Tag: স্পেন

  • স্পেনের ইউরো জয়

    স্পেনের ইউরো জয়

    দানি ওলমো ফিরিয়ে দিলেন ডেক্লান রাইসের হেড। সঙ্গে সঙ্গে ফেটে পড়লেন উল্লাসে। সবসময় গোল করা তার দায়িত্ব। খেলেন স্ট্রাইকার হিসেবে। কিন্তু ফাইনালে দলের প্রয়োজনে গোলরক্ষক উনাই সিমনের পাশে দাঁড়ালেন। সেখানেই গোললাইন থেকে করলেন দারুণ এক সেইভ। রাইসের হেড ফিরিয়ে দিলেন পাল্টা হেডে। পরমুহুর্তে তার উল্লাসই বলে দিলো, এমন একটা কিছু স্পেনের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ।

    দানি ওলমোর এমন সেইভের কয়েকমিনিট আগেই স্পেন পেয়ে যায় নিজেদের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি। ‘টাইম ইজ রানিং আউট এন্ড স্পেন ইজ নিয়ারলি দেয়ার!’ ৮৬ মিনিটে মিকেল অরায়াথাবালের গোলের পর ঠিক এভাবেই মুহূর্তটাকে বর্ণনা করেছিলেন ধারাভাষ্যকার পিটার ড্রুরি। নিখুঁত ইংলিশ উচ্চারণে বুঝিয়ে দিলেন আরও একটা ইউরো হারের দ্বারপ্রান্তে আছে ইংল্যান্ড। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে হারের পর, এবারে জার্মানির বার্লিনে। প্রতিপক্ষ স্পেন!

    ২-১ গোলের জয়ে এদিন স্পেন জয় করেছে নিজেদের চতুর্থ ইউরো শিরোপা। নিকো উইলিয়ামস আর মিকেল অরায়াথাবালের গোল তাদের করলো প্রেস্টিজিয়াস এই আসরের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন। কোল পালমারের দুর্দান্ত এক গোল এদিন বৃথা গেল পুরোদমে। টানা ৭ জয় দিয়ে রেকর্ড গড়েই ইউরো জয় করল স্পেন। আর এমন হারে ৫৮ বছর কোনো মেজর শিরোপা ছাড়াই পার করতে হলো ইংল্যান্ডকে।

    অথচ ম্যাচের শুরুর ৪৫ মিনিট দেখে কেউই ধারণা করেননি শেষটা হবে এতই জমাট। দুই দলই খেলতে নেমেছিল ডাবল পিভট নিয়ে। বোঝাই গিয়েছিল ফাইনালে আগ্রাসী হয়ে বিপদ ডাকতে রাজি ছিলেন না লুইস দে লা ফুয়েন্তে বা গ্যারেথ সাউথগেট। প্রথমার্ধ তাই পার হলো সাবধানী ফুটবলে। ইংল্যান্ড অবশ্য আগে থেকেই এমন সাবধানী ফুটবলে অভ্যস্ত। তবে স্পেনের গতিশীল ফুটবলেও আজ এসেছিল ভাটা। লামিনে ইয়ামাল কিংবা নিকো উইলিয়ামসরা খুব একটা এগিয়ে যাননি। ৪৫ মিনিট তাই শেষ হয় গোলশূন্য ড্র-য়ে।

    কিন্তু বিরতির পরেই রঙ বদল ঘটে ম্যাচের। কাইল ওয়াকার ভুল করলেন আরও একবার। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে তারই পজিশনের ভুলে লিড পেয়েছিল স্লোভাকিয়া। এবারও ঘটল তাই। দানি কার্ভাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে লামিনে ইয়ামাল দিয়েছিলেন দুর্দান্ত এক রান। নিজের পজিশন তখনও পুরো আয়ত্বে আনা হয়নি কাইল ওয়াকারের। এগিয়ে এলেন আরও অনেকটা।

    তাতেই ফাঁকা হয়ে যান নিকো উইলিয়ামস। ইয়ামালের পাস থেকে এরপর পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন নিচু এক শটে। মাঝে দানি ওলমোর ফলস রান বোকা বানালো ইংলিশ রক্ষণের সবাইকে। নিকো উইলিয়ামসের কাজটা তাতে হলো আরও সহজ। প্রথমার্ধের ম্যাড়ম্যাড়ে খেলার পর ফাইনালে লিড পেয়ে যায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই হলো গোল।

    মিনিট দুয়েক পরেই আরেকবার গোলের সুযোগ পেয়ে যায় স্পেন। দানি ওলমো দুর্দান্ত এক সুযোগ মিস করেন গোলের বাইরে শট মেরে। ৫৫ মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ হারান স্পেনের অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। ৬০ মিনিটের মাথায় কেইনকে তুলে নেন সাউথগেট। এরপরেও ম্যাচে ইংলিশরা ফিরে আসতে পারেনি। ৬৭ মিনিটে অলমোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে দ্বিতীয় পোস্টে বল রাখার চেষ্টা করেন ইয়ামাল। ঝাঁপিয়ে বল বার করেন পিকফোর্ড।

    ৭৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। ডানপ্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বুকায়ো সাকা। মার্ক কুকুরেয়াকে পেছনে ফেলে বল দিয়েছিলেন বক্সে। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেও সেই বল বক্সের বাইরে পালমারের উদ্দেশ্যে ঠেলে দেন জ্যুড বেলিংহাম। ফাঁকা অবস্থায় ডিবক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন কোল পালমার।

    বক্সের বাইরে থেকে নেয়া কোল পালমারের সেই শট ঠেকাবার কোনো সাধ্য ছিল না স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমনের। অবশ্য এর আগেও বেলিংহাম আর সাকারা একাধিকবার ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। আক্রমণে ধার আনতে নিজেদের সেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনকেও উঠিয়ে নেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। শেষ পর্যন্ত কাজে এসেছে তার এই বদল।

    ৮৬ মিনিটের মাথায় স্পেনকে এগিয়ে দেন পরিবর্ত হিসাবে নামা মিকেল অরায়াথাবাল। বাঁ প্রান্ত ধরে ওঠেন আসরের অন্যতম সেরা তারকা কুকুরেয়া। বল বাড়ান বক্সে। আলতো টোকায় পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে গোল করেন অরায়াথাবাল। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ৮৯ মিনিটে দানি ওলমো অবশ্য ফিরিয়ে দেন ইংল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার শেষ আশাও। তাতেই ৫৮ বছরে গড়াল ইংলিশদের শিরোপার অপেক্ষা।

  • যেকোনো খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে

    যেকোনো খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের যেকোনো খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।

    বাংলাদেশে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিতেজ সালাস বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে (স্পেনের উদ্যোক্তারা) স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশে তাদের পছন্দের যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।

    তিনি বলেন, সালাস তার দেশের কৃষিভিত্তিক শিল্পসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

    স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অনেক উদ্যোক্তা বাংলাদেশ সফর করতে এবং এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’

    তিনি বলেন, স্পেনের হাসপাতাল ও কৃষি যন্ত্রপাতির মান খুবই ভালো।

    বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

  • স্পেনে তিন নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৩

    স্পেনে তিন নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৩

    স্পেনে একসঙ্গে তিন নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মুরসিয়াতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে ফনডা মিলাগ্রোস নাইটক্লাব থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। নাইটক্লাবটি লা ফনডা নামেও পরিচিতি।

    পুলিশ জানায়, লা ফনডাতে অগ্নিকাণ্ডের পর তা পরবর্তীতে আরও দুটি ক্লাবে ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পরিবারের সদস্যরা ওই ক্লাবে জন্মদিন উৎযাপন করার সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।

    পুলিশ জানিয়েছে, যারা নিহত হয়েছে তারা সবাই লা ফনডা নাইটক্লাবেই ছিল। এ ঘটনায় আরও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত্যের সংখ্যা বাড়বে।

    এক বিবৃতিতে জরুরি সেবাদানকারী সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ছয়টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় মেয়র জস ব্যালেস্তা তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের ৪০ জনের বেশি সদস্য ও ১২টি জরুরি সেবাদানকারী যান উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।

