Tag: স্প্যান স্থাপন

  • পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার দৃশ্যমান, বাকি রইল একটি স্প্যান

    পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার দৃশ্যমান, বাকি রইল একটি স্প্যান

    ৪০তম স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতুর ছয় কিলোমিটার। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে মাঝ নদীতে সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারে (খুঁটি) বসানো হয় স্প্যানটি। ৩৯তম স্প্যান বসানোর সাত দিনের মাথায় বসানো হলো ৪০তম স্প্যানটি।

    পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটারের মূল সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো বাকি রইল আর মাত্র একটি।

    দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি বহন করে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই নির্ধারিত পিয়ারে কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছিল। বাকি ছিল শুধু স্প্যানটি উপরে তুলে বসানোর কাজ। শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে স্প্যানটি উপরে তোলার কাজ শুরু হয়। এরপর ইঞ্চি মেপে নির্ধারিত পিয়ারের ওপর ভূমিকম্প সহনশীল বিয়ারিং ধীরে ধীরএ বসানো হয়।

    চল্লিশতম স্প্যানটি বসে যাওয়ায় এখন ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের মধ্যে বাকি থাকা স্প্যানটি বসানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

    এদিকে, স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে সেতুতে আঠারোশতাধিক রেলওয়ে ও বারোশতাধিক রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে।

    ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৪০টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ছয় কিলোমিটার অংশ। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

    ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালে খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু।

  • ৩৭তম স্প্যানে পদ্মা সেতুর সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান

    ৩৭তম স্প্যানে পদ্মা সেতুর সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান

    পদ্মা সেতুর ৩৭তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এতে সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

    বৃহস্পতিবার (১২ই নভেম্বর) বিকেল ২টা ৫০ মিনিটের সময় বসানো হয় পদ্মা সেতুর ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’।

    এ স্প্যানটি বসানো হলে বাকি থাকবে আর মাত্র চারটি স্পেন। ৩৬তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় বসানো হল এ স্পেনটি।

    স্পেনটি সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৯ ও ১০ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়েছে।

    পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১০টার দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৭তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিয়ারের উদ্যেশ্যে রওনা হয়।

    পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কারিগরি সমস্যা না থাকায় এবং আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকায় বৃহস্পতিবারই স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়া হয়।

    ৩৭তম স্প্যানটি বসানোর পর আগামী ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর পিয়ারে ৩৮তম স্প্যান ‘১-এ’, ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারে ৩৯তম স্প্যান ‘২-ডি’, ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নং পিয়ারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১০ ডিসেম্বর মাসে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে ৪১তম স্প্যান স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ৩৩তম স্প্যানে পদ্মা সেতু ৫ কি.মি. দৃশ্যমান

    ৩৩তম স্প্যানে পদ্মা সেতু ৫ কি.মি. দৃশ্যমান

    ৩২তম স্প্যান বসানোর আটদিন পর পদ্মা সেতুতে বসানো হলো ৩৩তম স্প্যান। সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর ‘ওয়ান সি’ নামে স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রায় ৫ কিলোমিটার (৪ হাজার ৯৫০ মিটার) দৃশ্যমান হলো।

    পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

    সেতু সংশ্লিষ্টরা জানান , ৩২তম স্প্যান বসানোর আটদিন পর বসানো হলো ৩৩তম স্প্যান। করোনাভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দেয়। পদ্মা নদীতে পানির গভীরতা অনুকূলে আসায় প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কাজে গতি আনার পরিকল্পনা করছেন।

    তারা আরও জানান, পদ্মা সেতুতে ৩৩তম স্প্যান বসানোর পর আরও বাকি থাকবে আটটি স্প্যান। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।

    এদিকে ৪১টি স্প্যানের ওপর দুই হাজার ৯১৭টি রোড স্লাব বসানো হবে। এ পর্যন্ত এক হাজার রোড স্লাব বসানো হয়েছে। এছাড়াও রেললাইনের জন্য লাগবে দুই হাজার ৯৫৯টি রেল স্ল্যাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার ৬০০ রেলওয়ে স্ল্যাব।

    ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।

    ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • পদ্মা সেতুর ৪৮০০ মিটার দৃশ্যমান

    পদ্মা সেতুর ৪৮০০ মিটার দৃশ্যমান

    চার মাস পর পদ্মা সেতুতে বসানো হয়েছে ৩২তম স্প্যান। রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এ নিয়ে সেতুর ৪ হাজার ৮০০মিটার অংশ দৃশ্যমান হলো।

    পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শনিবার (১০ অক্টোবর) স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি থাকলেও তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যানবাহী ক্রেন পিলারের কাছে নোঙর করতে না পারায় বসানো যায়নি স্প্যানটি।

    জানা গেছে, শনিবার স্প্যানটি বসানোর পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী সকালে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই এর মাধ্যমে পিলারের অনেক কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নদীতে স্রোতের কারণে বিকেল পর্যন্ত চেষ্টা করেও শেষ অবধি বসানো যায়নি স্প্যানটি।

    এরপর ক্রেনটিকে আরো কিছুটা দূরে নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুনরায় স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। এরপর ক্রেনটিকে নির্ধারিত স্থানে এনে প্রকৌশলীদের মাপযোগ শেষে নির্ধারিত পিলারে স্প্যানটি বাসানো হয়।

    পুরো সেতুতে বাকি রইলো আর মাত্র ৯টি স্প্যান বসানোর কাজ। এগুলোর সবগুলোই মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১-২, ২-৩, ৩-৪, ৭-৮, ৮-৯, ৯-১০,১০-১১, ১১-১২, ১২-১৩ নং পিয়ারে বসানো হবে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে সবগুলো স্প্যান ইতোমধ্যেই বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

    এর আগে চলতি বছরের ১০ জুন পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ বসানো হয়েছিল ৩১তম স্প্যান। করোনা আর বন্যা পরিস্থিতির কবলে সেতুর অন্যান্য কাজ চললেও আর কোনো স্প্যান বসানো হয়নি। সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগেরও বেশি এবং মূল সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

    সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, আরো তিনটি স্প্যান ‘ওয়ান-এ’, ‘ওয়ান-বি’, ‘ওয়ান-সি’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। পরবর্তী ৪টি স্প্যান ১-২, ২-৩, ৩-৪ নম্বর পিলারে বসানো হবে। ডিসেম্বরে বাকি ৯টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

    ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।

    মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

    দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড ও প্রোপারটি ডেভেলোপমেন্ট লিমিটেড (পিডিএল)। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বসল ৩০তম স্প্যান,পদ্মাসেতু দৃশ্যমান সাড় ৪ কি.মি.

    বসল ৩০তম স্প্যান,পদ্মাসেতু দৃশ্যমান সাড় ৪ কি.মি.

    পদ্মাসেতুর  জাজিরা প্রান্তে বসেছে ৩০তম স্প্যান। এতে পদ্মাসেতুর সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমাণ হলো। বাকি থাকল আর মাত্র ১১টি স্প্যান।

    শনিবার (৩০ মে) সকালে ৩০তম স্প্যানটি বসানো হয়।

    এর আগে চলতি মাসেই সোমবার (৪ মে) পদ্মা সেতুতে বসানো হয় ২৯তম স্প্যান। ওই সময় দৃশ্যমান হয় ৪ হাজার ৩৫০ মিটার। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় স্পানটি বসানো হয়। পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এপ্রিলের শেষ দিকে ২৯তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তবে সেটা করোনার কারণে পিছিয়ে এ মাসে বসানো হয়।

    গত ১১ এপ্রিল সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই বসানো হয় পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান।

    বেশিরভাগ অংশই দৃশ্যমান এখন দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর। কাজের বর্তমান অবস্থা আশা জাগানিয়া হলেও কোনোভাবেই সহজ ছিল না শুরুটা। ২০১৫ সালে শুরুর পর কাজের অগ্রগতি হোঁচট খায় নকশা জটিলতায়। ২২টি পিলারের নিচে মাটির গঠনগত জটিলতা দেখা দিলেও আশা ছাড়েননি প্রকৌশলীরা।

    দেশি বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত দেড়বছর পর নতুন নকশায় শুরু হয় জটিলতায় থাকা পিলারগুলোর কাজ। সে কাজও শেষ হলো অবেশেষে।

    পরিকল্পনা ছিল, এপ্রিল মাসের মধ্যে সব পিলারের কাজ শেষ করা হবে।

    প্রকৌশলগত পিপিইর পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত পিপিই ব্যবহার করে আগেই নিশ্চিত করা হয় সুরক্ষা। এর আগে গত ১৭ মার্চ শেষ করা হয়েছিল ৪১তম পিলারটির কাজ। এক সাথে সব পিলারের নকশা সমাধান হলেও ধারাবাহিকতা রক্ষায় একটির পর একটির কাজ শেষ করা হয়।

    ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বসল ২৯তম স্প্যান, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ৪৩৫০ মিটার

    বসল ২৯তম স্প্যান, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ৪৩৫০ মিটার

    আজ পদ্মা সেতুতে বসলো ২৯তম স্প্যান, সেতু এখন দৃশ্যমান হলো ৪ হাজার ৩৫০ মিটার।

    সোমবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় স্পানটি বসানো হয়েছে। বাকি থাকল আর মাত্র ১২টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এপ্রিলের শেষ দিকে ২৯তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনার কথা জানান।

    এরআগে শনিবার (১১ এপ্রিল) সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই বসানো হয় পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান।

    বেশিরভাগ অংশই দৃশ্যমান এখন দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর। কাজের বর্তমান অবস্থা আশা জাগানিয়া হলেও কোনোভাবেই সহজ ছিল না শুরুটা। ২০১৫ সালে শুরুর পর কাজের অগ্রগতি হোঁচট খায় নকশা জটিলতায়। ২২টি পিলারের নিচে মাটির গঠনগত জটিলতা দেখা দিলেও আশা ছাড়েননি প্রকৌশলীরা। দেশি বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত দেড়বছর পর নতুন নকশায় শুরু হয় জটিলতায় থাকা পিলারগুলোর কাজ।

    সে কাজও শেষ হলো অবেশেষে। পরিকল্পনা ছিল, এপ্রিল মাসের মধ্যে সব পিলারের কাজ শেষ করা হবে। প্রকৌশলগত পিপিইর পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত পিপিই ব্যবহার করে আগেই নিশ্চিত করা হয় সুরক্ষা। এর আগে গত ১৭ মার্চ শেষ করা হয়েছিল ৪১তম পিলারটির কাজ। এক সাথে সব পিলারের নকশা সমাধান হলেও ধারাবাহিকতা রক্ষায় একটির পর একটির কাজ শেষ করা হয়।

    ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২৪তম স্প্যান স্থাপন, পদ্মা সেতু ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান

    ২৪তম স্প্যান স্থাপন, পদ্মা সেতু ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান

    পদ্মা সেতুর ২৪তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার সকাল ‘৫-এফ’ নম্বর স্প্যানটি সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটির উপর বসানো হয় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে। ২৩তম স্প্যান বসানোর ৯ দিনের মাথায় ২৪ তম স্প্যানটিও বসানো হল। এতে পদ্মা সেতু ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

    এর আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের অস্থায়ীভাবে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো স্প্যানটি এখানে নিয়ে আসা হয়।

    মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১২ ও ১৩ নম্বর পিলার থেকে স্প্যান নিয়ে রওয়ানা হয় ভাসমান ক্রেন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে নির্ধারিত পিলারের সামনে এসে পৌঁছায়।

    সেতু বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান,৪২টি পিয়ারের (খুঁটি) মধ্যে ৩৭টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৫টি পিলারের কাজও চলছে পুরোদমে। পিয়ার-২৬ এর সাতটি পাইলে রিবার ইন্সটল ও কংক্রিটিং করা হবে।পিয়ার-৮, ১০ এবং ১১ এর কাজও শেষ পর্যায়ে।

    তিনি বলেন,আগামী এপ্রিলের মধ্যে সব খুঁটির কাজই সম্পন্ন হয়ে যাবে।ইতোমধ্যেই ২৩টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এটি বসানোর পর পদ্মা সেতুতে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকী থাকছে ১৭টি।

    চীন থেকে এপর্যন্ত ৩৭টি স্প্যান মাওয়ায় এসে পৌঁছেছে।বাকী ৪টি স্প্যান শিগগিরই আসছে।আগামী জুলাইয়ের মধ্যে অবশিষ্ট স্প্যানগুলো বসানোর কথা রয়েছে।