Tag: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা, সতর্ক করল মন্ত্রণালয়

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা, সতর্ক করল মন্ত্রণালয়

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করছে একটি চক্র। এ চক্রের ফাঁদে পড়ে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে জন্য সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিচয় ব্যবহার করে সমাজের বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তির মেসেঞ্জার গ্রুপে অসাধু উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। প্রকৃতপক্ষে, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ডা. সামন্ত লাল সেনের কোনো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নামে খোলা সকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অবৈধ, ভুয়া ও প্রতারণামূলক। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত ও প্রতারিত না হতে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ রইল।

  • করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ : বুথে লাগবে ২০০, বাসায় ৫০০

    করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ : বুথে লাগবে ২০০, বাসায় ৫০০

    করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ওপর ফি নির্ধারণ করেছে সরকার।

    রোববার (২৯ জুন) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

    সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে ‘অপ্রয়োজনীয় কভিড টেস্ট’ পরিহার করা লক্ষ্যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে পরিপত্রে বলা হয়।

    সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ অধিশাখার উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে ফি-এর বর্ণনায় বলা হয়, আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য এখন থেকে বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ২০০ টাকা, বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে ২০০ টাকা ফি দিতে হবে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নমুনা সংগ্রহ বাবদ আদায়কৃত রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। ‘চিকিৎসা সুবিধা বিধিমালা-১৯৭৪’ এর আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সুবিধা বহাল থাকবে।

    মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও গরিব রোগীদের চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত সরকারি আদেশ বহাল থাকবে এবং সব সরকারি হাসপাতালে উল্লিখিত হারে ফি নির্ধারণ করা হলো।

    পরিপত্রে, বর্তমানে আরটি-পিসিআর টেস্ট এর মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নির্ণয় বিনামূল্যে থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষই উপসর্গ ছাড়াই এর সুযোগ নিচ্ছেন।

    এখন থেকে সব সরকারি হাসপাতালে উল্লিখিত হারে ফি নেওয়া হবে।

    বর্তমানে দেশে ৬৮টি ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৯ এপ্রিল চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার। পরে আরও কয়েকটি হাসপাতালে এ সুবিধা দেওয়া হয়। এসব হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

    এই পর্যন্ত পিসিআরে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে সাত লাখ ৩০ হাজার ১৯৭টি নমুনা

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সব ধরনের তামাক পণ্য উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধের নির্দেশ

    সব ধরনের তামাক পণ্য উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধের নির্দেশ

    নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় সব তামাক কোম্পানির উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

    মঙ্গলবার (১৯ মে) জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী যুগ্মসচিব মো. খায়রুল আলম সেখ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    চিঠিতে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের তামাক কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র প্রত্যাহার করার কথাও জানানো হয়।

    প্রসঙ্গত: তামাক পণ্য বলতে সব ধরনের সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল, তামাক পাতা, তামাক ডাঁটা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়ে থাকে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার কথা বলছে। ধূমপানের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ সংক্রমণ এবং কাশিজনিত রোগ তীব্র হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাধিক গবেষণা পর্যালোচনা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

    এছাড়াও গবেষণা দেখা গেছে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ধূমপায়ীর মৃত্যুঝুঁকিও ১৪ গুণ বেশি। কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাময়িকভাবে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, সীসা বার, উন্মুক্তস্থানে পানের পিক ফেলার মতো বিষয়গুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

    চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ বাস্তবায়ন করছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ক্রমবর্ধমান কোডিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    এ পরিস্থিতিতে দেশের তামাক কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র প্রদান করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।

    জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাস করতে প্রণীত সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ -এ সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে বাজার, গণজমায়েত সাময়িকভাবে বন্ধ, দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনার অজুহাতে এ আইন লঙ্ঘন করে চলেছে।

    এ কারণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় এগিয়ে নিতে সব তামাক কোম্পানির উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে এ ব্যাপারে চিঠিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতাও কামনা করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক কর্মকর্তা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশে নতুন পাঁচজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা। জানা গেছে, ওই পাঁচজনের একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বিষয়টি এড়িয়ে যান।

    গতকালই প্রথম আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। অর্থাৎ এর আগে শুধু বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা আক্রান্ত হলেও এখন সমাজে ছোট পরিসরে রোগটি ছড়িয়েছে।

    দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৪। এর মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়ে গেছেন। মারা গেছেন পাঁচজন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর।