Tag: সড়ক অবরোধ

  • ৭ দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের

    ৭ দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের

    সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আন্দোলন স্থগিতের ১৬ দিন পর আবারও মাঠে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

    আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নীলক্ষেত অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

    আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে ও সাত দফা দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

    শিক্ষার্থীদের অবরোধের বিষয়ে নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি যেন সড়ক ছেড়ে দেয়। তাদের এসব দাবির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলে কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

    এর আগে, গত ৪ জুন আন্দোলনকারীরা সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে মিছিল নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজের ফটক অবরুদ্ধ করে ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্যের সাথে সাত দফা দাবি নিয়ে দেখা করেন।

    শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হলো—

    >> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

    >> যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন- প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত  মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

    >> সব বিষয়ে পাস করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেমের জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

    >> বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।  সর্বোচ্চ তিন মাসের (৯০ দিন) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

    >> সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে / কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমুহ উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।

    >> একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

    ৭. শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের দাবিসহ মোট ৭ দফা দাবিতে গত মাসের ২৫ তারিখ মানববন্ধন করে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরে আমরা আবারও তার সাথে দেখা করে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানাই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখনও একাডেমিক বৈঠকেও এসব দাবির বিষয়ে কোনপ্রকার আলোচনা করা হয়নি। তাই আজ আবারও নীলক্ষেত অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি।

  • মামুনুল হক হাটহাজারী আসায় সড়ক অবরোধ করেছে চবি ছাত্রলীগ

    মামুনুল হক হাটহাজারী আসায় সড়ক অবরোধ করেছে চবি ছাত্রলীগ

    চবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি কারি বক্তা মামুনুল হক চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাহফিলে আসার খবরে সড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর ) বেলা পৌনে ১২টার দিকে চবির এক নম্বর গেইটে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে তারা।

    বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, বিতর্কিত বক্তা মামুনুল হকের হাটহাজারীতে আগমন রুখতে সড়কে অবস্থান নিয়েছি। কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

    হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু ছেলে সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মামুনুল হককে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।

  • খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ চলাকালে পর্যটকবাহী গাড়ী ভাংচুর, আটক ৩

    খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ চলাকালে পর্যটকবাহী গাড়ী ভাংচুর, আটক ৩

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের সড়ক অবরোধ চলাকালে সাজেকগামী পর্যটকবাহী ১০ গাড়ী ভাংচুর করা হয়।

    রোববার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় দীঘিনালা লারমা স্কোয়ার এলাকায় গাড়ী ভাংচুর করা হয়। এ সময় পুলিশ পিকেটারদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দীঘিনালা সরকারি কলেজ মোড় থেকে পুলিশ ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করে।

    দীঘিনালা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে প্রেস কমিটি ঘোষণা করেছে। এতে করে ত্যাগী ও প্রকৃত নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে সম্মেলন বা কাউন্সিল ছাড়াই দীঘিনালা উপজেলা, দীঘিনালা সরকারি কলেজ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের প্রেস কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ

  • রাউজানে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, উত্তেজিত জনতার সড়ক অবরোধ

    রাউজানে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, উত্তেজিত জনতার সড়ক অবরোধ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মনোরঞ্জন চেয়ারম্যানের ঘাটা এলাকায় ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আকাশ কর (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

    শনিবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    নিহত আকাশ কর রাউজান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মনোরঞ্জন চেয়ারম্যানের বাড়ীর দুলাল করের পুত্র। সে রাঙামাটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে রাঙামাটিমুখী একটি প্রাইভেট কার মনোরঞ্জন চেয়ারম্যানের ঘাটা এলাকায় কলেজ ছাত্র আকাশ করকে ধাক্কা দিলে মারাত্নক আহতাবস্থায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

    দুর্ঘটনার খবর শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সড়কের উভয়দিকে অনেক গাড়ী আটকা পড়ে।

    পরে আওয়ামীলীগ নেতা ইরফান আহমেদ চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করলে যান চলাচল শুরু হয়।

    মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আকাশ করের মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

    রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) ছালেহ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কার চালককে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম

  • নীলফামারীতে ত্রাণের দাবিতে রিক্সা শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

    নীলফামারীতে ত্রাণের দাবিতে রিক্সা শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥ত্রাণের দাবীতে নীলফামারী শহরের কালিবাড়ী মোড়ে প্রধান সড়ক আড়াই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে দুই শতাধিক কর্মহীন রিক্সা শ্রমিক।

    এ সময় অভুক্ত রিক্সা শ্রমিকেরা খাবারের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

    বুধবার সকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রমিকদের অবরোধের কারনে প্রধান সড়কের দুই পার্শ্বে আটকা পড়ে বিপুল সংখ্যক জরুরী সেবার পরিবহন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী গাড়িসহ বিপুল সংখ্যক যানবাহন।

    একাধিক রিক্সা শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশ মেনে ঘরে আছি। আর ইটাখোলা ও পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে ত্রাণ দিবে দিচ্ছে বলে ঘুড়াচ্ছে।

    অবরোধের খবর পেয়ে রিক্সা শ্রমিক নেতা আবু তালেব, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার ঘটনাস্থলে গিয়ে ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

    প্রশাসনের প্রকাশিত এক রির্পোটে দেখা যায় সরকারি ভাবে কয়েক দফায় নীলফামারী জেলার জন্য চাল বরাদ্দ আসে ১ হাজার ৩০০শত মেট্রিক টন। এরমধ্যে বিতরন করা হয় ৯০৯ মেট্রিক,মজুদ রয়েছে ৩৯১ মেট্রিকটন। নগদ অর্থ বরাদ্দ আসে ৭২ লাখ। বিতরন করা হয় ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার। মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা। শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ আসে ১৮ লাখ টাকা। বিতরন করা হয় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪শত টাকা। মজুদ রয়েছে ৪ লাখ ৬শত টাকা। বিতরন যোগ্য উপকারভোগীদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৯০ হাজার ৯শত ও শিশু খাদ্য পেয়েছে ৩ হাজার ৫৫৩ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মুনিরীয়া ইস্যুতে ফের উত্তাল রাউজান

    মুনিরীয়া ইস্যুতে ফের উত্তাল রাউজান

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মুনিরীয়া ইস্যুতে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে রাউজান। সংগঠনটি নিষিদ্ধ এবং কাগতিয়ার পীর মুনিরউল্লাহ ও তার অনুসারীদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে গত ১৯ জানুয়ারী চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহা সড়কের রাউজান মুন্সিরঘাটা চত্বরে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখার পর পরবর্তীতে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সড়কের অবরোধ তুলে নিলেও সেদিনের ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে ২০ জানুয়ারী রাউজানের তিনটি স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রাখে আন্দোলনরত হাজার হাজার মানুুষ।

    সোমবার চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহা সড়কের গহিরা চৌমুহনীতে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় বিক্ষুদ্ধ লোকজন সড়কের উপর অবস্থান নিয়ে এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় গহিরা চৌমুহনীর উভয় পাশ্বে শত শত যানবাহন আটকে থাকে।

    সকাল ১০টা থেকে হাজার হাজার জনতা, আলেম ওলাম, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা গহিরা চৌমুহনী চত্বরে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের উপরে বসে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে তুলে মুনিরীয়ার বিরুদ্ধে স্লোগানে দিতে থাকে।

    এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কাজী ইকবালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সি.সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, মুনিরীয়া বিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া খানম মিনা, পৌর প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, আওয়ামীলীগ নেতা জানে আলম জনি, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু,আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, মুছা আলম খান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সারজু মোহাম্মদ নাছের,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, মহিলা কাউন্সিলার জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি, যুবলীগ নেতা তপন দে, হাসান মোহাম্মাদ রাসের, জিয়াউল হক রোকন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পিবলু,তানভীর চৌধুরী, নাছির উদ্দিন,অনুপ চক্রবর্তী, মো. আসিফ, আরমান সিকদার, ফয়সাল মাহমুদ প্রমুখ।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাউজানে ত্বরিকতের নাম দিয়ে মুনিরীয়ার উগ্র সমর্থক কর্তৃক আলেম-ওলামা, মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে নির্যাতন, হত্যা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরে অগ্নি সংযোগের বিরুদ্ধে রাউজানের সর্বস্থরের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।

    কাগতিয়ার পীর মুনিরুল্লাহ সহ তার সহযোগী নানা মামলার ৬০ আসামীকে গ্রেফতার করা না হলে আগামীতে পরিবহন ধর্মঘটসহ আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।

    মুনিরীয়া বিরোধী আন্দোলনের সময় প্রায় ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ রাখার পর রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মামনুন ইসলাম অনিক আন্দোলনকারীদের দাবীর প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর সাড়ে ১২টায় মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এ সময় যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হলে যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে। একই দিন চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কেও বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা।

  • মিরসরাইয়ে বাস চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সহপাঠীরা

    মিরসরাইয়ে বাস চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সহপাঠীরা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই বারইয়ারহাট এলাকায় বাস চাপায় নিহত হয়েছে সাইফুদ্দিন (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র।

    একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের এক সহপাঠী। আশঙ্ককাজনক অবস্থায় আহত শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বারইয়ারহাট বাজার এলাকায় সড়ক পারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    এদিকে দুর্ঘটনায় প্রিয় সহপাঠীকে হারিয়ে তার শিক্ষাঙ্গণে ও তার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা। ঘটনার পরপর সাইফুদ্দিনের সহপাঠী ও স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে যানজট তৈরি হয়।

    নিহত সাইফুদ্দিন বারৈয়ারহাট ডিগ্রী কলেজের এইসএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার বাঘাই বাড়ীর মো. হানিফের ছেলে বলে জানা গেলেও গুরুতর আহত সহপাঠীর পরিচয় তাৎক্ষনিক জানা যায়নি।

    জানা গেছে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম মুখি রূপসা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতীতে রাস্তা পারাপারের সময় সাইফুদ্দিন ও তার এক সহপাঠীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুদ্দিনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় তার সহপাঠী।

    জোরারগঞ্জ থানা ওসি মুফিজ উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত কলেজ ছাত্রের লাশের সুরতহাল শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, নিহতের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে ঘাতক বাসটি আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং বাসের চালকেকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।

    উত্তেজিত জনতাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টার পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

  • সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৩, একঘন্টা সড়ক অবরোধ

    সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৩, একঘন্টা সড়ক অবরোধ

    কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক মহিলাসহ তিনজন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছে।

    বুধবার রাত সাড়ে ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টার মধ্যে উপজেলার কুমিরা ও সলিমপুর এলাকায় পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার সলিমপুরস্থ ফকিরহাট এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের চাপায় এক মহিলা নিহত হয়েছে, এতে তার ৭ বছর বয়সের এক শিশু আহত হয়।
    তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ঐ মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। এদিকে কাভার্টভ্যানের চাপায় এক নারী নিহত ও তার ছেলে আহত হওয়ার ঘটনায় এলাকার উত্তেজিত জনসাধারণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহাসড়ক এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে, এতে রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

    খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা এবং ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    অপরদিকে রাত সাড়ে সাতটার সময় উপজেলার কুমিরাস্থ গুল আহমেদ জুট মিলস এলাকায় মহাসড়কে প্রাইভেট কার ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন গুরুতর আহত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত চারজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল নিয়ে গেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও মেজবা উদ্দিন নামের দুইজনকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

    নিহত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রফিক হোসেনের পুত্র এবং মেজবার বাড়ি মীরসরাই থানার ডুমখালি গ্রামে।

    বার আউলিয়াা হাইওয়ে থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, ফকিরহাট এলাকায় বেপরোয়া একটি কাভার্ডভ্যান দুই পথচারীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে এক নারী নিহত হয় এবং তার ছেরে আহত হয়। এঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করলে প্রায় এক ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে দোষী চালকের শাস্তির আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয়। ঘাতক ড্রাইভারকে গাড়ি সহ আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত মহিলার পরিচয় অজ্ঞাত।