Tag: স্বাস্থ্যকর্মী

  • সেবাবঞ্চিত রোগীরা ফিরে যাচ্ছে বাড়ীতে,রায়পুরে কমিউনিটি ক্লিনিকে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত ২ স্বাস্থ্যকর্মী

    সেবাবঞ্চিত রোগীরা ফিরে যাচ্ছে বাড়ীতে,রায়পুরে কমিউনিটি ক্লিনিকে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত ২ স্বাস্থ্যকর্মী

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃলক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ২ কমিউনিটি ক্লিনিকের দুই কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকে মাসে মাসে বেতন-ভাতা গুনছেন।

    প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ-ক্লিনিকগুলো খুলতে খুলতে সকাল ১০টা বাজিয়ে দেয়।আবার দুপুর ১টা না বাজতেই বন্ধের তোড়জোড় শুরু করে।সরকারি দেওয়া ঔষধ আমাদের দেওয়া হয়না।কোনো কোনো সময় ঔষধ নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় রোগীদের।

    বেশীরভাগ সময়ই অনুপস্থিত থাকেন কর্মরত উত্তর চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিক সিএইচপি মো: মহসিন ও পূর্ব চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি মো: শহীদুল ইসলাম।

    নিয়ম অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে দুইদিন একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, ছয়দিন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন একজন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী উপস্থিত থাকার কথা।

    বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিকের রুম তালাবন্ধ পাওয়া যায়।
    সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা মিলেনি সিএইচপি মো: মহসিন মিয়া ও সকালচসাড়ে ১১টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মো: শহীদুল ইসলাম ও তাদের কোনো সহকর্মীর। সরকারি ছুটি ব্যাতীত কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার কথা না থাকলেও অনুপস্থিত রয়েছেন এই দুই সিএইচপি।

    এবিষয়ে মহসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান,আমি রায়পুরে আছি।আমাদের এফডাব্লিউ এর শামসুন্নাহর রয়েছে, উনাকে থাকার জন্যে বলেছি ।উনী কি আছি এখানে? উনার সাথে কথা বলা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন,’আমি উনাকে ফোন করতেছি।’

    উনী তো এখানে নেই। কোথায় গিয়েছন? সুদুত্তরে বলেন, মাঠ পর্যায়ে হয়ত কোথাও গিয়েছে। ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, বাবুল ডাক্তারের কাছে নিয়েছি।

    এদিকে পূর্ব চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি শহীদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    এবিষয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন বলেন, যদি কেউ কর্মক্ষত্রে অনুপস্থিত থাকেন,তাহলে সেক্ষেত্রে ছুটি নিতে হবে।জরুরী প্রয়োজনে কোথায় যেতে হলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতিকে অবহিত করতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের লোকজন ঠিক মত কাজ করছেন কিনা তা দেখার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে।কমিটির দায়িত্বে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।

    ইউপি সদস্য রুকন দেওয়ান বলেন, মোহসিন এর আগে যতবার ছুটি কাটিয়েছে তা অবগত করেছে।এই সপ্তাহে ছুটির বিষয়ে কোনো কিছু সে জানায়নি।

    এদিকে গত ১ সপ্তাহ যাবত যে সকল স্বাস্থ্যকর্মী ছুটির জন্য আবেদন করেছে, তাদের মধ্য এই দুজনের নাম নেই।

    তথ্য অনুযায়ী, গ্রা‌মের মানু‌ষের জন্য প্রাথ‌মিক স্বাস্থ্য প‌রিচর্যা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, বিনামূ‌ল্যে ওষুধ, পু‌ষ্টি, গর্ভবতী, প্রসূ‌তি ও নবজাত‌কের সেবার ব্যবস্থার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি সাবেক ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করার লক্ষ্যে মাঠে নামে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার।

    ২০০১ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক চালু করে সে সময় সরকার। তবে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আবার চালু করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা।

    গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সর্বস্তরের মানুষ ক্লিনিক থেকে সেবা নেয়। তবে সেবা গ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশ দরিদ্র বা অতিদরিদ্র।সেবাগ্রহীতাদের ৭৭ শতাংশই নারী।প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে দুই মাস অন্তর সরকারিভাবে ২৭ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হয় প্রতিটি ক্লিনিকে। আর একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মূল বেতন ১০ হাজার ২০০ টাকা। সর্বসাকুল্যে পান ১৬ হাজার ৭০০ টাকা। যা প্রতিমাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমে চলে যায় চাকুুুরীজীবির একাউন্টে। সবকিছুু ঠিকমতো পেলেও নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা।

    এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আশফাকুর রহমান মামুন বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

  • খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনা আক্রান্ত ২, মধ্যরাত থেকে জেলায় আবারো লক-ডাউন

    খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনা আক্রান্ত ২, মধ্যরাত থেকে জেলায় আবারো লক-ডাউন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কর্মীসহ আরও ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

    সোমবার রাতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২ জন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ।

    তিনি জানান,‘আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তিনি উপজেলায় করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ করতেন। গত ১৪ মে তার নিজের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানোর সোমবার রাতে পজেটিভ রির্পোট আসে।

    স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্তের ঘটনায় রামগড়ে আরো করোনা রোগী থাকার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসাদের নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আক্রান্ত অন্যজন জেলার পানছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম ফেরত। তিনি বর্তমানে হোম কোয়ারান্টাইনে আছেন। ’

    এই নিয়ে জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১জন।

    এদিকে জেলায় সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত ১২টার পর থেকে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত পুরো জেলায় আবারও লক-ডাউন জারি করেছের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

    তিনি জানান, এ সময়ে জরুরী পরিষেবা ছাড়া আর কাউকেই জেলার তিনটি প্রবেশমুখ দিয়ে ঢুকতে-বেরোতে দেয়া হবে না। রামগড়-মহালছড়ি ও মানিকছড়িতে চেক পোস্ট দিয়ে গমনাগমন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তাছাড়া জেলার ভেতরেও এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় কেউ চলাচল করতে পারবেন না।

    জেলা প্রশাসকের এই সিদ্ধান্তকে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই লক-ডাউন মানতে সাধারণ মানুষ রাজনীতিক-জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • ডিমলার স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত

    ডিমলার স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নমুনা সংগ্রহকারী স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

    এ ঘটনায় ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির প্যাথলজি বিভাগটি লকডাউন করা হয়েছে ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সেখানে অন্যান্য সেবা সীমিত পরিসরে চালু থাকবে বলে উপজেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।

    বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল)রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র হতে নীলফামারী জেলায় দুইজনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।তারা হলেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব

    সহকারী(প্যাথলজিষ্ট)করোনা নমুনা সংগ্রহকারী(৪২) ও ঢাকা ফেরত শ্রমিক নীলফামারী জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা(২০)।

    আক্রান্ত ওই দুইজনকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে।

    এ নিয়ে জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা ও রংপুরের এক সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭জন।

    জেলায় গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে ৫২জনসহ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এক হাজার ১৪০জন।

    উল্লেখ্যঃ-নীলফামারী জেলায় এ পর্যন্ত ১৭জন কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড হতে ৬ জন সুস্থ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • নারায়ণগঞ্জে খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে নতুন ৩জনসহ ৩০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত

    নারায়ণগঞ্জে খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে নতুন ৩জনসহ ৩০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৬৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন দেশের হটস্পট নারায়ণগঞ্জে।

    এরমধ্যে নতুন করে আরো তিন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে।

    খানপুর ৩’শ শয্যার এ হাসপাতালটিতে এ নিয়ে মোট ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

    হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. শামসুদ্দোহা সরকার সঞ্চয় সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালটি নতুন করে আরো তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে গেছেন।

    ডা. শামসুদ্দোহা সরকার বলেন, এর আগে তত্ত্বাবধায়ক, ডাক্তারসহ ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩০।

    তিনি গণমাধ্যমে আরো বলেন, আমরা নতুন টিম ও বিকল্প ব্যবস্থায় হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পুরোদমে চালু রেখেছি। বর্তমানে ৪৩ জন কোভিড-১৯ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।

    এর আগে সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর সূত্রে জানা গেছে হটস্পট নারায়ণগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭৪ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৯ জন।

    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২২৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৬৯৯ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৫ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে ৪২ জন মৃত্যু বরণ করেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য : খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি