Tag: স্বাস্থ্যবিধি

  • ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়লো চলমান বিধিনিষেধ

    ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়লো চলমান বিধিনিষেধ

    করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে আরও পাঁচ দিন (১০ আগস্ট পর্যন্ত) বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে সকল অফিস আদালত, গণপরিবহন ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে।

    আজ (৩ আগস্ট) মঙ্গলবার, সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা মানুষের চলাচল সহজ করে দেব। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কঠোর হব। আগামী সাত দিনে আমরা ১ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেব। ১৪ হাজার কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষকে ওয়ার্ড পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

    তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব। আশা করি সকলে নিজ দায়িত্বে কেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে দুইটি করে কেন্দ্র থাকবে, আর সিটিতে থাকবে ৫/৬টি কেন্দ্র।

    মন্ত্রী বলেন, ১১ তারিখে সকল পর্যায়ের মানুষ যারা কাজ করছেন তারা ভ্যাকসিন নেবেন এবং সনদ নিয়ে কাজে যোগ দেবেন। দেশের আঠারো বছরের উপরে সকল নাগরিক ভ্যাকসিন নেবেন। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদের মানাতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হবে। আমরা জানিনা করোনার সংক্রমন কবে কমবে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

  • টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    করোনার টিকা নেয়ার পরও সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এ ছাড়া দেশের সব পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দ্রুত টিকা দেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

    করোনা মোকাবিলায় ফ্রন্টলাইনারদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নেতাকর্মীরা নিবন্ধন করলে তাদেরও টিকা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়মতো টিকাদান কর্মসূচি কার্যকর করতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে যে ভীতি আছে, তা দ্রুত কেটে যাবে।

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসন্ন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করা হবে।

    মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হওয়া আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম। সভায় জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩০ অক্টোবর ) সারা দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে।

    সভায় ধর্ম সচিব জানান, কভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসন্ন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করা হবে।

    সভায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাণী প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

    এতে জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর রাতে সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ আলোক সজ্জা করা হবে।

    সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রানা

  • সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, জীবন চলতে থাকবে, জীবন স্থবির থাকতে পারে না। তার পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধিটা একটু মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আজ রবিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু তার পরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। যতটুকু সম্ভব উন্নয়নের গতিটা ধরে রাখার চেষ্টা করছে সরকার।

    তিনি বলেন, করোনার কারণে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ অনেককে হারিয়েছি। দেশবাসীর কাছে এটুকু বলব, আসুন সবাই মিলে দোয়া করি, আল্লাহ যেন এ মহামারী থেকে আমাদের মুক্তি দেন। এটি শুধু বাংলাদেশ বলে নয়, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। মানুষ যেন করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, সেটিই আমরা চাই।

    গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয় একদিনে ৩ হাজার ৫৩১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৯ জন। সব মিলে দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ বারো হাজার ৩০৬ জন। মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬৪ জনে। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৭৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের আনোয়ারায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৎস্য অধিদপ্তরের দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ২৫ জেলে অংশ গ্রহণ করে।

    শনিবার (২০ জুন) উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের কানুমাঝির হাট এলাকায় ২৫ জন মৎস্য জীবিকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।

    কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রাশিদুল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা জাহেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ এনামুল হক।

    এসময় ২৫ মৎস্য জীবিকে হাতে কলমে মৎস্য আহরন ও উৎপাদন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/জাবেদুল

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

    করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর আজ থেকে চলাচল শুরু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন।

    রোববার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ এবং ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’, ঢাকা-সিলেট রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’, ঢাকা-রাজশাহী রুটের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটের ‘লালমনি এক্সপ্রেস’, ঢাকা-সিলেট রুটের ‘উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ এবং ঢাকা-খুলনা রুটের ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ চলবে।

    সকাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রীরা ট্রেনে উঠছেন। শরীরের তাপমাত্রা মেপে, জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ও পা পরিস্কারের পর ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।

    রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রোববার সকাল ৭টায় বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি করে আসন ফাঁকা রেখে বসেছেন যাত্রীরা।

    রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনে কোনো খাবার দেওয়া হবে না। বার্থ শ্রেণিতে দেওয়া হবে না বালিশ, কম্বল। ট্রেনের ভেতর হাঁটাচলা ও অন্য বগিতে যাওয়া যাবে না। টয়টেল ব্যবহার করতে হবে নিয়ম মেনে। ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে আসতে হবে। এরপর স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে ঢুকতে পারবেন না। অসুস্থ ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

    প্রথম দিনে আটটি আন্তঃনগর ট্রেন ‘বেস স্টেশন’ থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। ৩ জুন থেকে চলবে আরও ১১টি ট্রেন। ১৫ জুন পর্যন্ত ১০০টি আন্তঃনগরের মাত্র ১৯টি চলবে। স্টেশনে ভিড় এড়াতে সব টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।

    ঢাকার যাত্রীদের কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে হবে। ভিড় এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দর, টঙ্গী ও জয়দেবপুর স্টেশনে কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে না। নির্দিষ্ট দরজা দিয়ে ট্রেনে উঠতে ও নামতে হবে।

    শনিবার বিকেল থেকে ট্রেনের টিকিট ছাড়া হয়েছে অনলাইনে। তবে অধিকাংশ যাত্রী বলছেন, টিকিট ছাড়ার পর তারা সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেননি। সার্ভারে ঢুকতে পারলেও কেবিন ও উচ্চ শ্রেণির টিকিট পাননি। রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ সময়ের তুলনায় মাত্র সাড়ে ৯ শতাংশ টিকিট ছাড়া হয়েছে। তাই সংকট থাকাই স্বাভাবিক।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই বসেছে গবাদিপশুর হাট

    ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই বসেছে গবাদিপশুর হাট

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁও জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে গবাদিপশুর হাট।

    শনিবার (৩০ মে) দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের খোঁচাবাড়ি হাটে গেলে এমনি চিত্রটি চোখে পড়ে। সপ্তাহে দুই দিন বসে এই হাটটি।

    সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশের জগন্নাথপুর খোঁচাবড়ি হাটে সকাল থেকে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শতাধিক লোক নিয়ে গাদাগাদি চলছে গবাদিপশুর হাটটি। সেই সাথে বেশির ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। সীমিত পরিসরে ও সামাজিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও কিছু মানা হচ্ছেনা সেখানে।

    ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

    হাটে ছাগল কিনতে আসা শাকিল আহমেদ নামের এক ক্রেতা জানান, এসেছি বাসার জন্য ছাগল কিনবো বলে। কিন্তু এখানে এসে দেখি অনেক লোকের সমাগম। সেই সাথে এখানে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব,একদম গাদাগাদি করেই পশুর হাটটি চলছে। তাই ছাগল না কিনেই চলে যেতে হচ্ছে। যদি এভাবেই চলে তাহলে আমাদের জেলার জন্য এটি ক্ষতিকর ।

    আব্দুল আজিজ নামের আরেক ক্রেতা জানান,হাটের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের জেলায় করোনা বলতে কিছু নেই। আমি মাস্ক পড়ে থাকলেও হাটের বেশির ভাগ মানুষ মাক্স তো দূরের কথা কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। আমার মতে এভাবে যদি এই হাট চলে তাহলে আর বেশি দিন নেই আমাদের জেলাও প্রচুর হারে বেড়ে যাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

    হাটে গরু বিক্রি করতে আসা বিক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন,বেশ কিছু দিন ধরেই করোনার কারনে কোন আয় রোজগার নেই। আজ হাট খুলেছে তাই একটি গরু বিক্রি করতে আসেছি। মুখে মাক্স কেন পরেন নি এমনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,অনেকেই তো পড়েনি তাই আমিও পড়িনাই। তবে পকেটে রয়েছে মাক্স।

    আব্দুল বাশার নামের আরেক বিক্রেতা বলেন,আমার দূরত্ব মেনেই আছি তবে ক্রেতারা যদি না বুঝে আমরা কি করবো। আমরা চেষ্টা করি যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,পশুর হাটে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারন এটা আমাদের নিজেদের জন্য ভালো। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বেশি জনসমাগম মানেই করোনার সংক্রামণের ঝুঁকি। আমরা ইতিমধ্যে হাটের ইজারাদরদের সাথে কথা বলেছি এই বিষয় নিয়ে। তারা এর পর থেকে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাট চালাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • কাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের বিভিন্ন রুটে ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে

    কাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের বিভিন্ন রুটে ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল রোববার থেকে সীমিত আকারে বিভিন্ন রুটে ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল কববে। আগামী ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালু হবে।

    তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে টিকিটের দাম বাড়বে না।

    আজ শনিবার দুপুরে রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে ট্রেন চালুর বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।

    রেল মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু বাসে ভাড়া বাড়ানোর একটা প্রক্রিয়া চলছে। আপনারা জানেন রেল সরকারি সেবামুলক পরিবহন। তাই আমরা এখানে কোন ভাড়া বাড়াবো না। আগের ভাড়াই চলবে। এ কারণে রেলের যাত্রী বেড়ে যাবে।’

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যই আমরা ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করব। ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে। একই সাথে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনের বালিশ, কাঁথা এগুলো দেওয়া হবে না। তাছাড়া করোনার এই সময় ট্রেনে কোন ধরনের খাবার সরবরাহ করা হবে না।

    ট্রেনের যাত্রীদের উদ্দেশ্যে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। ট্রেনে যাত্রা করার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। টিকিট ছাড়া কোন যাত্রী ট্রেনে উঠবেন না। তাছাড়া বিমানবন্দর স্টেশন থেকে কোন যাত্রী তোলা হবে না। সবাইকে কমলাপুর স্টেশন থেকে উঠতে হবে।

    রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সঙ্গে নিতে হবে। তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টিকেট ছাড়া প্লাটফরমে প্রবেশ করা যাবেনা। দর্শনার্থী / প্লাটফরম টিকেট বিক্রয় বন্ধ থাকবে।

    মাসিক/স্বল্পদূরত্বের যেমনঃ ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে কোন ট্রেন থামবে না।

    তিনি বলেন, প্রথম দফায় আগামীকাল থেকে যেসব রুটে চলবে আন্তঃনগর ট্রেন সেগুলো হলো, সুবর্ণ এক্সপ্রেস (চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম), উদয়ন এক্সপ্রেস (চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম), লালমনি এক্সপ্রেস (লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট), কালনী এক্সপ্রেস (সিলেট-ঢাকা-সিলেট), চিত্রা এক্সপ্রেস (খুলনা-ঢাকা-খুলনা), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা), বনলতা এক্সপ্রেস (চাপাইনবয়াবগঞ্জ-ঢাকা-চাপাইনবয়াবগঞ্জ), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড়)।

    এছাড়া দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩ জুন থেকে চালু করা হতে পারে আরো ৯ টি আন্তঃনগর ট্রেন, সেগুলো হলো , ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজর রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল, বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলহাটি, নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলহাটি, রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী, কপতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট, মধুমতি এক্সপ্রেস, চাট্টগ্রাম-চাঁদপুর, মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও ঢাকা-নোয়াখালী, উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, ঢাকা-চাঁদপুর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস।

    সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঠাকুরগাঁওয়ে মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি

    ঠাকুরগাঁওয়ে মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:একদিকে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, অপরদিকে ঈদ উপলক্ষে মার্কেটগুলোতে বেড়েই চলছে জনগনের উপচে পড়া ভিড়। ব্যাবসায়ি বা ক্রেতা কেও মানতেছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।

    শনিবার (১৬ মে) ঠাকুরগাঁও শহরের চৌড়াস্তায় গেলে এমনি চিত্রটি চোখে পড়ে। মহামারি করোনা ভাইরাসের এমন সময়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করেই চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের মার্কেট ও দোকানগুলো।

    জানা যায়, করোনাকালীন সতর্কতা এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার শর্তে সরকারের ঘোষণার পর গত রবিবার (১০ মে) থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ের মার্কেটগুলো খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। দিনের পর দিন মাকের্টগুলোতে জনগনের এমনি উপচে পড়া ভিড় দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সচেতন মহল। অনেকের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাতে বন্ধ করে দেয়া হয় মার্কেটগুলো।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকছেন শহরের এই মার্কেটের দোকনগুলো। জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকেই ঈদ মার্কেট করতে দলে দলে আসছেন ক্রেতারা। মার্কেটগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করা হলেও নেই যেন কোন সামাজিক দূরত্ব।

    অপরদিকে জেলা প্রশাসন ও চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষ থেকে সকল প্রকার নির্দেশনা ও মার্কেট মনিটরিং করা হলেও তারা সড়ে যাবার পরেই পাল্টে যাচ্ছে মার্কেটের চিত্র। কেউ যেন মানছেনা কিছুই। যার ফলে বেড়েই চলছে জেলায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

    চৌরাস্তা থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন শহরের হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আল মামুন। তিনি জানান, কোন কাজ ছাড়া কেউ যেন বাসা থেকে না বেড় হয় সেটার জন্য সরকার বার বার বলছে। কিন্তু আজ চৌড়াস্তার দিকে আসে বুঝা গেলো কি অবস্থা। মানুষ এভাবে স্বেচ্ছায় নিজের মৃত্যুকে ডেকে নিয়ে আসছে।

    মার্কেট করতে আসা ক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, বাসায় ছোট মেয়ে কাপড়ের জন্য বাহান ধরেছে। কিন্তু মার্কেটের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এখানে কাপড়ের বাজার নয় এটা যেন করোনার বাজার। এভাবে গা ঘেষে যদি মার্কেটগুলো চলে তাহলে তো মারাত্তক বিপদ। প্রশানের উচিত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। তা না হলে সামনে আমাদের এই শান্তির জেলায় বিপদ নামে আসবে।

    কাপড় বিক্রেতারা জানান, ঈদের কারনে ক্রেতার সংখ্যা একটু বেড়ে চলছে। দোকানের সামনে সার্কেল করে দেয়া হচ্ছে। যাতে করে দূরত্ব বজায় রাখার যায়। এছাড়াও দোকান গুলোতে জীবনুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন এসব মানতে চাচ্ছেনা। এরপরেও দূরত্বটি বজায় রাখার জন্য ত্রেতাদের বলা হচ্ছে।

    ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবার রহমান বাবলু জানান, বৃহস্পতিবার আমরা মার্কেটের ১০টি দোকান বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আজ সকালেও আমরা মার্কেটগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেট সহ পরিদর্শন করেছি। সেই সাথে সামিাজিক দূরত্ব সহ সকল নিময় মেনে চলার ব্যাপারে সকলকে অবগত করেছি। এরপরেও যদি মাকেটে উপচে পড়া এই ভিড়টি নিয়ন্ত্রণ করা না সম্ভব না হয় তাহলে মার্কেট বন্ধ করা হবে।

    ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজুর রহমান সরকার জানান, আমাদের সকলের উচিৎ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা। যদি এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলা হয় তাহলে করোনা ভাইরাসের আমাদের জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

    ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, জানান ইতিমধ্যে আমারা কয়েকটি দোকানে অভিযান করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়াও আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিনিয়ত মার্কেটগুলোতে মনিটরিং করে যাচ্ছে। আমরা চাই যাতে সকলেই সুস্থ থাকুক।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম