Tag: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সেখানে।

    পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরও একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ১০ জানুয়ারি। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর পাকিস্তানের কারাগার ৮ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে পাকিস্তান থেকে লন্ডনে যান এবং দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা

    শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা

    স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ শুভেচ্ছা জানায়।

    বুধবার (১৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান দলের নেতাকর্মীরা।

    এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে: জয়

    শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে: জয়

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

    মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যার প্রত্যাবর্তনে তৈরি হয় নতুন ইতিহাস, পুনরুদ্ধার হয় গণতন্ত্র, গড়ে ওঠে মধ্যম আয়ের সমৃদ্ধ ডিজিটাল রাষ্ট্র।

    তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে, মা-বাবা-ভাই হারিয়ে এক বিষাদগ্রস্ত মন, অশ্রুভেজা চোখ, নিদারুণ কষ্ট বুকে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

    ‘তিনি দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারছি। হিংসার রাজনীতি দূরীভূত হয়ে আজ আমরা সচ্ছল হয়ে উঠেছি, শান্তির নিশ্বাস নিতে পারছি একটি সুজলা-সুফলা শ্যামল বাংলাদেশে।’

    তিনি লেখেন, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, শহর-উপশহর-মফস্বলের প্রতিটি স্তরের মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে বৈপ্লবিক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তিসহ শিক্ষা খাতের যে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, তার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মানবিক ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনায় স্মার্ট প্রজন্মের হাত ধরে ক্রমেই গড়ে উঠছে স্মার্ট বাংলাদেশ।

    উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১৭ মে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

    শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি।

    ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ওই দিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখতে ছুটে যান লাখো মানুষ।

    ফলে মিছিল আর জনস্রোতের শহরে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে স্লোগান। ঝড়-বৃষ্টিও মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর প্রথমবারের মতো মাতৃভূমিতে ফেরেন শেখ হাসিনা।

    রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে লাখো জনতার সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান। পরে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দলের কাউন্সিলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

    এদিকে, দিবসটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে।

    কর্মসূচি

    বুধবার (১৭ মে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

    এছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ১১টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল ১০টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

    দিবসটি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

  • গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন আজ

    গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন আজ

    আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন আজ (৭ মে)। দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় দিন। ২০০৭ সালের ৭ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থা চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ওই সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক অবৈধ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

    শনিবার (৬ মে) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের বেআইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হন। ৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা ঢাকায় ফিরে এলে লাখো জনতা তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসেন। দেশে ফিরে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শুরু করেন নবতর সংগ্রাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয় দেশবাসী।’

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে। ২০০৮ সালের ১১ জুন প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা হয়। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন এবং চিকিৎসা শেষে ৪ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। পরে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আন্দোলনের মুখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। শুরু করেন সংকটের আবর্তে নিমজ্জমান অবস্থা থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তোলার সংগ্রাম। দিন বদলের অভিযাত্রায় উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।‘

    এতে বলা হয়,‌ ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূলনীতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের রাজনীতিতে অবিকল্প নেতৃত্ব। দিনটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

  • স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর দলের পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    জাতির অবিসংবাদিত নেতা এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ সেনাপতি বঙ্গবন্ধু ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে ফিরে আসেন।

    সেই থেকে দিনটিকে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করছে জাতি।

  • আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    আজ ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।

    এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু।

    দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।

    জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁরা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।

    ১০ জানুয়ারি সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’

    এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।

    পরের দিন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।’

    জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।

    সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ তোমাদের মোবারকবাদ জানাই তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা রক্ত দিয়েছো, রক্ত বৃথা যাবে না, রক্ত বৃথা যায় নাই।

    বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘একটা কথা-আজ থেকে বাংলায় যেন আর চুরি-ডাকাতি না হয়। বাংলায় যেন আর লুটতরাজ না হয়। বাংলায় যারা অন্য লোক আছে অন্য দেশের লোক, পশ্চিম পাকিস্তানের লোক বাংলায় কথা বলে না, তাদের বলছি তোমরা বাঙালি হয়ে যাও। আর আমি আমার ভাইদের বলছি তাদের উপর হাত তুলো না আমরা মানুষ, মানুষ ভালোবাসি। ‘তবে যারা দালালি করেছে যারা আমার লোকদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে এবং শাস্তি হবে’ উল্লেখ করে জাতির পিতা বলেন, ‘তাদের বাংলার স্বাধীন সরকারের হাতে ছেড়ে দেন, একজনকেও ক্ষমা করা হবে না। তবে আমি চাই স্বাধীন দেশে স্বাধীন আদালতে বিচার হয়ে এদের শাস্তি হবে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’

    বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমায় আপনারা পেয়েছেন। আমি আসছি। জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে। আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোড়া হয়েছিলো। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম, বলেছিলাম আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু আসে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’

    বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তাঁর নির্দেশিত যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পথে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ তীব্র হয়। জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাঁকে সসম্মানে মুক্তি দিতে।

    ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে সরকার পরিচালনা করে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার।

    ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে।

    ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশ বলে গণপরিষদ গঠন করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দেয়া হয় এবং যা ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

  • চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত

    চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

    আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

    পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালির জন্য এক আনন্দঘন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা এসেছিল।

    স্বাধীন দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল দেশ গঠনের একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন। কীভাবে ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হবে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে তিনি সুদূরপ্রসারী রূপরেখা দিয়েছিলেন।

    বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।”

    চুয়েট ভিসি আরো বলেন, “একটি দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/প্রিন্স

  • স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল আজ তারা ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী

    স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল আজ তারা ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৭৯২ সালের এই দিনে আমাদের মহান নেতা তাঁর প্রাণের বাংলাদেশিদের বুকে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এর তিন বছর পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারা আজ ব্যর্থ হয়েছে।

    আজ রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবরণ করতে হয়। বঙ্গবন্ধু যেখানেই গেছেন, সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার তিনি জামিন পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য কাজ করতেন বলেই শাসকরা বারবার তাকে জেলে পাঠিয়েছেন।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনার সব নির্দেশনা ছিলো জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণে। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি একটি স্বনির্ভর বাংলা গড়ে তুলেছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন কীভাবে হবে সেই পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়েছি। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ৪১ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে সেটা দিয়েছি। ২০৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার শত বছর উদযাপন হবে, আগামী প্রজন্ম কীভাবে তা উদযাপন করবে, সেই কথা চিন্তা করে আমরা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

    তিনি বলেন, ‘সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এগুলোর হাত থেকে দেশকে মুক্ত রেখে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।’

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, যে এ জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল আজ তারাই ব্যর্থ, আজকের বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে- এই মর্যাদা ধরে রেখে আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা এই জাতিকে ভালোবেসেছেন। আমাদের একটাই চিন্তা যে জাতির জন্য আমাদের মহান নেতা জীবন দিয়ে গেছেন। সেই জাতির কল্যাণ করা, তাদের জীবন সুন্দর করা এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১০ জানুয়ারি ছিল বাঙালির কাছে বহু কাঙ্ক্ষিত, বহু প্রতীক্ষিত। মহান নেতা বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে নতুন করে উজ্জীবিত হয় জাতি।

    কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভর। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায়।

  • বিজয়কে সুসংহত করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রধান অন্তরায় : ওবায়দুল কাদের

    বিজয়কে সুসংহত করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রধান অন্তরায় : ওবায়দুল কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছর পর বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রধান অন্তরায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এই অপশক্তিকে পরাজিত করে বিজয়কে সুসংহত করাই হবে প্রধান লক্ষ্য।’

    আজ রোববার সকালে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এই বিজয়ের সুফলকে নস্যাৎ করতে সাম্প্রদায়িক শত্রুরা এখনো তৎপর। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।’

    বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফেরেন।

    দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আজ রোববার ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে একে একে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

  • জাতির জনক’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের শীতবস্ত্র বিতরণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান

    জাতির জনক’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের শীতবস্ত্র বিতরণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের অধীন সকল জোনের উদ্যোগে একযোগে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ এবং ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।

    রোববার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পেরাছড়া হাইস্কুল মাঠে সদর জোন আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কুল মাঠের উত্তর পাশের গুছিয়ে রাখা শীতবস্ত্র’র সম্ভার থেকে যে যার পছন্দমতো শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা সেবাও গ্রহণ করেন পাহাড়ি জনগণ।

    খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী রেজা পিএসসি এবং সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম পিএসসি, সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

    কর্মসূচি চলাকালীন সকলে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এলাকার মোট ১’শ ৪০ জন দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও কম্বল তুলে দেয়া হয়। এছাড়া প্রায় ২’শ ৫০ সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়।

    এসময় খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জি-এসও (টু-আই) মেজর মো: সালাউদ্দিন, সদর জোনের এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন শাফিন, পেরাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, পেরাছড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিম্বিসার খীসা এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য কান্তি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
    কর্মসূচির সুবিধাভোগী এবং সাধারণ মানুষরা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের এমন মানবিক উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র কখনো থেমে ছিলনা- আ জ ম নাছির উদ্দীন

    বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র কখনো থেমে ছিলনা- আ জ ম নাছির উদ্দীন

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার আগে বা পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালির কাছ থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলে আসছে। তাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে ফেলা যাবে পাকিস্তানিরা তা মনে করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, এমনকি তার ফাঁসির প্রক্রিয়াও চুড়ান্ত করে রেখেছিল তারা কিন্তু তা হয়নি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালীর স্বপ্নের বাতিঘর, সাড়ে সাত কোটি বাঙালী সেদিন তাদের বাতিঘরের নিশান দেখে এগিয়ে গেছে স্বাধীনতার পথে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা সূর্যকে।

    আজ ১০ জানুয়ারি সকালে থিয়েটার ইন্সটিটিউট হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

    সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে লন্ডন-দিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালির ইতিহাসের বরপুত্র শেখ মুজিবুর রহমান। সেই থেকে ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আমাদেরকে জাতির জনকের সেই ত্যাগ তিতিক্ষা আদর্শকে বুকে ধারন করে এগিয়ে যেতে হবে।

    আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা কাজী আলতাফ হোসেন,হারুনুর রশিদ, মো আবছার, মো ইফতেখার আলম,মো ইসকান্দর মিয়া,হাজী আবু তৈয়ব সিদ্দিকি,শেখ সোহরাওয়ার্দী,কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর , সেলিম রেজা,নুরুল আলম, আবুল হাশেম বাবুল প্রমুখ।

    সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ,কার্যনির্বাহী সদস্য ,থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।