Tag: সড়ক দুর্ঘটনা

  • বঙ্গবন্ধু টানেলে ফের দুর্ঘটনা

    বঙ্গবন্ধু টানেলে ফের দুর্ঘটনা

    দুদিনের মাথায় আবারও চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ‘মীমাংসা’ করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টানেলের দেয়ালের ডেকোরেটিভ বোর্ডের ৮০ ফুট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানেল কর্তৃপক্ষের ধারণা— ঘুমন্ত অবস্থায় চালক দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

    পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘মুরগী বহনকারী একটি মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টানেলের দেয়ালে ধাক্কা দিলে দেয়ালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় টানেল কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো অভিযোগ করেনি। ঘটনার পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তারা বলেছে, ঘটনার নিজেরা নিজেরা মীমাংসা করবে। তাই কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

    দুঘর্টনায় টানেলের ডেকোরেটিভ বোর্ডের আর্থিকক্ষতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল অ্যান্ড ট্রাফিক) তানভীর রিফা বলেন, ‘ট্রাকের ধাক্কায় টানেলের দেয়ালের ডেকোরেটিভ বোর্ডের ৮০ ফুট লম্বা অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণের কাজ চলছে।’

    এর আগে, ১৬ জানুয়ারি টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে একটি মাইক্রোবাস উল্টে নৌবাহিনীর সদস্যসহ সাতজন আহত হন।

  • ২০২৩ সালে সড়কে ঝরেছে প্রায় ৮ হাজার প্রাণ

    ২০২৩ সালে সড়কে ঝরেছে প্রায় ৮ হাজার প্রাণ

    বিদায়ী ২০২৩ সালে সারা দেশে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭২ জন। এছাড়া এক বছরে রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত এবং ৪৭৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১৫২ জন আহত এবং ১০৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

    রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বছরে দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

    প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ২০২৩ সালে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৭৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭১২ জন নিহত এবং ২ হাজার ৩৮১ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২০৫ জন নিহত, ২ হাজার ২৯৪ জন আহত হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৭৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৬৪ জন নিহত, ১ হাজার ৭৮ জন আহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে ৩৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত, ৯৯২ জন আহত হয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৪ জন নিহত, ৬৬৫ জন আহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৩ জন নিহত, ৯২৬ জন আহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে ৫৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬২৬ জন নিহত, ৮৬৮ জন আহত হয়েছেন ও রাজশাহী বিভাগে ৭৮৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৮ জন আহত হয়েছে।

    সড়কে দুর্ঘটনার শিকার ১ হাজার ৯৫০ জন চালক, ৯৬৮ জন পথচারী, ৪৮৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯৭ জন শিক্ষার্থী, ৯৭ জন শিক্ষক, ১৫৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯৮৫ জন নারী, ৬১২ জন শিশু, ৩০ জন সাংবাদিক, ৩২ জন চিকিৎসক, ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৮ জন আইনজীবী, ১০ জন প্রকৌশলী ও ১১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে।

    দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৭৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন- যাদের মধ্যে ১৬ জন সেনা সদস্য, ৪০ জন পুলিশ সদস্য, ১ র‍্যাব সদস্য, ৭ জন বিজিবি সদস্য, ৩ জন নৌবাহিনীর সদস্য, ৩ জন আনসার সদস্য, ২ জন ফায়ার সার্ভিস সদস্য, ১ জন এনএসআই সদস্য। এছাড়া রয়েছেন ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১৫ জন সাংবাদিক, ৬৪৭ জন নারী, ৪৬৬ জন শিশু, ৪১৬ জন শিক্ষার্থী, ৮১ জন শিক্ষক, ১ হাজার ৫২৬ জন চালক, ২৬০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ জন প্রকৌশলী, ৭ জন আইনজীবী, ৭৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ২২ জন চিকিৎসক।

    সমিতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট দুর্ঘটনার ৫২.৮৩ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা, ২০.৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.২৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১.৪ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ০.৬৮ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, রাস্তাঘাটে নির্মাণ ত্রুটি ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল।

     

  • সীতাকুণ্ডে এক গাড়ির ধাক্কায় আরেক গাড়ির চালক নিহত

    সীতাকুণ্ডে এক গাড়ির ধাক্কায় আরেক গাড়ির চালক নিহত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় শাহিন মোল্লা (৩২) নামে এক চালক নিহত হয়েছে।

    শনিবার সকাল সোয়া ৬টার সময় উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ঘাটঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাজিন মোল্লা মানিকগঞ্জ জেলার শিবলয় থানার নিহালপুর গ্রামের হারুন মোল্লার ছেলে।

    জানা যায়, সকালে সড়কে দাড়াঁনো একটি ট্রাকের পিছনে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দিলে দাড়াঁনো গাড়ির চালক শাহিন এসময় গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, একটি অজ্ঞাত গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা দিলে চালক নিহত হন। লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • সীতাকুণ্ডে স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় ত্রিপুরা সর্দার নিহত

    সীতাকুণ্ডে স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় ত্রিপুরা সর্দার নিহত

    কামরুল ইসলাম দুলু: সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় শংকর ত্রিপুরা (৬৫) নামে এক ত্রিপুরা সর্দার নিহত হয়েছে। বুধবার (৯ জানুয়ারী) বিকাল পৌনে চারটার সময় উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুলতানা মন্দির এলাকায় মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত শংকর ত্রিপুরা ওই এলাকার পাহাড়ি ত্রিপুরা পাড়ার মৃত মনকরাই ত্রিপুরার পুত্র।

    জানা যায়, নিহত শংকর ত্রিপুরা প্রতিদিনের মতো সুলতানা মন্দির এলাকায় একটি মন্দিরে গীতা পাঠ করতে যাওয়ার সময় জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার সামনে ঢাকামূখী একটি স্টার লাইন বাস তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সালাউদ্দিন তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এদিকে ত্রিপুরা সর্দার শংকর মারা যাওয়ার খবরে পাহাড় থেকে শতাধিক ত্রিপুরা অধিবাসী মহাসড়কে এসে স্টার লাইনের সব বাস আটক করে প্রতিবাদ জানান।

    খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে গাড়ির মালিক পক্ষের সাথে সমোঝোতার আশ্বাস দিলে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সড়ক থেকে সরে পড়েন।

    ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, স্টার লাইনের একটি বাসের ধাক্কায় এক ত্রিপুরা ব্যক্তি নিহত হয়। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • চকরিয়ায় পিকনিকের বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪

    চকরিয়ায় পিকনিকের বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪

    কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাংয়ে পিকআপ ও পিকনিকের বাসের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮ জন। নিহতরা সবাই স্থানীয় শ্রমিক।

    বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাংয়ের কলাবাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চকরিয়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রোদ্র।

    নিহতরা হলেন, চকরিয়া হারবাং উত্তর করমহরীপাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে রিদুয়ান, একই ইউনিয়নের সামাজিকপাড়ার রশিদ আহমেদের ছেলে আবু বক্কর, বাদশা মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন, বত্তাতলীর মোজাফফর আহমদের ছেলে মহিউদ্দিন।

    এসআই খোকন রোদ্র জানান, কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমণে আসা জাকির ট্রাভেল (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১৩১৫) ও চট্টগ্রামমুখী পিকআপ (চট্টমেট্রো-ন-১১-১৭৮৯) হারবাং এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে চার শ্রমিক নিহত হন। আহত হয়েছেন প্রায় ৮ জন। দুর্ঘটনায় যানচলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও গাড়ি দুটি জব্দ করেছে।

    তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে হস্তান্তর ও গাড়ি দুটি হাইওয়ে থানার হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে।

  • ট্রেন দেখতে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় ভাই-বোনের মৃত্যু

    ট্রেন দেখতে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় ভাই-বোনের মৃত্যু

    চকরিয়ায় ট্রেন দেখতে যাওয়ার পথে বাস চাপায় ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছে অপর এক শিশু। তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিস্ট্রান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার মহাসড়কের ডুলাহাজারা ইসলামীয়া মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত দুই শিশু হলো- ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিন কন্যা শিশু সাবা রহমান (৮) ও আবদুর রহমান (৬) । আহত হয়েছে আবদুল গফুরের কন্যা শিশু নুসরাত জাহান (৫)।

    এদিকে দুর্ঘটনার পর সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। পরে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করেন।

    স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারগামী ট্রেন দেখতে ঘর থেকে বের হয় তিন ভাইবোন। এসময় মহাসড়ক পার হতে গিয়ে কক্সবাজারগামী একটি বাস তিনজনকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে মারা যায় ভাইবোন সাবা রহমান ও আবদুর রহমান। এসময় আহত হয় চাচাতো বোন নুসরাত জাহান। আহত শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

    মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোস্তফা কামাল জানান, ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত দুই শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • লরি ড্রাইভারের ঘুম কেড়ে নিল ৩ শ্রমিকের প্রাণ

    লরি ড্রাইভারের ঘুম কেড়ে নিল ৩ শ্রমিকের প্রাণ

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::চলন্ত গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়লেন ড্রাইভার। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ৪ পথচারীকে চাপা দিল লরি। ঘটনা স্থলেই ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

    শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা সদর ইউনিয়নের ওয়ারলেস এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
    দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, শ্রমিক মো. শফিক (৪৫), মো. আলম (৫০), মো. মাসুক (৩০)। একি ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন মো. মাজেদ (৩৫)।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত এক শ্রমিক জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশ ঘেঁষে তেলের পাইফ লাইন স্থাপনের কাজ করছিলেন নিয়োজিত শ্রমিকরা। কাজের ফাঁকে নাস্তা সেরে ফের কাজে যোগ দিতে রাস্তার পাশ দিয়ে কর্মস্থানে যাচ্ছিলেন ৫ শ্রমিক। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই চলন্ত লরি মহাসড়ক থেকে বিচ্যুত হয়ে সড়কের পাশে শ্রমিকদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এছাড়া এক শ্রমিক আহত হয়। আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানান, গাড়ি চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারনে গাড়ি মহাসড়ক থেকে সড়কের আশে চলে যায়। যার কারনেই ৩ জন শ্রমিকের প্রাণ গেল।

    জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, লরি গাড়িটি আটক করা হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

  • মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

    মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই জন মারা গেছেন। তারা হলেন— ইকবাল হোসেন (৪৫) ও মো. ফরিদ (৩৫)।

    তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

    মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার উপজেলার সুফিয়া রোডের গুলিস্তান পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সড়কের পাশে একটি পিকআপ ও দুটি ভ্যান দাঁড়ানো ছিল। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িগুলোকে ধাক্কা দেয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    মিরসরাই ফায়ার স্টেশন অফিসার ইমাম হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, সকালে কাভার্ভভ্যানের ধাক্কায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে মারা যান।

    জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সরকার বলেন, নিহতদের মরদেহ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • হাটহাজারীতে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৭, আহত ২

    হাটহাজারীতে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৭, আহত ২

    চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া নামক স্থানে বাস এবং সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ সাত জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই জন।

    মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া ইজতেমার মাঠ সংলগ্ন খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এই দুর্ঘটনাটি হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহতরা সবাই পটিয়া থেকে ফটিকছড়িতে আত্মীয়র শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন।

    দুর্ঘটনার ঘটনার খবর হয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন।

    হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, চারিয়াতে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিনে আসছি। রাস্তা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মেডিকেলে পাঠাচ্ছি।

    হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসি। লাশ উদ্ধার করি। আহতদের হাসপাতালে পাঠাই। এখনো পর্যন্ত আহত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

  • ময়মনসিংহে বিলবোর্ডে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪

    ময়মনসিংহে বিলবোর্ডে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪

    ময়মনসিংহ নগরীতে বিলবোর্ডে বাসের ধাক্কায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।

    সোমবার (৭ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শিকারিকান্দা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

    শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী ফায়াজ ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী একটি বাস ময়মনসিংহের দিকে আসছিল। পথে শিকারিকান্দা এলাকায় আসতেই একটি ট্রাককে সাইড দিতে যায়। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি বিলবোর্ডে ধাক্কা দিলে বিলবোর্ড ভেঙে বাসের ওপরে পড়ে। এতে ওই বাসের চালকসহ চারজন মারা গেছেন।

    এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই পর্যন্ত আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৪০ জন। বাসচালকের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • টানেলে বেপরোয়া বাস দুমড়ে-মুচড়ে দিল প্রাইভটকার

    টানেলে বেপরোয়া বাস দুমড়ে-মুচড়ে দিল প্রাইভটকার

    বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে মাঝামাঝি অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০কি:মি: অধিক গতিতে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় প্রাইভেট কারের পেছনের অংশ ভেঙে গেছে।

    শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের সময় টানেলের ভেতরের মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে হালকা আঘত হলেও গুরুতর আহত হয়নি কেউ ।

    জানা যায়, নগরের পতেঙ্গা থেকে একটি প্রাইভেটকার আনোয়ারা দিকে যাওয়ার পথে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি বাস ওভারটেক করতে গিয়ে কারটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারের পেছনের অংশ মুচড়ে যায়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী টানেলে দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা বলেন, ‘টানেলের মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো ব্যক্তি নিহত ও টানেলের কোন অংশ ক্ষতি হয়নি। বাসের চালক পালিয়ে গেছে। এছাড়া গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

  • ফৌজদারহাট-বায়েজিদ রোডে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

    ফৌজদারহাট-বায়েজিদ রোডে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার সময় উপজেলার ফৌজদারহাট-বায়েজিদ রোডে সিএনজি-কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।

    এতে মনির চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান (৪০) নামে দুই সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী নিহত হন। এঘটনায় সিএনজি অটোরিকশা চালকও গুরুতর আহত হন। নিহত মনির চৌধুরী জঙ্গল সলিমপুরস্থ ১ নং সমাজের মৃত আবদুল খালেকের পুত্র এবং নিহত জিয়াউর রহমান বগুড়া জেলার শাহাজাহানপুর থানার জেলবল চালকদারের পুত্র।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে সড়ে ৬টার দিকে সলিমপুর ইউনিয়নের বায়েজিদ লিংক রোডে কাভার্ডভ্যান সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনির চৌধুরী ও জিয়াউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, সকালে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ তিনজন আহত হলে তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

    নিহত মনির চৌধুরী’র ছোট ভাই বাবুল চৌধুরী বলেন, আমার মেজ ভাই সাগরিকা এলাকায় একটি একটা গার্মেন্টসে গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। সকালে সিএনজি করে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।