Tag: স্বর্ণ উদ্ধার

  • চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে মিলল ১ কেজি স্বর্ণালঙ্কার, আটক ৩

    চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে মিলল ১ কেজি স্বর্ণালঙ্কার, আটক ৩

    চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে সিটের ভেতরে অভিনব কায়দায় লুকানো ১ কেজি স্বর্ণালঙ্কারসহ ৩ পাচারকারী আটক করেছে করেছে কোস্টগার্ড। তারা চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।

    উদ্ধার স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে রয়েছে ৫০ পিস স্বর্ণের চুড়ি, ৪৯ পিস স্বর্ণের আংটি (১ কেজি)। এছাড়া ১টি ল্যাপটপ, ১৯টি মোবাইল ফোন সেট, ১৬ কার্টন ডানহিল সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিদেশ থেকে স্বর্ণের একটি চালান চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বের হবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।

    ওইদিন বিকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে লে. কমান্ডার এইচএম তানজিমুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পতেঙ্গা সিসিএমসির সামনে একটি মাইক্রোর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্টগার্ড সদস্যরা গাড়িটি থামার সংকেত দেয়।

    এক পর্যায়ে মাইক্রোটি দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড সদস্যরা গাড়িটি থামাতে সক্ষম হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে সিটের ভেতরে অভিনব কায়দায় লুকানো ৫০ পিস স্বর্ণের চুড়ি, ৪৯ পিস স্বর্ণের আংটি (১ কেজি), ১টি ল্যাপটপ, ১৯টি মোবাইল ফোন সেট, ১৬ কার্টুন ডানহিল সিগারেট জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় চালকসহ মাইক্রোতে থাকা ৩ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

    তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় পাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িত। জব্দ স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মালামাল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে আটক আসামিদের পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

  • শাহ আমানতে বিমানের সিটের নিচে মিলল ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ

    শাহ আমানতে বিমানের সিটের নিচে মিলল ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ

    শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের সিটের নিচে ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া গেছে।

    শনিবার (১৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দারা এসব স্বর্ণ উদ্ধার করে।

    শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর গোপন তথ্যের ভিত্তিত যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের (BG-152) ভেতর থেকে তল্লাশির মাধ্যমে পরিত্যক্ত অবস্থায় সিটের নিচ থেকে ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ টাকা। উদ্ধার স্বর্ণের পুরোটাই কাস্টমস কর্তৃক জব্দ হওয়ায় স্বর্ণের মূল্যের পুরোটাই সরকারি রাজস্ব হিসেবে গণ্য হবে।

  • দুবাই থেকে আসা বিমানের সিটের নিচ ও শৌচাগারে ৩৪ কেজি সোনা

    দুবাই থেকে আসা বিমানের সিটের নিচ ও শৌচাগারে ৩৪ কেজি সোনা

    সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বিমানের সিটের নিচ ও শৌচাগার থেকে সোনার বার উদ্ধার করেছে কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিজি ২৪৮ বিমানটি অবতরণ করার পরপরই ভেতরে থাকা যাত্রীদের তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে সিটের নিচে রাখা ৩৪ কেজি ৩৫১ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

    এই ঘটনায় আটকরা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের চাঁদপুর গ্রামের মনোয়ার মিয়ার ছেলে মিশফা মিয়া, একই উপজেলার আছকর মিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কামাল বাজারের নবাগ গ্রামের ইরন মিয়ার ছেলে শানু মিয়া ও মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার পশ্চিম বরদমহল গ্রামের মঈনুদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান।

    বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাথমিক তল্লাশি শেষে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে আবারও তল্লাশি চালানো হতে পারে বিমানটিতে।

    ওসমানী বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাজেদুল করিম জানান, উদ্ধার সোনার মধ্যে ২৮০ পিস সোনার বার রয়েছে। যার ওজন ৩৪ কেজি ৩৫১ গ্রাম। এ ছাড়া ছয়টি পেস্ট করা সোনার ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন এক কেজি ৫৯১ গ্রাম। উদ্ধার সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

    তিনি জানান, বিমানের ৩২ জে এবং ২১ এবিসি সিটের নিচ ও বাথরুম থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

     

  • চট্টগ্রামে সাড়ে ৯ কেজি সোনাসহ ৪ জন আটক

    চট্টগ্রামে সাড়ে ৯ কেজি সোনাসহ ৪ জন আটক

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৯ কেজি ৬২৩ গ্রাম সোনা জব্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মইজ্জারটেক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    এ সময় চারজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন- অলোক ধর (২৫), নারায়ণ ধর (৩৮), জুলি ধর (৩৫) ও গীতা ধর (৩৮)।

    পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে কয়েকজন চোরাকারবারি অবৈধভাবে সোনার বার ও পাত আনছে- এমন খবরে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়। একপর্যায়ে একটি যাত্রীবাহী বাসের চারজন যাত্রীর শরীর তল্লাশি করে সোনাগুলো জব্দ করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, উদ্ধার হওয়া সোনাগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ কোটি টাকা। এ ঘটনায় আটক চারজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • শাহ আমানতে আবারও কবজার ভেতর গলানো সোনা!

    শাহ আমানতে আবারও কবজার ভেতর গলানো সোনা!

    চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দরজার কবজার মাঝখানে বিশেষভাবে তৈরী স্বর্ণের দণ্ড রেখে পাচারের সময় আরেকটি চালান জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত দুটি গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে চালানটি জব্দ করে।

    এর আগে গতকাল রবিবার একই কৌশলে আনা এক কেজি সোনা জব্দ করেছিল গোয়েন্দারা। আটক করা হয়েছিল এক যাত্রীকে।

    আজ আবারো ধরা পড়লো সেই কৌশল। কিন্তু আজ সোনার বারের সঙ্গে কাউকে আটক করতে পারেনি গোয়েন্দা দল।

    চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত এনএসআই’র এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক আগমনী কনভেয়ার বেল্টের কাছ থেকে যাত্রীবিহীন ১টি ব্যাগেজ হতে ২৪ ক্যারটের আনুমানিক ৭৩৬ গ্রাম ওজনের ১২টি লম্বা দণ্ড আকৃতির স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৯৬ টাকা।

    তিনি বলেন, আমাদের ধারণা একই চক্র এই সোনার বার কৌশলে আনছিল। গতকাল রবিবার ধরা পড়ার বিষয়টি জানতে পেরে আজকে ওই যাত্রী হয়তো সেগুলো রেখে সরে পড়েছে।

    জানা গেছে, গতকাল রবিবার ধরা পড়েছিল ১২টি সোনার দণ্ড আর আজকে ‌১২টি দণ্ড। তবে আজকে সোনার দণ্ডের সঙ্গে সোনার বার, ল্যাপটপ, মোবাইল মিলেনি।

  • শাহ আমানতে দরজার কবজার ভিতর ঢুকিয়ে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টাকালে আটক ১

    শাহ আমানতে দরজার কবজার ভিতর ঢুকিয়ে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টাকালে আটক ১

    চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত এক যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশী করে এক কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত শুল্ক গোয়েন্দা ও এনএসআই টিম। দরজার কবজার ভিতর ঢুকিয়ে সুকৌশলে স্বর্ণ পাচারের চষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। এসময় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

    রবিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

    আটক ব্যক্তির নাম- আবদুল করিম সজন। তিনি ফেনীর পরশুরাম এলাকার বাসিন্দা।

    জানা গেছে, আজ সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ফ্লাই দুবাই এর এফজেড-৫৬৩ নামের ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ বিমানের যাত্রী ছিলেন আবদুল করিম। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তার ব্যাগ তল্লাশী করে শুল্ক গোয়েন্দা ও এনএসআই সদস্যরা। এসময় দরজার কবজার ভিতরে সুকৌশলে রাখা ১১৬ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের বার (২৪ ক্যারেট),৭৪৬ গ্রাম ওজনের ১২ টি লম্বা দণ্ড আকৃতির স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট), ১০০ গ্রাম ওজনের চুড়ি (২২ ক্যারেট), তিনটি মোবাইল ফোন ও দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

    শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, দুবাই ফেরত ওই যাত্রী স্বর্ণগুলো দরজার কবজার ভিতরে ঢুকিয়ে সুকৌশলে তার ব্যাগেজে বহন করছিলেন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির হিসাব অনুযায়ী স্বর্ণগুলোর আনুমানিক বাজারদর ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৩ টাকা। উদ্ধার করা স্বর্ণ বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • শাহজালালে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

    শাহজালালে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

    ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ এক বাসচালককে আটক করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। বৃহস্পতিবার সকালে মো. হারুন অর রশীদ নামের ওই বাসচালককে ১৩ কেজি ৯৯০ গ্রাম স্বর্ণের বারসহ আটক করা হয়।

    ঢাকা কাস্টমস হাউজের একটি সূত্র জানায়, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ৩৪৩ নম্বরের একটি ফ্লাইট সকাল সাতটা পাঁচ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর ছিল, ইউএস বাংলার মালিকানাধীন যেসব পরিবহনের মাধ্যমে বিমানযাত্রীদের টার্মিনাল পর্যন্ত আনা নেওয়া করা হয় সেসব বাস এবং কারে লুকানো অবস্থায় স্বর্ণের বার চোরাচালান হবে।

    ঢাকা কাস্টম হাউজ টিম হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ২১ নম্বর গেইটের সামনে অবস্থান নেয়। যাত্রীরা নেমে যাবার কাস্টমসের টিম বাস ও কার ব্যাপক তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে (ঢাকা মেট্রো-স-১২-০১১৩) নম্বর বাসের চালক মো. হারুন অর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্কচটেপ মোড়ানো চারটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

    পরবর্তীতে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের কাস্টমস আগমনী হলের ব্যাগেজ কাউন্টারে ইনভেন্টিকালে চারটি প্যাকেটে ১২০টি স্বর্ণেরবার যার ওজন ১৩ কেজি ৯৯০ গ্রাম পাওয়া যায়। যার মূল্য ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

    ঢাকা কাস্টমস হাউজ সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট বাসটিতে অন্য কোনো ব্যক্তি ছিল না তাই বাসচালক হারুন অর রশীদ কোনো সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্রের যোগসাজসে স্বর্ণবারসমূহ চোরাচালানের চেষ্টা করেন।

    আটক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গাজীপুর জেলার সদর থানার মুলাইদ গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। তিনি রাজধানীর তুরাগ থানার বাউনিয়াবাদ এলাকায় বসবাস করেন।

    এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক মিয়া বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কাউকে আমাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।’

    জেএন/এমআর

  • সীতাকুণ্ডে ১কোটি ৭০ লক্ষ টাকার স্বর্ণের বারসহ দুইজন আটক

    সীতাকুণ্ডে ১কোটি ৭০ লক্ষ টাকার স্বর্ণের বারসহ দুইজন আটক

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশের অভিযানে ২০টি স্বর্ণের বারসহ চোরাচালানকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ।

    বুধবার দুপুরে উপজেলার পৌরসভার বাস ষ্টেশন এলাকায় মহাসড়কের অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    আসামীরা হলেন ১. বাসু পাল সুমন (৩৫), পিতা-সুনীল পাল,গ্রাম – কৈনপুরা (পাল পাড়া (সুনীল পালের বাড়ি),৮নং চাতরী ইউপি, থানা-আনোয়ারা, জেলা —চট্টগ্রাম,বর্তমান: সাং-০৪নং নজুমিয়া লেইন,পাথর ঘাটা,৮নং ওয়ার্ড,থানা-কোতয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ২. রতন পাল (৬০),পিতা-মৃত শশাংক পাল,গ্রাম-পালেগ্রাম(পাল পাড়া)৪নং ওয়ার্ড,কালীপুর ইউপি, থানা- বাঁশখালী। বর্তমান: সাং-০৪নং নজুমিয়া লেইন, পাথর ঘাটা, ৮নং ওয়ার্ড, থানা- কোতয়ালী, জেলা চট্টগ্রাম।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, এসআই পাপেল রায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ দুপুরে সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌরসভার বাস ষ্টোশন এলাকায় দুই জন যাত্রী হেটে যাওয়ার সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হইলে দুই আসামীকে আটক করে তাদের দেহ তল্লাশী করে জুতার ভিতর বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ২০ টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।

    সীতাকুণ্ড থানার ওসিতোফায়েল আহম্মদ জানান, ২০টি স্বর্ণের বারসহ দুই আসামিকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে এসে তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

  • শাহজালাল বিমানবন্দরের স্টাফ ও যাত্রীর কাছে মিললো ২ কেজি সোনা

    শাহজালাল বিমানবন্দরের স্টাফ ও যাত্রীর কাছে মিললো ২ কেজি সোনা

    ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় দুই কেজি সোনাসহ বিমানবন্দরে কর্মরত হেল্পলাইন স্টাফ ও এক যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তারা হলেন- জুয়েল (৩০) ও মো. আমজাদ হোসেন (৩৭)।

    রোববার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার পর এপিবিএনের গোয়েন্দা দল তাদের দুজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছে ১৬টি স্বর্ণের বার ও ৯৯ গ্রাম সোনার অলংকার সহ মোট এক কেজি ৯৫৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়।

    এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, দুবাই থেকে আসা এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যাত্রী জুয়েল (৩০) বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। আগে থেকে ফোনে যোগাযোগ করে রাখা হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

    ৪ নাম্বার অ্যারাইভাল লাগেজ বেল্টের কাছে দুজনের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে যাত্রী জুয়েল হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের কাছে একটি কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংক ও টেপে মোড়ানো চার পিস সোনার বার দেন। এসময় যাত্রী জুয়েলের কাছে আরও দুটি স্বর্ণবার ও ৯৯ গ্রাম ওজনের অলংকার ছিল’ বলেন এপিবিএনের এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

    এপিবিএন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, এপিবিএনের গোয়েন্দা দল সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের নজরে রাখে। গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পর তাদের দুজনকে আটক করা হয়। এসময় পাওয়ার ব্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ১০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। এছাড়া আমজাদের প্যান্টের পকেটে তল্লাশি করে আরও চারটি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। অন্যদিকে যাত্রীকে তল্লাশি করে আরও দুটি স্বর্ণবার ও অলংকারসহ মোট এক কেজি ৯৫৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়।

    পরে যাত্রী জুয়েল ও হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এপিবিএন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে তিনি এ সোনা সংগ্রহ করেন। ঢাকা পর্যন্ত সোনার বারগুলো পৌঁছে দিতে পারলে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার কথা তার। সে জন্যই তিনি বিমানবন্দরে কর্মরত হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সোনা চোরাচালান করার পরিকল্পনা করেন।

    যাত্রী দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষারত এক বাংলাদেশি ব্যক্তির কাছে থেকে এ সোনা সংগ্রহ করেন। ঢাকায় এসে প্রথমেই তিনি আমজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বেল্ট এলাকায় সোনা লুকিয়ে রাখা পাওয়ার ব্যাংক ও স্বর্ণবার দেন। কিন্তু আমজাদ ও জুয়েল এপিবিএনের অভিযানে ধরা পড়ে যায়।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, এর আগেও তারা একই পদ্ধতিতে চোরাচালান করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। এক সপ্তাহ আগেও একটি চোরাচালানে সহযোগিতা করায় আমজাদ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন।

  • বাস থেকে ৬৩৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ১২

    বাস থেকে ৬৩৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ১২

    রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে যাত্রীবাহী দুটি বাস থেকে প্রায় ৬৩৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ভারতীয় নাগরিকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    শনিবার (২৬ নভেম্বর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাবু বাজার ব্রিজের কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

    শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    আটক হওয়া যাত্রীরা হলেন, রাহাত খান (৩৩), মোহসিন আল মাহমুদ (২৯), কাজী মামুন (৩৪) ও সৈয়দ আমীর হোসেন (৩৪), শামীম (২৩), মামুন (৩৭), বশির আহমেদ কামাল (৩৭), মামুন সরকার (৩৭), আতিকুর রহমান মীনা (৪২)। এছাড়া তিন ভারতীয় নাগরিক হলেন, নবী হুসাইন (৪৬) শাহাজাদা (৪৭) ও মোহাম্মদ ইমরান (৩৭)।

    শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংস্থাটির উপ-পরিচালক সানজিদা খানমের নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল রাত ৩টার দিকে ঢাকার মাজার রোড (গাবতলী) থেকে বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে দর্শনাগামী পূর্বাশা পরিবহন (গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩৫৩৭) এবং রয়েল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩৬৮৬) নামে দুটি এসি বাসে তল্লাশি চালায়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুলকুটিয়া এলাকায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গোয়েন্দা টিম পুলিশের সহযোগিতায় বাস দুটির ভেতরে উঠে সন্দেহভাজন যাত্রীদের শনাক্ত করে। এরপর তাদের পার্শ্ববর্তী ঝিলমিল হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেডে নিয়ে এক্স-রে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করে মোট ১২ জন যাত্রীর মধ্যে ৫ জনের রেক্টাম এবং সাত জনের লাগেজের হ্যান্ডলবার, মানি ব্যাগ কাঁধ ব্যাগ এর বিভিন্ন অংশে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় মোট ৭ হাজার ৪৩২ গ্রাম বা ৬৩৭.১৭ ভরি স্বর্ণের উদ্ধার করে। কিন্তু তাদের কাছে এসব স্বর্ণ বার আমদানি বা ক্রয়ের স্বপক্ষে বৈধ কোনো দলিল পাওয়া যায়নি।

    উদ্ধার করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। প্রাথমিক অনুসন্ধানে শুল্ক গোয়েন্দা মনে করে, জব্দ করা স্বর্ণবারগুলো চোরাচালানের জন্য ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আসামিরা সরাসরি স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

  • বিমানের সিটের নিচে মিলল ৫৬ পিস স্বর্ণের বার

    বিমানের সিটের নিচে মিলল ৫৬ পিস স্বর্ণের বার

    চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিমানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় কেজি ওজনের ৫৬ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। বারগুলো বিজনেস ক্লাসের একটি সিটের নিচে কালো স্কচ টেপ মোড়ানো বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ছিল।

    শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক (চট্টগ্রাম) সাইফুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সদস্যরা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। সকাল ৮ টা ২২ মিনিটে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবরতণ করলে যৌথ দল অভিযান কার্যক্রম শুরু করে। এক পর্যায়ে ফ্লাইটটির বিজনেস ক্লাসের ০৪৭ সিটের নিচ থেকে কালো স্কচ টেপ মোড়ানো বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ৫৬ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। তবে ওই সিটে কোনো যাত্রী ছিল না।

    শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান আরও জানান, উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলোর ওজন প্রায় সাড়ে ছয় কেজি। বারগুলোর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

    শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বিজনেস ক্লাসের ওই সিটে কোনো যাত্রী না থাকায় দ্য কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, মালিকবিহীন হলেও কাস্টমস গোয়েন্দার পক্ষ থেকে পতেংগা থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

     

     

  • শাহ আমানত বিমানবন্দরে সোনাসহ যাত্রী আটক

    শাহ আমানত বিমানবন্দরে সোনাসহ যাত্রী আটক

    চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১ কেজি ২৪৫ সোনা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ওই যাত্রীর কাছ থেকে ৯ কেজি সিসা বার ও কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

    বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রী মোহাম্মদ মাসুদ রানার কাছ থেকে এগুলো জব্দ করা হয়। পরে তাকে আটক করা হয়।

    শুল্ক গোয়েন্দা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম সুলতান মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, খবর আসে দুবাই থেকে এক যাত্রী লুকিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসছেন। তথ্যের ভিত্তিতে বিমান বাংলাদেশের বিজি-১৪৮ ফ্লাইট তল্লাশি করে এক যাত্রীর শরীর ও বিমানের সিটে রাখা অবস্থায় ১ কেজি ২৪৫ গ্রাম ওজনের সোনা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৯ জেজি সিসা বার ও কয়েকটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় যাত্রী মাসুদ রানাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।