Tag: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় পরিণত করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় পরিণত করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শনকালে তিনি হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

    শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুযোগ-সুবিধাগুলো পর্যবেক্ষণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় পরিণত করার কথা জানান।

    তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হাওয়ায় এখানে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনায় আহত রোগী আসেন। এ কারণে এখানে ট্রমা সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আলাদা করে ট্রমা সেন্টার স্থাপন সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয় সাপেক্ষ। তাই আলাদা ভবন না করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে উন্নত করা হবে। যাতে দুর্ঘটনায় আহত যে কোন ধরনের রোগীকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়।

    সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস এম আল মামুন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম খুরশীদ আলম, সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নুর উদ্দিন রাশেদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরীসহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

  • জেলায় জেলায় বার্ন ইউনিট করার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    জেলায় জেলায় বার্ন ইউনিট করার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারলে শহরে রোগীর চাপ কমে আসবে। বাংলাদেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। দেখেছি সেখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবস্থা।

    আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদীতে অবস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাসাধক শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম পরিদর্শন ও পূজা-অর্চনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    সামন্ত লাল সেন বলেন, সারা জীবন অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো আছি। স্বাস্থ্য খাতে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি-অবহেলা সহ্য করা হবে না। ডাক্তারের অবহেলায় কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীদের স্বজনদেরও মাথায় রাখতে হবে, কোনো মৃত্যু হলে হাসপাতাল এসে ভাঙচুর করা কাম্য নয়। কী কারণে রোগীর মৃত্যু হলো, তাও খেয়াল রাখতে হবে।

    নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। সারা দেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    বাংলাদেশ বা বিশ্ব থেকে এখনো করোনা শেষ হয়ে যায়নি উল্লেখ করে সামন্ত লাল সেন বলেন, যারা অসুস্থ, বৃদ্ধ তারা জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত মাস্ক পরিধান করবেন।

    এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং তাঁদের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা, সতর্ক করল মন্ত্রণালয়

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা, সতর্ক করল মন্ত্রণালয়

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করছে একটি চক্র। এ চক্রের ফাঁদে পড়ে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে জন্য সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিচয় ব্যবহার করে সমাজের বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তির মেসেঞ্জার গ্রুপে অসাধু উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। প্রকৃতপক্ষে, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ডা. সামন্ত লাল সেনের কোনো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে খোলা সকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অবৈধ, ভুয়া ও প্রতারণামূলক। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত ও প্রতারিত না হতে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ রইল।

  • লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    লাইসেন্স না থাকা সারাদেশের সব হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

    মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এমন নির্দেশ দেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেছেন, লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিকগুলোকে নিজেদেরই বন্ধ করতে হবে। নয়তো কঠিন পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়।

    এ সময় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর বিষয়েও কথা বলেন তিনি। সামন্ত লাল বলেন, আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন কার্যক্রম সমর্থনযোগ্য নয়।

  • দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    নিজে কোনোদিন দুর্নীতি করেননি এমন মন্তব্য করে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দুর্নীতির ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি জীবনে নিজেও কোনোদিন দুর্নীতি করিনি।

    রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বাস্থ্যের দুর্নীতি দূর করতে আপনি কী করতে পারেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি যেগুলো বলছেন আপনাদের মতো আমিও শুনছি। ভেতরের খবর আমি জানি না। চেষ্টা করবো, এটুকু বলতে পারি দুর্নীতির ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি নিজেও জীবনে কোনোদিন দুর্নীতি করিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি আমাকে বলেছেন তুমি করো, যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে ফোন করবা। আমি সেটাই করবো। যদি কোথাও দেখি দুর্নীতি হচ্ছে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

    গ্রাম-গঞ্জের ডাক্তার থাকে না এ সমস্যার সমাধান কীভাবে করবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ডাক্তার থাকে না এটা একটা সমস্যা আমি জানি। এর মেইন কারণ কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমি চেষ্টা করবো। আমার শুধু একপক্ষের কথা শুনলে হবে না, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমাকে ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। সব দেখে তারপর আমি ব্যবস্থা নেবো।

    তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ হচ্ছে একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর, একেবারে গ্রাস রুট লেভেলে চিকিৎসাসেবাটা পৌঁছে দিতে পারি। সেই লক্ষ্য একদিনে পারবো না। আমাকে বসে সবার সঙ্গে কথা বলে, আমার দুই সচিবের সঙ্গে বসে ঠিক করবো কীভাবে কী করা যায়। আমরা যদি ওইটা করতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে মাটিতে শুয়ে চিকিৎসা করাতে হবে না।

  • ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয় : মন্ত্রী

    ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয় : মন্ত্রী

    ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ চিকিৎসা সেবা দেওয়া বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কে-৮০ ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কাজ নয়, আমাদের কাজ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ জনগণকে অবহিত করা।

    মানুষের জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে, আমরা বলেছি জ্বর হলে দ্রুত পরীক্ষা করাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা করে দিয়েছি। আমরা দেখছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের মূল কথা হলো ডেঙ্গু মশা কমাতে হবে, তাহলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে যাবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শুধু বর্ষা মৌসুমে নয়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন পৌরসভায় মশা নিধনের কাজটি সারা বছর করতে হবে।

    অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ধর্মঘট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন কী কারণে তারা ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই, তাই আমি ভালো কিছু বলতে পারব না। দেশে একটি সমস্যা চলছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাড়ছে। এখন সময় নয় ধর্মঘট করার। মানুষের সেবা, জীবন রক্ষা এবং চিকিৎসা সেবার এখন প্রয়োজন। সেটি বন্ধ করে দিয়ে আমরা ধর্মঘটে চলে গেলাম। এটি আমি সঠিকভাবে নিতে পারছি না। তারপরেও তাদের কী সমস্যা আছে, সেই সমস্যার যেন সমাধান হয় সেটি আমরা করার চেষ্টা করব এবং লক্ষ্য রাখব।

    নতুন ভর্তি হওয়া এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যারা নতুন এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছে আমি তাদেরকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। আমি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, কিন্তু এখানে ভর্তি হতে পারিনি। এখান থেকে যারা চিকিৎসক হয়ে বেরিয়ে যাবে তাদের ঢাকা মেডিকেলের সুনাম ধরে রাখতে হবে। এই সুনাম ধরে রাখার একমাত্র পন্থা হলো এখান থেকে ভালোভাবে শিক্ষা লাভ করা এবং এখান থেকে পাস করে বেরিয়ে যাওয়া।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডাক্তার মো. কামরুল হাসানসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।

  • ‘ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণে, জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি’

    ‘ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণে, জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি’

    রাজধানীসহ সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলেও এখনো জনস্বাস্থ্যবিষয়ক হেলথ ইমারজেন্সি বা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    জাহিদ মালেক বলেন, দেশে গত কিছুদিন যাবৎ আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে। ঢাকায় রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল থাকলেও এখন ঢাকার বাইরে রোগী বাড়ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা দ্রুতই এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।

    তার মতে, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে, সেই খেয়াল রাখতে হবে।

  • আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এমতাবস্থায় আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    জাহিদ মালেক বলেন, দেশে ডেঙ্গু অনেক বেড়েছে। এরই মধ্যে ৬৭ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আরও ১২ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৬০ ভাগ মানুষ ঢাকার।

    রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় তার নিজ বাসভবনে গড়পাড়া এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, মশা বেশি থাকার কারণে এ বছর ডেঙ্গু বেড়েছে। বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জায়গায় পানি আটকে থাকায় মশা বেশি জন্ম নিচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র পথ হচ্ছে মশা কমানো। মশা কম হলে মানুষ আক্রান্ত কম হবে।

    তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান হচ্ছে দেশের ৫৭টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে।

    মন্ত্রী বলেন, দেশে যত ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে তার মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। সারা দেশের ডেঙ্গু আক্রান্তের ৬০ ভাগই ঢাকায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সিটি করপোরেশন, পৌরসভাকে আহ্বান করব তারা যেন বেশি বেশি স্প্রে করে এবং যেখানে যেখানে পানি জমে আছে সেসব পাত্র ফেলে দেয়।

    মন্ত্রী বলেন, গত বছর এ সময় অনেক ভালো অবস্থায় ছিলাম। বর্তমানে মশা এবং ডেঙ্গু অনেক বাড়তি, এখন থেকে যদি আমরা সজাগ না হই তাহলে এটা আরও বেড়ে যাবে।

    আমাদের ডিপার্টমেন্টে যারা মশা নিয়ে গবেষণা করেন তারা জানিয়ে দিয়েছেন কোথায় কোথায় মশা ভেসে আছে এবং ঘনত্ব বেশি আছে। এখন বাকি কাজ সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশন স্প্রে করেছে, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় তারা সেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি।

    ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতে কী ব্যবস্থা রয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সমস্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে এবং ডাক্তার নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া আছে। আশা করি চিকিৎসার কোনো সমস্যা হবে না।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার সরকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার প্রমুখ।

  • ৩০ মার্চ থেকে নিজ হাসপাতালেই প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবেন চিকিৎসকরা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    ৩০ মার্চ থেকে নিজ হাসপাতালেই প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবেন চিকিৎসকরা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    আগামী ৩০ মার্চ থেকে নিজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতালে এবং ২০ উপজেলা হাসপাতালে পাইলটিংভাবে এ কার্যক্রম শুরু হবে। বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সেবা দেবেন চিকিৎসকরা।

    মার্চ থেকেই সরকারি চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু এখন ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালু করার চেষ্টা করছি। প্রথমে কয়েকটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করবো।

    তিনি বলেন, বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সেখানে প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা।

    এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দেবেন, তার বিনিময়ে তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসকরা। ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হবে।
    এর মধ্যে ৪০০ টাকা পাবেন অধ্যাপকরা। সরকারও একটি অংশ পাবেন।

    এসময় মন্ত্রী বলেন, আমরা দুই-তিন মাস যাবৎ ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা ছিল, এ টার্মের শুরুতেই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করা হোক। কিন্তু ডেঙ্গু ও করোনার কারণে তা আমরা শুরু করতে পারিনি।

    কিন্তু এখন আমরা আস্তে আস্তে সব জেলা ও উপজেলায় শুরু করবো।

  • নিপাহ ভাইরাসে দেশে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    নিপাহ ভাইরাসে দেশে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    চলতি বছরে দেশে নিপাহ ভাইরাসে আট রোগীর মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে রোগী এসেছে ৮ জন। এর মধ্যে ৫ জন মারা গেছে। এই ভাইরাসে ৭০ শতাংশ মৃত্যু হয়। কাচা রস, পাখিদের খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড়ের পান করা খেজুরের রস যদি কোনো ব্যক্তি পান করে তাহলে তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে দ্রুত এ ভাইরাস ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।

    তিনি বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি। নিপা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেই। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। কাচা রস পান করা যাবে না। পাখিদের খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না।

  • ৫০ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    ৫০ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    রাজধানী ঢাকাসহ মোট ৫০টি জেলায় ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ডেঙ্গু এখন আশঙ্কাজনক হারে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, চিকিৎসারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালে সিটের অভাব হবে না।

    বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্টানিং এবং প্রতিরোধ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত সিটের ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে আরও বাড়ানো হবে। তবে, শুধু চিকিৎসার মাধ্যমে ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয়। এজন্য সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আরও জোরালোভাবে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও আরো সচেতন হতে হবে।

    জাহিদ মালেক বলেন, মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্থার কারণে দুরারোগ্য ব্যাধিগুলো বাড়ছে। ক্যান্সারের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

    স্তন ক্যান্সারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় ১৩ হাজার নারী প্রতিবছর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন প্রায় ৭ হাজার। জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আট হাজার নারী আক্রান্ত হন, মারা যান ৫ হাজার। এছাড়া শনাক্তের বাইরে থাকেন অনেক নারী।

    দেশে ক্যান্সারে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

    বাংলাদেশে ১৫ থেকে ১৮ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে করোনায় যে পরিমাণ মৃত্যু হয়নি, এক বছরে ক্যান্সারে তার চেয়ে তিনগুণ বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। সুতরাং ক্যান্সারের বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।

    মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আমরা সকলে ক্যান্সারের স্ক্রিনিংয়ের বিষয়ে জোর দিয়েছি। স্ক্রিনিংয়ের জন্য ৫৭০টি সেন্টার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রাথমিক স্ক্রিনিং করা হয়। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে পজিটিভ রোগীদের জন্য ৪৩টি কল কলোসকপি সেন্টার করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা রয়েছে ৫০০টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিং সেন্টার করার। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক স্ক্রিনিং করা যায় সে নির্দেশনা আমরা দিয়েছি।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্কিনিংয়ের পরের ধাপ হলো চিকিৎসা। দেশে এখনো ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা সেভাবে উন্নত হয়নি। যার কারণে অনেকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যায়। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, ৮টি বিভাগীয় হাসপাতালে আটটি ক্যান্সার সেন্টার করার। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে, এই রোগ থেকে শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠার চিকিৎসা রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় মেমোগ্রাফির মেশিন প্রদান করব। সেখানে স্কিনিংয়ের ব্যবস্থা আরো ভালো হবে। মেডিকেল কলেজেও ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি
    অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব রাশেদা আকতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ প্রমুখ।

    ২৪ঘণ্টা/এনএম

  • সংক্রমণ এভাবে বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সংক্রমণ এভাবে বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনার সংক্রমণের হার গত মাসেও যেখানে এক শতাংশের নিচে ছিল, সেটি বর্তমানে দুই শতাংশে উঠে গেছে। সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে, আবারও হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হয় আসবে, জায়গা হবে না।’

    মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে করোনা বেড়েছে, সেখান থেকে সংক্রমিত হয়ে রোগীরা বাংলাদেশেও ঢুকে পড়ছে। আগে আর্টিফিশিয়াল টেস্টের যে বিষয় ছিল, দেশে আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট করে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। সেটি তো আমরা এখন করছি না। শুধু ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখছি। যদি অন্যান্য দেশে খুব বেশি সংক্রমণ বেড়ে যায় এবং দেশেও বাড়ে, তাহলে আবার আর্টিফিশিয়াল টেস্ট শুরু করবো।’

    জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত একমাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটি ২ শতাংশে উঠেছেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০-৩৫ জন রোগী শনাক্ত হচ্ছিলেন, এখন সেটি বেড়ে ১৩০-১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। আশঙ্কা করছি, যদি এ মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ানো হয়, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি ভালো খবর হলো- প্রায় সব হাসপাতালে এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কাজকর্ম করবেন, এটি আমরা আশা করবো।’

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। এখনো অনেক মানুষ বাকি আছেন। যারা দুটি ডোজ নিয়েছেন কিন্তু বুস্টার ডোজ বাকি আছে, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ নিয়ে নেবেন। তাহলে সুরক্ষিত থাকবেন।’

    মাঙ্কিপক্স প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু দেশে মাঙ্কিপক্স পাওয়া গেছে। আমাদের দেশে এখনো পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দরগুলোতে সবাই সতর্ক আছেন। তারা যদি কোনো ধরনের লক্ষণ নিয়ে কেউ এসেছেন, এমন কাউকে দেখেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

    শিশুদের করোনার টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাতে এখনো শিশুদের টিকা আসেনি। কবে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।’

    তবে আগামী ২৬ জুন কলেরার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের স্বস্থ্যব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে ও চিকিৎসাব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া।

    অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষে গবেষণার জন্য ১০ নারীকে গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এ অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নারী। অ্যাওয়ার্ডের জন্য যারা আবেদন করেছেন, তাদের ৭০ শতাংশই নারী।’

    তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েরা এখন কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। রাজনীতি, স্বাস্থ্য, খেলাধুলায়ও তারা ভালো করছেন। খেলাধুলায় পুরুষদের চেয়েও তারা অনেক এগিয়েছেন। নারী ক্রিকেট টিম অনেক ভালো করছেন। নারীরা হিমালয় পর্বতেও উঠেছেন। আসা করবো তারা আরও ভালো করবেন।’

    অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ।