Tag: স্বাস্থ্য

  • ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসছে

    ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসছে

    ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি আরও ২৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে আসছে। ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি কার্গোবাহী উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে টিকার এই চালান নিয়ে সোমবার রাত সোয়া ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

    স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, কোভ্যাক্সের আওতায় এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য খাতের অন্য কর্মকর্তারা টিকার চালান বুঝে নিতে বিমানবন্দরে থাকবেন।

    কোভ্যাক্সের আওতায় গত ৩১ মে প্রথম চালানে এক লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা বাংলাদেশে আসে। ১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় চালানে আসে আরও ১০ লাখ তিন হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা। এরপর এবার ২৫ লাখ টিকা পৌঁছালে দেশে আসা ফাইজারের টিকার মোট পরিমাণ হবে ৩৬ লাখ চার হাজার ৪৮০ ডোজ। গত ২১ জুন দেশে ফাইজারের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। সংরক্ষণ আর পরিবহনে জটিলতার কারণে প্রাথমিকভাবে কেবল ঢাকায় বাছাই করা কয়েকটি কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হয়।

    এন-কে

  • সদ্য নিযুক্ত স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানের স্ত্রী কামরুন্নাহারও মারা গেলেন করোনায়

    সদ্য নিযুক্ত স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানের স্ত্রী কামরুন্নাহারও মারা গেলেন করোনায়

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সদ্য নিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের সহধর্মিণী কামরুন্নাহার জেবু। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    শনিবার (১৩ জুন) রাত পৌণে ১২টার সময় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার জাকির হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

    জানা যায়, করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১১জুন বৃহস্পতিবার সচিব মো. আব্দুল মান্নানের স্ত্রী কামরুন্নাহারকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।আব্দুল মান্নানের স্ত্রী করোনায় মারা গেছেন

    কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার রাতে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

    কিশোরগঞ্জের আলোচিত সন্তান আব্দুল মান্নান চট্টগ্রামের সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও সাবেক জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের সংসারে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য পরিচালককে সুরক্ষা সামগ্রী দিলেন এনডিএম চেয়ারম্যান

    চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য পরিচালককে সুরক্ষা সামগ্রী দিলেন এনডিএম চেয়ারম্যান

    ২৪ ঘণ্টা সংগঠন সংবাদ : করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য পিপিই ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিলেন রাজনৈতিক দল তৃণমূল এনডিএম এর চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী খোকন চৌধুরী।

    তিনি দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের নিকট এসব সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন। এরমধ্যে ৫০ পিস পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস রয়েছে।

    সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তরের সময় তিনি যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম দিয়ে সাহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অ্যামনেস্টির উদ্বেগ

    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অ্যামনেস্টির উদ্বেগ

    বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

    একইসঙ্গে বেগম জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

    বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারান্তরীণ ৭৪ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্যে চরম অবনতি হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। কারাগারে অসুস্থ হওয়ার কারণেই তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন গত ১২ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে বাতিল হয়ে যায়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজাসহ মোট ১৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

  • কথা রেখেছেন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, ত্রিপুরা পল্লীর দুর্গম গ্রাম হচ্ছে শহর!

    কথা রেখেছেন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, ত্রিপুরা পল্লীর দুর্গম গ্রাম হচ্ছে শহর!

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাটহাজারী উপজেলার দুর্গম এলাকা মনাই ত্রিপুরা পল্লীতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সার্বিক জীবন মান উন্নয়নের জন্য অঙ্গীকার করেছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

    চলতি বছরের আগস্ট মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের সহযোগীতায় প্রথমবারের মতো দুর্গম এ পাহাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। তখন এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছিলেন। কথা দিয়েছিলেন পাহাড়ি দুর্গম এলাকার সকল সমস্যা নিরসনে তিনি সার্বিক সহযোগীতা করে যাবেন।

    তিনি কথা রেখেছেন। আজ মঙ্গলবার মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩০ জন শিশুদের হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন স্কুল ইউনিফর্ম, স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম, পানির বোতল, রেইনকোট, হ্যান্ডওয়াশ এবং বিভিন্ন ক্রীড়া উপকরণ (ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন)।

    দুপুরে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় এসব ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি এসব সামগ্রী বিতরণ করেন।

    এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে দৃঢ প্রতিজ্ঞ জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন। এ লক্ষ্যে ত্রিপুরা পল্লীর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নে এ এলাকায় দ্রুতই প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ, গৃহহীনদের জন্য দূর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনসহ নানান উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেছেন তিনি।

    ত্রিপুরা পাড়ার জনসাধারণ প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেও যাতে শহরের সকল সুবিধা ভোগ করতে পারে এজন্য মঙ্গলবার দুপুরে দ্বিতীয় বারের মতো দুর্গম এলাকায় উপস্থিত হয়ে এলাকায় দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।

    আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইসতেহারে বলেছিলেন গ্রাম হবে শহর। তাই প্রত্যেক গ্রামকে শহরের আদলে সাজাতে সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করছেন। সরকারের উন্নত দেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

    সরকারের এ চ্যালেন্সকে সামনে রেখে ফরহাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়ার অবহেলিত ত্রিপুরা পল্লীর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। যে ত্রিপুরা পল্লীতে কোন স্বাস্থ্য, শিক্ষা,স্যানিটেশন,যোগাযোগ, বিনোদন, বিদ্যুৎ,ধর্মীয় উপাসনালয় ছিল না। বর্তমানে এ পল্লীবাসী এসব বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। এসব সমস্যার বেশীর ভাগই সমাধান হয়েছে। বাকী সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য প্রশাসন কাজ করছে।

    শুস্ক মৌসুমে ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এইচবিবি সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। অবহেলিত এ পল্লীর অধিবাসীদের দূর্যোগ সহনীয় বাসস্থান নির্মাণের উদ্যেগ গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির এ পল্লীকে মডেল হিসাব গড়ে তুলে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে গ্রামকে শহরের পরিণত করার অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

    ত্রিপুরা পল্লী চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, হাটহাজারী প্রেসক্লাবের সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, ১নং ফরহাদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো, ইদ্রিস মিয়া তালুকদার।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিয়াজ মোরশেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম এমরান ও ত্রিপুরা পল্লীর অধিবাসীদের পক্ষে সচিন ত্রিপুরা। পরে অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ, স্কুল ড্রেস, ক্রীড়া সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করেন।

    সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না। স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম, ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবরসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামের বিপুল জনগোষ্ঠী পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত : সুজন

    চট্টগ্রামের বিপুল জনগোষ্ঠী পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত : সুজন

    অনিয়ম দূর্নীতি ও চিকিৎসা বেনিয়াদের হাত থেকে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা রক্ষা করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ (২ অক্টোবর) বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর এর সাথে তাঁর দফতরে এক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী। জনসংখ্যার দিক থেকে ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। সে কারনেই জীবন ও জীবিকার তাগিদে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর বসবাস এই চট্টগ্রামে।

    কিন্তু এই বিপুল জনগোষ্ঠী পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই ধারন ক্ষমতার অধিক রোগী ভর্তি হন। সিট স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ রোগীকে মেডিকেলের ফ্লোরে কিংবা বারান্দায় চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। সরকার নিয়মিত যন্ত্রপাতি ও ওষুধপথ্যের সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছে। আছে চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী। শুধু নেই জনগনের কাংখিত চিকিৎসাসেবা।

