Tag: স্ত্রীকে হত্যা

  • স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, পুলিশ সদস্য আটক

    স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, পুলিশ সদস্য আটক

    বাগেরহাটের শরণখোলায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

    নিহতের নাম জ্যোৎস্না বেগম (৩৫)। তিনি ঘাতক সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

    পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

    নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য সাদ্দাম দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী সাতক্ষীরায় সাদ্দামের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে নিয়ে শরণখোলায় থাকতেন তিনি।

    তাদের ভাষ্যমতে, জ্যোৎস্নার আগে আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরের ৬ বছরের একটি সন্তানসহ তাকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। ৬ মাস আগে জ্যোৎস্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই আগের ঘরের সন্তান নিয়ে জ্যোৎস্নার সঙ্গে ঝগড়া হতো সাদ্দামের।

    বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

    শরণখোলা থানার ওসি সাইদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখে। ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ শরণখোলার তাফালবাড়ি বাজার এলাকার মামুন ভিলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে সাদ্দামকে আটকের পর পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে বস্তাবন্দি জ্যোৎস্নার লাশ উদ্ধার করা হয়।

    তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন জ্যোৎস্না। স্ত্রী ও তার ৬ বছরের ছেলেসন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।

    সাদ্দাম হোসেন শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আবদুল লতিফ গাজীর ছেলে।

    ওসি সাইদুর রহমান আরও বলেন, সাদ্দাম হোসেন সন্তানসহ স্বামী পরিত্যক্তা জ্যোৎস্নাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। জ্যোৎস্নার সন্তানসহ সাদ্দাম হোসেন শরণখোলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িসংলগ্ন মামুন ভিলায় ভাড়ায় থাকতেন।

    তিনি বলেন, নিহত জ্যোৎস্না ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়। জ্যোৎস্নার আগের ঘরের সন্তান নিয়ে কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম স্বীকার করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • খাগড়াছড়িতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

    খাগড়াছড়িতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী মোখলেছ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ির জেলা ও দায়রা জজ রেজা মো. আলমগীর হাসানের আদালত এ রায় দেন।

    রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য মতে, ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর সকালে খাগড়াছড়ির গুইমারার পশ্চিম বড়পিলাক এলাকায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ জান্নাত বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী মোখলেছ মিয়া। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. ফারুক মিয়া বাদী হয়ে গুইমারা থানায় মামলা করেন। মামলার চার্জশীট ও রাষ্ট্রপক্ষের ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মোখলেছ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-িত করেন।

    খাগড়াছড়ি জেলা জজ ও দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বিধান কানুনগো রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ

  • পরকীয়ার অজুহাতে স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯ এ ফোন করে থানা হাজতে ঘাতক স্বামী!

    পরকীয়ার অজুহাতে স্ত্রীকে হত্যার পর ৯৯৯ এ ফোন করে থানা হাজতে ঘাতক স্বামী!

    নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক দম্পতির বিবাহিত জীবনের নয় বছর পর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। শুধু তাই নয়, হত্যার পর ৯৯৯ এ ফোন করে দম্ভ সহকারে পুলিশকে খুনের বর্ণনা দেন তিনি।

    গত ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার আব্দুল মাবুদের বাড়িতে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। খুন হয় ৩০ বছর বয়সী শারমিন সুলতানা রিনি। ঘাতক স্বামী আবদুর রহিম ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা ৬নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়ার রমজু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আব্দুর রহিম ও শারমিনের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। খুন হওয়ার মাত্র তিন মাস আগেই মেয়েটির জন্ম দেন স্ত্রী নুসরাত। বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে রিনিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করে আবদুর রহিম।

    স্ত্রীকে খুন করার পর তার ছেলে ও মেয়েকে দুই দফায় ঘরের পাশে বোনের ভাড়া বাসায় রেখে আসে। পরে নিজেই ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে স্ত্রী হত্যার বিষয়ে জানায়।

    ফোন পেয়ে পুলিশ ঘরের ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত শারমিনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন মারা যায়। এদিকে স্ত্রী হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ ঘাতক স্বামী আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে।

    নিহতের চাচাত ভাই ফরিদুল আলম বলেন, আবদুর রহিম একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি বিগত ৪ বছর ধরে রোয়াংছড়ি এলাকা থাকতেন। তিনি ওখানে টিউশনি করতেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লকডাউনের সময় তিনি বাড়ি চলে আসেন।ফরিদুল আলম আরও জানান, আবদুর রহিম বাড়িতে ঠিকমত থাকতেন না। বিভিন্ন সময় তিনি গরুর গোয়াল ঘরেও ঘুমাতেন।

