Tag: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জামালপুরে দোয়া মাহফিল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জামালপুরে দোয়া মাহফিল

    জামালপুর প্রতিনিধি:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আলোচনা সভা,দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (২০মে) বকুলতলাস্হ জেলা আওয়ামী লীগের দর্লীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা,দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।

    মির্জা আজম এমপি বলেন, দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭মে দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফেরার পর থেকে শেখ হাসিনা টানা চার দশক ধরে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী, প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে।

    শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে এবং বর্তমানেও ক্ষমতাসীন। আওয়ামী লীগের এই শাসন আমলেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা সূচিত হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যেই দেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উন্নীত হয়েছে।

    দোয়া ও ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম হীরা,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা,মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, এ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ,জিএসএম মিজানুর রহমান মিজান,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাসুম রেজা রহিম ও সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা প্রমূখ।

    আলোচনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/মেহেদি

  • স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের র‌্যালি ও সমাবেশ

    স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের র‌্যালি ও সমাবেশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগ ও ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা।

    নাসিরাবাদস্থ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর টেকনিক্যাল মোড়, বেবিসুপার, ২নং গেইট প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের একাডেমীক ভবনের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

    চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও ছাত্র সংসদের জি.এস. শাহাদাত হোসেন ওমরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মোশারফ হোসেন, নগর ছাত্রলীগের সদস্য নুরুল হক মনির, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন, আনিসুল ইসলাম সাজিদ, ইমন সরকার, ইয়াসিন আরাফাত বাপ্পী, রাকেশ উদ্দিন, পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের ভিপি কাম্বার হোসেন রকি, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান সজিব।

    বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে গিয়েছিলেন। দেশের মানুষের প্রতি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বার বার নির্যাতনের শিকার হয়ে কারাবরণ করেছিলেন। দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর যে ত্যাগ সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্লোভ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে দেশের জন্য করে যাওয়ার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

    এসময় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগ, ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল কলেজ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ কুরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, সাধারণ সম্পাদক ড.স্বপন চন্দ্র মজুমদারসহ শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট, শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালী জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙালী জাতি তাঁর স্বাধীনতার পূর্ণতা পায়।”

    বক্তারা আরও বলেন, “১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারির এই প্রেক্ষাপট একদিনে রচিত হয়নি। এই প্রেক্ষাপট দীর্ঘ সংগ্রামের। জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে লাখো কোটি বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল সে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।”

    উল্লেখ্য, আগামী ১২ জানুয়ারি রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে সিআরএফ

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে সিআরএফ

    আজ ১০ জানুয়ারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম (সিআরএফ) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন উদযাপন করেছে।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল দশটা থেকে এশিয়ান উইম্যান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সাংবাদিক নগরে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত হয়।

    আয়োজনে ছিলো আলোচনা সভা,দুপুরের খাবার,আঞ্চলিক গান, লাকি কূপন ও খোয়াবাতি উৎসব। চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) সভাপতি কাজী আবুল মনসুর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাহ উদ্দীন রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ। চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) এর সাধারণ সম্পাদাক আলীউর রহমান এর সঞ্চানায় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক কমিটির আহবায়ক আলমগীর অপু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য রুবেল খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আপ্যায়ন সম্পাদক আইয়ুব আলী চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদাক গোলাম মওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক পঙ্কজ দস্তিদার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শহীদুল আলম, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আবুল হাসনাত, সিনিয়র সাংবাদিক হাসান নাসির, যমুনা টিভির ব্যুারো প্রধান জামশেদুল আলম, একুশের পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার, বায়ান্ন টিভির ব্যুারো প্রধান সরোয়ার আমিন বাবু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শামসুল হুদা মিন্টু, নাগরিক টিভির ব্যুারো প্রধান চৌধুরী লোকমান, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আহসান রিটন, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।

  • বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্বাধীনতার স্থপতির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি।

    পরে দলের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এরপর পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগসহ দলটির বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাস শেষে সদ্য স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু।

    বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, এক অনন্য দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনের কাউন্টডাউনও আজ ঐতিহাসিক এই দিনে সারাদেশে শুরু হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয়ভাবে বিকাল ৩টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও সকল পাবলিক প্লেসে একইসঙ্গে কাউন্টডাউন শুরু হবে। এদিন সারা দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্টে, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা ও দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীতে মোট ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হবে।

    ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ ওই দিন থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবে। এছাড়া এই সময়কালকে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের দিন আতশবাজি উৎসবের মাধ্যমে শুরু হবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা।

    স্বয়ং জাতির পিতা তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উৎসবের আমেজ। গোটা বাঙালি জাতি রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল কখন তাদের প্রিয় নেতা, স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীন দেশের মাটিতে আসবেন। বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তায় জনতার ঢল নামে। বঙ্গবন্ধু বিজয়ের বেশে নামেন বিমান থেকে। পা রাখেন লাখো শহিদের রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে। গোটা জাতি সেদিন হর্ষধ্বনি দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে তাদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানায়।

    সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাব।’ কথা রেখেছেন জাতির পিতা। হিংস্র পাক হানাদাররা যার গায়ে আঁচড় দেওয়ারও সাহস দেখাতে পারেনি, স্বাধীন দেশে বাঙালি নামক একশ্রেণির কুলাঙ্গার-বিশ্বাসঘাতকের হাতে তাকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখে গেছেন।

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হবে; যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটিকে আরো বেশি তাত্পর্যমণ্ডিত করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার জন্য তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

    আজ ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির এই অবিসংবাদিত নেতা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালনের ব্যাপক প্রস্তুতিকে সামনে রেখে এবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী। বাংলাদেশ এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। এদিন থেকেই মুজিববর্ষ উদযাপন শুরু হবে। আর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিনে সারাদেশে শতবর্ষ উদযাপনের কাউন্টডাউন শুরু হবে ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করবেন।

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এদিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দলের কন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭ টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। এছাড়াও দুপুর ৩টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ক্ষণগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ।

    ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।

    জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁরা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।

    দশ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।

    বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’

    বঙ্গবন্ধু ঢাকা এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।

    পরের দিন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।

    জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’ সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।