Tag: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

  • আইনজীবী হত্যা মামলায় জবানবন্দি দিলেন আসামি চন্দন দাস

    আইনজীবী হত্যা মামলায় জবানবন্দি দিলেন আসামি চন্দন দাস

    চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

    আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চন্দন দাসকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তাকে বিচারকের খাসকামরায় নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবারও চন্দনকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

    জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম। তিনি বলেন, ‘আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় বাবার দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি চন্দন দাস আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে আবারো কারাগারে নেওয়া হয়েছে।’

    উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি ঘিরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর আলিফের বাবা বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় চন্দন দাসকে প্রধান আসামি ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।

    আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশ। সবশেষ ৫ ডিসেম্বর ভোরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসামি চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলিফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রিপন দাসকেও গ্রেপ্তার করে।

    ৬ ডিসেম্বর বিকেলে তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট) হাজির করা হয়। পুলিশ উভয়ের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে চন্দনের ৭ দিন এবং রিপনের ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

  • বোয়ালখালীতে কবিয়াল কমল হত্যায় দুই আসামীর দায় স্বীকার

    বোয়ালখালীতে কবিয়াল কমল হত্যায় দুই আসামীর দায় স্বীকার

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কবিয়াল সরকার কমল দাশ(৬৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামী।

    বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আওলাদ হোসেনের আদালতে আসামী তপন চৌধুরী গণেশ (৩৮) ও রাজিব চৌধুরী রাজন (৪০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর।

    তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গণেশ ও রাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলত জবানবন্দি দেন।

    তারা আদালতকে জানিয়েছে, ১৬ অক্টোবর কমল দাশকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়। এ হত্যাকাণ্ডে চারজন অংশ নিয়েছিলো। প্রতিবেশি উজ্জ্বলের সাথে পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন এ দুই আসামী।

    গ্রেফতারকৃত তপন চৌধুরী গণেশ দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হারাধন চৌধুরীর ছেলে ও রাজিব চৌধুরী রাজন একই এলাকার নিরাধন চৌধুরীর ছেলে।

    গত ১৬ অক্টোবর নিখোঁজ হন কবিয়াল সরকার কমল দাশ (৬৬)। এর তিনদিন পর ১৯ অক্টোবর বাড়ির অদূরে একটি ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কমল দাশের ছেলে অন্তর দাশ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

    নিহত সরকার কমল দাশ সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইমামুল্লার চর গ্রামের মৃত সুধাংশু দাশের ছেলে। তিনি কবিগান করতেন।

    বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে অন্তর দাশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • আনুশকাহ ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে দিহানের স্বীকারোক্তি

    আনুশকাহ ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে দিহানের স্বীকারোক্তি

    রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলছাত্রী আনুশকাহকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার তানভীর ইফতেখার দিহান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

    শুক্রবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেট দিহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

    বৃহস্পতিবার রাতে কলাবাগান থানায় আনুশকাহর বাবার করা মামলায় শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দিহানকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নেয় পুলিশ। আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান।কিন্তু দিহান দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় আর তাকে রিমান্ডে না দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।

    নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান জানিয়েছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার চেষ্টা করা হবে। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে পুলিশ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে।

    স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মেয়েটির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

    ধর্ষণের শিকার কিশোরীর নাম আনুশকাহ নূর আমিন (১৮)। সে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টার মাইন্ডের ‘ও লেভেল’-এর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়েটির বন্ধু দিহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, মেয়েটির শরীরের ওপরের দিকে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তার বন্ধু দিহান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তবে তার দাবি, মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।

    নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনুশকাহর বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে।

    পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, ওই বন্ধুর বাসায় গেলে ধর্ষণের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি।

  • এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ৩ আসামির স্বীকারোক্তি

    এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ৩ আসামির স্বীকারোক্তি

    সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং রবিউল ইসলাম।

    পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হলে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।

    সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালতে প্রথমে অর্জুন লস্করের এবং পরে সাইফুর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক জিয়াউর রহমান। সিলেট সহকারী মহানগর হাকিম আদালতে রবিউল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক সাইফুর রহমান।

    জবানবন্দি গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।

    গত রোববার গ্রেপ্তারের পর সোমবার তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সহকারী মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান।

    গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা নাগাদ কলেজের ফটকের সামনে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন একদল তরুণ। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহ পরান থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিন জনকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আমরিন

  • সিনহা হত্যা : স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন লিয়াকত

    সিনহা হত্যা : স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন লিয়াকত

    সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক আইসি পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

