রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগের ‘১৩ ব্যাচের দুইদিনব্যাপী ৫ম সমাপনী উন্মুক্ত জুরি সম্প্রতি (২২-২৩ জানুয়ারি) সম্পন্ন হয়েছে।
উক্ত আয়োজনে সুচনাপর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
এবারের জুরিতে বিচারক ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্থপতি অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেস, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি জালাল আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক স্থপতি ড. কাজী আজিজুল মাওলা ও সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক স্থপতি ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান পরিকল্পনাবিদ স্থপতি শাহিনুল ইসলাম খান।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কানু কুমার দাশের সঞ্চলনায় জুরিতে বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়সহ স্থাপত্যের বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপন করেন শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বাংলদেশের মত স্বল্পোন্নত দেশে পরিকল্পিতভাবে সুষম উন্নয়নে স্থপতিদের ভুমিকা অপরিসীম ও অপরিহার্য। চুয়েট স্থাপত্য বিভাগ মানসম্মত স্থপতি তৈরীর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নবনির্মিত শামসেন নাহার খান হল এবং টিএসসি’র অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব স্থাপত্যশৈলী প্রমাণ করে দিয়েছে চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সক্ষমতা।
সুচনাপর্বে স্থপতি অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেস শিক্ষার্থীদের স্থাপত্য পেশায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন পাশাপাশি এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনাও দেন। স্থাপত্যের শাস্ত্রীয় রূপ কি হওয়া উচিৎ তার ব্যাখ্যা করেন বক্তব্য ও অংকনের মাধ্যমে। স্থাপত্য মৌলিক উপাদানের সমন্বয় সাধন করে কাজ করার পাশাপাশি ভালো স্থাপত্য উদাহরণ দিয়ে স্থাপত্যের আধুুনিকতা বিষয়ে পরার্মশ দেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, ভবনে আলো-বাতাসের ব্যবহার, প্রকৃতির প্রতি সংবেদনশীল হওয়া, নগরীর সকল জনগণের জন্য সমসুযোগে চিন্তা করতে হবে। মনে করিয়ে দেন মানুষের পঞ্চেন্দ্রিয় যেন স্থাপত্যের মাধ্যমে সঠিক সংবেদনশীল হয়।
উক্ত জুরিতে বিভাগীয় প্রকল্প সুপারভাইজর ও সহকারী অধ্যাপক মো. মুস্তাফিজ আল মামুন, সজীব পাল, মো. নাজমুল লতিফ, বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, শায়লা শারমিন ও প্রভাষক অমিত ইমতিয়াজ জুরিতে অংশ নেন। এছাড়া সাবেক বিভাগীয় প্রধান সুলতান মোহাম্মদ ফারুক, সহকারী অধ্যাপক দেবশ্রী মন্ডল এবং বিভাগের প্রভাষক শুভ্র দাশ, সৈয়দা তাহমিনা তাসমিন, মুর্ছনা মাধুরী, রাহানাত আরা জাফরসহ চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক, স্থপতি ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুরিতে বিশেষজ্ঞরা ভবনে আলো-বাতাসের ব্যবহার ও প্রকৃতির প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।