    জানা যায়, ৯ বছর আগে সাতকানিয়ার গোয়াজার পাড়া এলাকা থেকে ভালবেসে বিয়ে করে শারমিনকে। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে স্বামী আবদুর রহিম সব সময় তার স্ত্রী শারমিনকে পরকীয়ার অজুহাত এনে ঘরের ভিতরে রেখে বাইরে তালা লাগিয়ে রাখতেন।

    স্ত্রীকে কোথাও বের হতে দিতেন না। এনিয়ে দুজনের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে শারমিনকে খুন করে আবদুর রহিম।

    এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বামী আব্দুর রহিম তার স্ত্রীকে দা’ দিয়ে মাথা, গলা, ও কপালে কুপিয়ে জখম করে নিজেই ৯৯৯ কল করে আত্মসমর্পণ করেছে।

    ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে রক্তার্ত অবস্থায় স্ত্রী শারমিনকে প্রথমে সাতকানিয়ার আশ শেফা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে স্ত্রী হত্যার সকল দায় স্বীকার করে নেওয়ায় আব্দুর রহিমকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে জানালেন ওসি।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ইফতারে ফ্রীজের ঠান্ডা পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

    ইফতারে ফ্রীজের ঠান্ডা পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়ার ছনহরা গ্রামে ইফতারের সময় ফ্রিজের পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম শাহীনা আকতার (২৮)। সে ছনহরা এলাকার কামাল উদ্দিনের স্ত্রী।

    গতকাল শনিবার ইফতারের সময় উপজেলা ছনহরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আলমদার পাড়ার ছালেহ আহমদ তালুকদারের বাড়িতে এই ঘটনা।

    স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারিতে ফ্রিজের পানি না দেওয়ার কারণে স্বামী কামাল উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী শাহীনা আকতারের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। এসময় শাহীনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

    পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, ফ্রিজের পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে ইট দিয়ে জখম করে হত্যার করার বিষয়ে শুনেছেন। প্রকৃত ঘটনা কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সনজয়

  • যার কারণে পরিবার ধ্বংস তাকে ধ্বংস করছি/ফেসবুক লাইভে স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী!

    যার কারণে পরিবার ধ্বংস তাকে ধ্বংস করছি/ফেসবুক লাইভে স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী!

    ২৪ ঘণ্টা নিউজ ডেস্ক || সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেনীর টুটুল ভুইয়া নামের একটি আইডি থেকে লাইভে এসে দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে স্বামী।

    আজ ১৫ এপ্রিল বুধবার সোয়া ১টার দিকে ফেসবুকে নৃশংস ভিডিও ছড়িয়ে পড়লেও খুনের লাইভ ভিডিওটি ঘণ্টাখানেক পর আর টুটুলের প্রোফাইলে পাওয়া যায়নি।

    তবে এমন ঘটনার অভিযোগ পেয়ে লাইভ ভিডিওকারী স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত ওই স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন।

    তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও মামলা হয়নি।

    পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত টুটুল ভুইয়ার বাড়ি ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াঈপুর এলাকায়। টুটুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন এবং সন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী বাড়িতেই থাকতেন বলে জানা গেছে।

    হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে টুটুল ভুইয়া বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, আজকে আমার কারণে আমার পরিবার ধ্বংস। যার কারণে ধ্বংস আজকে তারে আমি এ মুহূর্তে ধ্বংস করে দিলাম। আমি চেষ্টা করছি, অনেক চেষ্টা করছি, পারি নাই।

    আল্লাহর ওয়াস্তে সবাই আমাকে মাফ করে দেবেন। আমার এতিম মেয়েটার খেয়াল রাখবেন। আমার ভাইবোনগুলোর খেয়াল রাখিয়েন।

    আমার পরিবার ভাইবোনগুলার কোনো দোষ নাই। কেউ এটাতে সম্পৃক্ত না। আমি আমার আজকের এ ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী।

    প্লিজ সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার ভিডিওটা ভাইরাল করেন। যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। আর এ ঘটনার জন্য আমিই একমাত্র দায়ী। কেউ না।’

    এরপর দা হাতে নিয়ে ছুটে যান টুটুল। এক কোপ, দুই কোপ, তিন কোপ এভাবে ৯টি কোপ দেন স্ত্রীকে। এরপর তার স্ত্রী লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।

    পুলিশ জানিয়েছে, টুটুলের প্রোফাইলে লাইভ ভিডিও তারা পায়নি। তবে তার পোস্টগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। নিহতের স্বজনরা মামলা করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি