফাঁকি। আমি একজন ব্যর্থ মানুষ। আমার প্লট নেই, ফ্ল্যাট নেই, গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, ব্যাংক ব্যালান্স নেই। আমার ছেলেমেয়েদের ইউরোপ আমেরিকায় পড়াতে পারিনি।

    আমার মেয়েও আমার মত আত্মবিস্মৃত হয়ে করোনা রোগিদের সেবা করতে যেয়ে নিজের শরীরে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়েছে।

    আমার সকল মুরব্বী, মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক জীবনের নেতা, রাজনৈতিক সহকর্মী, সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধু, ছোট ভাইয়ের মত আমি যাদেরকে পরিচর্যা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছি, তারা এবং আমার সহযোগি সাংবাদিক-সকলের প্রতি আমার সকরুন মিনতি, আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে তুলতে কারো কোন করনীয় থাকলে, সাহায্যের উদার হস্ত নিয়ে এগিয়ে আসুন, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

    আমার মেয়ে এখন শ্বশুরবাড়িতে কোয়ারান্টাইনে বাস করছে। আমি মুক্তিযুদ্ধে জিতেছি,আশা করি আমার মেয়েও করোনা যুদ্ধে জিতবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ || বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও থেমে নেই। দেশে এখন করোনা হটস্পট নারায়নগঞ্জ।

    দেশের মধ্যে এখন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সর্বশেষ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ শতাধিক।

    সরকারি হিসাবমতে এখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সিভিল সার্জন, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেট কেউই। মারা গেছেন ত্রাণ শাখার এক কর্মচারী।

    ইতিমধ্যে ১০ চিকিৎসকের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন জেলা প্রশাসনের তিন ম্যাজিস্ট্রেট, তাদেরই একজন নারায়ণগঞ্জের ই-সেবা কেন্দ্রের সহকারী কমিশনার তানিয়া তাবাসসুম তমা।

    বর্তমানে তিনি, তার স্বামী, মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরো দুইজন সহকারী কমিশনার।

    নিজের ১ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়েকে ঢাকায় মায়ের কাছে রেখে করোনা মোকাবেলায় কাজ করেছেন। তবুও প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে তাদের নানা সময়।

    গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে হোম আইসোলেশনে থাকা এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার ফেসবুক আইডি থেকে কোভিড-১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায়না না অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তার টাইমলাইনে।

    স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘ কোভিড ১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায় প্রশাসন। করোনার ভয়াল থাবা এসে পড়তে দেরী নেই, সবাই প্রস্তুত হও, সরকারের নির্দেশ। সরকারের কর্মচারী তাই পিছপা হবার সুযোগ নেই।

    দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধই প্রশাসনের চাকরির ধর্ম। অগত্যা ১ বছরের তাইফ আর ৩ বছরের নামিরাকে মায়ের কাছে ঢাকায় রেখে নারায়ণগঞ্জে থাকতে শুরু করলাম।

    নিয়মিত অফিস, মোবাইল কোর্ট, গণসচেতনতা কার্যক্রম, জরুরী ত্রাণ কাজ, কন্ট্রোল রুম ডিউটি, প্রতিদিনের রিপোর্টসহ প্রেস ব্রিফিং তৈরী, বেসরকারি ত্রান সংগ্রহ কার্যক্রম যখন যেটা সামনে পড়েছে করেছি।

    ভাবছেন এতো বলছি কেন, এসব তো প্রশাসনের কাজই। হ্যা, সেজন্যই ফটোসেশন, ফেসবুক পোস্ট বাহুল্য এড়িয়ে চলেছি। আমি খুব নিভৃতচারী তাই কাজকে প্রাধান্য দিয়িছি আগে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্রী ছিলাম বলে জীবাণু নিয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা রাখি বলে দাবী করি। জীবাণু ভীতিটাও তাই সরিয়ে রেখে কাজ করতে পেরেছি বোধ হয়।

    সারাদিনের চেষ্টা ক্লান্তি শেষে যখন দেখতাম লোকজন কথা শুনছে না, একই ব্যক্তি নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে আসছে, ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ত্রাণ চাইছে আর প্রশাসনের সকল কাজ নিয়েই, যত দোষ নন্দঘোষ অপপ্রচার তখন শুধু নতুন উদ্যম হাতরে খুজে বেড়াতাম।

    কিন্তু খারাপ লাগা ঘিরে ধরত যখন ভিডিও কলে সন্তানের মুখ আর প্রিয় স্বরগুলো শুনতে পেতাম। নিজের চেয়ে বেশি ভাবতাম পরিবারকে নিয়ে। জানেন কতো রাতে ঘুমাতে পারিনি।

    শারীরিক মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বলও হয়ে পড়েছিলাম। তার মধ্যে সারা দেশে রি রি করে উঠলো প্রশাসন বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন নাকি পিপিই চোর।

    অথচ ডিসি স্যার নিজ উদ্যোগে আমাদের সেটা যোগাড় করে দিয়েছিলেন। পরে যতো বেসরকারি পিপিই পাওয়া গিয়েছিলো চিকিৎসকসহ অন্য সবাইকে দেওয়া হয়েছিলো জন স্বার্থে।

    যাইহোক নূন্যতম নিরাপত্তাটুকু নিয়েই কাজ চালিয়ে গিয়েছি, সকল প্রশাসন যোদ্ধারাও সারাদেশে তাই করছে। মুসলমান হিসেবে মৃত্যু ভয় মনে রাখিনি, প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণ বাঁচাতেই দৌড়ে বেড়িয়েছি।

    নিজ জেলা চাঁদপুর, কিন্তু কর্মস্থল দেশের সমৃদ্ধ একটি জেলা নারায়ণগঞ্জকে আজকে যখন লোকে বাংলাদেশের উহান বলছে তখন বুকটা মুচরে উঠে।

    আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আজ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারি আক্রান্ত, ত্রাণ কাজের একজন পরিশ্রমী কর্মচারি মৃত্যুবরণ করেছেন।

    এখনও মনে পড়ছে শেষ যেদিন সন্ধ্যায় কাশিপুর, গোগনগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট করছিলাম মাইকে চিৎকার করে বলছিলাম প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী, এ জেলার অবস্থা আর কতো খারাপ হলে আপনারা সচেতন হবেন!

    আজ আমি, আমার পরিবার (স্বামী, মা), প্রশাসন পরিবার কোভিড ১৯ আক্রান্ত। আমাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়ার পর আত্মীয়, বন্ধু বিশেষ করে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন আমাকে যেভাবে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন মনে হচ্ছে এ যাত্রায় বেঁচে গেলে আল্লাহ যেন দ্রুত আবার সুস্থ্য করে দেন, দেশের সেবা করার তৌফিক দেন।

    তাদের সকলের নাম বলতে গেলে তালিখাটি দীর্ঘ হয়ে পোস্টটি আরো বড় হয়ে যাবে।

    অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকে। ভালো থাকুক নারায়ণগঞ্জ, ভালো থাকুক প্রিয় দেশ। সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

    সাধারণ এ জীবনে বহু ঘাত প্রতিঘাত পার করেছি। সন্তান দুটো জন্ম দিতে গিয়ে দু দুবার মৃত্যুর মুখ থেকে আল্লাহ ফিরিয়ে দিয়েছেন ওদের ভাগ্যে। আবার যেন আমরা প্রিয় মুখগুলোর কাছে ফিরে যেতে পারি, আল্লাহ যেন সবাইকে তার রহমতের ছায়ায় রাখেন। আমিন।’

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনা : বেঁচে গেলেন ফজলে করিম!

    কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনা : বেঁচে গেলেন ফজলে করিম!

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম স্পেশাল : ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

    দুর্ঘটনা কবলিত তুর্ণা নিশীতা ট্রেনে করেই ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো সাংসদ ফজলে করিমের। ওই ট্রেনের টিকিটও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে রাষ্ট্রপতির সাথে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকের সিদ্ধান্তে হঠাৎ করেই তিনি যাত্রা পথ পরিবর্তণ করেন। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করেই তিনি ঢাকায় পৌছান।

    এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিমের এপিএস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল।

    তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। শোক বার্তায় ফজলে করিম নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দুর্ঘটনায় আহত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

    এদিকে দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনে করে পিতার ঢাকা যাওয়ার পথ পরিবর্তণকে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছা ব্যতীত আর কিছুই নয় বলে উল্লেখ করে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঝড়ে যাওয়া প্রাণগুলোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাংসদের জ্যৈষ্ঠ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।

    আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ৫৭ মিনিটে ফারাজ করিম তার পোস্টটি পাবলিশড করেন।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকদের জন্য ফারাজ করিমের স্ট্যাটাসটি হুবুহ তুলে ধরা হলো।

    দুর্ঘটনার শিকার তূর্ণা নিশীতা যা গতরাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলো, সেই ট্রেনে করে আমার বাবার আজ সকালে ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। সেই ট্রেনের টিকেট কিনেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্লেনে আসার পরিকল্পনাকে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

    দায়িত্বরতদের কর্তব্যের অবহেলার কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, এটা বুঝতে আর কতগুলো তদন্ত কমিটি লাগবে? আগেও বলেছি, দায়িত্বে থাকা সকলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আনুন। একটা উদাহরণ সৃষ্টি করুন।

    আমি নিশ্চয়তার সাথে বলছি, এধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। তবে ব্যবস্থা নেবেনই বা কেমনে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে চাকরি তদবির ও ঘুষের মাধ্যমেই হয়?

    মনে কষ্ট নিয়েই বলছি, আজ আল্লাহ যদি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে সেই ট্রেনে যাওয়ার হুকুম করতেন, তাহলে কি দেশের রেল ব্যাবস্থায় কোন পরিবর্তন আসতো? ঝড়ে যাওয়া প্রাণগুলোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

  • সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    রাজীব সেন প্রিন্স : 
    মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও পার্লামেন্টারিয়ান মঈনউদ্দিন খান বাদল আর নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এ এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    প্রয়াত পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাংসদ মাঈনুদ্দিন খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ঠিক এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মহিউদ্দিনপুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার ১০টা ৫৭ মিনিটে তার ভেরিফাইড ফেসবুক ফেইজে আবেগঘন এক স্ট্যাটাসে এসব কথা উল্লেখ করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্টাটাসটি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    মাঈনুদ্দিন খান বাদল। বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় নেতা, অনলবর্ষী বক্তা, সংসদ সদস্য, বীর চট্টলার গৌরব, আরো অনেক কিছুতেই তাকে সম্বোধন করা যায়। না ফেরার দেশে তিনি আজ থেকে থাকবেন। ইন্না-লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। মনে হচ্ছে যেনো আবারো পিতৃহারা হলাম।

    দুবছর আগে হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়েছিলেন যখন, তখন তার বন্ধু মহিউদ্দিন চৌধুরীও গুরুতর ভাবে অসুস্থ, হাসপাতালে। খুব আফসোস করতেন বন্ধুকে দেখে যেতে পারেননাই। অশ্রু সজল নয়নে স্মরণ করতেন। আজ থেকে আমরা তাকে স্মরণ করবো।

    চট্টগ্রামের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থে, দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে কোথায় ছিলোনা তার গর্জন? প্রথম তার সাথে আমার পরিচয় শৈশবে। এরশাদের দোর্দণ্ড শাসনের সময়। তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, আজকের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের রাজবন্দীদের কক্ষে। আমার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রিজন সেলের সহবন্দী ছিলেন। এরশাদের সাথে আপস করে মন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু বেছে নিয়েছিলেন বন্দী জীবন।

    আমাকে সমাজতন্ত্র শেখাতেন, দেখতেও ছিলেন স্টালিনের মত, ইম্পোজিং ব্যক্তিত্ব। আমার বাবার সাথে হাস্যরস আর গভীর রাজনৈতিক আলোচনায় মগ্ন থাকতেন। মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কাছ থেকে শুনতাম। পরবর্তীতে যখনই দেখা হতো, প্রতিবার তার কাছ থেকে শিখেছি।

    রাজনৈতিক আলোচনা যে শুধুই পদবির আর ক্ষমতার রাজনীতি নয় এবং রাষ্ট্রনীতি, আদর্শ, উন্নয়ন, এসবই হচ্ছে রাজনীতির মূল আলোচনা, বারবার তার সান্নিধ্যে এসে তা অনুভব করেছি এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে, তার সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের প্রশ্নে, সেই শৈশব থেকে দেখেছি অবিচল দৃঢ়তার সাথে তাকে বলতে।

