Tag: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা

    দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

    মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

    এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তার ব্যাখ্যা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৪ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

    বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

    পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    ৭ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু এখনও (১৭ জানুয়ারি) শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে আদালত তলব করেছেন। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

    স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

    বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে হাইকোর্টে তলব

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে হাইকোর্টে তলব

    দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তার ব্যাখ্যা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম। রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

    এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮ কারাগার ও কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসকের পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছে।

    এরপর আদালত শূন্য পদগুলোতে অবিলম্বে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়ে ৮ জানুয়ারির মধ্যে অগ্রগতি জানাতে বলেন।

    মঙ্গলবার জে আর খান রবিন জানান, চিকিৎসক নিয়োগের ব্যর্থতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।

  • আবারও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.খুরশীদ

    আবারও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.খুরশীদ

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে আবারও নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। নতুন করে আরও দুই বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

    মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব মোহা. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে ইতোপূর্বে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে (কোড নম্বর ৩৮০১৩) যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

    এতে আরও বলা হয়, পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের চুক্তিপত্রের শর্ত অপরিবর্তিত রেখে পুনরায় সরকারের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

    এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার চাকরির নিয়মিত মেয়াদ শেষ হয়। পরে চুক্তিভিত্তিক খুরশীদ আলমের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদও শেষ হয় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

  • বিএম ডিপো’র ঘটনাস্থল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের টিম

    বিএম ডিপো’র ঘটনাস্থল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের টিম

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুরস্থ বিএম ডিপোর রাসায়নিক বিষ্ফোরণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির অবস্থা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা.নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম।

    শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তদন্ত টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল বিএম ডিপো পরিদর্শন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, মেডিকেলের কিডনি বিশেষজ্ঞ এনামুল হক শামীম, ডিএনসিসি ডেডিকেডেট কোভিট হাসপাতালের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মো. মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, সহকারী পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন, ইভালুয়েটর ডা. ফাবলিনা নওশিন, আইএইচআর এর ডাটা ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম, বিসিআইসির ইন্ড্রাষ্টিয়াল সেফটি এন্ড হেলথ ডিপার্টমেন্টের কেমিষ্ট মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি চিফ কেমিষ্ট হুমায়ন কবির।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিএম ডিপোতে রাসায়নিক বিষ্ফোরণ হয়েছে। আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় রেডিয়েশন হেজার্ট এবং কেমিক্যাল হেজার্ড বিষয়ে কাজ করি। এখানে রাসায়নিক বিষ্ফোরণে কী ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি আমরা। এছাড়া এই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়া রোগীরা চমেকে কিভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে তাও দেখব।

    এদিকে সকালে ঢাকা থেকে সিআইডি’র একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

  • ৮৮২টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে

    ৮৮২টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে

    সারাদেশে ৮৮২টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে রাজধানীতে ১৬৭টি।

    রোববার (২৯ মে) সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের এক হালনাগাদ তথ্যে বিষয়টি জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, তিন দিনের অভিযানে ঢাকায় ১৬৭টি, চট্টগ্রামে ২২৯টি, রাজশাহীতে ৭৮টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি, সিলেটে ৩৫টি এবং খুলনায় ২০৪টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।

    এর আগে বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ৫৩৮টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছ। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, সংখ্যা বাড়তে পারে।

    বেলাল হোসেন বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে আমরা তিন দিন সময় দিয়েছিলাম। আজ শেষ সময়। তবে আমাদের অভিযান আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। যাতে করে অনিবন্ধিত ও অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার গড়ে না ওঠে সেজন্য অভিযান চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।

    গত ২৬ মে ডা. মো. বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    যারা সিদ্ধান্ত মানবে না, তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন জানতে চাইলে সে সময় তিনি বলেন, যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি, সেগুলো অবৈধ। আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের পর যদি নিবন্ধনহীন কেউ কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। মূলত এরপরই অভিযান শুরু হয়।

    গত ২৫ মে দেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মনিটরিং ও সুপারভিশন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সিদ্ধান্তগুলো হলো

