Tag: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • মাদক কারবারিদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাদক কারবারিদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কক্সবাজারের মাদক কারবারিদের নিয়ে সদ্য প্রকাশিত তালিকা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    রোববার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে বৈঠক থেকে বের হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন সেক্টর হতে আমরা অনেক ইনফরমেশন পাই। তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। যে তালিকা এখন পাওয়া গেছে তা নিয়েও যাচাই-বাছাই চলছে। তালিকায় কারো নাম এলো বলে দোষী হয়ে যায়নি। সকল বিষয় তদন্ত করে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    বৈঠকে বিগত ২৫তম সবার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ; সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধকল্পে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি এবং কোস্ট গার্ডের কার্যক্রমের ওপর বিস্তারিত আলোচনাসহ বিবিধ বিষয় এজেন্ডায় রাখা হয়।

    এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি এ কমিটির একজন সদস্য মাত্র। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সমূহ কমিটির সভাপতি উপস্থাপন করবেন। বৈঠক এখনো চলমান।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমদ এমপির সভাপতিত্বে চলমান বৈঠকে কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও বেগম রুমানা আলী, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানসহ শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়েছেন।

    এর আগে, শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার দুপুরে তিনি শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। একইদিন (শুক্রবার) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ফ্রেন্ডশিপ লালব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন।

  • ডিসেম্বরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস ঘোষণার দাবি

    ডিসেম্বরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস ঘোষণার দাবি

    এ দেশ বীর মুক্তিযোদ্ধার, তাই বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা মাস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

    সমাবেশে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের প্রতি দাবি জানিয়ে স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাসকে যেনো মুক্তিযোদ্ধা মাস ঘোষণা করা হয়। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি।

    তিনি বলেন, যতদিন দেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন। আর কেউ যেনো ইতিহাস বিকৃতি করতে না পারে।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) জয় বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, আগাখান মিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ওসমান আলীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • বাধ্য হয়ে সরকার কোথাও অনুমতি দেবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বাধ্য হয়ে সরকার কোথাও অনুমতি দেবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাধ্য হয়ে সরকার কোথাও অনুমতি দেবে না। সরকার যেখানে ভালো মনে করে, সেখানেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া বড় সমাবেশ সম্ভব নয়।

    আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নোকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২-এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেন্যু বিএনপিই চেয়েছে। ডিএমপি কমিশনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই উপযুক্ত মনে করেছেন। এ জন্য বিএনপিকে সেখানেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের (আওয়ামী লীগের) কিছু দলীয় প্রোগ্রাম রয়েছে, সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। এরপর বিএনপি সেখানে সমাবেশ করতে পারবে। তারা (বিএনপি) কী বলছে, সেটা আমরা জানি না।

    সরকার পল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য হবে— বিএনপির এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সবচেয়ে যেখানে ভালো, সেখানেই সরকার অনুমতি দেয়। তারা পল্টনে সমাবেশ করবে এমন কোনো অফিসিয়াল অনুমতি এখনো আসেনি। বিএনপি আমাদের কাছে আসছিল। তারা তিনটি জায়গার কথা বলেছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া বিএনপি অন্য কোথাও সমাবেশ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনাদের কাছেই আমার জিজ্ঞাসা। এত বড় গ্যাদারিং কোথায় তারা করবে? বিএনপি চেয়েছিল সংসদ ভবনের সামনে। সংসদ ভবনের সামনে কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না।

     

  • পুলিশ হন্যে হয়ে জঙ্গিদের খুঁজছে, শিগগিরই ধরা পড়বে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পুলিশ হন্যে হয়ে জঙ্গিদের খুঁজছে, শিগগিরই ধরা পড়বে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। আমাদের পুলিশ হন্যে হয়ে তাদের খুঁজছে। আশা করি, শিগগিরই তাদের ধরতে পারব। আমরা সীমান্ত এলাকাগুলোতেও বলে দিয়েছি, তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে।

    রোববার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক বলে আমরা মনে করি। যদি কারও অবহেলা বা গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছে করে এ কাজটি ঘটিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

    দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে এসে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজতখানায় নেওয়ার সময় চার আসামির মধ্যে দুইজনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

    ছিনিয়ে নেওয়া দুজন হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আজ হাজিরা ছিল ওই দুই আসামির।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় কারা জড়িত এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    সোমবার (১৪ নভেম্বর) বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে যৌথ অভিযানের সময় মাদককারবারিদের গুলিতে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত হন। এ সময় আহত হন র‌্যাবের এক সদস্য। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

    এদিকে তবে স্থানীয়দের দাবি, এ সময় শূন্যরেখায় অবস্থানরত এক রোহিঙ্গা নারীও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

    আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে যায় র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের একটি টিম। এ সময় মাদক চোরাচালানকারী মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ আল ইয়াকিন সদস্যরা অতর্কিত হামলা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা, আহত হন র‌্যাবের এক সদস্য। ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

    নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী দল আল ইয়াকিনের সংশ্লিষ্টতার রয়েছে; আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যার বিচারে তদন্ত কমিটি হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যার বিচারে তদন্ত কমিটি হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যারও বিচার হবে। এ লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    আজ সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান প্রমুখ।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁকে রক্ষা করেছেন নিজের হাতে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ৭ নভেম্বর একটা বিপ্লবের নাম করে এই যে কত সন্তানের বাবাকে হত্যা করা হলো। তাদের ডেডবডি কোথায়, সেটিও তাদের পরিবার জানে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। তাদের মৃত্যুর পর ডেডবডি তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এটাও ওই বিপ্লবের সময় হত্যার স্বীকার হওয়া সন্তানদের ভাগ্যে জোটেনি। তারা আজ এই হত্যার বিচার চাইছে। তারাই হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে।

    তিনি বলেন, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা, তাদের একটি বিরূপ অবস্থানে দাঁড় করানো, এই ষড়যন্ত্র, এই রক্তের হোলি খেলা যারা করছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য একটা তদন্ত কমিটি হচ্ছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ২ লাখ ৫ হাজার ২৭৫ মাদক কারবারি গ্রেফতার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ২ লাখ ৫ হাজার ২৭৫ মাদক কারবারি গ্রেফতার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এই জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। সে অনুযায়ী সরকার মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২৭৫ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

    তাদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৪ মামলা দায়ে করা হয়েছে।

    স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের আজকের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্যদেন।

    মন্ত্রী জানান, ২০২১ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৮৩ হাজার ১২৩ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ৬৬ হাজার ৫৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদক চোরাকারবারীদের দমনে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত, ২০২০)’ প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত আইনে মাদক অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

    এছাড়া বর্তমানে বহুল অপব্যবহৃত মাদক ইয়াবার প্রবাহ বন্ধে টেকনাফে ২৯ জন জনবল নিয়ে একটি বিশেষ জোন গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক পাচার হয়। এ কারণে মাদকের প্রবাহ প্রতিরোধে ভারতের সঙ্গে ৭টি ও মিয়ানমারের সঙ্গে এ পর্যন্ত ৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন

    খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন

    চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে চাইলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    শনিবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) হলে প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২২ এর উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদি চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হয়, তবে আদালতের মাধ্যমে যেতে হবে।

    সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে তা ঠিক নয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঘটনাটি দুঃখজনক। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের সংযত হ‌ওয়া উচিত ছিল। পুলিশের গায়ে হাত তুলবে পুলিশ বসে থাকবে এটা সঠিক নয়।

    তিনি বলেন, পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলেই দেশে নিরাপত্তা রয়েছে। দেশের উন্নয়ন দুর্বার গতিতে সব ঠিকঠাক মতো চলছে।

  • তদন্তে গাফিলতি পেলে যে দলেরই হোক ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    তদন্তে গাফিলতি পেলে যে দলেরই হোক ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ যদি জড়িত থাকে, সে যে দলেরই হোক না কেন তদন্ত সাপেক্ষে গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার মো. শাকিল তরফদারের জানাজা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার গাফিলতি, কোনো উদ্দেশ আছে কি না, কেউ পুড়িয়েছে কি না কিছুই বলা যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে, না হলে এতগুলো প্রাণ যায় না। সেটা আমি বিশ্বাস করি।

    তিনি বলেন, তারা (ফায়ার ফাইটার) যে অকুতোভয় সেটা তারা সব সময় প্রমাণ দিয়েছেন। আপনারা জঙ্গি দমনেও দেখেছেন সিলেটে একজন জীবন দিয়েছেন। বনানীর এফ আর টাওয়ারেও আপনারা দেখেছেন। তারা জানে এখানে ঝুঁকি আছে, তারপরও তারা এক মুহূর্ত দেরি করেনি। তারা ছুটে গিয়েছেন যথাযথ চেষ্টা করেছেন, এতে তাদের ৯ জন শাহাদৎবরণ করেছেন। আরও তিন জনকে আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি এবং ডেড বডিও পাইনি।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৪১টি মরদেহ পেয়েছি। এখনও ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আটকে আছে। আমরা এখনও কোনো কিছু ক্লিয়ার না। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সে বিষয়ে আমরা এখনও জানতে পারিনি। আমাদের শুধু নিহত নয়, আহত এখনও ১৫ জন রয়েছেন। তারা সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তাদের জন্য দোয়া চেয়েছি।

    এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু ঘণ্টা বাজানো ফায়ার সার্ভিস থেকে আধুনিক ফায়ার সার্ভিসে নিয়ে এসেছি। আজ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয়। আগে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পরে উপস্থিত হতো। এখন আর সেই ফায়ার সার্ভিস নেই— ডিফারেন্সটা এখানেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি সক্ষম ফায়ার সার্ভিস হিসেবে পরিণত করতে পেরেছি। ক্রমাগতভাবে আমরা তাদের আরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে অগ্নিনির্বাপণের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়টিও আমরা দেখব।

    ঘটনার সঙ্গে যদি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকে তাহলে আপনারা নমনীয় হবেন কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কি কখনো দেখেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিয়েছেন। সংসদ সদস্যকেও ছাড় দেননি। আমাদের মেসেজ স্পষ্ট, যদি কারও সম্পৃক্ততা এবং কারও গাফিলতি পাওয়া যায় অবশ্যই তাদের শাস্তি পেতে হবে।

  • মাদক রোধে কঠোর হতে কঠোরতর হতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাদক রোধে কঠোর হতে কঠোরতর হতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক রোধে কঠোর হতে কঠোরতর হতে হবে। অপরাধীদের কোনোদলীয় পরিচয় নেই। মাদকের সঙ্গে জড়িতরা যে দলেরই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    আজ শুক্রবার (২৭ মে) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের রামু বিজিবি রিজিয়ন মাঠে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, মাদক সামাজিক ব্যাধি। এটি নিজের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দুর্বার গতিতে চলছে। মাদক নিরোধ সম্ভব না হলে দেশের সেই উন্নয়ন যাত্রা থমকে যেতে পারে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেই নীতিতে কাজ করছে সরকার। মাদক সমাজকে ধ্বংস করছে। এতে পরিবার ও একটি দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তাই মাদকের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তাদের বিচারকার্য সম্পন্ন করা হলে বাকিরাও সতর্ক হবে।

    পুলিশ-বিজিবি-কোস্টগার্ড-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে কঠোর হয়ে কাজ করতে হবে সব বিভাগকে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে জনপ্রতিনিধি, সমাজপতি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শপথ নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে সমাজে যেন মাদক ও মাদক ব্যবসায়ী স্থান না পায়। এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হলে মাদক নিয়ন্ত্রণে আসবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মতে, মাদক নির্মূলেও সফল হতে হবে। সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে, আমরা সফল হব। আমরা এ যুদ্ধে জয়ী হব। এ জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। অন্যথায় নতুন প্রজন্ম পথ হারিয়ে ফেলবে।

    বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নাজম-উস-সাকিব জানান, অনুষ্ঠানে ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৭পিস ইয়াবা, ২৩.৭৫১৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১ হাজার ৩৪৩ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, ৬ হাজার ৭৬৭ ক্যান বিয়ার, ২০৬ লিটার বাংলা মদ, ৬ কেজি গাঁজা, জুলিয়াম ট্যাবলেট ধ্বংস করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিজিবি কক্সবাজারের রিজয়নের আওতায় বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন কর্তৃক জব্দ করা মাদকের হিসাবও দেওয়া হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. ফখরুল আহসান, কক্সবাজার ত্রাণ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনার রেজোয়ান হায়াত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ উচ্চপদস্থ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে চেকপোস্টের কার্যক্রমের ওপর ডেমো ও রিজিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

    বিজিবি জানিয়েছে, গত তিন বছরে ইয়াবা উদ্ধারের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রেখেছে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টর। তারা তিন বছরে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

    এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আটক ১ হাজার ৯৭৯ জন আসামিসহ ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৩০ পিস ইয়াবা, ২৭ হাজার ৪৪৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১ হাজার ৩০৫ ক্যান বিভিন্ন প্রকার বিয়ার, ৯৮ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ১৩৭ বোতল ফেনসিডিল, ৫৮ লাখ ৬ হাজার ৮০০ লিটার বাংলা মদ, ২২ হাজার ৯৯৫ কেজি গাঁজ, ৩ হাজার ১৫০ কেজি আফিম মামলার মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • ক্ষমতায় যেতে মির্জা ফখরুলরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ক্ষমতায় যেতে মির্জা ফখরুলরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে’ গতকাল বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ক্ষমতায় যেতে দিবাস্বপ্ন দেখছেন। এদেশের মানুষ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতেই দেশের অগ্রগতি হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

    আজ বুধবার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ড নির্মিত একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দুটি ট্যাগবোট, ছয়টি হাই স্পিডবোট এবং নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড নির্মিত একটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল কোস্টগার্ডকে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

    এসময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানতে চেয়ে বলেন, আপনারাতো সারা দিন সংবাদ সংগ্রহ করেন, এমন পরিস্থিতি কি দেখছেন?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষ। তারা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। এবার ঈদের সময় দেখুন, কোথাও কোনো ত্রুটি হয়নি। কোনো জায়গায় কোনো ছিনতাই হয়নি। কাজেই আমি মনে করি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা কাজ করেন, তারা দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করেন। আর এ জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার তারা সক্ষমতা রাখে।

    খুলনা শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের এমডি কমডোর এম সামছুল আজিজ স্বাগত ভাষণ দেন। উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন, সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, খুলনা নেভাল কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ার হোসেনসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা। হস্তান্তর শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবনির্মিত বোটগুলো পরিদর্শন করেন।

  • পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিউ মার্কেট খুলে দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিউ মার্কেট খুলে দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিউ মার্কেট খুলে দেওয়া হবে। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, ‘নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। ছাত্ররা নাকি ঢাকা অচল করার ঘোষণা দিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নুরুল হক নুররাও রয়েছে। এ ছাড়া বুঝে বা না বুঝে ইডেনের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নামার কথা বলেছে।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি ঘোলা না করে দুপুর পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের অপেক্ষা করতে বলেছি। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুকূল মনে হচ্ছে। এ রকম থাকলে মার্কেট খুলে দেব।’

    এর আগে আজ সকালে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টির কারণে পরে তাঁরা স্বল্প পরিসরে চার দফা দাবি ঘোষণা করে কর্মসূচি থেকে সড়ে দাঁড়ান। এরপর ঢাকা কলেজের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মিছিল নিয়ে কলেজটির সামনে অবস্থান করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

    গত সেমাবার রাত ১২ টার দিকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত রণক্ষেত্র ছিল নিউ মার্কেট এলাকা। এতে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশ আহত হন। এলাকা ছিল থমথমে। যদিও আজ সকাল থেকে তুলনামূলক শান্ত রয়েছে এলাকা।

    নিউ মার্কেট থানা পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে দোকানকর্মী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়েছেন, এবং এরপর আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

    এন-কে