Tag: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

  • ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

    ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

    ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার (২৪ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, গত বছর ৫০ লাখ লোকের দেশ সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের চেয়েও বেশি ছিল। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ছিল আড়াই লাখের মতো, ফিলিপাইনে এই সংখ্যাটা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।

    বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।

    জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তারা মনে করেন খুবই অল্পসময়ে অনেক অর্জন আছে বাংলাদেশের। এসব অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তার কারণ কী; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের এই উন্নতি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে সেই পথনকশা বিশ্বের অন্য দরিদ্র দেশগুলোতে তারা ব্যবহার করতে পারবেন।

    রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলতে চান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশগুলো সবাই মিলে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনগত সহায়তা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সহজ করতে আলোচনা তারা করছে।

  • কর্ণফুলীর পাড় লিজ দিয়ে শিল্প-কারখানা নির্মাণ করা যাবে না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    কর্ণফুলীর পাড় লিজ দিয়ে শিল্প-কারখানা নির্মাণ করা যাবে না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর থেকে মহানগরী পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে কোনো ধরনের শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনীতির প্রাণ ও চট্টগ্রাম শহরকে নিয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই । চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে চলমান ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তদারকির জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন।

    শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নদীর পাড়ে এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে নদী দখল ও দূষণ বাড়বে। পরিবেশ এবং কর্ণফুলী নদীর স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য নষ্ট হবে। যা কোনো অবস্থাতেই করতে দেয়া হবে না। কারণ এই নদীর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত। কর্ণফুলী নদীর দখল ও দূষণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।

    মো.তাজুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা শিগগিরই শেষ হবে। আর কাজ শেষ হলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। প্রকল্পে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সংশোধন করা হবে। এজন্যই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার জন্য নালা-নর্দমা ভরাট, খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং মানুষের অসচেতনতা দায়ী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা এ সমস্ত খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন তাদেরকে সেসব সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন।

    চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পাহাড় রক্ষার উপর জোর নজর দিতে হবে। ।

    সেবা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অহেতুক কেউ কারো উপর দোষারোপ করার মাধ্যমে সরকারের অর্জন ম্লান করার অধিকার কারো নেই। তিনি সেবা সংস্থারগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

    তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক। মহানগরীর সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যা চলমান আছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহর অত্যাধুনিক শহরে রুপান্তরিত হব।

    মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী উপস্থিত সেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের কথা শুনেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। বিভাগীয় কমিশনার মো.কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এমন ফজলুল্লাহ, সিডিএ’র চেয়ারম্যান জহিরুল আলমসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।

  • ‘চট্টগ্রাম বন্দর না হলে জাতীয় প্রবৃদ্ধি হতো না’

    ‘চট্টগ্রাম বন্দর না হলে জাতীয় প্রবৃদ্ধি হতো না’

    স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এম.পি বলেছেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ চট্টগ্রাম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দর না হলে জাতীয় প্রবৃদ্ধি হতো না। বঙ্গবন্ধু তাঁর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে চট্টগ্রামকে নিয়েই স্বপ্ন দেখতেন।

    তিনি আরো বলেন, এই চট্টগ্রাম ২০৪১ সালে বিশ্বের উন্নত শহর হওয়ার সবচেয়ে বড় অবলম্বন এবং সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির একমাত্র ঠিকানা।
    আজ অপরাহ্নে রেডিসন ব্লু মেজবান হলে চীন সরকারের অনুদান হিসেবে এলইডি বাল্ব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে সরকারী উদ্যোগ বাস্তাবায়নের চলমান গতিতে আশাবাদ ব্যাক্ত করে মন্ত্রী বলেন, সার্বিক উন্নয়নে সমঝোতা প্রয়োজন, ভুল বোঝাবুঝির কারণগুলো দূর করতে হবে। এজন্য সাপোর্ট ও ফিডব্যাক থাকতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, মীরশ্বরাইতে ইকনমি জোন হচ্ছে। এখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক সৃমদ্ধির দার খুলে দিয়েছে। এই ইকনমি জোনে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রয়োজন হবে। সব সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে এর যোগান দিতে হবে।

    তিনি হালদা নদীর অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, নদীটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। এই নদী দিয়ে পানি সরবরাহ হয় ৩৭০ কিউসেক। এখান থেকে যদি ৩.৭ পয়েন্ট পানি উত্তোলন করা হয় তা হলে কোন সমস্যা হবার কথা না।

    মন্ত্রী বলেন, আমাদের সমুদ্র সীমার বিস্তৃতি বেড়েছে। এটা বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত করে গেছে। ১৯৮২ সালে জাতিসংঘ সমুদ্র সীমা আইন নির্ধারিত করে গেছে। আমরা এই আইন বলে আমাদের সমুদ্র সীমা বাংলাদেশের মোট আয়তনের দ্বিগুন বৃদ্ধি করতে পেরেছি।

    তিনি আরো বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পায়রা বন্দর নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক নেতিবাচক কথা হয়েছে। তবে কোনটাই সত্য নয়। এই দু’জায়গায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কখনো জ্বালানী সংকট থাকবে না।

    তিনি অনুরোধ জানান, ভুল বা বিকৃত তথ্য উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। আবেগ বা খেয়াল বশে নেতিবাচক সমালোচনা আত্মঘাতী। একমাত্র গঠনমুখী দৃষ্টিভঙ্গি সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক। তাই চট্টগ্রামকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই আমরা দেখি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন হলে সারা দেশ এর সুফল পাবে।

    মন্ত্রী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের প্রসংশা করে বলেন, খুব অল্পসময়ে খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম নগরীর পরিস্কার পরিচ্চন্নতাসহ রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ণ সাধন করেছে। যার সুফল ইতোমধ্যেই জনসাধারণ পাচ্ছে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ৬৪ হাজার গ্রাম ও শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে যাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। তিনিই পারেন চট্টগ্রামের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে। চট্টগ্রাম হবে সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নত। চীনের কুমিং টাউন পর্যন্ত রেল ও সড়ক যোগাযোগ হয়ে গেলে এই নগরী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বেশি আলোকিত ও সমৃদ্ধ নগরী হবে। কর্ণফুলী-ট্যানেল হয়ে গেলে মূল শহরের পাশে আরো গুচ্ছ শহর গড়ে উঠবে।

    সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, এলইডি বাল্ব বিতরণ চট্টগ্রাম থেকে শুরু করা হলো। আমরা চট্টগ্রামকে সর্বাগ্রে আলোকিত করতে চাই। চট্টগ্রাম আলোকিত হলে সারাদেশ আলোকিত হবে।

    তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে ১৩ লাখ সাড়ে ১২ হাজার এলইডি বাল্ব দিয়েছে চীন। বাংলাদেশ সরকারও চীন সরকারের মধ্যে প্রভিশন অফ গুডস ফর এড্রেসিং দ্যা ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছিল। এর আওতায় অনুদান হিসেবে বাল্বগুলো প্রদান করেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৪০ প্যাকেট বাল্ব অর্থ্যাৎ ৪ হাজার বাল্ব দেয়া হলো।

    আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ সালাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সচিব ফারজানা ইসলাম প্রমুখ।

    পরে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের হাতে এলইডি বাল্ব হস্তান্তর করেন।

  • এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতিতে মন্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ

    এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতিতে মন্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ

    চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ দুপুরে সিমেন্ট ক্রসিংয়ে নিমাণাধীন ইলেভেট এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করেন। এসময় প্রশাসক সুজন মন্ত্রীকে চলমান কাজের বিভিন্ন দিক অবহিত করেন।

    পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে নগরী থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পরিবহন যাতায়াত সহজ হবে। তাছাড়া যানজটের ভোগান্তি থেকে বিমানের যাত্রীরা মুক্তি পাবেন।

    তিনি চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এতে চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরো নতুন নতুন প্রকল্প প্রাপ্তির পথ সুগম হবে। এসময় চসিকের কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি নির্মিত হলে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

    আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এই অঞ্চলে নতুন হাজার হাজার হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কলকারখানা সৃষ্টি হবে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে অন্যদিকে পর্যটন খাতে খুলবে নতুন দিগন্ত।

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সারাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। এটি করা হলে পরবর্তীতে নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হবে।

    কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে লিজ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, যারা সরকারি জায়গা, স্থাপনা দখল করে আছেন খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

    চট্টগ্রাম বন্দরসহ সেসকল প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা-ঘাটসহ নানা সেবা গ্রহণ করছে তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় নগরীর অভ্যান্তরীণ রাস্তা ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে অর্থের প্রয়োজন যা যোগান দেয়া সিটি কর্পোরেশনের একার সম্ভব নয়। তাই সকল প্রতিষ্ঠানকে সঠিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের নিকট রাজস্ব প্রদানের নির্দেশনা দেন মোঃ তাজুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম তথা দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

    নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাল উদ্ধার ও খনন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের উদ্যোগে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানকেই বিনামূল্যে সরকারি সেবা দেয়া যাবেনা। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেই সবাইকে সেবা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত হবে ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে এই শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

    সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারী অধিদপ্তর/প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রধানমন্ত্রী দেশকে ঠিক যেভাবে দেখতে চান তারই বাস্তব চিত্র দৃশ্যমান রাউজানে : তাজুল ইসলাম

    প্রধানমন্ত্রী দেশকে ঠিক যেভাবে দেখতে চান তারই বাস্তব চিত্র দৃশ্যমান রাউজানে : তাজুল ইসলাম

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে ঈসাখাঁ দিঘীর পাড়ে দৃষ্টিনন্দন নবনির্মিত ইউপি ভবন উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় তিনি প্রথমে নোয়াজিষপুর নতুন হাট বাজারে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক মার্কেট নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করে নোয়াজিষপুরে নবনির্মিত ইউপি ভবন উদ্বোধন করা করেন।

    সেখান থেকে তিনি অদুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত শুভ উদ্বোধন মিলনমেলা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে আসার পথে রাউজানের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। দেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠিক যেভাবে দেখতে চান তারই বাস্তব চিত্র দৃশ্যমান রাউজানে। এজন্য রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
    মন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে এ দেশের হত দরিদ্র মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল এশটি উন্নত বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়ে গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তার নেতৃত্বে এই দেশের স্বাধীনতা এসেছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের আন্তরিকভাবে কাজ করে দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সে সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। সেই দিশেহারা জাতিকে একটি অভিষ্ট্য লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা হাল ধরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি উন্নয়নের মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

    ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় আসেন তখন দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৬২ পার্সেন্ট। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো এগারশ মেগাওয়াট, আমাদের খাদ্যে ঘাটতি ছিল এগার লক্ষ টন, আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত নিন্ম, আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত, শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত দূর্বল, স্বাস্থ্য সেবা থেকে মানুষ বঞ্চিত ছিল।

    বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কর্মসংস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি শিল্পায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতাসহ গ্রামীণ অবকাটামোগত উন্নয়নের জন্য অভূতপূর্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে দেশ আজ উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে।

    প্রধান বক্তা ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

    নোয়াজিষপুর ইউপি ভবন

    নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সরোয়ার্দী সিকদারের সভাপতিত্বে ও আওয়ামীলীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন ও মোহাম্মাদ মোক্তার হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য,স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রামের উপরিচালক ইয়াছমিন পারভিন তিরবীজি, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল,নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ,বিশিষ্ট ব্যাংকার জাহাঙ্গীর আলম খাঁন,এ এস এম হোসাইন, আলহাজ্ব ফরিদ আলম চৌধুরী প্রমুখ।