    ১. আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

    ২. যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়েছে কিন্তু নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন না করলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

    ৩. বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপারেশন করার সময় অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িতদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

    ৪. যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে তাদের লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।

    উল্লেখ্য, অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে অনুমোদিত ও আবেদন করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।

  • করোনায় ২৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১,১৪৪ : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

    করোনায় ২৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১,১৪৪ : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৩৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও এক হাজার ১৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৬৫৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ সাত হাজার ৭৮৯ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১৪টি ল্যাবে ২৪ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৪ হাজার ৮৬৮টি। করোনা শনাক্তের হার চার দশমিক ৬১ শতাংশ। এই পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৪ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী ১৪ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ৫৬৬ জন ও নারী নয় হাজার ৭৭১ জন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন।

    ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, খুলনা বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে তিনজন, রংপুর বিভাগে একজন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ১৯ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছে।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ।

    এন-কে

  • দুই ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে সাজা

    দুই ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে সাজা

    অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে দুটি ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুটি সাজাই চলবে একসঙ্গে।

    সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

    সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার জানান, দুটি ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে।

    প্রসঙ্গত, গেল ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক।

    এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

    এন-কে

  • করোনায় মৃত্যু ৩৮, বেড়েছে শনাক্তের হার

    করোনায় মৃত্যু ৩৮, বেড়েছে শনাক্তের হার

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ১৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও এক হাজার ৯০৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৯১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৪ লাখ ৯৭ হাজার নয়জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

    আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০৮টি ল্যাবে ২৯ হাজার ৭৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩০ হাজার ১৬৯টি। করোনা শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৪১ শতাংশ। এই পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৮ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও নারী ২৫ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ৪৭৪ জন ও নারী নয় হাজার ৬৭৩ জন।

    মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের নিচে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন ও ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন।

    ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, খুলনা বিভাগে আটজন, রংপুর বিভাগে দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ।

    এন-কে

  • টিকা নিয়ে ভুল ধারণা ও করণীয়

    টিকা নিয়ে ভুল ধারণা ও করণীয়

    করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। প্রত্যেক দিন হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে। আশার কথা হলো, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বর্তমানে বিভিন্ন দেশে জোরেসোরে টিকাদান চলছে।

    বাংলাদেশে গত ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে সরকার। কিন্তু টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। আবার কিছু মানুষের রয়েছে কিছু জিজ্ঞাসা। অনেকে জানতে চান গর্ভবতীরা কী করোনা প্রতিরোধের টিকা নিতে পারবেন?

    এ বিষয়ে উত্তর হলো, হ্যাঁ, গর্ভবতীরা টিকা নিতে পারবেন। তবে আগে এটি নিয়ে এক ধরনের দ্বিধা দেখা দিয়েছিল। কারণ তখন পর্যন্ত গর্ভবতী কিংবা বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন মায়েদের ওপর টিকার কোনো ট্রায়াল হয়নি। কিন্তু ট্রায়ালে এখন দেখা গেছে, সাধারণ নারীদের মতো অন্তঃসত্ত্বা কিংবা নতুন মায়েদের শরীরে একই রকম অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। যেসব মা সন্তানকে দুধ পান করাচ্ছেন, টিকা নেয়ার ফলে তাদের তাড়াতাড়ি গ্লোবিন চলে আসছে। সুতরাং সবাইকে টিকা নিতে হবে। ফ্রন্টলাইনার মায়েদের আগে দিতে হবে। অন্যদের উচিত, তাদের সুযোগ করে দেয়া।

    অনেকের প্রশ্ন, ক্যানসার আক্রান্তদের কেমো থেরাপি চলাকালে টিকা নেয়া যাবে কি না? এক্ষত্রে বলব, করোনা আসলে কাদের জন্য বেশি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করছে? কারা বেশি মারা যাচ্ছে? যারা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত, তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে। যাদের কিডনি ও লিভার ফেইলিওর, যারা ক্যানসারে আক্রান্ত তারাই তো বেশি ভুক্তভোগী। এজন্য তাদেরকেই আগে টিকা নিতে হবে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উচিত, এ ধরনের রোগীদের সবার আগে কেন্দ্রে এনে টিকা দেয়া। কারণ এসব রোগীর অবস্থা গুরুতর থেকে খুব সহজে সংকটাপন্ন হচ্ছে। ফলে টিকাদানে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

    মনে রাখতে হবে, একজন চিকিৎসক কখনো অথরিটি হন না। আপনি নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেন, গুগলকে চিকিৎসক মনে করেন, তাহলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ফেইসবুক কিংবা মিডিয়াকে চিকিৎসক মনে করবেন না। তাহলে আপনার ভুল হবেই। আপনি একজন ডক্টর, অবশ্যই ফিজিশিয়ানকে ফলো করবেন। হোয়াট ইজ দা গাইডলাইন? বিভিন্ন দেশের গবেষণার আলোকে গাইডলাইন করা হয়েছে। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ দেশের করোনা গাইডলাইন মাথায় নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হবে।

    করোনা বলামাত্রই অ্যান্টিবায়োটিক লেখা যাবে না। এটি ফ্যাক্টরিয়াল রোগ নয়। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করে কিছুই করা যাবে না। সরকার কষ্ট করে টিকার ব্যবস্থা করছে। সুযোগ পেলেই টিকা নিয়ে নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলে করোনা মহামারি মোকাবিলা করা সহজ হবে।

  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করোনায় আক্রান্ত

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করোনায় আক্রান্ত

    কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

    এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএসের লাইন ডিরেক্টর মিজানুর রহমান ও ডিজির ব্যক্তিগত সহকারীরও (পিএস) করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, স্বাস্থ্যের ডিজি ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) ডা. মিজানুর রহমানসহ চার থেকে পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তারা সবাই ভালো আছেন।

    গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

    ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও নাসিমা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ আলম

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ আলম

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ডিজি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। ঢাকা মেডিকেলের সার্জারি বিভাগের প্রধান থেকে এখন তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। নানা অনিয়মের অভিযোগে বিতর্কিত ডিজি আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগের পর অধিদপ্তর ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

    এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক আসছে পরিবর্তন। সকালে অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক করা হয় ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেনকে।

    করোনা মহামারি মোকাবিলায় শুরু থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কোভিড পরীক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী সংস্থাটির। এর মধ্যে আসতে থাকে স্বাস্থ্য ডিজি আবুল কালাম আজাদের নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের খতিয়ান। দাবি ওঠে তার পদত্যাগের।

    রিজেন্ট, জেকেজি ও সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কেলেঙ্কারির ঘটনায় নানা মহলের সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) পদত্যাগপত্র জমা দেন বিতর্কিত ডিজি আজাদ। বিপর্যয়ের মুখে পড়া স্বাস্থ্য বিভাগের হাল কে ধরছেন তাই নিয়ে চলতে থাকে আলোচনা।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

    রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রিজেন্ট হাসপাতালকাণ্ড: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালককে শোকজ

    রিজেন্ট হাসপাতালকাণ্ড: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালককে শোকজ

    করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতিতে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সই হয়েছে-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতর কর্মকর্তা বলতে কী বোঝানো হয়েছে এবং রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের আগে কী কী বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।

    রবিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, কোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে তা সরেজমিনে পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, জনবল ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে উপযুক্ততা বিবেচিত হলেই কোভিড পরীক্ষা/চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তি করার পর উদ্ধৃত শর্তসমূহ প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বলতে কী বোঝানো হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যাদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    গতকাল শনিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবি করেছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি গ্রুপের প্রতারণার শিকার হয়েছে।

    অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মো জাহাঙ্গীর কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালকে লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দিয়েই কোভিড চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান মালিক শাহেদ করিমের সাথে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা আবুল কালাম আজাদের পূর্ব পরিচয় ছিল না। একই রকম ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে জেকেজি নামে আরেক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও।

    অধিদপ্তরের দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রতিষ্ঠান দুটির সাথে চুক্তি করা হয়। বলা হয়, গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর