Tag: স্মরণসভা

  • মরহুম জাকেরিয়া চৌধুরী সমাজ মঙ্গলের বার্তাবাহক: নওফেল

    মরহুম জাকেরিয়া চৌধুরী সমাজ মঙ্গলের বার্তাবাহক: নওফেল

    শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামের প্রগতিশীল ও আওয়ামী ঘরানার বাতি শিখা প্রয়াত নেতাদের জীবনাচরণ না জানলে নতুন প্রজন্ম পরিশুদ্ধ হবে না। আজ যাঁকে আমরা স্মরণ করছি তিনি শুধু একজন রাজনীতিকই নন সমাজ মঙ্গলের বার্তা বাহক। অথচ আজ সমাজ দূষিত, মানবিকতা ভূলণ্ঠিত, এর দায় রাজনীতিকদেরই নিতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, সমাজ মঙ্গলে প্রযুক্তি ও উন্নয়নের চতুর্থ বিপ্লব চলমান, পাশাপাশি করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেলেও দ্বিতীয় তরঙ্গ আসার শংকা রয়েছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় কোভিড-১৯ এর থাবা থেকে পূর্ব প্রতিরোধ হিসেবে আগাম সতর্ক থাকাও এক ধাপ এগিয়ে চলা।

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মরহুম আলহাজ্ব ডা. এ.এম.এম জাকেরিয়া চৌধুরীর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কে.বি.আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় ব্যারিস্টার নওফেল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    ডা. এ.এম.এম জাকেরিয়া চৌধুরীর স্মরণসভা পরিষদ এই সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মরণ সভা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ও আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    এছাড়া মরহুম জাকেরিয়া চৌধুরীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন- বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্দ ইউনুছ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মঈনুদ্দিন সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ চৌধুরী সমশের, প্রবীন সাংবাদিক এম. নাসিরুল হক, ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মুজিবুল হক সিদ্দিকী বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইদ্রিস, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ ফিরোজ, জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিরল এড. এম.এ নাসের, সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, জামাল খান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভঅপতি আবুল হাসেম বাবুল, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মাহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক ছাত্র নেতা এম.আর আজিম, মোঃ সালাউদ্দিন, নুরুল আনোয়ার, হেলাল উদ্দিন, শওকত হোসেন স্বপন, ওয়াসিম উদ্দিন, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, আবু মঈন সুমন, মেজবাহ উদ্দিন শিবলী, শেখ নাছির উদ্দিন, নাছির তালুকদার প্রমুখ।

    ব্যরিস্টার নওফেল বলেন, রাউজান বিপ্লবীদের পবিত্র জন্মভূমি। এখানে সুর্যসেন জন্মগ্রহন করেছেন। এছাড়াও কুখ্যাত ফজলুল কাদের চৌধুরীও জন্মগ্রহণ করেছেন। ফকা চৌধুরী ও তার পুত্র সাকা চৌধুরী এই বিপ্লব তীর্থ রাউজানকে সন্ত্রাসিদের জনপদে পরিণত করেছিলেন। এর অনেক আগে থেকেই মরহুম জাকেরিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে রাউজানকে ঘিরে একটি গণতান্ত্রিক অসম্প্রদায়িক বলয় তৈরী হয়েছিলো। সেই পথে অনেকেই হেটেছেন। তাদের মধ্যে একজন সাথে ছিলেন মরহুম এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আমার পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরী সবাইকে সাথে নিয়ে এই চট্টগ্রাম নগরীকে সাজিয়ে ছিলেন। তবে তিনি একা নয়, একা মানে বোকা। এ কারণে বলি সকলেল সম্মিলিত সহযোগে এই নগরীর হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, আমরা যারা এমপি আছি তাদের প্রত্যক্ষ প্রনোদনায় চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ আন্তরিকতার সাথে একাত্তব হতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন যে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তার সফলতায় আমাদের সকলকে আগামী মেয়র নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমকে বিজয়ী করতে হবে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদেরকে জাতীয় বীরদের সম্মান জানাতে হবে, তা নাহলে কোন বীর জন্মগ্রহণ করবেন না। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। তারা একদিন জাতীয় বীরে উদ্ভাসিত হবে। মাদক, সন্ত্রাস, ধর্ষনসহ নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আজ যে সামাজিক আন্দোলন চলছে। তার সফলতা নির্বর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীদের রাজপথে থেকে জনগনের সাথে একাত্ব হওয়ার মাধ্যমে।

    আসন্ন চসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ডা. এম জাকারিয়া চৌধুরী মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন প্রয়োজন। রাজনৈতিক হতে হলে জনগণের অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গ করতে হবে। তিনি জাকেরিয়া চৌধুরীর জীবনাচরণ অনুসরনের আহবান জানান।

    মরহুম জাকেরিয়া চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে সকালে খতমে কোরআন, কবর জিয়ারত ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাদে এশা দোস্ত কলোনী জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ভাটিয়ারীতে আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী (রহ) এর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    ভাটিয়ারীতে আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী (রহ) এর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার উদ্যেগে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস, মুফতি আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী (রহ) এর স্মরণ সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার বাদ আসর ভাটিয়ারীর বানুরবাজার মাদ্রাসা এ মুহাম্মদিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া এর খানকা শরীফে সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর পরিচালনায় উক্ত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    বক্তারা বলেন, মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী সারা জীবন হাদিসের দরসের মাধ্যমে হাজার হাজার আলেম সৃষ্টি করেছেন এবং আমৃত্যু আঞ্জুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ও গাউসিয়া কমিটির মাধ্যমে তরিকতের খেদমত করে গেছেন। তিনি জীবনের সিংহভাগ হাদিসের শিক্ষায় ব্যয় করেছেন। শাহেন শাহে সিরিকোটি (রা) প্রতিষ্ঠিত জামেয়া খিদমতের পাশাপাশি সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের মতাদর্শ প্রচারে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ কামাল, মাওলানা মুজিব উদ্দিন, মাওলানা আতিকুল্লাহ, মাওলানা সিরাজ উদ দৌলা, ইঞ্জিনিয়ার রফিক, মুজিব উদ্দিন চৌধুরী, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন,মুহাম্মদ সাখাওয়াত, মুহাম্মদ মুসলিম, শাহ মুহাম্মদ এমরান, মামুনুর রশিদ মামুন, নুর উদ্দিন, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন সোহেল, হাজ্বী আশরাফ, কামাল উদ্দিন চৌঃ, রমজান আলী রুবেলসহ গাউসিয়া কমিটির বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

    দোয়া মাহফিলে আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (রহ.) ইসালে সওয়াব উপলক্ষে মুনাজাতের মাধ্যমে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • ‘মহিউদ্দীন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মত্যাগী এক মহান যোদ্ধা’

    ‘মহিউদ্দীন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মত্যাগী এক মহান যোদ্ধা’

    চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্মরণ সভা ও ‘চট্টলবীর’ নামক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাসূলে পাক (দ.)’র ৩১ তম আওলাদ ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে শরীয়ত ও ত্বরীকত,হযরতুল্হাজ্ব মাওলানা শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন- চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মত্যাগী এক মহান যোদ্ধা। মানবতা, মানবসেবা, আদর্শ ও নীতিতে দেশের মাুনষের প্রতি ভালবাসায় অবিচল থাকার কারণেই তিনি শুধু আওয়ামী লীগেরই নেতা ছিলেন না।

    তিনি ছিলেন দল মত নির্বিশেষে গণমানুষের নেতা। চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেকোন ত্যাগ স্বীকার ও তাঁর কঠোর ভূমিকার জন্য অনেক সময় রাষ্ট্রযন্ত্রও নমনীয় হতে বাধ্য হতো। তিনি আধুনিক চট্টগ্রামের রূপকার। চট্টগ্রামের মানুষ ও মাটির প্রতি তার ভালোবাসার জন্যই তিনি চট্টলবীর খ্যাতি লাভ করেন। এ মানুষটি মনে প্রাণে ছিলেন একজন খাঁটি মুসলিম ও নবীপ্রেমিক। তাই তিনি হজ্বের সময় হাজীদের নেতৃত্ব দিয়ে মক্কা মদিনায় হজ্ব করার জন্য নিয়ে যেতেন। সেখানে হাজীদের খেদমতে তার ত্যাগ ও মহানুভবতার কথা সর্বজন বিদিত। শুধু তাই নয়; সুন্নীয়তের খেদমতেও তিনি ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তিনিই একমাত্র মেয়র যিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীন সপিং কমপ্লেক্সে গাউছুল আ’যম আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী গেইট নির্মাণ করেন। এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী, ইসলাম, গণমানুষের কল্যাণ ও চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেই অবদান রেখে গেছেন তা চট্টলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) উল্লেখ করেন।

    উদ্বোধকের বক্তব্যে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ লালন ও সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতিবোধ জাগ্রত করে সহাবস্থানমূলক একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করে গেছেন এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী। তিনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে এবং কর্মজীবী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যেকোন সাহসী ভূমিকা নিতে পিছপা হতেন না। এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর জীবদ্দশায় কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে ভালবাসার কারণেই তাঁর মৃত্যুর পরেও মানুষ তাঁকে অন্ধের ন্যায় ভালবাসে। তাই আমি মনে করি, চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও শ্রমজীবী মানুষের কল্যানের জন্য এই সংগ্রামী মানুষটির আরো কিছুদিন বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল।

    চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্মরণ সভা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন শাহ আলম বাবুল।

    স্মরণ সভা পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী সাংবাদিক আলী আহমদ শাহিন ও আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, মাদার অব তেরেসা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাবু সুকুমার চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার পুলক কান্তি বড়ুয়া, জ্যোতিষ ড. মাদব আচার্য্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পংকজ বৈদ্য সুজন, নারীনেত্রী মমতাজ খান,সাংবাদিক সৈয়দ দিদার আশরাফী, লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী, শিল্পী দীপেন চৌধুরী, অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ, মো: জাহাঙ্গীর আলম, হাসান মুরাদ, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ এবং মো: খোরশেদ আলী মাইজভাণ্ডারী।

    পরে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়েকজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

  • স্থপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন নিভৃত সমাজসেবক ; রাউজানে সেন্ট্রাল বয়েজের স্মরণসভায় বক্তারা

    স্থপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন নিভৃত সমাজসেবক ; রাউজানে সেন্ট্রাল বয়েজের স্মরণসভায় বক্তারা

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : দি পূর্বকোণ লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান ও সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সাবেক উপদেষ্টা স্থপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, স্থপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন নিভৃত সমাজসেবক।

    তিনি সমাজের মানুষের জন্য নীরবে অনেক কাজ করেছেন। সাংবাদিকতা জগতে তার বিস্তীর্ণ পথচলা রাউজানবাসীর জন্য গর্বের।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাউজান মুন্সির ঘাটাস্থ মাস্টার দা সূর্যসেন কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

    সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর জানে আলম জনি, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, অর্থ সম্পাদক তারেক হাসান, মোহাম্মদ রিফাত, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, মোহাম্মদ আরমান, ফরহানুল ইসলাম, তাজনবী ইমন, মিজানুর রহমান মুবিন, ইশতিয়াক কামাল রাকিব, মোহাম্মদ ফয়সাল, জোনাইত উল্লাহ তুষার, আবদুল্লাহ আল সাকিব।

    দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন রাউজান কলেজ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দিন।

  • বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে আস্থার সংকটে ভুগেছেন আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা। কিন্তু আস্থা হারাননি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।

    এমনকি পঁচাত্তর পরবর্তী যখন অনেক নেতাই ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছেন ঠিক তখনও তিনি দলের অস্থিত্ব রক্ষায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে দলকে সাজিয়ে নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েও দলকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্মরণসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল আরো বলেন, বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের ত্যাগে আজ দল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। তিনি অসময়ে চলে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে তার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের অনেক সংকট দুর হতো। আজকে শুধু নিজের দল ভারির যে রাজনীতি এবং যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আজ আমরা দেখি তা দেখতে হত না।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পরে যখন আমার বাবা প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন, প্রথম পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই তখন লন্ডনে ছিলাম। সেখানে আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ারের নির্দেশে আমি বাবু চাচার বাসায় যায়।

    তিনিই তখন আমাকে অভয দিয়ে বলেছিলেন, এখন যে দুঃসময় দেখছো, এরচেয়ে কঠিন সময় আমরা পার করে এসেছি। এর চেয়েও কঠিন দুঃসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপর দিয়ে গেছে। এগুলো কিছুই না। যারা ক্ষমতায় এসেছে, বসেছে, তারা বেশীদিন টিকতে পারবে না।

    নওফেল বলেন, সেদিন তাঁর কথায় আমি আশ্বস্থ হয়েছিলাম, সাহস পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, তোমরা এখানে আছো, তোমাদের কোনো আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাকে জানাবে। তাঁর নাম্বার আমাকে দিয়েছিলেন।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • রাউজানে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণসভা কাল

    রাউজানে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণসভা কাল

    চট্টগ্রামের রাউজানে প্রবীণ রাজনীতিবিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক মেয়র মরহুম আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল শুক্রবার।

    প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালনের উদ্দ্যেগ নেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল দশ টায় মুন্সিরঘাটাস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত ) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

    প্রধান বক্তা থাকবেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।

    রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সি.সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।

    মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা ও আরিফুল ইসলাম চৌধুরী সোহেল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে খতমে কোরআন, কবর জেয়ারত, কবরে পুষ্পার্ঘ অর্পন ও মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।