    তিনি জানান, এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক আইসি পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দি গ্রহণের আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লিয়াকতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যা মামলায় লিয়াকত আলী রোববার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এর আগে এ হত্যা মামলায় এপিবিএনের এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

    গত বুধবার এ মামলার আসামি এপিবিএন কনস্টেবল আবদুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

    গত ১৭ আগস্ট এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয় র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে। পরের দিন ১৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শিশু তুহিন হত্যা: চাচার স্বীকারোক্তি, বাবার নেতৃত্বে হত্যা

    শিশু তুহিন হত্যা: চাচার স্বীকারোক্তি, বাবার নেতৃত্বে হত্যা

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু তুহিন মিয়াকে (৫) তার বাবাই হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন, চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ও বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে হত্যা করেন।

    ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আরও বলেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে বাবার কোলে রেখেই চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারসহ অন্যরা মিলে তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

    এদিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল খালেকের আদালতে, চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে শিশু তুহিন হত্যায় তার বাবাও জড়িত বলে জানান।

    এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাবা বছির ও ২ চাচাকে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

    জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা, চাচি ও এক চাচাতো বোনকে থানায় আনা হয়। এরপর টানা কয়েকঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

    পরে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন তুহিনের মা মনিরা বেগম। সেই হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    এদিকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামে অন্যদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আবদুল বাছিরের পরিবারের বিরোধ ও মামলা রয়েছে। এর জের ধরে অন্যদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

  • আবরার হত্যা : আসামি মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : আসামি মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মনিরুজ্জামান মনির নামে আরও এক আসামি।

    মনির রিমান্ডে থাকাকালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে সোমবার (১৫ অক্টোবর) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

    ডিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী মনিরের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মনির ৫ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।

    এর আগে ১০ অক্টোবর বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ও ১১ অক্টোবর মেফতাহুল ইসলাম জিয়ান, ১২ অক্টোবর অনিক, ১৩ অক্টোবর মোজাহিদ ও ১৪ অক্টোবর মেহেদী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এ নিয়ে ছয়জন আবরার হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

    গত ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠীরা।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • আবরার হত্যা : রবিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : রবিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আদালত সূত্র জানায়, আসামি মেহেদী হাসান রবিন স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদী হাছান রবিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত তিনটার দিকে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

    পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    পরে হত্যায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা: মুজাহিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা: মুজাহিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অন্যতম আসামী রিমান্ডে থাকা মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদ বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) মুজাহিদকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে আদালতের পেশকার জাহিদ হাসান বলেন, মুজাহিদ অপরাধে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

    গত ৬ জুন আবরার খুন হওয়ার পরপরই যে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল, তাদের মধ্যে মুজাহিদ একজন।

    এর আগে এই মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও অনিক সরকার।

  • আবরার হত্যা : আদালতে সকাল ও জিয়নের পর এবার অনিকের জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : আদালতে সকাল ও জিয়নের পর এবার অনিকের জবানবন্দি

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার তিন নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (২২)।

    এ মামলায় সকাল ও জিয়নের পর শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অনিক।

    আদালত সূত্র জানায়, পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে শনিবার বিকালে অনিক সরকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এজন্য তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

    এসময় আসামির স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সম্মত মর্মে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম অনিকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

    সুত্র জানিয়েছে, আবরার হত্যার পরের দিন ৭ অক্টোবর অনিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৮ অক্টোবর তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড চলাকালীন স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় অনিককে আদালতে নেয়া হয়। শনিবার জবানবন্দিতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন অনিক সরকার। তবে বর্ণনার বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হয়নি সূত্রটি।

    মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহিদা বেগমের ছেলে। বুয়েটের শেরেবাংলা হলে থাকতেন অনিক।

    গত বৃহস্পতিবার আবরার হত্যায় আদালতে প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিমান্ডে থাকা মামলার ৫ নম্বর আসামি বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল। পরদিন শুক্রবার মামলার ৭ নম্বর আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন আদালতে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    ওইদিন রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা : আসামি জিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : আসামি জিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন।

    শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আবরার হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম আসামি হিসেবে স্বীকারোক্তি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল। যিনি ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।

    এদিকে শুক্রবার এ মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি মিজানুর রহমান মিজানকেও আদালতে হাজির করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

    গত ৮ অক্টোবর একই আদালত আসামি সকাল, জিয়নসহ এ মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

    ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা : সকালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : সকালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    জিআরও মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইফতির জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।’

    এর আগে গত ৮ অক্টোবর ইফতি মোশাররফ সকালসহ ১০ জনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পরদিন (৯ অক্টোবর) আরও তিন জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

    পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে।

    আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে হত্যায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।