    স্পেনে এর আগে ১৯৯০ সালে নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে প্রায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়।

  • নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন স্পেন

    নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন স্পেন

    নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু লড়াইয়ের ধরনে তেমন কোনো পরিবর্তন এলো না। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলল ঠিকই; কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে যথেষ্ট পরীক্ষায় ফেলতে পারল না কোনো দল। অবশেষে টাইব্রেকারে বাজিমাত করল স্পেন। উনাই সিমোনের অসাধারণ নৈপুণ্যে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নেশন্স লিগের শিরোপা জিতল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

    রটারডামে রোববার ১২০ মিনিটের লড়াই গোলশূণ্যভাবে শেষ হওয়ার পর গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল।

    দুই দলই প্রথম তিন শটে জালের দেখা পায়। ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ শট নিতে এসে ব্যর্থ হন লভরো মাইয়ের, তার শট ঝাঁপিয়ে পড়া অবস্থায় পা দিয়ে আটকান সিমোন। এরপর মার্কো আসেনসিও জালে বল পাঠালে এগিয়ে যায় স্পেন।

    ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ শট নেওয়া ইভান পেরিসিচ সফল হলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪, কিন্তু একটি শট তখন হাতে ছিল স্পেনের। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ী সফল হলে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের, কিন্তু ক্রসবারে মেরে বসেন তিনি। নতুন করে আশা জাগে কাতার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালিস্টদের।

    তবে আবারও সিমোনের দৃঢ়তা এবং ব্রুনো পেতকোভিচের ব্যর্থতায় ভেস্তে যায় তাদের সব আশা। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন আথলেতিক বিলবাওয়ের গোলরক্ষক। এরপর দানি কারভাহাল লক্ষ্যভেদ করতেই উল্লাসে ফেটে পরে স্পেনের সবাই।

    ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন তিনবার জিতেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। তাদের সবশেষ শিরোপা সাফল্য ধরা দেয় ২০১২ সালে, ইউরো। ১১ বছর বাদে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিষ্টি স্বাদ পেল তারা।

  • স্পেনকে বিদায় করে মরক্কো ইতিহাস সৃষ্টি করলো

    স্পেনকে বিদায় করে মরক্কো ইতিহাস সৃষ্টি করলো

    আশরাফ হাকিমির পেনাল্টিতে গোল হওয়ার সাথে সাথে যেন গর্জে উঠলো পুরো মরক্কো তথা পুরো আফ্রিকা। কেননা এবারের বিশ্বকাপের একমাত্র আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো মরক্কো। গোলশূন্য ১২০ মিনিট খেলা শেষে টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো আফ্রিকান সিংহরা। পেনাল্টি শুটআউটে মরক্কোর গোলরক্ষক বৌনর অসাধারণ দক্ষতায় ৩টি শট নিয়ে একটিতে গোল করতে পারেনি স্পেন।

    পুরো ম্যাচে মরক্কোর খেলা দেখে একবারও মনে হয়নি তারা হারার জন্য এসেছে। ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে দাঁতে দাঁতে কামড়ে লড়াই করেছে আটলাস লায়নরা।

    ম্যাচের প্রথম ১০-১৫ মিনিট যেভাবে খেলেছে আফ্রিকান দেশ মরক্কো, তাতে মনে হচ্ছিল স্পেন তাদের সামনে পাত্তাই পাবে না; কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় স্পেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। গোলই আদায় করতে পারেনি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি মরক্কো। পরিসংখ্যান টেবিলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, মাত্র ৩১ ভাগ ছিল মরক্কোর দখলে বল। ৬৯ ভাগ ছিল স্পেনের তখলে। কিন্তু গোলের জন্য সঠিক একটি বল তৈরি করতে পারেনি স্প্যানিশরা।

    চতুর্থ মিনিটেই স্পেনের পেদ্রি মরোক্কোর ডিফেন্ডারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাস দেন গাভিকে। তিনি বলটি নিয়ন্ত্রণ করে গোলে ঢোকানোর আগেই ক্লিয়ার করে দেয় মরক্কো। ১২তম মিনিটে দারুন সুযোগ পেয়েছিলো মরক্কো। আশরাফ হাকিমির বড় সুযোগ ছিল! তিনি মরক্কোর হয়ে ফ্রি-কিক নেন। তবে ক্রসবারের উপর দিয়ে বের হয়ে যায়।

    ২২ মিনিটে ডানদিক থেকে মরক্কোর জিয়েচের বাজে ফ্রি-কিক, ওলমো হেড করে বিপদমুক্ত করেন। ২৫ মিনিটে স্পেনের গাভির একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। যদিও সাইড রেফারি অফসাইডের ফ্লাগ তুলে বসেন। তবে এ সময় একবার নয়, বারে দু’বার বল বারে আঘাত করে।

    ২৬তম মিনিটে অ্যাসেনসিও নেটের সাইডে ধাক্কা দেন। বাজেভাবে গোল মিস হয়। ৩৩তম মিনিটেও সুযোগ পায় মরক্কো। তোরেসের কাছ থেকে বলটি ছিনিয়ে নেন মাজরাউই। এবং তারপর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। সিমন কোনও মতে সেভ করেন।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকে মরক্কো। বিশ্বকাপের প্রথমার্ধে মাত্র একটি শট গোলমুখে নেয় স্পেন যা তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৬৬ সালের পর সর্বনিম্ন। দলের আক্রমণের ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় মোরাতাকে।

    ৭০ মিনিটে ডানি ওলমোর ডি বক্সের ভেতর থেকে নেয়া শট দারুণভাবে ব্লক করে অগার্ড। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে দানি ওলমোর বাকান ফ্রি কিকে কোন স্প্যানিশ খেলোয়াড়ই মাথা ছোঁয়াতে পারেননি; উলটো বল গোলমুখে গেলে দারুণভাবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বৌনৌ। কর্নার থেকে দারুণ বলে হেড করেছিলেন লাপোর্ত কিন্তু মরক্কোর জমাট রক্ষণভাগের কাছে তা পরাস্ত হলে গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ ম্যাচ হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

    অতিরিক্ত সময়ের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে স্পেন। বড় টুর্নামেন্টের নকআউট রাউন্ডে এই নিয়ে ৬টি ম্যাচই অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো স্পেনের ম্যাচ। কিন্তু ১০৪ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা মিস করে মরক্কো। উনাহি ডি বক্সের ভেতর উনাই সিমনকে একা পেয়েও তার গায়ে বল মারেন ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।

    ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্ত বদলি হিসেবে নামা পিএসজির তারকা পাবলো সারাবিয়ার শট গোলবারে লেগে বাইরে চলে গেলে গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় ১২০ মিনিট।

    পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম তিনটি শট থেকেই গোল করতে ব্যর্থ হন স্পেনের পাবলো সারাবিয়া, কার্লস সোলার ও বুসকেতস। অন্যদিকে মরক্কো প্রথম দুটি শটে গোল দিলেও তৃতীয় শটটি মিস করে তারা। কিন্তু ৪র্থ শটে গোল করে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন আশরাফ হাকিমি।

  • স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন জাপান

    স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন জাপান

    এবারের কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখাল এশিয়ার ফুটবল পরাশক্তি জাপান। সূর্যোদয়ের দেশটি নিজেদের প্রথম ম্যাচে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। এবার তারা একই ব্যবধানে হারালো ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। যার সুবাদে ‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে গেল এশিয়ান জায়ান্টরা। শেষ ষোলোয় উঠে বিশ্ব আসরের মঞ্চে জাপানিদের নতুন করে আলোর উদয় হল।

    বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল জাপান। আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে থাকা স্পেন ম্যাচের ১১তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। দলটির ফরোয়ার্ড আলবার্তো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশরা। আজপিলইকুয়েতার ক্রস থেকে দারুণ হেড করে দলকে এগিয়ে দেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের এই তারকা।

    এর পরেও আক্রমণ চালিয়ে যায় স্প্যানিশরা। ফলে প্রথমার্ধে জাপান বলার মত তেমন কোনোই আক্রমণ করতে পারেনি। ফলে পজিশন অনেকটা ব্যাকফুটে ছিল জাপান। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের সর্বশক্তি উজাড় করে দেন জাপানের ফুটবলাররা। এতেই বাজিমাত করে এশিয়ার দলটি। মাত্র ১৮ শতাংশ বল নিজেদের পায় নিয়েই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পরাজয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন জাপানিরা।

    এদিক বিরতি থেকে ফিরেই ৪৮ মিনিটে গোল করে জাপানকে সমতায় ফেরান প্রথমার্ধের একাদশ থেকে বদলি হিসেবে নামা দোয়ান। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবার গোল করে লিড নিয়ে নেয় জাপান। যদিও গোলটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকতেই পারে মানুষের মনে।

    ৫১তম মিনিটে স্পেনের রক্ষণে বাম পাশ থেকে আক্রমণ করে জাপান। এতে মিতোমার ক্রস থেকে বল পেয়ে যান তানাকা। ফলে সহজেই গোল করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তানাকা। তবে অফসাইডের শঙ্কা থাকলেও রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে জাপানের গোলকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। ফলে জাপানও পায় ২-১ গোলের লিড।

    ৭১ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় জাপান। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আসানো। শুরুর মতো শেষ দিকেও স্পেন গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে আক্রমণ চালালেও গোলমুখে তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে ২-১ ব্যবধানে জিতে যায় জাপান। সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউট রাউন্ডে পা রাখলো জাপান।

  • ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি স্পেন-জার্মানির

    ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি স্পেন-জার্মানির

    ৭-০ গোলে কোস্টারিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে স্পেন। প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি৷ ফলে এ ম্যাচ হারলে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হতো৷ ১-১ গোলে ড্র করে আশা বাঁচিয়ে রাখলেন নয়াররা।

    ম্যাচের সাত মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল স্পেন। কিন্তু নয়ারের দৃঢ়তায় বল বারে লেগে চলে যায় বাইরে৷ স্পেনের আক্রমণের মুখে গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় নেয় জার্মানি৷ একবার কিমিশের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে উল্লাসেও মেতেছিলেন রুডিগার। কিন্তু অফসাইড হওয়ায় বিফলে যায় উল্লাস। দ্বিতীয়ার্ধে ফেরান তোরেসের পরিবর্তে আলভারো মোরাতাকে নামান স্পেনের কোচ লুই এনরিকে। ৬১ মিনিটে সেই মোরাতাই এগিয়ে নেন ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের৷

    আলভারো মোরাতার গোলের পর স্পেনের উচ্ছ্বাস
    গোল পরিশোধে মরিয়া জার্মানি এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও আট বছর আগে সবশেষ বিশ্বকাপ জেতা জার্মানরা কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় ৮৩তম মিনিটে৷ কিছুক্ষণ আগে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলের সুযোগ মিস করা মুসিয়ালার পাস থেকেই সমতা ফেরান বদলি হেসেবে নামা নিকলাস ফ্যুলক্রুগ।

    এ ম্যাচ ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত করে ফেললো স্পেন৷ তবে নকআউট পর্বে যেতে হলে কোস্টারিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে জার্মানিকে। প্রত্যেক দলের দুটি করে ম্যাচ শেষে ‘ই’ গ্রুপে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার নীচে রয়েছে জার্মানি৷ ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে স্পেন৷ জাপান আর কোস্টারিকার পয়েন্ট ৩৷ তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান৷

  • ফের অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জিতলো ব্রাজিল

    ফের অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জিতলো ব্রাজিল

    টোকিও অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে সোনা জিতেছে ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতলো দলটি।

    আজ শনিবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হওয়া পুরুষদের ফুটবল ফাইনালে ব্রাজিল ও স্পেনের ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে উভয় দল। পরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে খেলা গড়ায়।

    ১০৭তম মিনিটের সময় ম্যালকমের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। সেটিই দলের জয় নিশ্চিত করে। এর আগে ২০‌১৬ সালে রিও অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো স্বর্ণ জয়ের গৌরব অর্জন করে ব্রাজিল। সর্বোচ্চ পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতলেও তার আগ পর্যন্ত স্বর্ণ জেতা হয়নি তাদের। নেইমারের নেতৃত্বে সেই আক্ষেপ ঘুচাতে সক্ষম হয় সেলেকাওরা।