    তিনি আর আমাদের মাঝে নাই। বাংলাদেশের রাজনীতি আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    নওফেল তার স্ট্যাটাসে প্রয়াত পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে মাইনুদ্দিন খান বাদলের অপর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, খালেদা সরকার যখন তার বাল্যবন্ধুকে দেয়া চট্টগ্রামের মানুষের ঐতিহাসিক জনরায় ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে তখন সারারাত জনতাকে জাগিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব নেয় বাদল। বিজয়ের হাসিতে মেয়র কামরান। এদের শ্রমে ঘামে আজকের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সরকারের ভীত রচিত হয়েছিলো।

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া মঈন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম ৮ আসনের তিন তিন বারের সংসদ সদস্য। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে খ্যাতি ছিল তার।

    বাদলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্টফেল করায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাংসদ বাদলের ছোট ভাই মনির খান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মরহুমের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্থান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন বাদল।
    মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।

  • প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে স্ট্যাটাস, আ’লীগ নেতাকে বহিষ্কার

    প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে স্ট্যাটাস, আ’লীগ নেতাকে বহিষ্কার

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

    এছাড়া কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

    বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদের পাঠানো ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

    শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সরকার প্রধান, দলীয় প্রধান ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ফেসবুকে দেয়ায় এবং তা স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার বাহারুল আলমকে বহিষ্কারের কারণ দেখানো হয়েছে চিঠিতে।

    গত ৬ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ভারতের সঙ্গে কি চুক্তি হয়েছে তা জানার অধিকার এদেশের জনগণের রয়েছে’ এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।

    তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

    ‘ভারত – বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বলা হলেও বাস্তবে একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত – বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ ও অধিকার চরম উপেক্ষিত

    ………………………

    দুর্বল অবস্থানে থেকে বন্ধু-প্রতিম শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বৈঠকে -ফলাফল শক্তিধরের পক্ষেই আসে। বাংলাদেশ- ভারত উভয়-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নাম দেওয়া হলেও বাস্তবে একপক্ষীয় সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হয় দুর্বল রাষ্ট্রকে।

    ভারত বাংলাদেশ থেকে তার সকল স্বার্থই আদায় করে নিয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে এখনও ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারে নি।

    ১)দীর্ঘদিনের আলোচিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন এবারের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় স্থান পায় নি ।

    ২) ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে কিছু না বললেও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ হুংকার দিয়েছে নাগরিক পঞ্জীতে বাদ পড়া জনগণকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হবে। তারপরেও এবারের সমঝোতা চুক্তিতে ‘অভ্যন্তরীণ’ অজুহাতে বিষয়টি স্থান পায় নি।

    ৩) বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থী মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবসনের বিষয়ে ভারত কিছু বলে নি ।

    ৪) তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুপ থাকলেও বাংলাদেশ অংশের ফেনী নদীর পানি ত্রিপুরা রাজ্যের পানীয় জল হিসাবে প্রতিদিন ১.৮২ কিউসেক টেনে নেবে ভারত । এ বিষয়ে বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে।

    ৫)বাংলাদেশের জনগণের তরল গ্যাসের চাহিদা পূরণের ঘাটতি থাকলেও ভারতে তরল গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং যৌথভাবে সে প্রকল্প উদ্বোধনও হয়েছে।

    ৬)চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভারত কীভাবে ব্যবহার করবে, তা নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশের জন্য ব্যবহারযোগ্য ভারতের কোনও বন্দর সেই তালিকায় ছিল না।

    অমানবিক আচরণের শিকার হয়েও বাংলাদেশ পানি ও গ্যাস সরবরাহ দিয়ে মানবিকতার প্রদর্শন করেছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ ও অধিকার উপেক্ষিত রেখে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়েছে।

    শক্তিধর প্রতিবেশীর আধিপত্যের চাপ এতোই তীব্র যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বজায় থাকবে কিনা আশংকা হয় । কারণ ভারতের চাপিয়ে দেওয়া সব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে মেনে নিতে হচ্ছে ।’

    প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকেৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

    এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও।

    এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।