    তিনি আরো বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবার নামে রোগীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগীদের যাচ্ছেতাই লুটতরাজ করছে। নগরীর বিভিন্ন অলি গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা ক্লিনিকগুলোর উপযুক্ততা কিংবা প্রয়োজনীয় সংখ্যক যন্ত্রপাতি আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। ক্লিনিকগুলোর বিভিন্ন প্যাথলজী পরীক্ষার রেইট এবং রুমের ভাড়া প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে। তাছাড়া রোগী ভর্তি হওয়ার পূর্বেই রোগীর আনুসাঙ্গিক খরচ সম্পর্কে একটা পূর্ব ধারনা দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে যে, রোগীর বিলের কোন প্রকার ধারনা ছাড়াই রোগীকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হচ্ছে পরবর্তীতে বিশাল অংকের একটা বিল রোগীকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা নিয়ে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগীর এবং রোগীর আত্নীয় স্বজনদের সাথে বাদানুবাদ লেগেই থাকে। হরহামেশাই একই রকম পরীক্ষা একেক ক্লিনিকে একেক রকম রিপোর্ট দিচ্ছে যা রোগীদের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    এছাড়াও শুক্রবার এবং শনিবার মেডিকেলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পাওয়া যায় না ফলতঃ এই দুইদিন রোগীরা আতংকিত অবস্থায় থাকে।

    তিনি ক্লিনিক মালিকদেরকে কমপক্ষে মাসে দুইদিন বহিঃবিভাগে দুঃস্থ ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিও’র একটি অংশ দরিদ্র রোগীদের জন্য বরাদ্ধ রাখার আহবান জানান।

    তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ইতিমধ্যে ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এতো বিপুল জনগোষ্ঠীর তুলনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক।

    তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকল্পের মতো নগরীর প্রতি থানা অথবা দুই থানার কেন্দ্রস্থলে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।

    তিনি বন্দরের হাসপাতালেও সাধারণ রোগীদের জন্য ২৫ শতাংশ সিট বরাদ্ধ রাখার দাবী জানান।

    সুজন স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর থেকেই বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডাঃ লিয়াকত আলীর সাথে ফোনে কথা বলে জনগনের এসব দুরবস্থার কথা অবহিত করেন এবং বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সমিতির সাথেও উপরোক্ত বিষয়ে মতবিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্লিনিকের সামনে প্রতীকি অনশন পালন করা হবে বলে জানান সুজন।

    এছাড়া প্রতিটি ক্লিনিকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়েছে কিনা সেটিও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যাচাই করা হবে।

    তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ক্লিনিক্যাল এবং প্যাথলজীক্যাল বর্জ অপসারনের আধুনিক কোন ব্যবস্থা এখানে নেই। যার ফলে ক্লিনিক্যাল এবং প্যাথলজীক্যাল বর্জগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে সারা শহরে রোগ জীবানু ছড়াচ্ছে।

    তিনি অতিসত্বর সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলাপ আলোচনা করে ইনডোর এবং আউটডোর বর্জ্য অপসারনে একটি সমন্বিত আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর প্রতি আহবান জানান।

    চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে তাঁর দফতরে মতবিনিময় করতে আসায় নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।

    তিনি নাগরিক উদ্যোগের প্রতিটি দাবীর সাথে সহমত প্রকাশ করেন এবং এসব দাবী বাস্তবসম্মত বলে অভিহিত করেন।

    তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জনগনকে সুলভে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার যে প্রয়াস চলমান রয়েছে সে প্রয়াসে নাগরিক উদ্যোগের প্রতিটি সদস্যকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, দেশের এতো বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠীর দ্বারে দ্বারে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার যে অঙ্গীকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেছেন তা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে ধারণ করে আমরাও দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। তবে হ্যাঁ এতো বিপুল পরিমান রোগী সাধারণকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু অব্যস্থাপনা হতে পারে। আমাদেরও লোকবলের সংকট রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের সর্বাত্নক চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।

    তিনি নাগরিক উদ্যোগের দাবীগুলো নিয়ে মন্ত্রী, সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক এবং ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল সুকুমার দত্ত, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোঃ শাহজাহান, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী, স্বরূপ দত্ত রাজু, হাসান মোঃ মুরাদ, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, মাহফুজ চৌধুরী, সরওয়ার্দী এলিন, মনিরুল হক মুন্না, আজম আলী জুয়েল প্রমূখ।