    আজ নির্ধারিত সময়ে দুই দলই সমানভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দানি আলভেসের এসিস্ট থেকে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন কুনহার।

    দ্বিতীয়ার্ধের ৬১টি মিনিটে স্পেনকে সমতায় ফেরান রিয়াল সোসিয়েদাদের স্ট্রাইকার ও স্পেন জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় মিকেল ওইয়ারসাবাল। অস্কার গিলের ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেন তিনি।

    এরপর ৮৪ ও ৮৭ মিনিটে দু’বার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্প্যানিশরা। কিন্তু, প্রতিবারই বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। বাকিটা সময় বারবার আক্রমণ করেছে ব্রাজিল।

    খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে গোলের জন্য ব্রাজিল মরিয়া হয়ে উঠে। যার ফলাফল আসে ১০৭তম মিনিটে।

  • এবার পায়ে দেখা যাচ্ছে করোনার লক্ষণ!

    এবার পায়ে দেখা যাচ্ছে করোনার লক্ষণ!

    স্পেনের একদল বিশেষজ্ঞ মানুষজনের পায়ে ‘বসন্তের মতো’ চিহ্ন দেখার পর, এর সঙ্গে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। স্পেনের জেনারেল কাউন্সিল অব অফিসিয়াল পোডিয়াট্রিস্ট কলেজ বলছে, এটি প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

    এক বিবৃতিতে এই সংগঠনটি জানিয়েছে, ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনে করোনায় আক্রান্ত বহু রোগী পায়ে এ ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে। এটিকে একটি ‘কৌতূহলী আবিষ্কার’ বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

    করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে বিশেষ করে কিশোর ও শিশুদের পায়ে এ ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে কিছু কিছু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পায়েও এ ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, এগুলো বেগুনি ক্ষত (চিকেনপক্স, হাম বা চিলব্লেনের মতো) যা সাধারণত পায়ের আঙ্গুলের উপর প্রদর্শিত হয় এবং সেরে যাওয়ার পর কোনও চিহ্ন থাকে।

    সেখানে বলা হয়েছে, পোডোলজিস্ট কাউন্সিল তাদের আওতাভুক্ত কলেজ এবং এর সদস্যদের সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করেছে কারণ এটি করোনার লক্ষণ হতে পারে।

    স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, যদি এই রোগের সঙ্গে ক্ষত চিহ্নের সম্পর্ক প্রমাণ করা যায়, তাহলে করোনার লক্ষণ দেখা যায় না এমন রোগী শনাক্ত সহজ হবে।

  • করোনায় ‘মৃত্যুপুরী’ স্পেন বন্যায় তলিয়ে গেছে

    করোনায় ‘মৃত্যুপুরী’ স্পেন বন্যায় তলিয়ে গেছে

    করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেই নতুন সংকটে পড়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের পূর্ব অংশ ডুবে গেছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪ মাসের বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। আর এর ফলে পূর্ব স্পেনের অধিকাংশ এলাকায় বন্যায় ভেসে গেছে।

    স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, দেশের পূর্ব অংশে বন্যা পরিস্থিতি দেশটির প্রশাসনের টনক নড়িয়েছে। স্পেনে চারমাসে যত বৃষ্টি হয়, সেই পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। কাস্তেলোঁ প্রদেশের রাজধানী কাস্তেলোঁ দেলা প্লানায় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

    স্পেনের আবহাওয়াবীদরা জানিয়েছেন, বছরের এই সময় সাধারণত ৪২ মিলিমিটার মতো বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় (৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল) বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪৭ মিলিমিটার। তাছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা গত ৩০ বছরেও হয়নি। ১৯৭৬ সালের পর এবারই এত বৃষ্টিপাত হয়েছে দেশটিতে। ২৪ ঘণ্টা বা একদিনের হিসেবে গত কয়েক বছরে এটি রেকর্ড বৃষ্টি। যার জেরে স্পেনের আলমাসোরা বুরিয়ানা এবং ভিলাফ্র্যাঙ্কা শহর ভাসছে পানিতে।

    দেশটির উত্তরাঞ্চলের ডেজার্ট ডি লেস পামেস পর্বতমালা থেকে প্রবল বেগে নেমে আসছে বৃষ্টির পানির ঢল। ফলে পরিস্থিতি হয়েছে আরও ভয়াবহ। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সবই প্রায় ডুবতে বসেছে। বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের লোকজন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

    এদিকে স্পেনে ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৬ জন। গোটা দেশ এখন করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত। দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।

  • মৃত্যুপুরী স্পেন : ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৯৫০ জনসহ ১০ হাজার ছাড়ালো মৃতের সংখ্যা

    মৃত্যুপুরী স্পেন : ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৯৫০ জনসহ ১০ হাজার ছাড়ালো মৃতের সংখ্যা

    করোনার থাবায় ইতালির পর এবার লণ্ডভণ্ড ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন। কোনভাবেই দেশটিতে নিয়ন্ত্রণে আসছে না প্রাণঘাতী করেনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। সরকারের ব্যাপক বিধি-নিষেধেও লাভের লাভ তেমন চোখে পড়ছে না। এরিমধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছেন ৯৫০ জন।

    ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে আর আর কোনো দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এত বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ২৭ মার্চ ইতালিতে একদিনে রেকর্ড ৯২৯ জন মারা গিয়েছিলেন। আজ সেই সংখ্যাও ছাড়িয়ে গেল স্পেনে।

    ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পর করোনার ভয়াবহ প্রকোপের মুখোমুখি হয়েছে স্পেন। বুধবার দেশটিতে ৭ হাজার ৭১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে; নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১০২ জন। এ নিয়ে ইউরোপের এই দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জনে।

    করোনার প্রাদুর্ভাব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে স্পেনের সরকারের পক্ষ থেকে যে আশার বানী শোনানো হয়েছিলো বৃহস্পতিবারের মৃত্যুর সংখ্যা তাতে জল ঢেলে দিয়েছে। একদিন আগেই দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যালভাদর ইলা বলেছিলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে এবং আমরা করোনার একটি ধীরগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

    এর আগে গত ১৪ মার্চ জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধের দোকানপাট ছাড়া অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে স্পেন। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে শুধু মার্চেই দেশটিতে তিন লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন।

  • করোনা : মৃতের সংখ্যা বিশ্বে ৪৫ হাজার,ইউরোপে ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে

    করোনা : মৃতের সংখ্যা বিশ্বে ৪৫ হাজার,ইউরোপে ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে পুরো বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ইউরোপেই ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। 

    মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে ৯ লাখ ৩ হাজার ৫৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ২৪১ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ১৮ জন। এপ্রিলের প্রথম দিন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৫ হাজার ২৪৫ জনের।

    শুধুমাত্র স্পেন ও ইটালিতেই মারা গেছে মোট ২২ হাজারের বেশি মানুষ।

    চীন ও ইরানের পর করোনাভাইরাস মূল আঘাতটি হানে ইতালিতে। ইতালিতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরো ৭২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার ১৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে নতুন আক্রান্তের হার কিছুটা কমেছে।

    অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের কেন্দ্র এখন ইতালি থেকে সরে ক্রমশ স্পেনের দিকে যাচ্ছে। স্পেন এখন বিশ্বের তৃতীয় দেশ যেখানে এক লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

    জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস আপডেট বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্পেনে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইউরোপের দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ১৩৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছেন ২২ হাজার ৬৪৭ জন।

    এদিকে করোনা রোগী সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট ২ লাখ ২৬৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যোগ হয়েছেন ১১ হাজার ৭৩৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩৯৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৪১ জন।

    ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যেও ব্যাপকহারে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫৬৩ জন। সব মিলয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩৫২ জনের। ব্রিটেনে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৪৭৪ জন।

    তবে করোনার প্রথম শনাক্ত হওয়া দেশ চীনে মৃতের সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৭ জন। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩১২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/আরএসপি